বিনয়ী চিত্রভাষা
বলার জন্যে যে মাধ্যমের প্রয়োজন হয়-
তাকে শুধু ভাষা বলেই আখ্যা দেয়া যায় না।
নির্বাক তাকিয়ে থেকে, কিছু উচ্চারণ না করেও
অনেক কিছু বলে দেয়া যায়। অনেক রেখা দিয়ে
এঁকে ফেলা যায় বৃষ্টি কিংবা শিলাদের মুখচিত্র।
এই পৃথিবী মূলত মূক, গ্রহখ-ের প্রতিনিধি!
মাটি তার পরমাণুগুলোতে যে বিনয়
স্তরে স্তরে সাজিয়ে রাখে-
মানুষ তারই বশ্য হয়ে আজীবন
নতুন নতুন দাসকথা লিখে !
মেঘজীবী মানুষেরা
একটি ছায়া নির্মাণে একটি কায়ার প্রয়োজন হয়।
একটি দুপুর নির্মাণে,
প্রয়োজন হয় হয় যে সূর্যের- তা ঢেকে দিতে
পারে ঘন মেঘ। অথচ সূর্যের ছায়া মানুষকে ঘিরে
রাখার কথা ছিল। কথা ছিল, শ্রমজীবী মেঘের পাশে
দাঁড়িয়ে লিখে রাখার, দেখে রাখার!
জগতে কে কার কথা লিখে রাখে-
তা নিয়ে বিতর্ক প্রতিযোগিতা চলতেই পারে!
হতে পারে এমন আয়োজন,
যা সবসময়ই থেকে যাবে দর্শকবিহীন।
তারপরও যে মন ভেসে চলে নদীর পরাণে-
কতটা উজানে গেলে প্রত্যয় বাড়ে,
তা কেবল সেই দুটি চোখই জানে!