এখন সময়:রাত ১০:০০- আজ: রবিবার-৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

এখন সময়:রাত ১০:০০- আজ: রবিবার
৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

‘একুশ মানে মাথা নত না করা’

পাকিস্তানিরা বাঙালিকে শুধু বহুমাত্রিক শোষণ ও নির্যাতন করে ক্ষান্ত হয়নি, তারা চাইছিল বাঙালির মুখের ভাষাও কেড়ে নিতে। দম্ভ করে জিন্নাহ ঘোষণা দিয়েছিল ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’। তার এই দম্ভ চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়েছিল এ দেশের ভূমিপুত্ররা। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে রাজপথে মিছিল করেছে। হানাদার বাহিনী এতে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ মিছিলে গুলি করে। ভূলুণ্ঠিত হয় সালাম, জব্বার, রফিক, বরকত প্রমুখ। রক্তে রঞ্জিত ঢাকার রাজপথের এই দৃশ্য অবলোকন করে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তাৎক্ষনিক রচনা করেন সেই বিখ্যাত কবিতা যা পরে বাংলাদেশের আইকনিক গানে রূপান্তরিত হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। চট্টগ্রামে বসে কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীও রচনা করেন ‘আমি কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি।’ জান্তা সরকার এই কবিতা নিষিদ্ধ করে তাঁর ওপর হুলিয়া জরি করে। অধ্যাপক আবুল ফজল বলেছেন-‘একুশ মানে মাথা নত না করা’।
মোট কথা একুশ মানেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, দ্রোহ ও বিদ্রোহ। আজকে সর্বজনস্বীকৃত এই বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের মাঝেই অঙ্কুরোদগম হয়েছিল ৭১এর স্বাধীনতার বীজ।

১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়াারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এখন বিশ্বের সব দেশ দিবসটি উদযাপন করে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবের বিষয়।

কিন্তু একুশের যে মূল চেতনা সেটা থেকে বর্তমানে আমরা অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে এখনো বাঙলা প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা একমুখী করা হয়নি। ভাষা ও শিক্ষায় যে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে তাতে জাতি হিসেবে আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনার ভীত দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। আর নিরাপত্তার নামে নানা প্রটৌকল মানুষকে শহিদ মিনার বিমুখ করছে। যে একুশ বাঙলা ও বাঙালির চেতনার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছিল সেটা এখন দিন দিন ম্রিয়মান হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখন ‘একুশের’ চেতনাকে ধারণ করে আগামীর পথে চলতে হবে। অন্যায়, অসত্য ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই ছিল একুশের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হলে জাতি হিসেবে গর্ব করার মতো আমাদের আর কী থাকবে?

আবির প্রকাশন

আপনি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- ঘরে বসেই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারেন অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে আবির প্রকাশন থেকে। আমরা বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন

গণতন্ত্রহীন রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাঙালি চিরকালই বিদ্রোহী। ইতিহাসের কোনো পর্বে সে কোনো পরাধীনতাকে বেশি দিন মেনে নেয়নি। উপমহাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্র দিল্লি থেকে দূরে হওয়ায় এবং সাড়ে

বিপ্লব যাতে বেহাত না হয় ( সম্পাদকীয় – আগস্ট ২০২৪)

জুলাই মাসের কোটাবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত আগস্টের ৬ তারিখে ১৫ বছর সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। অভূতপূর্ব এই গণঅভ্যুত্থান ইতোপূর্বে ঘটিত গণ অভ্যুত্থানগুলোকে ছাড়িয়ে