এখন সময়:রাত ৮:৪৬- আজ: শনিবার-১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

এখন সময়:রাত ৮:৪৬- আজ: শনিবার
১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

ধমনী

নুসরাত সুলতানা

রাফিন ও নাহিদ বিকেলে চায়ের দোকানে টোস্ট বিস্কুট চায়ে ভিজিয়ে খাচ্ছে আর উচ্চতর গণিত নিয়ে কথা বলছে। আবার সাথে সাথে দুই বাড়িতে দুপুরে কী রান্না হয়েছে সেটাও বলছে আয়েস করে। নাহিদের বাবা স্কুল শিক্ষক, মুক্ত চিন্তার অধিকারী, আচার-আচরণে প্রাঞ্জল একজন মানুষ। রাফিনের বাবা পুলিশ পরিদর্শক। একটু চুপচাপ, রিজার্ভ। দুজনের দাদাই মুসলিমলীগের সমর্থক। এই দুজনের কৈশোর থেকেই দুই পরিবারের বন্ধুত্ব। নবান্ন, পিঠা-পায়েস, ইদুল ফিতর- ইদুল আযহা সকল উৎসব আয়োজনে দুই পরিবার মিলেমিশে আনন্দে উদযাপন করেছে বরাবর। এভাবে বন্ধুত্ব এসে গড়িয়েছে তৃতীয় প্রজন্ম অব্দি।

সময়টা ১৯৬৬ সাল। চারিদিকে ছয় দফা আর আগরতলা ষড়যন্ত্রের জন্য উত্তাল আন্দোলন চলছে। মুসলিম লীগের সমর্থক হয়েও নাহিদের দাদা গফুর খান তখন বুঝতে পারছেন, বাঙালির ন্যায্য অধিকার স্বাধিকার আন্দোলন। কিন্তু বুঝতে পারছে না রাফিনের দাদা করিম শেখ। পাকিস্তান তার প্রগাঢ় ভালোবাসা।

 

 

তাই দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠতার নদীতে আর আগের মতো জোয়ার আসে না। গফুর খান আর করিম শেখ প্রতিদিন বিকেলে এলাকার চায়ের দোকান আড্ডায় মেতে উঠত। তাদের হাসির শব্দ শোনা যেত আশেপাশের বাড়ির রান্নাঘর অব্দি।

একদিন চায়ের কাপ হাতেই দ্বন্দ্ব শুরু হয় দুই বন্ধুর।

গফুর খান বলে-নব্বই ভাগ বাঙালির প্রাণের আকাক্সক্ষা স্বাধীন ভূখ-। শুধু অল্প কজন মুসলিম লীগের সমর্থক এই দাবী অগ্রাহ্য করে লাভ নেই। করিম শেখ বলে, তবু ঈমানের জোরে টিকে যাবে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রিয় পাকভূমি পাকিস্তান। তারপর বাক-বিত-ার এক পর্যায়ে করিম শেখ গফুর খানকে বলে- তুমিও হিন্দুদের খাতায় নাম লেখাইও না। গফুর খান বরাবরই জানতেন করিম শেখ জেদী এবং একগুঁয়ে। এমনকি ধর্মান্ধতাও তার মনোজগতে রাজত্ব করে বেশ। এরপর তিনি বুঝে যান এই সুকঠিন সময়ে ছাড়তে হবে পুরনো বন্ধুত্ব! ধীরে ধীরে পিছটান দিতে থাকেন। এইভাবে ধীরে ধীরে দুই বন্ধুর বন্ধুত্বের বন্ধন শিথিল হতে থাকে ক্রমশ। তবু দুই পরিবারের নারীদের আছে পিঠা বানানোয় হাত লাগানো। প্রয়োজনে মেহমান আসলে ভাত আর তরকারিও ধার করা চলে। কিন্তু একে অপরের চুলে বিনুনি বেঁধে দিতে আর দেখা যায় না।

সময় ৬৬, ৬৮,৬৯ এবং ৭০ এর শরীর বেয়ে নেমে আসে ৭১ এ।

 

দুই.

নাহিদ আর রাফিন তখন বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের ছাত্র। দুজনেই অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

নাহিদ পড়াশোনা করে  ইতিহাস বিভাগে আর রাফিন পড়ে অর্থনীতি বিভাগে।

দুই পরিবারের কেউই তাদের কলেজে যেতে দিচ্ছে না।

ডানা ভাঙা পাখির মতো ছটফট করে ছেলে দুটো। রক্তে উত্তেজনা, মগজে অস্থিরতা কিন্তু বন্দি জীবন! প্রায়শই  দেখা হয় দুই বন্ধুর। বিকেলে এলাকার চায়ের দোকান কিম্বা ফুটবল খেলার  মাঠে। দেশ এবং সময়  নিয়ে কথা হয়  দুজনের। রাফিন আফসোস করে, দেখ বাবা আর দাদা কি করছে! শান্তি বাহিনীতে নাম লিখিয়েছে। নাহিদ বলে, দেখিস গ্রামের মানুষের কোনো ক্ষতি না হলেই হয়। আর তুই কখনো এসব জঘন্য কাজ করিস না। দেশ বাদ দিয়ে ধর্ম হয় না।

২৫ শে মার্চের পর দেশের পরিস্থিতিতে নাহিদ অস্থির হয়ে ওঠে। বাবাকে মনের কথা খুলে বলে। বলে, বাবা আমি যুদ্ধে যেতে চাই। দেশমাতা আজ রক্তাক্ত বিবস্ত্র। তাকে ক্ষত-বিক্ষত করছে নেকড়ের দল আর খুবলে খাচ্ছে শকুনিরা। এই পরিস্থিতিতে ঘরে চুপ করে বসে থাকা যৌবনের ধর্ম বিরোধী।

নাহিদের বাবা বুঝতে পারে ছেলেকে আর আটকে রাখা যাবে না কোনোভাবেই। তাই সম্মতি দেয়। তবে বলে,নাহিদ যেন কাউকে না বলে। পাড়াপ্রতিবেশি জানতে চাইলে বলবে- ছেলেকে তার নানাবাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে।

চলে যায় নাহিদ যুদ্ধে। দুই পরিবারের অবিশ্বাস এবার তুঙ্গে উঠেছে।  কেউ আর কারো সাথেই তেমন কথা বলে না। গ্রামের অদূরেই আছে পাকিস্তানি ক্যাম্প। রাফিনের দাদা করিম শেখ নিয়মিত পাকিস্তানি ক্যাম্পে হাজিরা দেয়। আর বাবা চুপচাপ থাকে। চেষ্টা করে গ্রামের মানুষের যাতে ক্ষতি না হয়। কিন্তু মেম্বার করিম শেখের কাছে পরাভূত হয় তার সকল দাবী। মাঝে মাঝেই করিম শেখ রাফিনের বাবার মাধ্যমে পাক আর্মিদের জন্য রান্না করা সুস্বাদু খাবার ও ফলমূল পাঠায়। আর বলে প্রতিদিন একবার স্যারগো কাছে যাবি। অনিচ্ছা সত্ত্বেও জব্বার খানকে করতে হয় কাজগুলো।

 

তিন.

গ্রামের তিন-চারজন হিন্দু মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যায় পাকিস্তানিরা। সহযোগিতা করে রাফিনের  দাদা করিম শেখ। গ্রামের বড় বড় ছাগল, ড্যাগা মোরগ, কলার কাদি সব কেটে নিয়ে যায় পাকিস্তানি আর্মি। আর তাদের সহযোগিতা করে দুই রাজাকার ইউপি মেম্বার।

অনেকেই ভয়ে যুবতী মেয়েদের পাঠিয়ে দিয়েছে  দূরবর্তী আত্মীয়ের বাসায়। প্রবল আতঙ্কে  দিন পার করতে থাকে চল্লিশোর্ধ্ব নারীরাও। রাতে কেউই ভয়ে ঘুমায় না। শিশুদের ঘুম দিয়ে বড়রা জেগে থাকে। ভীষণ ভয় আর উৎকন্ঠায় দিন কাটে সাতনরী গ্রামের মানুষদের। খুব শান্তশিষ্ট ভাবে বয়ে চলা একটা নদীর পাশে অবস্থিত গ্রামটির মানুষদের ভেতর সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি কিছুরই অভাব ছিল না। পূজা আর ইদ সবই পালিত হয়েছে আপন আলয়ে আনন্দে। সেসব এখন অতীত হতে

 

 

 

বসেছে রাজাকার আর পাকিস্তানিদের অত্যাচারে।

এরই মধ্যে নাহিদ একদিন দুইজন মুক্তিযোদ্ধাকে ছদ্মবেশে পাঠায় গ্রামে। তদের হাতে চিঠি দেয় পরিবারের কাছে। মুক্তিযোদ্ধারা গিয়ে  গ্রামের প্রকৃত খবর নিয়ে আসে।

নাহিদের রক্ত টগবগ করে ফুটতে থাকে। মনে মনে সে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে ভাবে- এলাকার মেয়েদের যেকোনো মুল্যে মুক্ত করতে হবে। তার চোয়াল শক্ত হয়ে আসে রাগে, ক্ষোভে এবং প্রতিশোধ স্পৃহায়।

নাহিদ গিয়ে কমান্ডারকে বলে আমার এলাকার মেয়েদের মুক্ত করতে হবে। আমাকে অপারেশন পরিচালনা করার অনুমতি দিন। কমান্ডার বলে, না সেটা নিয়ম নেই। এই সুযোগে তুমি ব্যক্তিগত শত্রুতার জের ধরে কাউকে হত্যা করতে পারো না। হত্যা করা যুদ্ধের উদ্দেশ্য ও নীতির সাথে যায় না। কিন্তু নাহিদ  নিজ দাবিতে অনড়। কমান্ডারকে সে সনির্বন্ধ অনুরোধ করে তাকে অপারেশনের যাওয়ার অনুমতি দেয়ার জন্য।

অবশেষে ছদ্মবেশে অপারেশন পরিচালনা করতে অনুমতি দেয় কমান্ডার।

 

চার.

নাহিদ যুদ্ধ করছিল ঝালকাঠির সোনাইমুড়ী গ্রামে। গভীর রাতে বিশজন মুক্তিযোদ্ধা সাতনরী গ্রামের পাকিস্তানি ক্যাম্পে আক্রমণ করে চারজন হিন্দু মেয়েকে উদ্ধার করে। নিহত হয় প্রায় ত্রিশজন পাকিস্তানি আর্মি।

তারপর অভিযান চালায় গ্রামের দুই রাজাকারের বাড়িতে।

ছদ্মবেশ ধারণ করে নিজ গ্রাম সাতনরীতে অপারেশন পরিচালনা করে নাহিদ। বাবা মাও জানতে পারে না। রাফিনের ঘরে দরোজা ভেঙে প্রবেশ করে মুক্তিযোদ্ধারা। অই ঘরের সমস্ত দেয়ালে তিন প্রজন্মের বন্ধুত্বের স্মারক ঝুলানো রয়েছে। এরই মধ্যে একটা ছবি আছে  যাতে- রাফিন আর নাহিদ ন্যাংটা। দুই বন্ধু মারামারি করছে আর কাঁদছে। একজন মুক্তিযোদ্ধা ভয় দেখাতে গুলি চালায় অই ছবিতে। তখন  নাহিদ খুব গভীর চোখে তাকিয়ে দেখে ছবিটি। ঠিক সেইসময় রাফিন তাকায় নাহিদের চোখে। নাহিদ দ্রুত চোখ সরিয়ে নেয়। নাহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের  করিম শেখকে গুলি করতে নিষেধ করেছিল। কিন্ত রমেশ গুলি করে করিম শেখকে। রমেশের বড় বোনকে ধর্ষণ করে পাকিস্তানি আর্মি এবং রাজাকাররা। তার পরই রমেশ যুদ্ধে এসেছে। এই কারণে রমেশ প্রতিশোধ নিতে মুখিয়ে থাকে। মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে নিহত হয় রাফিনের দাদা। নাহিদ কোনোভাবেই পরিচয় দিতে পারবে না এই শর্তেই কমান্ডার তাকে পাঠিয়েছে। চলে যাবার সময় রাফিন নাহিদের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করে সবটা ঠিক করলেন তো আপনারা! নাহিদ মাথা নীচু করে বেরিয়ে যায়।

 

পাঁচ.

হিন্দু পরিবারগুলো মেয়েদের ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় না। বাতাস ভারী হতে থাকে হিন্দু মেয়েদের কান্নায় আর অসহায়ত্বে। অনেকেই আশ্রয় নিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে।

নাহিদ ফিরে গিয়ে বাবাকে চিঠি লেখে হিন্দু পরিবারগুলোকে বুঝিয়ে মেয়েগুলোকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিতে। আরও জানায় কোনো মেয়েকে ফিরিয়ে না নিলে তার ব্যবস্থা যেন নাহিদের বাবা করে।

যুদ্ধ শেষ ফিরে আসে নাহিদ গ্রামে। রাফিন হাসতে হাসতে বলে কিরে নানাবাড়ি বেড়ানো শেষ হল? নাহিদ শুধু মুচকি হাসে। নাহিদ রাফিনকে জিজ্ঞেস করে, দেশ গড়ার কাজে সহযোগিতা করবি তো? রাফিন বলে, সাথে নিলে অবশ্যই। নাহিদ শুধু বলে দেশটা কী তোর না? এরপর রাফিন গিয়ে নাহিদকে জড়িয়ে ধরে।

 

কালের পরিক্রমায় নাহিদ কলেজের সহকারী অধ্যাপক আর লেখালেখি করে। রাফিন চার্টার অ্যাকাউন্টেন্ট। দুজনেরই দুই বাচ্চা। রাফিনের এর দুই ছেলে আর নাহিদের এক ছেলে এক মেয়ে। মাঝে মাঝেই কথা হয় দুই বন্ধুর। রাফিন ঢাকায় থাকে পরিবার পরিজন   নিয়ে।  প্রায় প্রতি বছরই রাফিন পরিবার পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসে গ্রামে। নাহিদের ঘরেই থাকে। গ্রামে কেউ আর থাকে না রাফিনের বাবা-মা। নাহিদও প্রয়োজনে ঢাকা গেলে রাফিনের বাসায়ই থাকে। দুই বন্ধুর ছেলে-মেয়েদের ভেতরেও আছে হৃদ্যতা এবং বন্ধুত্ব। রিদম আর নিলয় দুজনের বেশ ভাব।

হঠাৎ করেই নাহিদের ছেলে নিলয় খুব অসুস্থ হয়ে পড়ে। ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেলে ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানান নিলয়ের হার্টে ছিদ্র আছে। তাকে অনেক কিছু সাবধানে করতে হবে। তবে পাশের দেশ ভারতে নিয়ে হার্ট ট্রান্সফার করতে পারলে বেশ ভালো হয়।

 

ছয়.

এভাবেই চলে দুই বছর। আচমকা একদিন রাফিন জানায় ওর ছেলে রিদমের জ্বর আসে প্রায়ই ওজনও কমে গিয়েছে অনেক। ইন্ডিয়া যাবে ডাক্তার চেক আপ করানোর জন্য। ইন্ডিয়া গিয়ে  ডাক্তার জানায় রিদমের স্টেজ ফোর ক্যান্সার। আর বড়জোড় একমাস সময়। ইন্ডিয়া থেকেই রাফিন নাহিদের সাথে কথা বলে। নিলয়কে নিয়ে ইন্ডিয়া যেতে বলে নাহিদকে। শুধু বলে যে, নিলয়ের ভালো চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে ইন্ডিয়াতে। বাকি কথা নাহিদ গেলে জানাবে। চলে যায় নাহিদ আর নিলয়। রাফিন বলে ডাক্তারের কাছে চল। নাহিদ জানতে চায় কী হবে? রাফিন বলে, ডাক্তারখানা গিয়ে বলবো। পরে রাফিন জানায়

রিদমের স্টেজ ফোর ক্যান্সার। আমি চাই রিদমের হার্ট নিলয়কে দিতে। নাহিদ বিস্ময়ে বিমূঢ়! হাত ধরে, চোখের জলে মিনতি করে বলে, না করিস না! আমি ওর বুকে মাথা রেখে রিদমের হার্টবিট শুনব। নাহিদের চোখ থেকে ঝরে পড়ে ফোঁটায়, ফোঁটায় নোনা কৃতজ্ঞতা।

ম্যাজিকালি মিলে যায় সব। রাফিন, নাহিদ,  নিলয়, সবাই দেশে ফেরে শুধু রিদম আসে লাশ হয়ে।

সেই থেকে নিলয় যেমন নাহিদের ছেলে তেমনি রাফিনেরও ছেলে। প্রতিটি ইদ, পহেলা বৈশাখ, জন্মদিন সব উৎসবে নাহিদ যেমন ছেলেকে উপহার দেয়, রাফিনও দেয়। খুব দৃঢ় ব্যক্তিত্ব এবং স্বল্পভাষী নিলয়। পড়াশোনা করেছে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। বেছে নিয়েছে সাংবাদিকতা। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করছে। প্রায়ই এ নিয়ে কথা হয়।

০৭.

নিলয়ের গবেষণা বই “রক্তজবা” প্রকাশিত হয়। আর তাতে অন্যতম রাজাকার হিসেবে নাম যায় রাফিনের বাবার। তারই ভিত্তিতে অ্যারেষ্ট হয় জব্বার খান। জাভেদ এবার গ্রামে এসে সরাসরি নাহিদের বাসায় আসে, বলে তুই যে আমার দাদাকে মেরেছিস এটা আমি জানি। এবার তোর ছেলে এটা কি করলো? আমি আমার ছেলের হার্ট দিলাম ওকে তার এই প্রতিদান!  নাহিদ  বলে, হার্ট  তো তোর ছেলের সে এমন চিন্তা করলো কেন? রাফিন বলে রক্ত তো তোর আর ক্যাম্পে থাকা ঐ বীরাঙ্গনা নন্দিতার যাকে তুই ধর্ম পাল্টে বিয়ে করেছিস। নাহিদ বলে সে একজন মুক্তিযোদ্ধা।  ঠিকভাবে কথা বল। রাফিন চটে গিয়ে বলে, তোর রক্ত তাই তোর মতোই কাজ করলো। রক্ত থেকে কখনো পালানো যায় না। আমি তোদের ঘৃণা করি। তোরা আমার দাদা বাবার খুনি!

 

নুসরাত সুলতানা, কবি ও কথাসাহিত্যিক

আবির প্রকাশন

আপনি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- ঘরে বসেই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারেন অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে আবির প্রকাশন থেকে। আমরা বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন

গণতন্ত্রহীন রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাঙালি চিরকালই বিদ্রোহী। ইতিহাসের কোনো পর্বে সে কোনো পরাধীনতাকে বেশি দিন মেনে নেয়নি। উপমহাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্র দিল্লি থেকে দূরে হওয়ায় এবং সাড়ে

বিপ্লব যাতে বেহাত না হয় ( সম্পাদকীয় – আগস্ট ২০২৪)

জুলাই মাসের কোটাবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত আগস্টের ৬ তারিখে ১৫ বছর সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। অভূতপূর্ব এই গণঅভ্যুত্থান ইতোপূর্বে ঘটিত গণ অভ্যুত্থানগুলোকে ছাড়িয়ে