স্বপ্নের মতো ঘোরের মধ্যেই কেটে গেল দুই যুগ। অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং ক্ষরণ ছিলো সেই ক্রান্তিকালে। অনেকটা অপ্রস্তুতভাবে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম “আন্দরকিল্লা’’ প্রকাশনায়। অনেকে মুচকি হেসেছিলেন। আমি এসব তোয়াক্কা না করে ছুটে চলেছি আমার মতো। সময়ের ঘূর্ণনে আন্দরকিল্লা নিশ্চয় একটা যৌক্তিক সময়ে এসে দায়িত্বশীল ভূমিকায় আছে। এখন এই বৈরী সময়ে ¯্রােতের বিপরীতে গিয়ে সাহিত্যপত্রিকা প্রকাশ এক ধরনের দুঃসাহস ছাড়া আর কিছুই না। আমি আগামী দিনগুলোতে এই ব্রতেই থাকতে চাই। সেটা যত কঠিনই হোক না কেন?Ñকঠিনেরে ভালোবাসিলাম।
বিগত দুই যুগ ধরে অনেকটা নিঃসঙ্গ শেরপার মতো আন্দরকিল্লা ফেরিওয়ালা ছিলাম। আমার এই কণ্টাকাকীর্ণ পথ চলতে যারা আলোর পথ দেখিয়েছেন, নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি টুপিখোলা কৃতজ্ঞতা। আগামীতে আন্দরকিল্লা আরো নানা বর্ণিল উপাচারে প্রকাশিত হবে, সৃজনশীল একটি প্ল্যাটফর্ম হবে। আমার ধ্যান-জ্ঞানে এখন শিল্প-সাহিত্য-সংষ্কৃতি ও সমাজভাবনামূলক কাগজ ‘আন্দরকিল্লা’ ছাড়া আর কিছুই নেই।
‘আন্দরকিল্লা’ কোন গোষ্ঠী বা দলের মুখপত্র নয় কিংবা বিশেষ কোনো গোষ্ঠী ও বিশেষ কোনো বলয়ভুক্তও নয়। এখানে প্রকৃত সৃজনশীলজনের প্রবেশ অবাধ। কারো চেহারা দেখে কিংবা অর্থবিত্ত প্রতিপত্তি দেখে এখানে কোনো লেখা ছাপানো হয় না। প্রকৃত সৃজনশীলতা বিবেচনা করেই প্রকাশযোগ্য হয়। মুক্তবুদ্ধি ও মুক্তচর্চার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী ‘আন্দরকিল্লা’ এখন প্রাজ্ঞ পাঠকদের মণিকোঠায় অবস্থান করছে।
আশাকরি আগামীতেও তা সমানভাবে অব্যাহত থাকবে। আন্দরকিল্লা’র আগামী দিনের পথচলার সহযাত্রী হোন। ‘আন্দরকিল্লা’র সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে রজতজয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।