এখন সময়:রাত ৮:৪১- আজ: শনিবার-১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

এখন সময়:রাত ৮:৪১- আজ: শনিবার
১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-৩০শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

বিজ্ঞানী আইনস্টাইনের জীবনের ১০টি মজার ঘটনা

বাবুল সিদ্দিক

 

আইনস্টাইন শুধু একজন উচ্চ বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন মানুষ ছিলেন না, তার রসবোধ ছিল অত্যন্ত উ”ু মাপের। ব্যক্তিগত জীবনে সহজ-সরল এই মানুষটি কখনও ব্যাঙ্গার্থক, আবার কখনও প্রচ- রসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। তার ভুলোমনও অসংখ্য মজার কাহিনির জন্ম দিয়েছে। সেসব কাহিনি থেকে বাছাই করা ঘটনা আন্দরকিল্লা’র পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো :

১।  আইনস্টাইন একবার ট্রেনে চেপে কোথাও যাচ্ছিলেন। ট্রেনের টিকিট চেকার টিকিট চেক করতে করতে আইনস্টাইনের কাছে এসে টিকিট দেখতে চাইলেন। কিন্তু আইনস্টাইন তাঁর টিকিট খুঁজে পাচ্ছিলো না। কিন্তু এরই মধ্যে ওই টি,টি আইনস্টাইকে চিনতে পেরে বললেন, “স্যার, আমি আপনাকে চিনতে পেরেছি। আপনি নিশ্চয়ই টিকিট কেটে উঠেছেন। আপনাকে টিকিট দেখাতে হবে না। আইনস্টাইন কী যেন ভাবলেন, তারপর একটু চিন্তিত ভঙ্গিতে বললেন, “না, না , ওটা আমাকে খুঁজে বের করতেই হবে। না পেলে আমি জানব কি করে, আমি কোথায় যাচ্ছি ?” ২। একটি অনুষ্ঠানে আইনস্টাইনকে জিজ্ঞাসা করা হলো, আপনি একটু সহজ করে আপনার তত্ত্বটা বোঝাবেন ?  আইনস্টাইন একটা গল্প শোনালেন, গল্পটা তিনি বললেন এভাবে ‘আমি আমার এক বন্ধুর সঙ্গে হাঁটছিলাম। বন্ধুটি ছিল অন্ধ। তাকে বললাম, “দুধ পান করতে চাও ? দুধ ? “বন্ধু বলল, “পান করা বুঝি,কিন্তু দুধ কি জিনিস?  “একটা সাদা তরল পদার্থ “বললাম আমি।

“তরল বুঝি, কিন্তু সাদা জিনিসটা আবার কি ? “বন্ধু জিজ্ঞাসা করল।  আমি বললাম, “বকের পালকের রঙ” বন্ধু বলল, “ পালক তো বুঝি, কিন্তু বক কি ?”

আমি বললাম, “ঘাড় কুঁজো বা বাঁকানো ঘাড়ের এক পাখি।”  বন্ধু বলল, “ঘাড় বুঝলাম, কিন্তু এই কুঁজো কথাটার মানে কি ? ” এরপর আর ধৈর্য্য থাকে বলুন ? আমি তার হাতটা ধরে টান টান করলাম। বললাম, “এটা এখন একদম সোজা, তাই না? তারপর ধর, আমি কনুই বরাবর এটা ভেঙে দিলাম। এবার তোমার হাতটা যেমন আছে, সেটাকেই বলে কুঁজো, বুঝলে ? “ অন্ধ বন্ধু খুশি হয়ে বলল, “এবার বুঝেছি, দুধ বলতে তুমি কি বুঝিয়েছ।”

৩।  ১৯৩১ সালে কৌতুক অভিনেতা চার্লি চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে আমন্ত্রণ জানান তার ‘সিটি লাইটস্ ‘সিনেমা শো দেখার জন্য। শো শেষ হলে তারা দুজন শহরের রাস্তায় হেঁটে যাচ্ছিলেন। সে সময় চ্যাপলিন আইনস্টাইনকে জিজ্ঞাসা করলেন, “সবাই আমাকে সহজে বোঝে এজন্যই আমার এতো জনপ্রিয়তা কিন্তু আপনাকে কেন এত পছন্দ করে বুঝলাম না।” আইনস্টাইন সহাস্যে উত্তর দিলেন, “কেউ আমাকে সহজে বুঝতে পারে না বলেই আমার এই জনপ্রিয়তা।”  ৪। এক সহকর্মী একদিন আইনস্টাইনের কাছে তার টেলিফোন নাম্বার চাইলেন। আইনস্টাইন তখন একটা টেলিফোন বই খুঁজে বের করলেন এবং সেই বই থেকে নিজের নাম্বারটা খুঁজতে লাগলেন। সহকর্মী তাকে বললেন, “কি ব্যাপার, নিজের টেলিফোন নাম্বারটাও মনে রাখতে পারেন না ?” আইনস্টাইন বললেন, “না, তার দরকারটাই বা কি ? যেটা আপনি বইতে পাবেন, সে তথ্যটা মুখস্থ করে মস্তিস্ক খরচ করবেন কেন ? “ ৫।  আইনস্টাইনের কাছে একবার আপেক্ষিকতার সহজ ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হলো। উত্তরে আইনস্টাইন বললেল, “আপনার হাত একটি জ্বলন্ত চুলার ওপর ধরে রাখুন, মুহূর্তেই মনে হবে ১ ঘন্টা পার হয়ে গেছে। কিন্তু একজন সুন্দরী মেয়ের পাশে ১ ঘন্টা বসে থাকুন আপনার মনে হবে এইমাত্র এক মিনিট সময় পার হলো – – – -এটাই  আপেক্ষিকতা । ৬।  একবার আনইস্টাইন বাইরে থেকে বাসায় ফিরে দরজায় কড়া নাড়লেন। ভেতর থেকে স্ত্রী ভাবলেন, কেউ হয়তো আইনস্টাইনকে খুঁজতে এসেছে। তাই তিনি বিরক্ত হয়ে চেচিয়ে বললেন, “আইনস্টাইন বাড়িতে নাই।”  ব্যস্ , চিন্তিত আইনস্টাইন কোনো কথা না বলে উল্টো হাঁটা ধরলেন। ৭।  হাস্যরসপ্রিয় আইনস্টাইন তার যুগান্তকারী আপেক্ষিক তত্ত্বের আবিষ্কার নিয়ে কৌতুক করে বলেছিলেন, আমার আপেক্ষিক তত্ত্ব সত্যি প্রমাণিত। এবার জার্মানি বলবে, আমি জার্মান আর ফরাসিরা বলবে আমি বিশ্ব নাগরিক। কিন্তু যদি তত্ত্বটা মিথ্যা হতো, তাহলে ফরাসিরা বলত, আমি জার্মান, আর জার্মানিরা বলত, আমি ইহুদি।

৮।  আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের জটিলতা এবং দুর্বোধ্যতা নিয়েও কিছু মজার কাহিনি আছে। একদিন এক তরুণী তার প্রেমিকের সঙ্গে গির্জার যাজকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। পরদিন যাজক ওই মেয়েটিকে বললেন, ‘তোমার প্রেমিককে আমার সবদিক থেকেই ভালো লেগেছে শুধু একটি বিষয় ছাড়া। ‘মেয়েটি জিজ্ঞাসা করল, ‘কোন বিষয় ? ‘ফাদার বললেন, ‘তার কোনো রসবোধ নাই। তাকে আমি আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্বের কথা জিজ্ঞাস করেছি আর সে আমাকে তাই বোঝাতে শুরু করে দিল।‘  হাসিতে ফেটে পড়ল সুন্দরী মেয়েটি। ৯।  ছোটবেলায় তুলনামূলকভাবে অনেক দেরিতে কথা বলতে শেখেন আইনস্টাইন। তার মা এ ব্যাপারে অনেক দুশ্চিন্তায় ছিলেন। এক রাতে খাবারের টেবিলে বসে সবাই খাচ্ছেন, এমন সময় ক্ষুদে আইনস্টাইন চিৎকার করে উঠল,  ‘এই স্যুপটা বড্ড গরম। ‘ছেলের মুখে প্রথম কথা শুনে বাবা মা – এর সে কি আনন্দ ! ছেলের মুখে প্রথম কথা শুনে বেশ অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘আগে তুমি কথা বল নি কেন ? ‘ আইনস্টাইন বললেন, ‘আগে তো সব ঠিকই ছিল।’

১০। একদিন সন্ধ্যায় প্রিন্সটনের টেলিফোন ডাইরেক্টরের অফিসে ফোন এলো ‘দয়া করে যদি আইনস্টাইনের বাড়ির ফোন নাম্বারটা জানান।’

‘ আইনস্টাইনের বাড়ির নাম্বার কাউকে জানানো যাবে না ‘কঠিন গলায় তা জানিয়ে ফোনটা নামিয়ে রাখলেন ডাইরেক্টর।

খানিক পরে আবার ফোন বেজে উঠল। ওপাশ থেকে শোনা গেল, ‘আমি আইনস্টাইন বলছি, বাড়ির ফোন নাম্বার আর রাস্তার দুটোই ভুলে গেছি। দয়া করে যদি বলে দিতেন।’

আবির প্রকাশন

আপনি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- ঘরে বসেই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারেন অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে আবির প্রকাশন থেকে। আমরা বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন

গণতন্ত্রহীন রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাঙালি চিরকালই বিদ্রোহী। ইতিহাসের কোনো পর্বে সে কোনো পরাধীনতাকে বেশি দিন মেনে নেয়নি। উপমহাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্র দিল্লি থেকে দূরে হওয়ায় এবং সাড়ে

বিপ্লব যাতে বেহাত না হয় ( সম্পাদকীয় – আগস্ট ২০২৪)

জুলাই মাসের কোটাবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত আগস্টের ৬ তারিখে ১৫ বছর সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। অভূতপূর্ব এই গণঅভ্যুত্থান ইতোপূর্বে ঘটিত গণ অভ্যুত্থানগুলোকে ছাড়িয়ে