রুদ্র সুশান্ত
মুদ্রণ যন্ত্রের সহজলভ্যতা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহজীকরণের ফলে আমাদের সাহিত্যে এখন প্রচুর পরিমাণে কবিতা লেখা হচ্ছে এবং সেই সব কবিতা দিয়ে বই আকারেও ছাপানো হচ্ছে। পাঠক কবিতা থেকে যে টেক্সটা গ্রহণ করে সেই ‘গ্রহণ করা’টা একজন কবিকে পাঠকপ্রিয় করে তোলে। বর্তমানে প্রচুর পরিমাণে গদ্য কবিতা লেখা হচ্ছে, সেই কবিতার অভ্যন্তরে কবির ব্যক্তিগত দর্শন, সামাজিক এবং রাজনৈতিক অবস্থা এবং ইতিহাস উপজীব্য হয়ে ওঠে। একজন কবিকে কবিতায় শব্দের মাধুর্যতা এবং সৌন্দর্যচেতনা নিয়ে কোথাও না কোথাও গিয়ে পৌঁছাতে হয়। চুম্বনের মধুমাখা দাগ থেকে ভালোবাসার চরম অনুভূতি নিয়ে একজন কবিকে বারবার ফিরে আসতে হয় কবিতার দৃশ্যপটে। সমাজব্যবস্থা কিংবা মানুষের জীবন-জীবিকার অবস্থা যেখানে গিয়ে দাঁড়াক না কেন, একজন কবিকে তার লেখার মাধ্যমে বারবার পাঠকের রোমান্টিসিজম মনে শব্দের তীক্ষè ও কোমল প্রয়োগে হৃদয়ের আঙ্গিনাটুকু ভরে তুলতে হয়। সেই প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে চট্টগ্রামের ইতিহাসকে মননশীল শব্দ প্রয়োগে কবিতায় তুলে এনেছেন কবি রূপক বরন বড়ুয়া। এতো এতো গদ্য কবিতার ভিড়ে শব্দের অন্ত্যমিল, মাত্রার সঠিক প্রয়োগ এবং বাক্যের ছন্দমিল সঠিক রেখে আঞ্চলিক ভাষায় প্রথম সনেট তৈরির কৃতিত্ব কবি রূপক বরন বড়–য়ার।
চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় লেখা কবিতাগুলো কবির মেধার পরিচয় রাখে এবং সাহিত্যে এটি একটি ভিন্ন প্রয়াস। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার কথ্যরূপ থেকে লেখ্যরূপ নিয়ে এসে কবিতায় প্রয়োগের যে বহমানতা কবি দেখিয়েছেন সেটা অনেকটা দুঃসাহসিক এবং প্রশংসামূলক।
কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা “বক্সির হাড” কবিতাই তিনি লিখেন-
“পুগে তার বাকলিয়া দঅইনে কাঁচাই/
পঁচিমে পাথরঘাটায় খৃস্টানর পাড়া”
কবিতায় মাত্রা ঠিক রেখে তিনি বক্সিরহাট এলাকার অবস্থান নির্ণয় করেছেন, যেটা আঞ্চলিক ভাষায় খুবই কঠিন কাজ। কবিতা মূলত যা বলে তার অধিক বুঝাতে চেষ্টা করে। পাঠককে লেখকের সেই চেষ্টা অনুমান করে বুঝে নিতে হয়। ইতিহাসভিত্তিক কবিতাগুলো রচনা করতে গিয়ে তিনি বারবার সংগ্রহযোগ্য তথ্য এবং অতীতের কথা টেনেছেন কবিতার পরতে পরতে।
চট্টগ্রামের অনেকগুলো উপজেলা এবং ছোট ছোট স্থান নিয়ে তিনি কবিতা রচনা করলেও আমার জন্মস্থান বাঁশখালী নিয়ে তিনি কোন কবিতা এই সংকলনে স্থান দেননি। এটা আমাকে একটু ভাবিয়েছে। যদিও বিভিন্ন কবিতায় ঘুরেফিরে বাঁশখালীর কথা উঠে এসেছে। যেমন “পাথরঘাডা” কবিতায় তিনি বাঁশখালীর কথা টেনে এনে লিখেছেন-
“পাথর পদবী জাইল্যা বাঁশখালীর চরে/
মাছের সন্ধানে ঘুরে দৈয্যার কিনারে/
বসত গাড়িল তারা কাঁইছা খাল পাড়ে/
এত্তেতুন পাথরঘাডা ফিরিঙ্গির স্বরে”
“বক্সির হাড” কবিতায় ও তিনি বাঁশখালীর জমিদারের কথা তুলে এনেছেন। ইতিহাসভিত্তিক কবিতা রচনা করতে গেলে কবিতায় একটি স্থানের পাশাপাশি আরও অনেকগুলো স্থানের নাম সঙ্গত কারণে চলে আসে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ইতিহাস সুদীর্ঘ। গবেষক ড. মুহাম্মদ আমীন লিখেছেন- “চর্যাপদের ভাষা, শব্দগঠন, না বোধক শব্দের অবস্থান, উৎপত্তিগত ইতিহাস, রচিয়তার ধর্ম, প্রাকৃতিক পরিবেশ, আধুনিক চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা ও চাটগাঁইয়া ভাষার সাহিত্যকর্ম প্রভৃতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, চর্যাপদের রচিয়তাগণের অধিকাংশই ছিলেন চট্টগ্রামের অধিবাসী এবং তাই তারা ছোঁহা বা চর্যাপদের নামে যে কাব্য রচনা করেছেন, তা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা।” চট্টগ্রামের ভাষা- আঞ্চলিক ভাষা বা উপভাষা হলেও এই ভাষার ইতিহাস সুদীর্ঘ প্রাচীন। অনেক গবেষকদের মতে বাংলা ভাষার চেয়ে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার ইতিহাস আরও পুরানো।
কবিতার অভ্যন্তরে শহরের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা সকল ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং ইতিহাসের পরিব্যপ্তিতা, কবিতার মানসপটে তৎকালীন চিত্র, কবিতার বুকে বাধাহীন, স্বাধীন উচ্চারণে অমোঘ শব্দ গাঁথুনিতে রাজনৈতিক সংবাদ যেনো এক সুতায় এক বিন্দুতে গেঁথেছেন। এই বিবেচনা থেকে তার কবিতাগুলোর ইতিহাসভিত্তিক সার্থকতা চরমভাবে বুঝা যায়। পাঠক মনে মনে তৎকালীন ইতিহাসের শোভা এবং খানিকটা শহরমুখী জীবনের হালচিত্র, সৌন্দর্যের আত্ম-আবিষ্কার অনায়াসে সত্যের আত্মানুসন্ধান করতে পারবেন। জননীর জন্ম মুহূর্তে প্রসব-বেদনার মতো শব্দ আত্মপরিচয় খুঁজেছে কবিতার পাতায় পাতায়। শব্দের অদৃশ্য রূপকে আঞ্চলিক শব্দে পরিবর্তিত করে কবি কবিতায় যে ভিন্নমাত্রা যোগ করেছেন তাতে তিনি একজন “সার্থক আঞ্চলিক কবিতা” রচয়িতা হিসেবে প্রকাশ করেছেন। বাইস্কোপ কবিতায় তিনি লিখেছেন-
“আনন্দ আছিল আগে গ্রামগঞ্জ শঅরে/
বাইস্কোপ দেখাইতো দৃশ্য রাস্তা ঘাডে মোড়ে”
চর্যাপদ থেকে শুরু করে একবিংশ শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক- এই দীর্ঘ যাত্রায় কবিতা নানানভাবে সমৃদ্ধ হয়েছে। কবিতার বুকে ফুটে উঠেছে চিত্রকলা, সমাজের বৈষম্য-বিভক্তি, আত্মকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা, সমাজ চিন্তা, রাষ্ট্র দর্শন, প্রেমিক-প্রেমিকার রুপ, সংস্কৃতি, সভ্যতা, ধর্ম। নানান সময়ে নানান রাজনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতিতে মানুষের নানান চিন্তা চেতনা সামগ্রিকভাবে এসে ভাষা বেঁধেছে কবিতার বুকে। কখনো কখনো ইন্দ্রিয় অনুভূতির চর্চা হয়েছে কবিতায়, কবিতা সবকিছুকে দুহাতে গ্রহণ করেছে, মমতাময়ী মায়ের মতো সহৃদয়ে সেইসব চিন্তা চেতনা এবং শব্দকে নিজের আঁচলে গিঁট
দিয়ে রেখেছে। কবিতা নিজে যেমন পরিপুষ্ট হয়েছে তেমনি পাঠককে করেছে আনন্দে আপ্লুত, পুলকিত। কবিতার যে নিজস্ব জগত সেই জগতে কবিরা বারবার বিচরণ করেছেন- আবার কবিরা নিজের অজান্তে একটি জগত তৈরি করেন সেই জগতে নিজেই ঘোরপাক খেতে থাকেন। বিখ্যাত নাট্যকার পিটার হান্টকে যেমন বলেছেন- “ঊাবৎুড়হব সঁংঃ নঁরষফ যরং ড়হি ড়িৎষফ” পুরাতন দিনের প্রেমের কথা কবি রুপক বরন বড়ুয়া তুলে এনেছেন কবিতার পাতায়-
“পুরান প্রেমের কথা বুকে সেল মারে/
তোঁয়ারে দেখিলে আঁর মন খালি পোড়ে”
(কবিতা- জোনপঁইয্যা রাইতে)
আবার যদি দেখি আরেকটি কবিতায় তিনি চট্টগ্রামের ঐতিহ্যকে সিদ্ধহস্তভাবে টেনে নিয়ে এসেছেন, বোস ব্রাদার্সের মিষ্টি কবিতায় তিনি বলেছেন-
“বোস ব্রাদার্সের মিষ্টি চাঁডগার নামগড়া/
নন্দন কাননে গেলে পাইবা তার দেখা”
ইতিহাস নিয়ে কবিতা রচনা করতে গিয়ে তিনি যেমন প্রেমের আশ্রয় নিয়েছেন তেমনি ঐতিহ্যকেও টেনে এনেছেন। আবার “বোয়ালখালী” কবিতায় তিনি বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেন ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ করেছিলেন সেই বিজয়গাঁথা কাহিনি এনেছেন। মহেশখালী উপজেলা নামকরণে যে আধ্যাত্মিক কাহিনি রয়েছে সেটা তিনি কবিতার বক্ষ পিঞ্জরে কালির কলমে প্রকাশ করেছেন-
“আদিনাথ ঘিরি রইয়্যে মাহাত্ম্য শিবের/
শিবের আরউগ্য নাম ঠউর মহেশ/
খালত্তুন হইল খালী সেন মহেশ্বর/
নাম পাইল মহেশখালী অর্থ সবিশেষ!”
এভাবে তিনি ছন্দে ছন্দে কবিতায় আঞ্চলিক শব্দ প্রয়োগ করে ইতিহাস রচনা করেছেন।
তার কবিতায় নিজস্ব প্রবাহ আছে, ¯্রােতস্বিনী নদীর মতো ¯্রােত আছে, ভালোবাসার উপকরণ আছে, প্রেমের অবাধ্য আবোহ আছে, শহরতলীর বিজ্ঞাপন আছে, সহজ স্বীকারোক্তি আছে, আত্মানুসন্ধান আছে, শব্দের মুখোমুখি দাঁড়ানোর উন্মাদনা আছে, মাছরাঙার ধারালো ঠোঁটের মতো তীক্ষèতা আছে, আঞ্চলিক শব্দের পুনঃনির্মাণ আছে, শব্দের চরিত্রচিত্রণ আছে, রোমাঞ্চ আছে, আঞ্চলিক শব্দের কথনভঙ্গিতে এবং সংলাপে স্বাভাবিক রচনায় নির্মেদ, টানটান মুনশিয়ানার পরিচয় আছে।
“পরান কাঁদের” বইটির ফ্লাপে লেখা আছে- ভাষা হলো এক বহতা নদী। সত্যিই তাই, ভাষা নদীর মতো বয়ে যায়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে ভাষার সংযোজন বিয়োজন ঘটে, ভাষার বুকে আবার ভাষার জন্ম হয়। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষাও তাই, স্থানভেদে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার ভিন্নতা রয়েছে। মহেশখালী, চকরিয়ার আঞ্চলিক ভাষার সাথে ফটিকছড়ি, হাটহাজারীর আঞ্চলিক ভাষার একটু তফাৎ রয়েছে। আবার ঐদিক থেকে চট্টগ্রাম শহরের দিকে ঢুকলে এখানে মোটামুটি আঞ্চলিক ভাষা তেমন চলে না, চট্টগ্রামের স্থানীয় যারা চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার কিছুটা চর্চা করলেও তারাও তাদের সন্তানদের সাথে কথা বলার সময় চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষা খুবই কম ব্যবহার করেন। আবার চট্টগ্রাম থেকে যতো সীতাকু- মিরসরাইর দিকে যাওয়া যায় ততো ভাষার আঞ্চলিক রূপ হারিয়ে যেতে থাকে। মিরসরাই অঞ্চলে বসবাসকারীরা মোটামুটি ফেনী-নোয়াখালীর উপভাষাকে ব্যবহার করে কথা বলে থাকেন। তাদের বেশির ভাগ চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার কথা বুঝতে পারলেও বলতে পারেন না। হারিয়ে যেতে থাকা আঞ্চলিক ভাষাকে কবিতার প্রেক্ষাপটে রচনার যে সুনিপুণ দক্ষতা কবি দেখিয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। প্রথমত হলো আঞ্চলিক ভাষার কবিতা, দ্বিতীয়ত প্রত্যেকটা কবিতা তিনি সনেট আকারে রচনা করেছেন।
চট্টগ্রামের সংস্কৃতি এবং ইতিহাস চর্চার পাশাপাশি তিনি ধর্মকেও কবিতায় উপজীব্য করেছেন।
যেমন “লাভলেইন” কবিতায় তিনি বলেছেন-
“এনাত বাজার লগে গির্জার চারপাশে/
ইংরেজ বসত গড়ে বৃটিশ আমলে”
অথোবা “মুগলটুলি” কবিতায় লিখেছেন-
“মুগলটুলি এক গ্রাম আছিল মাঝখানে/
মগ-পাড়া মগপইর বেক্কুন একটানে”
বইটি ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে জীবনের বিন্যাস চিত্র। তার লেখায় বারে বারে উন্মোচিত হয়েছে চট্টগ্রামের প্রাচীন ইতিহাস, আঞ্চলিক শব্দের প্রয়োগ ও শব্দের যথোপযুক্ত ব্যবহার সনেটগুলোর শোভা বাড়িয়েছে বহুমাত্রিকভাবে। শব্দকে নিয়ে
খেলা করার যে সুনিপুণ দক্ষতা তিনি দেখিয়েছেন সেটা পাঠককে অদ্ভুত প্রশান্তি প্রদান করবে নির্দ্বিধায়। কাব্যগ্রন্থটির ভূমিকা লিখে দিয়ে বইটির আরো বহুমাত্রিকতা বাড়িয়ে দিয়েছেন লিটলম্যাগ “লিরিক” সম্পাদক ও কবি এজাজ ইউসুফী। ইতিহাসভিত্তিক কবিতাগুলো পাঠ করতে করতে অনেক সময় এমন মনে হয় যেনো- শেষ হয়েও হইলো না শেষ। এই কাব্যগ্রন্থটির কবিতার ক্ষেত্রে সেই কথা প্রযোজ্য, যেনো কবিতা পড়তে পড়তে চোখের পলকেই একজন পাঠক হারিয়ে যাচ্ছে শহরের অলিতে গলিতে কিংবা প্রাচীন কোন নগরীর প্রবেশদ্বারে ঢুকে যাচ্ছে নিজের অজান্তেই । কবির কাছে পাঠককে আকৃষ্ট করার সম্মোহনী শক্তি আছে। সমস্ত কবিতার আলোচনা শেষে কবিতাগুলো প্রাচীন ইতিহাসের যে ইঙ্গিত প্রদান করে তাতে বুঝা যায় যে- তার কবিতা রচনার ক্ষেত্রে নিরুপম দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা আছে। আলোচনার শেষে আমি বলবো না, কবিতাগুলো শান্ত কোনো নদীর মতো সহজ-সরল ও সুন্দরভাবে প্রবাহিত হয়েছে। পাঠক নির্ঝঞ্ঝাট ভাবে এই কবিতা পাঠের নির্মল আনন্দ পাবেন- সেই কথাও আমি জোর গলায় বলবো না। কবিতার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আগাগোড়া পাঠে বহুস্তরীয় নৈঃশব্দ্যের মায়াময় স্বপ্নযুক্ত গন্ধ রয়েছে। পাঠক ধীরে ধীরে রূপের মাধুর্যতা খুঁজে পাবে, কবিতার ভেতরে ঢুকে পড়লে পাঠক যেনো বুঝতে পারবে কোন শীর্ণকায় দেহ ধীরে ধীরে মোটা হচ্ছে। আঞ্চলিক ভাষার সুনিপুণ ও সুনির্দিষ্ট প্রয়োগের কারণে বইটি পাঠকমহলে সমাদৃত হবে এই প্রত্যাশা করি।
কাব্যগ্রন্থ- পরান কাঁদের
প্রকাশনী- আবির প্রকাশন
প্রকাশক- মুহম্মদ নুরুল আবসার
প্রকাশকাল- ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইংরেজি
মুদ্রিতমূল্য- ২৬০ টাকা।
রুদ্র সুশান্ত, কবি ও প্রাবন্ধিক