বৃটিশ শাসন-শোষণ থেকে মুক্ত হয়ে ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগ হলে মানুষের মনে এক ধরণের ধারণা জন্মেছিল যে, যাক এবার শোষণ মুক্ত হয়ে স্বাধীন জীবন যাপন করতে পারবো। দেশভাগের পাঁচ বছরের মাথায় পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক ও লুটেরার দল প্রথম আঘাত হানলো বাঙালির ভাষার উপর। বুকের তাজা রক্ত দিয়ে বাঙালি বুঝিয়ে দিল বাঙালি মাথা নত করে না। বাঙালি বীরের জাতি। সেটি আরো অনেক আগে বৃটিশদের দেখিয়ে দিয়েছিল সূর্যসেন-প্রীতিলতারা। সে যাই হোক। রক্তের বিনিময়ে রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই বাঙালির মনে স্বাধীনতার সূর্য উঁকি মেরেছিল। তখন থেকেই শুরু হয় স্বাধীকার আন্দোলনের সূচনা। পশ্চিম পাকিস্তানিরা পূর্ব বাংলার মানুষদের সীমাহীন শোষণ ও নির্যাতনের মাত্রা যতই বাড়িয়ে দিল বাঙালির মানসপটও ততই দ্রোহের অনলে জ্বলে উঠছিল। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ছয়দফা আন্দোলনের মাঝেই স্বাধীনতার স্বপ্নের বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল। উনসত্তুরের গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন এবং ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন বাংলার লাল সবুজের পতাকা পত পত করে ওড়ে। বাংলার দামাল ছেলেরা যে দ্রোহের তাড়নায় মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বৈষম্য ও শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য সেটা প্রতিষ্ঠা হবার আগেই বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা। ভূলুণ্ঠিত হয় বাঙালির শোষণহীন সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের। নতুন নতুন সরকার আসে যায়। যে যার মতো দেশ চালায়। কিন্তু যে লক্ষ্যে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সে লক্ষ্য থেকে ক্রমাগত সবাই সরে যেতে থাকে। এখানে নতুন নতুন লুণ্ঠনকারী লুটেরা মাফিয়া গোষ্ঠী তৈরী হয়েছে। তারাই এদেশকে লুটেপুটে খাচ্ছে। ষোলো কোটি মানুষ অসহায়ের মতো লুণ্ঠনকারী মাফিয়া গোষ্ঠীর শোষণ প্রক্রিয়ায় পিষ্ট হতে হতে তাদের পিঠ এখন দেয়ালে ঠেকে গেছে।
এখানে এখন একদল মানুষ রাতারাতি হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছে অনায়াসে অবলীলায়। আর টাকাগুলো দেশে না রেখে বিদেশে পাচার করে দিচ্ছে। আরেকদিকে কোটি কোটি মানুষ বৈষম্যের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এমতাবস্থায় এখন আমাদের আরেকজন শেখ মুজিবের দরকার। যার ডাকে মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়বে বৈষম্য ও শোষনহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার। আমার মনে হয় সেদিন আর বেশি দূরে নয়। আমি শোষিতের পক্ষে, আপনি?
আবির প্রকাশন
আপনি দেশে বা বিদেশে যেখানেই থাকুন না কেন- ঘরে বসেই গ্রন্থ প্রকাশ করতে পারেন অনলাইনে যোগাযোগের মাধ্যমে আবির প্রকাশন থেকে। আমরা বিগত আড়াই দশকে বিভিন্ন