এখন সময়:সন্ধ্যা ৭:৩৪- আজ: শনিবার-১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

এখন সময়:সন্ধ্যা ৭:৩৪- আজ: শনিবার
১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

চাটগাঁইয়া প্রবাদ এবং কতিপয় কুসংস্কার

আসহাবে কাহাফ

 

মানুষের মস্তিষ্ক নিসৃত যেকোনো বৈজ্ঞানিক-অবৈজ্ঞানিক চিন্তাধারা এবং তার যথাযথ প্রতিফলনের নামই লোকাচার।  সহজ ভাষায় বলতে গেলে, লোকজ সংস্কৃতিই প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর নিজস্ব লোকাচারের অংশ মাত্র যেখানে লোকাচার একটা বৃহত্তম সংঘটনের নাম। এক্ষেত্রে উপভাষাগুলোও যেকোনো গোষ্ঠীর লোকাচারের মৌলিক উপকরণ হয়ে দাঁড়ায়। আমরা চাটগাঁইয়ারা (দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষ) যখন কথা বলি, তখন আমাদের কথার মধ্য দিয়েও আমাদের সামাজিক আচার-আচরণ, ধর্মীয় রীতি-নীতির পাশাপাশি কুসংস্কারসহ যাবতীয় লোকাচার প্রকাশ পায়। কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাওয়া তেমন কিছু চাটগাইয়া আঞ্চলিক ভাষার লৌকিক প্রবাদ এবং কুসংস্কার এর সাথে নতুন প্রজন্মসহ সমগ্র বাংলাভাষী মানুষকে পরিচয় করিয়ে দিয়েই ছোট্ট এ লেখা শেষ করবো। যারা এখনো কী নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি এটা বুঝতে পারছেন না, তাদের জন্য পাঁচটি চাটগাঁইয়া প্রবাদ এবং পাঁচটি প্রচলিত

 

কুসংস্কার নিয়ে এ প্রবন্ধ।

 

এক.

“সাত পাঁচ চইদ্দু দুই ট্যায়া নইদ্দু”! আমাদের চট্টগ্রামের মানুষ যখন কেউ কাউকে গরমিল হিসাব বুঝানোর চেষ্টা করে, তখন আমরা এ প্রবাদ বাক্যটি ব্যবহার করি। এখানে বাক্যটির চলিত বাংলা রীতিতে লিখে পড়লেই, ভেতরের রহস্য আমাদের কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠবে। বাক্যটির সরল বাংলানুবাদ, ” সাত আর পাঁচ টাকা মিলে চৌদ্দ টাকা হয়, আপনি সেখান থেকে দুই টাকা দিয়েন না।” অর্থাৎ, দুই টাকা কম দিয়েন। আপনার কাছে তিনি আসলেই কি দুই টাকা কম নিচ্ছে?  তা কখনোই না, বরং সাত আর পাঁচ টাকা মিলে বারো টাকা হয়, সেখানে তিনি গরমিল হিসাব দিয়ে বলেছে চৌদ্দ টাকা; আবার, আপনাকে মুহুর্তেই বলছেন দুই টাকা কম দিয়েন।

আজকালকার বাস্তবতা প্রায় সবক্ষেত্রেই এমন, দেখবেন, দাম কম নিচ্ছে, আসলে দাম কম নিচ্ছে না, কৌশলে আপনাকেই আবার পরিমাণেও কম দিচ্ছে। ৫০০ টাকার জিনিস ৭০০ টাকা দাবি করেও আবার ১০০ টাকা কম দামে, আপনাইকে দিচ্ছে; আপনাকেই সম্মান দেখাচ্ছে। যার মধ্য দিয়ে তিনি তার কাক্সিক্ষত মূল্যটি হাসিল করে নিচ্ছে।

 

দুই.

” আপ মার আপ মার বেয়াক্কুনে হই, লাডি দইন্নে কেউ নাই!” এ চাটগাঁইয়া প্রবাদটি আমাদের বাস্তবিক জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যার সরলানুবাদ ” সাপ মারো, সাপ মারো, সবাই বলে, লাঠি এগিয়ে দেওয়ার কেউ নেই!” আমরা যখন অনেকেই একত্রে থাকি, আর তখন যদি কোনো ভয়ংকর সাপও আমাদের সামনে আসে, আমরা সবাই একে অপরকে বলি, সাপটা মারার জন্য, কেবল তাও নয়, কেউ যদি সাহস করে এগিয়েও যায়, সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় কোনো ব্যক্তি আর পাওয়া যায় না, যে একটা লাঠি খুঁজে এনে দেবে। প্রকৃত অর্থে আমাদের সামাজিক জীবনে বর্তমানে এমনই, সবাই আপনাকে বলবে কর কর; সবাই যেকোনো বিপদজনক কাজে অন্যকে এগিয়ে দিতে ব্যস্ত, পিছনে থেকে যে সাহস জোগাবে, সহযোগিতা করবে তেমন লোকের বড়োই অভাব। সবাই এখন অন্যের ওপর দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালায়, অন্যের ওপর ভর দিয়ে বিপদ থেকে বাঁচতে চাই।

 

তিন.

“অরিই মাইরগি গুঁতো বউয়ে পাইয়ি ছুতো! ” পৃথিবীর সবচেয়ে আলোচিত দা-কুমড়া সম্পর্কগুলোর মধ্যে একটা হল, বউ-শাশুড়ির সম্পর্ক। এ সম্পর্কের তিক্ততা বর্ণনা শেষ করা যাবে না। একজনের প্রতি আরেকজনের অভিযোগ ও অভিমানের যেমন এখানে কমতি থাকে না, তেমনি কমতি থাকে না ছলচাতুরির! এমন পরিস্থিতিতে দেখা যায়, পুত্রবধূরা শাশুড়ির বিভিন্ন বাঁকানো কথা, কটুকথাকে ইস্যু করে সংসারে তুলকালাম কা- করে বসে। এছাড়াও,  সামান্য কোনো বিষয় বা কটুকথা কিংবা বকাঝকাকে কেন্দ্র করে যখন কেউ অনেক বেশি মান-অভিমান করে তখন এ বাক্যটি বলা হয়, যার অর্থ ” শাশুড়ি বলেছে কটুকথা,  বউয়ে পেয়েছে ঝগড়াঝাটির / কান্নাকাটির ইস্যু! ” বর্তমানে আমাদের পারিবারিক ও সাংসারিক অবস্থাও এমনই হয়েছে ; বউ-শাশুড়ির কথা-কাটাকাটি ও খোঁচা-গুতোর জন্য যে, পরিবার গুলো ভেঙ্গে আলাদা হতে পারলেই বেঁচে মরি।

 

চার.

” পুঁদুত নাই ত্যানা, মিডাদি ভাতহানা” কথাটি খুবই কটু এবং বাজে শোনা গেলেও অপ্রিয় একটা সত্যবাক্য এটি, যা আমাদের চাটগা-বাসীর মুখে প্রায় শোনা যায়। বাক্যটির সরলানুবাদ করলে যা হয়, তা-হল “পাছায় নেই কাপড়, গুড় দিয়ে খায় ভাত” যদিও আরো ভিন্ন এবং বাজে ভাবে বর্ণনা করা যায়, তবে ধরে নিলাম এটাই সর্বজনীন। আমাদের আশে-পাশে এমন লোকের কোনো অভাব নেই। যাদের দেখবেন ঠিক মতো পোশাক-পরিচ্ছদ পরতে পারছে না, খাওয়া-দাওয়া করতে পারছে না, নিজের ও পরিবারের স্বাভাবিক একটা প্রয়োজন মেটাতে পারছে না, অথচ নিয়মিত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে অপ্রয়োজনীয় খরচ করছে, লোক-দেখানো আচার-অনুষ্ঠান করছে; সবকিছুতেই একটা বড়োলোকি ভাব নিয়ে চলাফেরা

 

করছে। যারা তাদের অতীতের অভাব-অনটন ভুলেই অল্পতে ফুটানি করছে, এটা সবচেয়ে বেশি তাদের জন্যই ব্যবহার করা হয় এবং উপযুক্ত একটা বাক্য।

 

পাঁচ.

“অইল ফালাইয়ে ফালাইয়ে দেইরগেপুডিও ফালাই চঅদ্দে না, পানি হদ্দুর আছে?” যার বাংলা অর্থ “শোল মাছ লাফাচ্ছে লাফাচ্ছে, মলা-ঢেলা-পুঁটিমাছও লাফিয়ে দেখতেছ পানি কতটুকু আছে? এ প্রবাদটির মাধ্যমে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও অযোগ্যদের আস্ফালনের তীব্র সমালোচনা করা হয়ে থাকে। আপনি যখন কোনো জলাশয়ে সেচে মাছ ধরতে যাবেন,  তখন দেখবেন; একেবারে শেষের দিকে পানি কমে এলে বড়ো বড়ো মাছগুলো লাফালাফি করে, লাফালাফি করে চেষ্টা করে বেশি জলের দিকে ছুটে যেতে, যেহেতু জল কমে যাচ্ছে, তাদের প্রয়োজনের তুলনায় সেক্ষেত্রে লাফালাফি করাটাও যৌক্তিক, কিন্তু আপনি খেয়াল করলে দেখবেন, সে সময় কিছু ছোটোমাছ যেমন মলা-ঢেলা ও পুঁটিমাছও লাফালাফি করছে, তারা যতই লাফালাফি করুক এক লাফে খুব বেশি যেতেও পারে না, অন্যদিকে যতটুকু জল থাকে, তাতে তাদের সমস্যাও হওয়ার কথা নয়। ঠিক একইভাবে, আমাদের সমাজে যখন দুইটা পরিবারের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়, মারামারি হয় তখন  বড়ো ও শক্তিশালীদের পাশাপাশি যারা ছোটো এবং অপেক্ষাকৃত দুর্বল তারাও ঝগড়াঝাটিতে শামিল হয়, অনেক ক্ষেত্রে আরো বেশি লাফালাফি করে; এক্ষেত্রে তাদের থামানোর জন্যই ব্যঙ্গ করে এ প্রশ্নবোধক প্রবাদটি ব্যবহার হয়।

অর্থাৎ, ঝগড়া বড়োরা করছে এটা মেনে নিতে পারলেও, এতে ছোটদের অংশগ্রহণ প্রতিপক্ষ কোনোভাবেই মেনে নিতে পারেনি।

 

পাঁচটি প্রবাদ নিয়ে আলোচনা করলেও আরো অসংখ্য চাটগাঁইয়া প্রবাদ প্রচলিত আছে, যেমন “চাটগাঁইয়া পোয়া মেডিত ফইল্লি লোয়া”, “হাম নেই গইত্তু ; বাল নেই ছিড়তু”,  “জিনদি উইচ ন যায় ইন্দি কুরইল চালায়”, ” তই আঁই কিত্তাম”, “আজেম্মেরে বাপ ডাইলেও যেদ্দূর- আলা ডাইলেও এদ্দূর”, “অ কুইলে তোর চোখ কা হালা; হইদে আঁর জাতি পেশা”  ইত্যাদি। এবার কিছু প্রচলিত চাটগাঁইয়া কুসংস্কার নিয়ে আলোচনা করি।

 

এক.

 

“কারো বাড়িতে আগুন লাগলে নিজেদের ঘরের চালে পানি ঢালা।” আমার বুদ্ধি হওয়ার পর থেকেই দেখে আসছি, আসে পাশে দূরে কোথাও যদি কারও বাড়িতে আগুন লাগে, আর আমরা যদি সে আগুন দেখতে পেতাম, তবে আমরা নিজেরাও নিজেদের ঘরের চালে পানি মারতাম। যদিও এখন আর সেগুলোর প্রচলন নেই, তবে এটা একটা বিশ্বাস ছিল যে, এতে করে হয়তো নিজেদের ঘরে আর আগুন লাগবে না। হ্যাঁ,  যদি পাশাপাশি ঘরে আগুন লাগে, সেক্ষেত্রে যেগুলোতে আগুন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে, সেখানে পানি ঢালা যৌক্তিকতা থাকলেও দূরে কোথাও আগুন লাগার কারণে নিজেদের চালে পানি ঢালাটা ছিলো নিতান্তই একটা প্রচলিত কুসংস্কার।

 

দুই.

” বাড়িতে গাছের ওপর হলদে পাখি বসলে তাড়িয়ে দেওয়া” ছোটোবেলা থেকেই এ বিশ্বাস ছিলো, বাড়ির উঠানের কিংবা আঙিনার আশেপাশে গাছের উপর হলদে পাখি বসলে, বাড়িতে মেহমান আসবে, তাই আমরা হলদে পাখি দেখামাত্রই তাড়িয়ে দিতাম। যদিও কখনো হলদে পাখি বসার কারণে মেহমান এসেছে এমন কোনো নজির তখনো চোখে পড়েনি, এখনো চোখে পড়ে না। তবে এটাও সত্য এখনকার ছেলে-মেয়েরা হয়তো এসব কুসংস্কার এর সাথে পরিচিতও না। তবে, এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে বলে মনে হয় না। তবে, আমাদের ছোটোবেলায় এবং চাটগাঁইয়ারা যে এটা মানতাম এতে কোনো সন্দেহ নেই।

 

তিন.

“নারিকেল পাতার শলাকার ঝাড়ু ও ফুলের ঝাড়ু কখনোই একসাথে রাখতে নেই” কেবল আমাদের চাটগাঁইয়া লোকে যে এসব মানে তা না, গ্রামে গঞ্জে অনেকেই এ কুসংস্কারটি মেনে চলে, নারিকেল পাতার শলাকার ঝাড়ু এবং ফুলের ঝাড়ু যদি একসাথে রাখে, এতে নাকি পরিবারের অমঙ্গল হয়, পরিবারে ঝগড়াঝাটি হয়, আয়-রোজগার কমে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি। তবে এসব ঘটনা আমার কাছে আজো তরতাজা স্মৃতি হলেও এর সঠিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ জানতেও চেষ্টা করিনি, কেননা, আমার কাছে মনে হচ্ছে এসব প্রচলিত কুসংস্কার ভিন্ন অন্য কিছু নয়। তবে, এসব একসাথে রাখার জন্য যে, কারো এমন কোনো ক্ষতি হয়েছে সে প্রমাণও কখনো নিজের চোখে দেখিনি বলে, আজো এসব মানি না।

 

চার.

“বাতাস করার সময় কারো গায়ে হাত পাখির আঘাত লাগলে, তা দিয়ে আবার মাটিতেই একটা আঘাত করা” এখন বৈদ্যুতিক পাখা এবং এয়ার কন্ডিশনের যুগ, হাত পাখা তেমন ব্যবহার নেই বললেও চলে। তবে, আমাদের যে সময়টা আমরা গ্রামে অতিবাহিত করেছি, কিংবা এখনো গ্রামে যে সময়টা অতিবাহিত হচ্ছে, সেখানে দেখবেন, মা-দাদিরা এখনো এ কাজটা করে, কাউকে হাত পাখা দিয়ে বাতাস করার সময় যদি গায়ে লাগে, সাথে সাথে হাত-পাখাটাকে দিয়ে মাটিতে একটা আলতো আঘাত করে। কিন্তু কেন? এর কারণ কখনো খোঁজ করিনি এবং জানিও না। তবে, এটা নিশ্চিত করে বলতে পারি, এসব কুসংস্কার, যার কোনো গ্রহণযোগ্য ভিত্তি নেই।

 

পাঁচ.

” সত্যের টিকটিকিই টুকটুকুই বলে সামনে যা আছে তাতে টোকা দেওয়া।” আমি আমার মাকে এ কাজটি এখনো করতে দেখি। যখন তিনি কারো সাথে কথা বলে এবং সে সময় যদি টিকটিকি ডেকে উঠে, তবে মা “সত্যের টিকটিকিই টুকটুকর” বলে মাটিতে বা কাঠে যা পায় তার উপর টোকা দিতে। মাকে না, কখনোই কাউকে জিজ্ঞাস করা হয়নি, এমনটা তারা কেন করে? কারণ এসব হাজার বছর ধরে চলে আসা কুসংস্কার, যা মানলেও কিছু না আবার না-মানলেও সমস্যা নেই। একজন চাটগাঁইয়া লোক হিসেবে, আমি এখনো মনেকরি এসব কুসংস্কার আর প্রবাদই বুঝি আমাদের স্বতন্ত্র পরিচয়।

 

আসহাবে কাহাফ, প্রাবন্ধিক ও গবেষক

আবির প্রকাশন

আপনি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- ঘরে বসেই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারেন অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে আবির প্রকাশন থেকে। আমরা বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন

গণতন্ত্রহীন রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাঙালি চিরকালই বিদ্রোহী। ইতিহাসের কোনো পর্বে সে কোনো পরাধীনতাকে বেশি দিন মেনে নেয়নি। উপমহাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্র দিল্লি থেকে দূরে হওয়ায় এবং সাড়ে

বিপ্লব যাতে বেহাত না হয় ( সম্পাদকীয় – আগস্ট ২০২৪)

জুলাই মাসের কোটাবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত আগস্টের ৬ তারিখে ১৫ বছর সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। অভূতপূর্ব এই গণঅভ্যুত্থান ইতোপূর্বে ঘটিত গণ অভ্যুত্থানগুলোকে ছাড়িয়ে