এখন সময়:সন্ধ্যা ৭:২৩- আজ: শনিবার-১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

এখন সময়:সন্ধ্যা ৭:২৩- আজ: শনিবার
১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

নদীর নাম মধুমতী চলচ্চিত্রে প্রতিফলিত মুক্তিযুদ্ধ

ড. মো. মোরশেদুল আলম :

১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি গৌরবময় অধ্যায়। স্বাধীনতা লাভের জন্য বাঙালিদের পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধ করতে হয়েছে। কৃষক, শ্রমিক, মজুর, জেলে, কামার-কুমার, ছাত্র-শিক্ষক, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিল্পী, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী প্রভৃতি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ সশস্ত্র যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। এসব মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে এই স্বাধীনতা। সমগ্র দেশব্যাপী সংঘটিত এ যুদ্ধের ছোট-বড় অসংখ্য ঘটনা বা কাহিনি প্রকাশ পায়নি। স্বাধীনতার জন্য প্রাণের আবেগ যখন দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে, তখন পাকিস্তানি সৈন্যদের ভয়ঙ্কর মরণাস্ত্রও বাঙালিদের দমিয়ে রাখতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে গিয়ে অনেকের পরিবারিক বন্ধন ছিন্ন হয়ে যায়। এমনই একটি কাহিনি নিয়ে ১৯৯৫ সালের তানভীর মোকাম্মেল নির্মাণ করেন নদীর নাম মধুমতী চলচ্চিত্রটি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নৃশংসভাবে নিহত হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্যরে কাহিনিচিত্র নদীর নাম মধুমতী। ফলে এ ছবি সরকারি বাধার মুখে পড়ে। ছবিটি প্রথমে নিষিদ্ধ করা হয়। তানভীর মোকাম্মেল আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে ছবিটি দর্শকদের কাছে পৌঁছে দেন। রাষ্ট্রীয় প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ছবিটি নির্মিত। বাজেট ঘাটতিসহ নানা রকম সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ছবিটি একটি সাহসী নির্মাণ।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণ শুনে আখতার ও বাচ্চু মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। চলচ্চিত্রটির বিষয়বস্তু হচ্ছে: আখতার ও বাচ্চুর মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও ট্রেনিং-এর দৃশ্য, খালেক চেয়ারম্যান, মোতাল্লেব মেম্বারসহ গ্রামের কয়েকজন মানুষ মিলে শান্তিবাহিনী গঠন, ফজলুর মতো একজন সাধারণ মানুষ রাজাকার হবার পর মানুষের ওপর অত্যাচারের দৃশ্য, রসুলপুর গ্রামে পাকিস্তানি সৈন্যদের আগমন, সংখ্যালঘু মানুষদের ওপর পৈশাচিক অত্যাচার, মুক্তিযুদ্ধের অংশ নেয়া পরিবারের সদস্যদের হত্যা করার দৃশ্যাবলী। চলচ্চিত্রটি নির্মাণ প্রসঙ্গে পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল বলেন, ‘নদীর নাম মধুমতী আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এ ছবিটি ১৬ মি: মি:-য়ে তৈরি। কাহিনিটি আমার। তবে হ্যামলেট-এর কাহিনির বিনির্মাণের একটা চেষ্টা ছিল যেখানে মুক্তিযোদ্ধা পুত্র তার রাজাকার পিতাকে (আসলে চাচা যে তার মাকে বিবাহ করেছিল। অনেকটা হ্যামলেটের ঘটনার মতো) হত্যা করে। এ ছবিটির কোনোই বাজেট ছিল না। আমাদের কোনো টাকা পয়সাই ছিল না। ছুটির দিনে দিনে শুটিং হোত। সবাই-ই খুব কষ্ট করছে। এটা বাংলাদেশের সেই দুঃসময় যখন মুক্তিযুদ্ধের কথা বলা যেত না। বঙ্গবন্ধুর কথা বলা যেত না। যা হোক প্রায় পাঁচ বছর চেষ্টার পর আমরা ছবিটি শেষ করি। কিন্তু ছবিটি তৎকালীন সেন্সর বোর্ড আটকে দেয়। প্রায় দুই বছর ছবিটা আটকে থাকে। পরে হাইকোর্টে রিট করে ছবিটা রিলিজ করা হয়।’

 

 

ছবির কাহিনি হচ্ছে: গাঁয়েরই বাসিন্দা দরিদ্র ফজু, বইপাগল আদর্শবাদী এক বৃদ্ধ শিক্ষক অমূল্য চক্রবর্তী ও তার বিধবা মেয়ে শান্তি। রয়েছে বাচ্চুর বন্ধু রাজনীতি সচেতন যুবক আখতার। যাত্রা দেখে, কবুতর উড়িয়ে তরুণ বাচ্চুর জীবন কেটে যাচ্ছিল। এর মধ্যেই মুক্তিযুদ্ধ শুরু হয়। গ্রামে একদিন পাকিস্তানি মিলিটারি এসে ক্যাম্প করলো। গ্রামের মানুষেরা পক্ষে ও বিপক্ষে বিভাজিত হলো। ইউনিয়ন পরিষদের (শান্তি কমিটি) চেয়ারম্যান খালেকের নেতৃত্বে রাজাকার বাহিনী গড়ে উঠে। ফজু রাজাকারে পরিণত হলো, যার কাজ হচ্ছে গ্রামে লুটপাট করা। ক্ষমতার লোভে মোতাল্লেব মেম্বারও শান্তি কমিটির সদস্য হয়। গ্রামের যুবকেরা অনেকেই মুক্তিযুদ্ধের প্রশিক্ষণ নিতে গ্রাম ছেড়ে চলে যায়। এক সন্ধ্যায় বাড়ির সিন্দুক ভেঙে বন্দুক চুরি করে আখতারের সঙ্গে বাচ্চুও ডিঙি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে। সহজ সরল গ্রামীণ যুবক বাচ্চুর জীবনের কঠিন অধ্যায় শুরু হলো। লঞ্চ থামিয়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক এক গণহত্যা তারা প্রত্যক্ষ করে। উল্টোডাঙ্গা বেস ক্যাম্পে মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প পাহারা দেবার সময় নদীর পাড়ে বাচ্চুর সঙ্গে  জল নিতে আসা এক গ্রাম্য কিশোরী রাহেলার চোখাচোখি হতো। এক পর্যায়ে বাচ্চুদের ইউনিটকে গেরিলা প্রশিক্ষণের জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়। প্রশিক্ষণ শেষে বর্ষার মৌসুমে বাচ্চুদের ইউনিট পুনরায় উল্টোডাঙায় ফিরে আসে। বাচ্চু দেখে পাকিস্তানি সৈন্যরা গোটা গ্রামটি পুড়িয়ে দিয়েছে। উন্মাদিনী অবস্থায় রাহেলাকে সে খোঁজে পায়। পাগলী রাহেলা এখন যাকে পায় তাকেই কবর দিতে চায়। কারণ গণহত্যার শিকার ওর বাবা-মার কবর দেয়ার সুযোগ হয়নি। কয়েকটি খ- যুদ্ধের পর বাচ্চুদের ইউনিটটি একসময় মধুমতি নদীর পাড়ে রসুলপুর অঞ্চলে যায়। তাদের গেরিলা দলটিতে রয়েছে রুক্ষ প্রকৃতির গেরিলা মজনু, ¯েœহময় শিক্ষক শহীদ মাস্টার যে তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের নানা পৌরাণিক গল্প শোনায়, গানপাগল ননী, যোদ্ধা আখতার। মুক্তিযোদ্ধারা অপারেশন করে একসময় রসুলপুরের অত্যাচারী খালেক চেয়ারম্যানকে মেরে ফেলে। মোতাল্লেব মেম্বার নতুন চেয়ারম্যান হয়। চেয়ারম্যান হওয়ার পর মোতাল্লেব মেম্বারের অত্যাচার-নির্যাতনের মাত্রা আরো বেড়ে যায়। রাজাকাররা অমূল্য মাস্টারকে অপহরণ করে মেরে ফেলে।

 

বিধবা যুবতী শান্তির দিকে মোতাল্লেব চেয়ারম্যানের খারাপ দৃষ্টি পড়ে। তার এই নৈতিক স্খলনের প্রতিবাদে বাচ্চুর মা অন্য গ্রামে তার মেয়ে-জামাইয়ের বাড়িতে চলে যান। স্ত্রীর আপত্তি, মুরুব্বীস্থানীয় বৃদ্ধ চাচার বাধা উপেক্ষা করে যুদ্ধের এই দিনগুলোতে মোতাল্লেব চেয়ারম্যান মনুষ্যত্বহীন হয়ে উঠে। একসময় সে বিধবা শান্তিকে বিয়ে করে। তার রাজাকার বাহিনীর হাতে একে একে নিহত হয় আখতার, ননী এবং আরো অনেক মুক্তিযোদ্ধা। কিন্তু সহযোদ্ধা বাচ্চুর পিতা বলে মুক্তিযোদ্ধারা মোতাল্লেব চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নিতে পারে না। এদিকে মোতাল্লেব চেয়ারম্যান ও তার রাজাকার বাহিনীকে উৎখাত করার জন্য বাচ্চু সিন্ধান্ত নেয়। এক সন্ধ্যায় একটি ডিঙ্গি ও রাইফেল নিয়ে সে একাই বেরিয়ে পড়ে। বাচ্চু তাঁর বাবা রাজাকার মোতাল্লেব চেয়ারম্যানকে গুলি করলে সে নিহত হয়।

 

নির্মাতা তানভীর মোকোম্মেল এ চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে বলেন, ‘হ্যাঁ নদীর নাম মধুমতীর মতো অনেক পরিবার আমি কাছ থেকে দেখেছি যেখানে ও রকম পিতা ও পুত্রের দ্বন্দ্ব ছিল। বাবা পাকিস্তানপন্থী, ছেলে বাংলাদেশপন্থী, এই দ্বন্দ্বটি ১৯৭১-য়ে কিন্তু এদেশের অনেক ঘরেই ছিল। কারণটা বুঝতে হবে যে পিতাদের প্রজন্ম ১৯৪৭-য়ে পাকিস্তানের জন্য সংগ্রাম করেছিলেন। তাঁরা তখন বলতেন, তোমরাতো দেখনি হিন্দুদের অত্যাচার! ১৯৪৭-য়ে তাঁরা আশা করেছিলেন, পাকিস্তান হলে তাদের অনেক বিকাশ হবে, হয়েও ছিল। মুসলমান মধ্যবিত্ত সমাজ বেশ উপকৃত হয়েছিল বৈষয়িকভাবে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। এই যে, ন্যায্যভাবে অর্জন না করে অপরের সম্পদ দখল করার মানসিকতা আমাদের সমাজজীবনে, এটা পাকিস্তান আন্দোলনের এক কুফল। অনুপার্জিত সম্পদ; যা পরিশ্রম করে নয়, অর্জিত হয়েছে রাজনৈতিক সুবিধার মাধ্যমে-এই মানসিকতা; এটা পূর্ব-বাংলার মুসলমান জনগণের মানসিকতার মধ্যে থেকেই গেল। এটা কিন্তু শুরু হয়েছিল সেই পাকিস্তান আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে হিন্দুদের তাড়িয়ে তাদের জমি-বাড়ী দখল করব, তাদের চাকরি দখল করব, তাদের ব্যবসা দখল করব। এর মাধ্যমেই কিন্তু আমাদের জাতির নৈতিক অবক্ষয়টা শুরু হয় এবং আজও কিন্তু আমরা এর জন্যে চরম মূল্য দিয়ে যাচ্ছি। এখনও আমাদের দেশের অনেক মানুষ মনে করে যে আরেকজনের জিনিস দখল করা যায়, অনুপার্জিত সম্পদ ভোগ করা যায়। কোনো লজ্জা ছাড়া, কোনো অনুতাপ ছাড়াই! এই নৈতিক অবক্ষয়টা হচ্ছে-পাকিস্তান আন্দোলনের বড় এক কুফল। তাছাড়া পাকিস্তান আমলের উগ্র সাম্প্রদায়িকতা তা আমাদের কমপক্ষে দুটো প্রজন্মের চিন্তাচেতনাকে খুবই খর্ব ও সীমিত করে ফেলেছিল মানবতার প্রশ্নে। যার কুফলও আমরা এখন ভোগ করছি।’

 

নদীর নাম মধুমতী চলচ্চিত্রে একজন মধ্যবয়সী ইসলামপন্থীকে এক দানবীয় ভূমিকায় দেখতে পাইÑ সে আগ্রাসনকারী পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করে, মুক্তিযোদ্ধাদেরর হত্যা করে কিংবা ধরিয়ে দেয়, হিন্দু সংখ্যালঘুদের সম্পদ ও নারীকে ছিনিয়ে নেয়। নিজের সন্তান না হলেও যাকে সে সন্তান¯েœহে বড় করেছে, সেই জাতীয়তাবাদী গেরিলা তরুণ তার ‘দানব’ পিতাকে হত্যা করে। তানভীর মোকাম্মেলের চলচ্চিত্রে এভাবে আমরা দেখি এক ধরনের মুসলমানিত্বের চিত্রায়ন যা আদিম, অনাধুনিক, অত্যাচারী এবং জাতি ও জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কাজ করে। তার বাঙালিত্বের প্রতি স্পষ্ট সমর্থন রয়েছে যা ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা বহন করে এবং বাঙালি সংস্কৃতিকে লালন করে। এই ভাবনাটা প্রায়ই ইসলামবিরোধী অবস্থান থেকে উদ্গত হয়।

 

নদীর নাম মধুমতী চলচ্চিত্র প্রসঙ্গে তানভীর মোকাম্মেল বলেন, যে কোনো চলচ্চিত্রকার চাইবেন তার শিল্পকে কালের সীমা ছাড়িয়ে একটা চিরন্তনতার রূপ দিতে। এখন সেরকমটি করতে প্রয়োজন একটা বড়ো চলচ্চিত্র যার প্রেক্ষাপটে আপনি আপনার ছবির ঘটনাকে, চরিত্রদেরকে ও চরিত্রদের অন্তর্দ্বন্দ্বকে সাজাবেন। সে বিশাল চালচিত্রটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যথেষ্টই ছিল। তিরিশ লক্ষ মানুষের নিহত হওয়া, প্রায় দুই লক্ষ নারীর ধর্ষিতা হওয়া, প্রায় এক কোটি শরণার্থীর প্রতিবেশী দেশ ভারতে আশ্রয় নেওয়াÑ মুক্তিযুদ্ধের সব ঘটনাই তো এপিকধর্মী। তো মুক্তিযুদ্ধের সেই সুবিশাল এপিক চালচিত্রের প্রেক্ষাপটে আমি হ্যামলেট-এর আদলে তরুণ মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চুর অন্তর্দ্বন্দ্বটাকে তুলে ধরতে চেয়েছিলাম। সে তার ‘রাজাকার’ চাচাকে হত্যা করবে নাকি করবে না? দেশ বড়ো না রক্তের সম্পর্ক বড়ো? শেষে অবশ্য বাচ্চুর কাছে তার দেশপ্রেমই বড়ো হয়। সে তার ‘রাজাকার’ চাচাকে হত্যা করে মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়ের পথ ত্বরান্বিত করে। ফলে বলতে পারেন যে একটা ক্ল্যাসিক বা এপিক রূপ দেয়ার চেষ্টা নদীর নাম মধুমতী চলচ্চিত্রে ছিল।

 

তবে নির্মাতার আরেকটা চেষ্টাও ছিল। তা হচ্ছে একটা লোকজ গীতিময়তা বা লিরিক্যাল রূপ দেয়ার। যে সব সংগীত বা সংগীতাংশ নদীর নাম মধুমতী চলচ্চিত্রের আবহসংগীতে ব্যবহার করা হয়েছে সে সবে বাংলার ওই লোকজ রূপটা তুলে ধরার একটা চেষ্টা ছিল। গীতিময়তার এ বাংলায় ঘটে যাওয়া এক এপিক দ্বন্দ্বের রূপায়ণের চেষ্টা ছিল ছবিটিতে। তবে আমাদের তো কোনো টাকা-পয়সা ছিল না। ফলে সম্পদের অভাব, এবং বিশেষ করে সেনাবাহিনী, বিডিআর, পুলিশ কারো সহায়তা না পাওয়ায় ছবিটার অ্যাকশন দৃশ্যগুলো কিছুটা দুর্বল রয়ে যায়। অনেক কিছুই আমরা ইচ্ছানুযায়ী করে উঠতে পারিনি। শৈল্পিক অর্থে ছবিটির গুরুত্ব অতটা না থাকলেও আমরা যদি রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্র নির্মাণের উদাহরণ উল্লেখ করতে চাই তা হলে নদীর নাম মধুমতী চলচ্চিত্রটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্মাণ। ছবিটিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান এবং রাজাকার পিতার মধ্যকার দ্বন্দ্ব প্রতিফলিত হয়েছে।

 

ড. মো. মোরশেদুল আলম, শিক্ষক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

 

আবির প্রকাশন

আপনি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- ঘরে বসেই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারেন অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে আবির প্রকাশন থেকে। আমরা বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন

গণতন্ত্রহীন রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাঙালি চিরকালই বিদ্রোহী। ইতিহাসের কোনো পর্বে সে কোনো পরাধীনতাকে বেশি দিন মেনে নেয়নি। উপমহাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্র দিল্লি থেকে দূরে হওয়ায় এবং সাড়ে

বিপ্লব যাতে বেহাত না হয় ( সম্পাদকীয় – আগস্ট ২০২৪)

জুলাই মাসের কোটাবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত আগস্টের ৬ তারিখে ১৫ বছর সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। অভূতপূর্ব এই গণঅভ্যুত্থান ইতোপূর্বে ঘটিত গণ অভ্যুত্থানগুলোকে ছাড়িয়ে