ইলিয়াস বাবর
বেসিনের আয়নায় নাদিয়া নিজেকে দেখে ভড়কে যায় রীতিমতো। ফোলা ফোলা চোখ, তার নিচে গাঢ় কালচে দাগ। চুলগুলো বেহিসেবী কাশবন। একটা সময় এই চুল নিয়ে সে কি আহ্লাদ নাদিয়ার! মা যতন করে সিঁথি করে দিতেন। সুগন্ধী তেলের বাসনা পেয়ে কিছু চুল ওড়াউড়ি করতো কপালের দু’দিকে। সেই চুল আজ পাখির বাসা। বেসিনের টেপ ছেড়ে মুখে পানি দেয় সে। আধো-শীতের মাঝরাতে পানির ছটাঁয় বেশ আরাম বোধ করে সে। ঠান্ডা পানির পরশে শীতভাব জেগে ওঠে একটু একটু করে। গায়ের ওড়নায় মুখ মুছে নেয় নাদিয়া। আরেক বার খেয়াল করে নিজের মুখ, বিষাদে ঢাকা গোলগাল একখানা মুখ।
বাথরুম থেকে বের হয়ে নিজের রুমে আসার পথে বাবার রুম। বাবা নিশ্চয়ই নাক ডেকে ঘুমাচ্ছেন এতক্ষণে। ভেজানো দরোজা দিয়ে ডিম লাইটের মিষ্টি আলো বেরিয়ে আসছে নিজের মতো করে। টাইলসে সেই আলোর প্রতিবিম্ব খেলা করছে চমৎকার আদল নিয়ে। বাবার এই এক অভ্যেস অন্ধকারে ঘুমাতে পারেন না; পারতপক্ষে ডিম লাইট জ্বালানো চাই। দরোজার কাছে যেতেই নাদিয়া টের পায় ভেতরে কেউ কথা বলছে। এত রাতে মেয়েলি হাসি, তাও বাবার রুমে! কান খাড়া করে নাদিয়া। হুম, হাসি, হাসির সাথে কথা, ফিসফিসিয়ে। ভেজানো দরোজা গলে নারীর লম্বা ছায়া ছড়িয়ে আছে বাবার রুমের বাইরের প্যাসেজে। তাদের ঘরটা চার রুমের। মাঝখানে হাঁটার গলি, দু’পাশে দুটো করে রুম। বাবার রুমের পরের রুমটা নাদিয়ার। ছায়া দেখে নাদিয়ার বুঝতে কষ্ট হয় না মানুষটি কে। তাকে চিনে সে, আর চেনে পুরুষ মানুষটির গলা; জন্মের পর থেকে। বাবা কি প্রেসারের ওষুধ খেতে ভুলে গেছেন? নাকি গরম পানি নিয়ে আসছেন উনি? বাবা আবার বিরতি দিয়ে পানি পান করেন, শীতরাতে কুসুম গরম পানি। কখনো দরকার পড়ে প্রয়োজনীয় কিছু। যখন তখন পান খাওয়ার বাতিক আছে তার, জর্দা দিয়ে মহেশখালীর মিষ্টি পান। আহারে, মেয়েকে কষ্ট দিতে মন চায়নি বুঝি বাবার! কিন্তু তারা হাসছেন কেন এত রাতে?
প্রায় অসাড় দেহটি এলিয়ে দেয় খাটে। নিজেকে পৃথিবীর সবচে ভারী বস্তু ঠাহর হয় নাদিয়ার। বুক ভেঙে কান্না আসে তার। হুহু করে কাঁদতে গিয়ে দেখে কণ্ঠে জোর নেই এক রত্তি; চোখে শ্রাবণের ধারা। ওড়নায় চোখ মোছে বারবার। তবুও অশ্রুরা বানের গ্রোতের মতো আসতে থাকে। রাত কত এখন? রুমের দেয়ালে টাঙানো আছে ঘড়ি, দেখার ইচ্ছে হয় না নাদিয়ার। অনেক কথা মনে পড়ছে তার। মা মারা যাবার পর চাচীমাই তাকে সবচে বেশি ভরসা দিয়েছেন। নিজের মেয়ে জ্ঞান করে আগলে রেখেছেন। এমনকি নাদিয়ার কথায় নিজ ঘর ছেড়ে নাদিয়াদের ঘরে ওঠেছেন। নাদিয়ার বাবারা দুই ভাই। চাচা থাকেন প্রবাসে, বাবার ফার্মেসী আছে বাজারে। দুই ভাই ওয়ারিশী সম্পত্তিতে আলাদা করে ঘর তুলেছেন। মোটামুটি দূরত্বে ঘর-কন্যা নিয়ে ভালো আছেন দুজনেই। দেশ-বিদেশ থাকাতে দুই ভাইয়ের কখনো হয়নি কথা কাটাকাটি। দেশে থাকলে সামিয়ার বাবা, মানে নাদিয়ার চাচ্চু বড়ভাইকে বেশ সমঝে চলেন, সম্মান করেন। চাচ্চুই নাম রেখেছেন নাদিয়ার। টিভির কোন এক ডাকসাইটে সুন্দরী অভিনেত্রীর সাথে মিলিয়ে। বাবা নাকি খুব বেজার হয়েছিলেন তখন। তার আশা ছিল, এবার ছেলে হবে। মেয়ে তো আছে। সে চলে যাবে শ্বশুর বাড়ি। একটা ছেলে, ছেলে না। বিপদ-আপদে ভাইয়ের হাত দরকার। বাইরের লোক তামাশা দেখে, উদ্ধার করে রক্ত। মায়ের ওপর অভিমান ছিল বাবার, মেয়ে জন্ম দেয়ার অপরাধে কথা বলেননি কয়েকদিন। এই এতটুক বয়সে নাদিয়ার কখনো মনে হয়নি বাবা তাকে অপছন্দ করে। বরং অন্য দুই সন্তানের চেয়ে তার প্রতি একটু বেশি পক্ষপাত বাবার। নাদিয়ার চোখ বেয়ে অবিরত নেমে আসছে শোকের অশ্রু। পাশে মরার মতোন শুয়ে আছে সাদিয়া। এখন কারো সাথে কথা বলতে মন চাইছে নাদিয়ার। এই নিরালা রাতে কে সঙ্গ দেবে তাকে? মায়ের কথা মনে পড়ছে, খুব করে মনে পড়ছে এই মাঝ রাত্তিরে।
তখনো মা খুব স্ট্রং। রোগ কাবু করতে পারেনি সেভাবে। ডাক্তার বলেছেন রেস্ট থাকতে, নিয়মিত ওষুধ খেলে ঠিক হয়ে যাবে। মা চিরকাল সংসারে কম কথা বলেছেন, বিশেষত বাবার পাশে বসে। যেন বাবার বক্তব্যই তার বক্তব্য। বট গাছের পাশে বাকিরা মাদার গাছ; মা ঠিক মাদার নয়, বাঞ্চাকল্পতরু। সাহেদ ভাই, মানে নাদিয়ার একমাত্র বড়ভাই বলে, মা কখন থেকে কম কথা বলে জানিস? বড়পা তার মাস্টারের সাথে যে রাতে পালিয়েছিল, সেই খবর রাষ্ট্র হবার পর বাবা রুমের দরোজা বন্ধ করে মাকে বেদম পিঠিয়েছিল, ঠিক তখন থেকে। বাবার এক কথা, যত দোষ মায়ের। কেমন মা, যে তার মেয়েকে দেখে
রাখতে পারে না! নাদিয়ার সেসব ঠিক মনে নেই। বড়পার সাথে তার বয়সের ব্যবধান এক যুগের বেশি। বড়পা যখন রঙিন চশমা পরে দুনিয়া দেখে তখন মাটির সাথে কথা বলতো নাদিয়া। কিন্তু বড়পার বিষয় নিয়ে মাকে কখনো বিষণœ হতে দেখেনি সে। বরং বড়পা তার বরের সাথে নিজেদের চার চাকার গাড়ি নিয়ে বাচ্চাকাচ্চাসহ বেড়াতে আসলে বেশ আনন্দ পেতেন মা। মেয়েজামাইকে নানা পদের পিঠা করে খাওয়াতেন। এমনকি এলাকার যারা একদা পান থেকে চুন খসলে বড়পার পালিয়ে বিয়ে করাকে পরিবারের দাগ বলে চিহ্নিত করতে চাইতেন, তারাও স্বীকার করে নিতেন, মেয়েটার সিদ্ধান্ত মন্দ হয়নি। নাদিয়ার মৃদুভাষী মাকে হঠাৎ সরব করে দেয় রোগের বেদিশা প্রতিক্রিয়া। সময়ের সাথে রোগ এত বেশি বেয়াড়া হয়ে যায়, মা আর কুলিয়ে উঠতে পারেন না। ততোদিনে শুরু হয়ে গেছে কেমো আর ইনজেকশন। ভাইয়া, মানে বড়পার বর বাবাকে বলেছিল, দেশে এ রোগের চিকিৎসা তেমন নেই, অন্তত ইন্ডিয়া নিয়ে দেখি। বাবা রাজি হয়নি। বলেছিল, এত জার্নি সে নিতে পারবে না, তারচে বরং কষ্ট না দিয়ে দেশে চিকিৎসা চলুক।
একেকটা কেমো শেষ হলে নাদিয়ারা খেয়াল করে, মা যেন বরই গাছ হয়ে যায়! ঢিলের সাথে নেমে আসে বরই, ঝরে যায় পাতাও। শীতশেষে একেবারে মুষ-, পাতা নেই, ফুল নেই, ফল নেই। এত দ্রুত মায়ের অবনতি দেখে বুক ভেঙে যায় নাদিয়াদের। মায়ের চুল নেই মাথায়, আশ্চর্য সুন্দর ত্বক খসখসে। ওজন একদম কমে গিয়ে লিকলিকে পেন্সিল। এক সময় এলাকার সবচে স্বাস্থ্যবান-সুন্দরী মহিলা হিসেবে মায়ের যে নাম ছিল, তা খুঁজতে গিয়ে নাদিয়া কেবল নিজের জন্য সংগ্রহ করে আনে অনেকান্ত বেদনা। মায়ের সামনে কাঁদতে পারে না। বাথরুমে গিয়ে অঝোরে কাঁদে নাদিয়া। মানুষ বুঝি এতই সস্তা? সাধের একটা জনম এমন আচম্বিক খেয়ে ফেলবে কর্কট ব্যাধি? একটা জ্যান্ত গাছ মুহূর্তেই উপড়ে যাবে ঝড়ে? মা শেষবারের মতো বাবাকে আবারো বাঁচিয়ে দিলেন নিজে হেরে গিয়ে। ঝড় থেকে বাঁচার নয়, ঝড় নিয়ে যাবার তাগিদে মা হাজিরা দিয়েছেন অন্য আলোয়। বড়পা বলেছিল, বাবার চেষ্টায় ঢুকে গিয়েছিল চোরা সাপ। বাবা মনে করতেন, যে যাবে তার পেছনে খরচা মানে অপচয়। অথচ মায়ের চিকিৎসার অধিকাংশ খরচ জুগিয়েছেন বড়পার বর। বড়পার স্থির বিশ্বাস মাকে বাইরে নিয়ে গেলে, এমনকি দেশেও যদি উপযুক্ত চিকিৎসা দেয়া যেত, বেঁচে যেতেন তিনি। বাবাকে বড়পার চেয়ে কে বেশি চেনে? সবকিছু ঠিক হয়ে গেলে একদিন যে বাবা বলতে পেরেছিল, তুই পালিয়ে না গেলে বহু টাকা জলে যেত, বড় বাঁচায়ে দিলি মা। শোনা কথা কি তার দ্বারা এটাও সম্ভব। শোনা যায়, মাকে দেয়া ইনজেকশন ছিল মেয়াদ-উত্তীর্ণ। বাবার মেডিসিনের ব্যবসা, চিনেন-জানেন ঔষধ কোম্পানীর লোকদের। কে হায়, মৃত্যুর বিনিময়ে এসব খুঁড়তে যায় ক্ষতের গভীরে?
একেবারে কড়ে হিসেব নাদিয়ার, মা নেই আজ তেত্রিশ দিন। এর ভেতর বদলে গেছে তার পুরো দুনিয়া। একদিনের জন্যও সে স্কুলে যায়নি। বন্ধুরা দল বেঁধে দেখতে এসেছিল তাকে, তাদের কেউ কেউ এত আহত হয়েছিল বন্ধুর মায়ের মৃত্যুতে, একেবারে অন্যরকম। নাদিয়াদের পাশের ঘরের মনিকারাও কি কম কেঁদেছে? বাইরের যে কেউ অবাক মানে মনিকা আর নাদিয়াদের ঘর দেখে। হিন্দু-মুসলিম দুই ধর্মের পরিবারের দুইটা বিল্ডিং মাঝে কেবল একটা দেয়াল। এ ঘরের রান্না ও ঘরে যায়; ও ঘরের রান্না এ ঘরে। সম্প্রীতির এমন দৃষ্টান্ত বহু জায়গায় বিরল। এমনকি নাদিয়া-মনিকাদের এই মেট্রিক দেবার বয়সেও কোনদিন ফারাকের কিছু দেখেনি তারা। মনিকাদের পুজোয়, নাদিয়াদের ঈদে থাকে উভয় পরিবারের আন্তরিক অংশগ্রহণ। চমৎকার এই পরিবেশে মায়ের রুমে এখন থাকেন চাচিমা তার ছোটমেয়েসহ। ক্লাস নাইনে পড়ুয়া সাদিয়া থাকে নাদিয়ার সাথে। নাদিয়ার রুমের বিপরীত পাশের রুমটাতে বড়ভাই। মা কবরস্থানে যাবার সপ্তাহখানেক পরেই কথাটা উঠিয়েছিল খালারা। দুলাভাই আবার বিয়ে করুক। বাবা ক্ষীণ হেসে বলেছিল, ছেলেকে বিয়ে করানোর সময়; তাছাড়া আমার মা নাদিয়া আছে, কী করে বলো, ওসব করতে এখন? আমার বউ গত হতে না-হতেই এমন প্রস্তাব নিয়ে আসলা তোমরা, বাচ্চা পোলাপাইনের মতো! নাদিয়াকে কোলে নিয়ে বাবা এক চোট কেঁদে সারা। পুরো ঘরে নতুন করে চাঙা হয়ে ওঠে শোক-ব্যথা। এর ভেতর মুশকিল আসানের ডিব্বা হয়ে আসে সাদিয়ার মা। ভাইজান টেনশন করিয়েন না, আমি আছি না! তাতে খালারা খুশি, অন্তত ছোট মেয়েটাকে কষ্ট করে চুলায় যেতে হবে না। চাচি অনেকটা মায়ের মতোই। চাচাতো বোনেরা থাকলে সময়টাও যাবে বেশ। নাদিয়া খুব করে চায়, চাচিমা তাদের সাথে থাকুক।
অপমান আর বেদনায় নীল হতে থাকে নাদিয়ার মন। হালকা শীতেও তার গরম বোধ হয়। হাত দিয়ে দেখে কানের লথি গরম হয়ে আছে। বেশ ভালো হতো যদি, বাড়ির সামনের পুকুরের পানিতে হাত-পা ভেজানো যেতো। এই পুকুর নিয়ে পুরো এলাকার মানুষদের জন্মের অজগ্র স্মৃতি। নাদিয়ারা জন্মের পর থেকে দেখে আসছে, মসজিদের পুকুর অথচ চার পাড়ের পাকা ঘাটে এলাকার হিন্দু-মুসলিম নিজেদের মতো করে ব্যবহার। বছরশেষে মাছ ধরে চলে বিশাল ডাক।
ভাগে মাছ কেনার আনন্দ দেখা নিয়ে বড় হয়েছে নাদিয়াদের শৈশব। পুকুরের দক্ষিণপাড়ে মসজিদের পরে এলাকার কবরস্থান, সেখানে শুয়ে আছেন নাদিয়ার মা। মনিকারা বলে, মাকে যখন খাটিয়ায় করে কবরের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল, তখন নাদিয়া পাগলপ্রায়। এমন জোরে হৃদয়ছেঁড়া কান্না করছিল সে, মাকে বিদায় দিতে আসা কোনো মহিলাই ধরে রাখতে পারেনি নিজেদের চোখের পানি। জলতোলা মাছের মতো তড়পাচ্ছিল নাদিয়া। বুক ভাঙা আর্তনাদে যেন নেমে আসছে আরশের মালিক! কেউ কেউ বলেছিল, সবচে বড় দুঃখ সেটাই, মরার সময় ঘরে সোমত্ত মেয়ে রেখে যাওয়া। বেচারির কলিজা পঁচবে না এই মেয়ের জন্য। আহারে, ননাইয়ের কান্নায় গাছের পাতা ঝরে! এখন, এই আলুথালু সময়ে মায়ের কবরের কাছে যেতে পারলে ভালো লাগতো নাদিয়ার। কিন্তু মেয়েদের যে কবরের কাছে যাবার অধিকার নেই! ফুপিয়ে কান্না আসে তার। সাথে অশ্রুর ধারা। উঠে দাঁড়ায় সে। রুমে পায়চারি করে। পড়ার টেবিল পড়ে আছে অনাদরে। দেয়ালঘড়িটা একদম একা। টক টক করে হাঁটছে সেকেন্ডের কাঁটা। দারুণ একটা ছন্দ, টক টক টক। ব্যাটারি শেষ হয়ে এলে কেটে যাবে ছন্দের তাল। বোবা হয়ে থাকে ঘড়ি, জন্মের অপরাধে বুক চিতিয়ে শুয়ে থাকে দেয়ালে, অনেকটা মানুষের মতো– দম ফুরালে ঠুস! পায়চারি করতে করতে বাবার রুমের দরোজার দিকে যায় নাদিয়া। বাবা বলে ডাকতে গিয়েও থেমে যায়। ভেজানো দরোজায় উঁকি দিয়ে দেখে, শীতার্ত রাতের আশ্রয়হীন বুড়ির মতো কাঁপছে বাবার খাট। তাতে হাঁড়ি-পাতিল খেলছে দু’জন মানুষ!
ঘাড় ফিরিয়ে নাদিয়া খেয়াল করে, প্যাসেজে দাঁড়িয়ে আছে সাদিয়া। রাজ্যের জিজ্ঞাসা তার চোখেমুখে। ভেতরে কিসের এত শব্দ? সাদিয়ার মুখের আওয়াজ বড় হবার আগেই এক প্রকার জোর করে তাকে নিজেদের রুমে নিয়ে যায় নাদিয়া। কান্নার চেষ্টা করেও দুই কাজিন ব্যর্থ হলে জানলা খুলে ওয়াক থু মারতেই নাদিয়ার ঠাহর হয়, বড়পার চোখে দেখা চোরা সাপ মাঝ রজনীতে ঝরছে কুয়াশা হয়ে!
ইলিয়াস বাবর, গল্পকার