এখন সময়:রাত ১০:৫৮- আজ: রবিবার-৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

এখন সময়:রাত ১০:৫৮- আজ: রবিবার
৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ-২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ-শরৎকাল

মুক্তি-সংগ্রামে চট্টগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী বিস্মৃত সাহিত্যপত্রিকা পরিচিতি (চট্টগ্রাম, ১৯৫১-৫৩)

ইসরাইল খান:

উনিশ শ’ সাতচল্লিশ সালের পর, মহান একাত্তরের সংগ্রামমুখর পথ নির্মাণে অগ্রগামী সাংস্কৃতিক যোদ্ধা পত্রিকাসমূহের মধ্যে গুরুত্বপূণ ত্রৈমাসিক ‘পরিচিতি’ পঞ্চাশের দশকের শুরুতেই বের হয়েছিল চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রামের প্রবর্তক প্রেস থেকে শ্রীশশাঙ্কমোহন চৌধুরী কর্তৃক মুদ্রিত হয়ে ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ের সদর দফতর, চট্টগ্রামের পাহাড়তলীস্থ ওয়াজিউল্লাহ ইনস্টিটিউটের ‘পরিচিতি কার্যালয়’ থেকে প্রকাশ করতেন মোসলেমউদ্দিন আহমদ। সম্পাদনা-পরিষদের সদস্য ছিলেন সমরেন্দ্র দত্ত, সিরাজুল ইসলাম, রুস্তম খান, এরশাদ হোসেন এবং সভাপতি মফিজ-উল হক। মফিজউল হক বিভাগ-পূর্বকালে বঙ্গীয় রেলওয়ের কলকাতা হেড-অফিসের কর্মচারী হলেও কমিউনিস্ট পার্টির কর্মী ছিলেন। পাকিস্তানোত্তর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তিনি চট্টগ্রামে পোস্টিং পান। বাম ভাবাপন্ন আরও কতিপয় সংস্কৃতিকর্মী, কর্মজীবীর সম্মিলনে মানবতার মুক্তির লক্ষ্যে বন্ধ্যা সাংস্কৃতিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্যে তিনি তখন থেকেই কাজ শুরু করেছিলেন। দেশভাগের পরপর উদ্ভূত সামাজিক রাজনৈতিক সংকটকালে চট্টগ্রামের শিক্ষা সাহিত্য ও সংস্কৃতি অঙ্গনের প্রধান ব্যক্তিবর্গ হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা উদ্বাস্তু হিসেবে চলে যাওয়ায় শূন্যবন্ধ্যা দশা পরিবর্তনের লক্ষ্যে তিনি পরিচিতির মধ্যদিয়ে নতুন করে চিন্তাচেতনা পুনর্গঠনের কাজ  করেছিলেন।

বলাবাহুল্য নয়, ইতিপূর্বে সীমান্ত পত্রিকা এবং তাকে ঘিরে গড়ে

 

ওঠা ‘সাংস্কৃতিক বৈঠক’ ও ‘প্রান্তিক নবনাট্য সংঘ’ প্রভৃতির কিছু কিছু সাহিত্যিক-সাংস্কৃতিক কর্মোদ্দ্যম চট্টগ্রামে দানা বেঁধে উঠেছিল। তবে পাকিস্তানি আমলে পূর্ববঙ্গে পর্যাপ্ত সাংস্কৃতিক কর্মচাঞ্চল্য আর ফিরে আসেনি। সবসময় একটা মানসিক ও সামাজিক চাপ তাঁরা অনুভব করতেন। মফিজউল হক লিখেছেন: চট্টগ্রামে শিক্ষা সংস্কৃতির ধারক বাহক যারা ছিলেন, তাঁরা প্রায় সবাই ছিলেন হিন্দু। তাঁরা তখন অনেকেই কলকাতা চলে গেছেন। ফলে চট্টগ্রাম হঠাৎ করেই যেন সাংস্কৃতিক-বন্ধ্যাত্বের অতল-তলে তলিয়ে গেল। পথে ঘাটে যাদের সাথেই দেখা হয় তারাই কেমন যেন অবজ্ঞাভরে কথা বলে। অনেকের সব কথাও আমরা বুঝি না। কিন্তু আমরা যারা এই বন্ধ্যাত্ব মেনে নিলাম না, তারা সবাই মিলে চিন্তা করতে লাগলাম, কি করে আমাদের হারানো দিনগুলো ফিরে পাওয়া যায়। আমরা তখন একদিন একটি ত্রৈ-মাসিক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিলাম। কিন্তু লেখা পাব কোথায়? লিখবেন কে? পত্রিকার নামকরণ করা হলো ‘পরিচিতি’।…সম্পাদকম-লীও গঠিত হলো। প্রথম সম্পাদকম-লীর সদস্য ছিলেন গোলাম রসুল (কৃষক আন্দোলনের অন্যতম নেতা) ; নৃত্যলাল লাহিড়ী ; সিরাজুল ইসলাম, সমরেন্দ্র দত্ত এবং আমি। প্রথম সংখ্যায় লেখা দিয়েছিলেন আবুল ফজল, শওকত ওসমান, আলাউদ্দিন আল আজাদ, শামসুর রাহমান, অমিয়ভূষণ চক্রবর্তী, মুনীর চৌধুরী, মিহির সেন, সলিল চৌধুরী, চিরঞ্জীব দাশশর্মা, গোপাল বিশ্বাস, সমরেন্দ্র দত্ত প্রমুখ। এই সংখ্যায় আমি একটি চীনা গল্প অনুবাদ করেছিলাম ।’১

১৩৫৮র বৈশাখ-আষাঢ়ে ‘পরিচিতি’র প্রথম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা প্রকাশিত হয়। ১৯৫১ সনের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হরিখোলার মাঠে অনুষ্ঠিত সাংস্কৃতিক সম্মেলনের পরে-পরে প্রকাশিত এই পত্রিকার আদর্শ উদ্দেশ্য সীমান্ত ও চট্টগ্রামের প্রগতিশীল কর্মোদ্যসমূহের সুরে সুর মিলানো। ওয়াজিউল্লাহ ইনস্টিটিউট তথা রেল অফিসকে ঘিরে বামপন্থী-কমিউনিস্টদের কার্যাবলি তখন ছিল বেশ সক্রিয়। এঁদেরই উদ্যোগ-আয়োজনে প্রকাশিত কমিউনিস্টভাবাপন্ন  ‘পরিচিতি’ সরকারি কোপানলেও ক্রস চিহ্নিত ছিল। ফলে “পত্রিকা প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে একটা সাড়া পড়ে গেল। কোর্ট থেকে সম্পাদকের নামে সমন জারি হলো। পত্রিকার প্রকাশস্থল ওয়াজিউল্লাহ ইনস্টিটিউট (রেলওয়ে ইনস্টিটিউট)। ইনস্টিটিউটের তখনকার সাধরাণ সম্পাদক ছিলেন মোসলেমউদ্দীন আহমদ। বস্তুত তাঁর সহযোগিতার জন্যই পত্রিকা প্রকাশ করা সম্ভব হয়। তিনি লিখেছেনÑ‘আমরা সম্পাদকম-লীর সদস্যরা মোসলেমউদ্দীন আহমদকে সাথে করে কোর্টে গেলাম। এস-ডি ও সাহেব আমাদেরকে তাঁর খাস কামরায় ডেকে নিয়ে মিহির সেনের একটি কবিতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘দেখুন আপনারা একটু সাবধান হবেন, এ ধরনের লেখা যেন আর প্রকাশিত না হয়।’ কিন্তু তারপরও পত্রিকাটি নিয়মিত প্রায় তিন বছর প্রকাশিত হয়।

তৃতীয় বর্ষ ১ম সংখ্যার সম্পাদকীয় বলা হয় : ‘আমাদের উদ্দেশ্য মহৎ এবং উদ্যমের মধ্যে যথেষ্ট আন্তরিকতা থাকলেও নানারকম অসুবিধার জন্য আশানুরূপ কাজ করা আমাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি।’ পত্রিকার উদ্দেশ্য ব্যক্ত হয়েছে এই উক্তিতে: “সমাজ-চেতনা সম্পন্ন যে-কোন ভাল লেখা প্রকাশ করতে ‘পরিচিতি’ সর্বদাই তৎপর থাকবে।’ ‘পরিচিতি’তে আবুল ফজলের ‘বুদ্ধির মুক্তি’ শীর্ষক প্রবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছিল। নুরউল আলম ‘আমাদের লোকসাহিত্য’, সুলতানা রাহমান ‘পল্লীসংস্কৃতি’, আসহাবউদ্দীন আহমদ ‘লোকসঙ্গীত প্রসঙ্গে’, শরাফী ‘সাংস্কৃতিক জীবনে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধ লিখেছিলেন। ‘সাহিত্য ও জীবন’ শীর্ষক একটি প্রবন্ধ ‘ইউনিটি’ পত্রিকা থেকে অনুবাদ করেছিলেন অধ্যাপক এস. এহতেশাম হোসেন। আতাউর রহমান, মোহাম্মদ মাহফুজউল্লাহ, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, রুস্তম খান, মীর আবুল খায়ের, মোহাম্মদ আজিজুল হক, দেবব্রত সেন, সমরেন্দ্র দত্ত প্রমুখ কবিতা লিখেছিলেন, আর চিরঞ্জীব দাশশর্মা সুরারোপ করেছিলেন একটি বিপ্লবী গানে।

লক্ষণীয় আতাউর রহমান, শামসুর রাহমান প্রথম শ্রেণির কবিরা তখনকার প্রায় সকল প্রগতিপন্থী পত্রিকায় লিখছিলেন। আবু হেনা মোস্তফা কামাল, মোহাম্মদ মাহফুজুল্লাহ সম্ভাবনাময় তরুণদের কাব্যচর্চার ক্ষেত্র হয়েছিল পরিচিতির পাতা। মিহির আচার্য, মফিজউল হক, সিরাজুল ইসলাম গল্প লিখেছেন বা বিদেশি গল্পের অনুবাদ করেছিলেন। বিদেশি গল্প-প্রবন্ধের, নানা ধরণের রচনা ‘পরিচিতি’তে ছাপা হয়েছে এবং এর সমস্ত পাতাই পঠনোপযোগী ছিল। যুগোপযোগী আলোচনায়, শিল্পচিন্তা বা চর্চায় ব্যয়িত হয়েছে এর প্রতিটি পৃষ্ঠা। ওলাইডস্ক্রিনার, লিন য়ুতান এর রচনার অনুবাদ আর স্টালিনের মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন পত্রিকার একটি চারিত্র নির্দেশ করে। চট্টগ্রামের বা বাঙলাদেশের সংস্কৃতি-অঙ্গনের খবরাখবর প্রদান ও প্রতিবেদন

 

 

ছাপানো এবং বই-পুস্তকের আলোচনা-সমালোচনায় দেশের হিতের প্রশ্নটি উচ্চকিত হয়েছে। পরিচিতির পাতায় পূর্ব বাঙলার স্বাধীনতা পরবর্তী সাত বছরের প্রগতিশীল চিন্তাচর্চার দলিল লিপিবদ্ধ হয়ে আছে। অতএব এই পত্রিকাও বাঙলাদেশের সামাজিক-সাংস্কৃতিক ইতিহাসে মূল্যবান সন্দেহ নেই।

শরাফী এবং মনি ইমাম প্রমুখ কয়েকজন বঙ্গ-ললনা এ-ভূখ-ের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সক্রিয় ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে নারীদেরকে কর্মচাঞ্চল্যে এবং সামাজিক-দায়িত্বে-কর্মে অগ্রণি ভুমিকা নিতে উদ্বুদ্ধ করে আসছিলেন। ১৯৫০ সন পর্যন্তও এদেশের মেয়েদের নাটকে মঞ্চে অভিনয় করতে দেখা যেতো না। পুরুষদের দিয়েই নারী-চরিত্রে অভিনয় করানো হতো। ১৯৫১ সনে ‘প্রান্তিক নবনাট্য সংঘ’ সুসংগঠিত করার পর ‘জবানবন্দী’ নাটকে কামেলা শরাফী আর মনি ইমাম প্রথম মঞ্চনাটকে অভিনয় করে সামাজিক বিধি-নিষেধ ও সংস্কারের বেড়ি ভাঙেন। ‘তৎকালীন নাটকে শৌখিন মহিলা শিল্পীর এটাই ছিল সর্বপ্রথম মঞ্চাবতরণ।

পরিচিতির তৃতীয় বর্ষ প্রথম সংখ্যায় কামেলা শরাফীর (কামেলা খান মজলিস) প্রান্তিক নবনাট্য সংঘর বার্ষিক সম্মেলনে পঠিত ‘সাংস্কৃতিক জীবনে নারীর ভূমিকা’ শীর্ষক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়। নারী-প্রগতি বা নারী-স্বাধীনতার আন্দোলনের ইতিহাসে এই প্রবন্ধটি অবশ্যই ঐতিহাসিক মর্যাদার দাবিদার তিনি বলেন : ‘সমাজের যূপকাষ্ঠে বর্তমানে নারী তার ব্যক্তিত্বকে সম্পূর্ণভাবে বলি দিচ্ছে। সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে, মানুষের উন্নতি হচ্ছে, অথচ নারীর মর্যাদা কোনো অংশে বর্দ্ধিত হয়নি। কিন্তু কেন? তার মূলগত কারণ হচ্ছে অর্থনীতি।’

লেখিকা সংস্কৃতিক্ষেত্রে নারীদের পশ্চাৎপদতার কথা উল্লেখ করে বলেনÑজীবনের সবচেয়ে যেটা প্রয়োজন তাকে নারীরাও  উপেক্ষা করতে পারে না। তাই আমাদের মহিলাদের নিকট আমার আবেদন যে তাঁরা আরও সচেতন হয়ে তাদের স্বার্থ অর্থাৎ নারীদের নিজস্ব অধিকার সম্বন্ধে বুঝেÑনানাভাবে এগিয়ে আসুন কাজের ভেতর দিয়ে। সাংস্কৃতিক জীবনে রয়েছে আমাদের অধিকার। কারণ এই অধিকারই আমাদেরকে বেশি ভাবে বুঝিয়ে দেবে বা সচেতন করবে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের অধিকার সম্বন্ধে। আজ আর বিধিনিষেধের দোহাই দিয়ে চুপ করে থাকা সম্ভব নয়। শিল্পের বা সাহিত্যের অনাবিল আনন্দ আমরাও গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। আমাদের সে পিপাসু মন ভরে উঠবে এই জীবনানন্দে। আমাদের মহিলাবৃন্দের নিকট আমার অনুরোধ তাঁরা যেন সচেতনভাবে নাটক, সঙ্গীত প্রভৃতি শিল্পকলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। নারী সমাজের শিক্ষা দেবার ভার আমাদের। এই দায়িত্ব পালন করে নিজেদের স্বাধিকার অর্জনের পথে এগিয়ে আসুন।৩

পরিচিতির মতো একটি পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছিল সেই ভাষা-আন্দোলন এবং যুক্তফ্রন্ট (১৯৫৪) নির্বাচনের পূর্বে ১৯৫১-৫৩ সময়ে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ, অসাম্প্রদায়িক ভাবধারা এবং বাংলা ভাষা, সঙ্গীত, নাটক, নানা কলা ও সংস্কৃতির বিকাশে পরিচিতির অবদান তাই ঐতিহাসিক গুরুত্বের দাবিদার।

আজিজ মিসির (সিরাজুল ইসলাম) লিখেছেন : ‘সীমান্তর মতো পত্রিকা একদিকেÑআর অন্যদিকে রেলওয়ের ওয়াজিউল্লাহ ক্লাব থেকে আর একটি পত্রিকা ‘পরিচিতি’…পাশাপাশি দেখলেই বোঝা যায় যে চট্টগ্রামে তখন প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলন কিভাবে চলছিল। এই পত্রিকা দুটির কপি যদি এখন কারো কাছে থেকে থাকে তবে দেখা যাবে যে আজকের যাঁরা ঢাকার প্রতিষ্ঠিত লেখক তাঁদের অনেকেরই গল্প-কবিতা—-এ’দুটি পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। ঢাকা থেকে তাঁরা লেখা পাঠাতেন আর আমরা ছাপাতাম, এতে বোঝা যায় যে ঢাকায় তখন এধরণের পত্রিকা ছিল না।’৪

 

 

কখনও কখনও কৃষ্টি, অগত্যা, ম্ক্ুিত, যাত্রিক সে চাহিদা পূরণ করলেও আজিজ মিসিরের মন্তব্যে সত্য আছে। ‘সীমান্ত’ মোটামুটি পাঁচ বছর এবং ‘পরিচিতি’ তিন বছর চট্টগ্রাম থেকে বের হয়েছিল বলে ১৯৪৭ থেকে ১৯৫৩ পর্যন্ত প্রগতিশীলদের রচনা প্রকাশের মাধ্যম তখন চট্টগ্রামে ছিল এবং এতে গোটা পূর্ব বাঙলার প্রাণ-প্রবাহ অন্তত কিছুটা ধ্বনিত হয়েছিল। অতপর মোসলেমউদ্দীনের রেলওয়ে ইনস্টিটিউটের সম্পাদকের কার্যকাল শেষ হলে পত্রিকাও তিন বছর চলার পরে ১৯৫৩ সনের শেষ নাগাদ বন্ধ হয়ে যায়। চট্টগ্রামের সাংস্কৃতিক জীবনেও তখন থেকেই কেমন একটা ভাটা পড়লো। কারণ সে সময়ে চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র ছিল রেলওয়ে অধ্যুষিত এলাকা।

 

তথ্যপঞ্জি:

১.মফিজ উল হক, ‘স্মৃতির সায়রে চট্টগ্রাম’, চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক আন্দোলন : প্রগতিশীল ধারা, পৃ. ৬৭।

২.আজিজ মিসির (সিরাজুল ইসলাম), পঞ্চাশ দশকের শুরু : প্রগতিশীল আন্দোলন, চট্টগ্রামে সাংস্কৃতিক আন্দোলন : প্রগতিশীল ধারা, পৃ. ৪০।

৩. পরিচিতি, সম্পাদকম-লীর সভাপতি মফিজউল হক, ৩ বর্ষ, ১ সংখ্যা, বৈশাখ-আষাঢ়, ১৩৬০, পৃ ১০।

৪. আজিজ মিসির, পূর্বোক্ত, পৃ. ৩৮।

৫. মফিজউল হক, পূর্বোক্ত, পৃ. ৬৭-৬৮।

 

ইসরাইল খান, প্রাবন্ধিক ও গবেষক

আবির প্রকাশন

আপনি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- ঘরে বসেই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারেন অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে আবির প্রকাশন থেকে। আমরা বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন

গণতন্ত্রহীন রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বাঙালি চিরকালই বিদ্রোহী। ইতিহাসের কোনো পর্বে সে কোনো পরাধীনতাকে বেশি দিন মেনে নেয়নি। উপমহাদেশের ক্ষমতার কেন্দ্র দিল্লি থেকে দূরে হওয়ায় এবং সাড়ে

বিপ্লব যাতে বেহাত না হয় ( সম্পাদকীয় – আগস্ট ২০২৪)

জুলাই মাসের কোটাবিরোধী আন্দোলন শেষ পর্যন্ত আগস্টের ৬ তারিখে ১৫ বছর সরকারে থাকা আওয়ামী লীগের পতন ঘটিয়েছে। অভূতপূর্ব এই গণঅভ্যুত্থান ইতোপূর্বে ঘটিত গণ অভ্যুত্থানগুলোকে ছাড়িয়ে