অমল বড়ুয়া : আধুনিক সভ্যতার ক্রমবিকাশে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রয়েছে পোষাকের। আবার মানুষের আধুনিকতারও নিয়ামক এই পোষাক। আর এই পোষাকের মধ্যেই পরিস্ফুট হয় মানুষের সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব, রুচিবোধ, ভব্যতা, ন¤্রতা ও মননশীলতা। পোষাকের মধ্যে পাওয়া যায় সৃজনশীলতা ও নান্দনিকতার ছোঁয়া। পোষাকের মধ্যে নিহিত থাকে জাত্যভিমান, অহং, গৌরব, ঐতিহ্য, ইতিহাস ও সংস্কৃতির পরিচয়। তাই শেখ সাদিকে বলতে শোনা যায়, ‘পোষাকেই পরিচয়।’ ফলে দেশে দেশে, জাতিতে-জাতিতে, ভৌগলিক অঞ্চলভেদে পোষাকের বৈচিত্র্য পরিলক্ষিত হয়। আধুনিক বিশ্বে পোষাক হাল ফ্যাশনের সাথে পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। মানুষ কখন পোষাক তথা কাপড় পরিধান শুরু করেছে, তা নিয়ে কিন্তু বিস্তর অন্বেষণা-গবেষণা চলছে। প্রতœতাত্ত্বিকদের জেনেটিক স্কিন-কালারেশন গবেষণার উপর নির্ভর করে জানা যায় যে, প্রায় এক মিলিয়ন বছর পূর্বে মানুষ তার শরীরের অপ্রয়োজনীয় লোম হারাতে শুরু করে। মূলত সেই সময় থেকে পোশাক পরা শুরু হয়। প্রায় ১,০০,০০০ বছর আগেকার পাথরের তৈরী একপ্রকার যন্ত্র পাওয়া যায়, যা নিয়ান্ডারথাল মানবেরা পশুর কাঁচা চামড়া পাকানোর কাজে ব্যবহার করতো।
ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক এই গবেষণা পরিচালনা করেন। এই গবেষকদের মতে, মানুষ পোশাক পরিধান শুরু করে আজ থেকে প্রায় ১,৭০,০০০ বছর পূর্বে এবং মূলত ওসব উঁকুনের ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমেই এসব তথ্য জানা যায়। আদিযুগে মানুষ পশুর চর্মকে লজ্জা নিবারনের উপায় হিসেবে বেছে নিয়েছিল। প্রাথমিকভাবে পশুর শরীরের চর্ম ছাড়ানোর জন্য সে যুগের যে যন্ত্র প্রতœতাত্ত্বিক নমুনা পাওয়া যায় কার্বন ডেটিং অনুযায়ী সেটির বয়স নির্ণয় করা হয় প্রায় ৭,৮০,০০০ বছর পূর্বে। কিন্তু পশুর চর্ম তখন মানুষের আশ্রয় তথা ঘরের ছাউনি তৈরীর জন্যেও ব্যবহৃত হত। আবার আজ থেকে প্রায় ৪০,০০০ হাজার বছর আগে প্রথম সেলাই সুঁচের সন্ধান পাওয়া যায়, যা ব্যবহার করা হত জটিল ডিজাইনের কাপড় বুননের জন্য। প্রায় ২০,০০০ বছর পূর্বের সূক্ষ্ম হাঁড়ের সুচের কার্বন ডেটিংয়ে পাওয়া গেছে। ধারণা করা হয়, এই ধরনের সুচ খুব সম্ভবত পশুর চর্ম সেলাই এবং অ্যামব্রয়ডারি করার জন্য ব্যবহৃত হতো। এতে বোঝা যায় যে, অনেক আগে থেকেই মানুষ কাপড় পরিধান করা শুরু করেছিল। খ্রিস্টপূর্ব ৩৪,০০০ সালে তৈরীকৃত রঙ করা কাপড় আবিষ্কৃত হয়েছে জর্জিয়ার গুহায়, যা প্রাগৈতিহাসিক যুগে কাপড়ের মত বস্তুর উপস্থিতি প্রমাণ করে। চেক রিপাবলিকের পাভলোভ ও ডলনি ভেস্টোনিস-এর প্রতœতাত্ত্বিক এলাকা থেকে কাদামাটির উপর ঝুড়ি ও টেক্সটাইল পণ্যের, অর্থাৎ বস্ত্রের ছাপ আবিষ্কার করা হয় ১৯৯০ সালে। যা থেকে গবেষকদের ধারণা, সেই সময়ও বয়ন শিল্প ও বয়নকৃত কাপড় পাওয়া যেত। কার্বন ডেটিং-এর মাধ্যমে এর সময়কাল বের করা হয় আজ থেকে প্রায় ২৫,০০০ বছর আগে। জর্জিয়ার জুজুয়ানা গুহা থেকে প্রাপ্ত প্রায় ৩০,০০০ বছর পূর্বের প্রাকৃতিক ফাইবারের তৈরী সুতা পাওয়া গিয়েছিলো যেগুলো ছিলো গোলাপি, কালো আর তুর্কি নীল রঙ দিয়ে ডাই করা। প্রাচীন মিশরের মানুষেরা লিনেন নামক তন্তুও আবিষ্কার করেন খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৫,৫০০ বছর পূর্বে। প্রায় ২,০০০ বছর পূর্বে তারা এই লিনেনের পরিবর্তে ঊলের ব্যবহার করা শুরু করে। আবার চীনে খ্রিস্টপূর্ব প্রায় ৪,০০০ বছর পূর্বে আবিষ্কৃত হয় সিল্কের। এভাবেই একসময় আবিষ্কার হয় তাঁত যন্ত্রের, যার সাহায্যে বয়ন শিল্প হয়ে ওঠে আরো নান্দনিক আর সহজসাধ্য। দক্ষিণ-পূর্ব আর্মেনিয়ার আরেনি-১ গুহা থেকে সবচেয়ে প্রাচীন যে বয়নশিল্পের নমুনা পাওয়া যায়, সেটি হচ্ছে একটি স্কার্টের ছেঁড়া অংশ। কার্বন ডেটিং-এর মাধ্যমে এর বয়স জানা যায় প্রায় ৫,৯০০ বছর। প্রাচীন মিশরের এক সমাধিসৌধ থেকে আবিষ্কৃত হয় প্রায় ৫,০০০ বছর আগেকার এখন পর্যন্ত পাওয়া প্রাচীন ও সম্পূর্ণ বস্ত্র, যা সবচেয়ে পুরাতন পরিধানযোগ্য বস্ত্রের নমুনা। পোশাকটি ‘তারখান’ নামে পরিচিত। বয়ন করা হয়েছিলো লিনেন তন্তুর সাহায্যে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ ও গবেষক ড. ডেভিড রিড তাঁর দীর্ঘ গবেষণার পর দেখতে পান মানবসভ্যতা প্রায় ১,৭০,০০০ বছর পূর্বে বস্ত্র পরিধান করা শুরু করে।
১৭৫০-১৮৫০ খ্রিস্টাব্দে বিশ্বব্যাপী ছোঁয়া লাগে শিল্পবিপ্লবের। এই সময় মানুষ কৃষিব্যবস্থা থেকে আধুনিক শিল্পায়নের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এই শিল্পবিপ্লবের ছোঁয়া বস্ত্র বা টেক্সটাইল শিল্পেরও ভিত নাড়িয়ে দেয়। শিল্পবিপ্লবের ফলে বিখ্যাত টেক্সটাইল বিজ্ঞানীদের আগমন ঘটে, যাদের হাত ধরে এই শিল্পের আমূল পরিবর্তন ঘটে। মূলত কাপড়ের বহুবিধ ব্যবহার আছে। তার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ ব্যবহার হচ্ছে পোশাক হিসেবে এবং পাত্র যেমন ব্যাগ ও ঝুড়ি হিসেবে। বাসাবাড়িতে কার্পেট, আসবাবের উপরে, দরজা জানালার পর্দা, তোয়ালে, টেবিলের ঢাকনা, বালিশ ও বিছানায়, কাঁথাসহ নানাবিধ শিল্পকর্মে কাপড় ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন উপাদান থেকে বস্ত্র তৈরী করা যেতে পারে। চারটি প্রধান উৎস থেকে এই উপাদানগুলো পাওয়া যায়: পশু (উল, সিল্ক), উদ্ভিদ (তুলা, শণ, পাট), খনিজ (অ্যাসবেসটস, গ্লাস ফাইবার), এবং সিন্থেটিক (নাইলন, পলিয়েস্টার, অ্যাক্রাইলিক)। অতীতে প্রাকৃতিক উৎস যেমন উদ্ভিদ, প্রাণী ও খনিজ উৎস থেকে প্রাপ্ত সুতা দিয়ে বস্ত্র বয়ন করা হতো। ২০ শতকে পেট্রোলিয়াম থেকে তৈরী কৃত্রিম তন্তু থেকে কাপড় তৈরী শুরু হয়। প্রাণিজাত কাপড় সাধারণত তৈরি হয় চুল, পশম, চামড়া বা সিল্ক (রেশম পোকার ক্ষেত্রে) থেকে। তুলা, পাট, হেম্প, মোডাল এবং এমনকি বাঁশের ফাইবার ব্যবহার করে পোশাক তৈরী করা হয়।
২.
ভারতীয় উপমহাদেশে পোশাকের ইতিহাস সিন্ধু সভ্যতা বা তার আগে থেকেও প্রাচীন। ভারতীয়রা মূলত স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত তুলায় তৈরি পোশাক পরিধান করে থাকে। হরপ্পান যুগে ২৫০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের প্রথম দিকের ভারত এমন একটি স্থান যেখানে তুলা চাষ করা হত ও ব্যবহার করা হত। প্রাচীন ভারতীয়
পোশাকের অবশিষ্টাংশ সিন্ধু সভ্যতার কাছাকাছি স্থান থেকে আবিষ্কৃত মূর্তি, পাথরকাটা ভাস্কর্য, গুহাচিত্র এবং মন্দির ও স্মৃতিস্তম্ভে প্রাপ্ত মানব শিল্পকলার মধ্যে পাওয়া যায়। জানা যায় যে, সাধারণত পুরুষরা তাদের কোমরের উপর মোড়ানো একটি লম্বা কাপড় পরতেন এবং এটিকে পিছনে বেঁধে রাখতেন। কিছু সম্প্রদায়ের মধ্যে পাগড়িও প্রথাগত ছিল, যেমনটি কিছু পুরুষ মূর্তিতে পরিলক্ষিত হয়েছে। নারীদের স্বাভাবিক পোশাক ছিল হাঁটু পর্যন্ত একটি স্কার্ট, কোমরের অংশ খালি থাকত। সুতির তৈরি মাথার পোশাকও মহিলারা পরিধান করতেন। মহিলারা লম্বা স্কার্টও পরতেন, তাদের শরীরের উপরের অংশের জন্য আঁটসাঁট টিউনিক ও ট্রাউজার্সও ব্যবহার করতেন।
গুপ্ত-পরবর্তী সময় থেকে, অলচি বৌদ্ধবিহার, বাগান মন্দির, পাল ক্ষুদ্রাকৃতি চিত্রকর্ম, জৈন ক্ষুদ্রাকৃতি চিত্রকর্ম, ইলোরা গুহা চিত্রকর্ম এবং ভারতীয় ভাস্কর্যের মতো চিত্রকর্ম থেকে ভারতীয় পোশাকের প্রচুর প্রমাণ পাওয়া যায়। প্রাচীন ভারতীয়দের ৮ম-১০ম শতকে কুর্তা ও শালওয়ারের মতো ঢিলেঢালা প্যান্ট পরিধানের প্রমাণ ফ্রান্সের প্যারিস শহরের বিবলিওথেক ন্যাশনালে সংরক্ষিত একটি হাতির দাঁতের দাবার সেটে হাতির দাঁতের ভাস্কর্যে চিত্রিত করা হয়েছে। বাঙালির সাধারণ পোশাক ছিল সেলাইবিহীন একবস্ত্র। সেলাই করে জামা-কাপড় উত্তর-পশ্চিম ভারত হতে আমদানি হতো। কিন্তু সেটা অনেক পরে। পুরুষেরা পরতো ধুতি, মেয়েরা শাড়ি। সামাজিক তথা আর্থিক অবস্থা ভালো হলে গায়ের ওপর একখ- কাপড়ের ব্যবহার ছিল। এটা পুরুষের ক্ষেত্রে ছিল উত্তরীয়, মেয়েদের ক্ষেত্রে ওড়না। ৭ম ও ৮ম শতকের দিকে কাপড়ে ফুল, লতাপাতা ইত্যাদির নকশার প্রচলন হয়, যা পশ্চিম ভারত থেকে আসে। তখনকার বাংলায় সাধু-সন্ন্যাসী ও দরিদ্র-শ্রমিকেরা পরতো নেংটি। সৈন্য ও মল্লবীররা হাঁটু পর্যন্ত আঁটো পাজামা পড়তো। শিশুরা পরতো হাঁটু পর্যন্ত ধুতি নয়তো আঁটো পাজামা। ১৮৩৫ সালে সমাচার দর্পণ পত্রিকায় উল্লেখ করা হয়, বাবু, জমিদার, সেরেস্তাদার ও উকিল মহাশয়রা জামা, নিমা, কাবা, কোর্তা ইত্যাদি পোষাক পরতেন। প্রায় ১৫৫০ সালের দিকে ভারত উপমহাদেশ বস্ত্রশিল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। সূক্ষ্ম কার্পাস ও রেশম কাপড়ের জন্য বাংলাদেশ ছিল বিখ্যাত। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ অধ্যাপক জি উইলিয়াম তাঁর রচিত ‘ইন্ডিয়াস ডিইনডাস্ট্রিয়ালাইজেশন ইন এইটিনথ অ্যান্ড নাইনটিনথ সেঞ্চুরিস’ বইতে উল্লেখ করেছেন, সেই সময়ে সারা বিশ্বের প্রায় ২৫ শতাংশ বস্ত্র ভারত উপমহাদেশ একা প্রদান করত। মোঘলদের শাসনাধীন ভারত উপমহাদেশ সেই সময় ছিল বস্ত্রের জন্য সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণকেন্দ্র। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টেক্সটাইল কারখানা, তুলার কারখানা এই উপমহাদেশে ছিল। বাংলার মসলিন কাপড় সেই সময়ে সারা বিশ্বের মন জয় করতে পেরেছিল। বাংলার টেক্সটাইল শিল্প ডাচ ব্যবসায়ীদের দ্বারা ইউরোপে প্রায় ৫০ ভাগ টেক্সটাইল পণ্য ও ৮০ ভাগ সিল্ক রপ্তানি করা শুরু করে। বিংশ শতাব্দীতে এই বাংলায় যার হাতে নতুন করে টেক্সটাইলের জন্ম হয়েছিল তিনি ছিলেন কুষ্টিয়ার সূর্যসন্তান মোহিনী মোহন চক্রবর্তী। বাংলাকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে ১৯০৮ সালে কুষ্টিয়া শহরে গড়াই নদীর পাশে মিলপাড়া এলাকায় প্রায় ১০০ একর জমির ওপর একটি টেক্সটাইল মিল চালু করেন। নাম দেন মোহিনীমোহন মিলস এন্ড কোম্পানি লিমিটেড। বর্তমানে বাংলাদেশ টেক্সটাইল শিল্পে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের পথে। বাংলাদেশ গার্মেন্টস শিল্পের জন্য বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৮০০ কোটি মিটার কাপড় প্রয়োজন ব্যবহারের জন্য। অর্থাৎ ১৭ কোটি মানুষ প্রতিবছর গড়ে আনুমানিক ৩০ থেকে ৩৫ মিটার কাপড় ব্যবহার করে থাকে।
প্রায় ৫০০০ গার্মেন্টস কারখানা ৪২৫টি স্পিনিং মিল ও প্রায় ৮০০টির মতো টেক্সটাইল কারখানাতে আমদানি করা তুলা থেকে তৈরি সুতা ব্যবহৃত হচ্ছে। বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতের রপ্তানি আয় এখন বছরে ৩০০ কোটি ডলার। সুতা ও কাপড় রপ্তানি থেকে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ডলার আয় করেছে। বিটিএমএর তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশে প্রায় পাঁচশ স্পিনিং মিল রয়েছে। আর উইভিং বা কাপড় বোনার কারখানা রয়েছে প্রায় ৯০০টি। কাপড়ে রং করার ডাইং-কারখানা ২৫০-৩০০টি। বাংলাদেশ তৈরি পোশাকের বৈশ্বিক বাজারে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ রপ্তানি নিয়ে একটি দৃঢ় অবস্থান তৈরি করেছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ৩ হাজার ৮৭৫ কোটি ডলারের মোট রপ্তানির মধ্যে শুধু পোশাক শিল্প খাত থেকে আয় হয়েছে ৩ হাজার ১৪৬ কোটি ডলার। বর্তমানে বিশ্বে বাংলাদেশ তৈরি পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় অবস্থানে। রপ্তানির দিক দিয়ে চীনের পরেই রয়েছে বাংলাদেশ। পোষাক এখন বাংলাদেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান স্তম্ভ। পৃথিবীতে এখন এমন কোনো দেশ নেই যেখানে ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ লেখা পোশাক পাওয়া যায় না। পোষাকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ব্রা-।
অমল বড়ুয়া, কলাম লেখক ও প্রাবন্ধিক