ক.
ফুল হলে রং আর সুগন্ধীতে
তুমি ওঠে আসো কাঁটার আড়াল থেকে
তোমাকে আলগা করে নখের কিরিচ
রক্তাক্ত দেহে ঘুরে বেড়াও এহাতে ও হাতে।
গোলাপ তুমি কেন যে পদ্ম হও না
পুজোর থালায়।
খ.
শব্দময়ে তুমি কবিতা, উড়ে গেলে
উড়িয়ে দিলে আবেগ উঠোন, ঘরবাড়ি, গেরস্থালী।
যাচ্ছো যাও! জল কুয়াশা চোখের পাতায়
সত্যি বলছি তোমার কাছে যাবোই
থাকবে কি প্রতীক্ষায়!
গ.
আমার বিনিদ্র রাত এপাশ ওপাশ
ঘরভর্তি অন্ধকার ঘিরে রাখে অস্তিত্ব আমার
পৃথিবীর দুই চোখ একটা আমার একটা তোমার
আমার চোখে কেন যে অনন্ত জিজ্ঞাসা!
ঘ.
তোমার অহংকার তোমার পূর্ণতায়
মাটির গন্ধে আমি বিভোর আঁকড়ে পড়ে আছি
খাল, বিল, সমুদ্রের পাড়ে। হাসছো কেন?
কি দেখো আমার ভেতরে! চলো দেখি জন্মান্তর তাবিজ গলে
সমুদ্র সংসার হোক না দু’জনের আরেকবার।
ঙ.
আমাকে দিশা দেখাতে দেখাতে ‘তারা’ হও যদি
আমি চিলেকোঠায় রাতে মিশে রবো, চোখে নদী।
চ.
দুটো প্লেট তাকিয়ে থাকে আমার দিকে
একটা প্লেটের কাঁটাচামচ আর ছুরি
আমার বুকের রক্ত নদীর গভীরতা মাপে
কত আগে ফালা ফালা হয়েছে জাগতিক টান।