এখন সময়:দুপুর ১২:২৯- আজ: শনিবার-১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:দুপুর ১২:২৯- আজ: শনিবার
১৩ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

মানুষ ও মঙ্গল মানব

সরকার হুমায়ুন

দুজন মহাকাশচারী- একজন পুরুষ এবং একজন মহিলা মঙ্গল গ্রহ অভিযানে গেলেন। তারা নিরাপদে মঙ্গল গ্রহে অবতরণ করেন। সেখানে তাদেরকে অতিথি হিসেবে মঙ্গলবাসীরা সাদরে গ্রহন করলো। মঙ্গলবাসীদের এমন অতিথিপরায়ণ হিসেবে দেখতে পেয়ে নভোচারীদ্বয় খুব খুশি হলেন। তারা অতিথিদের নিয়ে ঘুরে ঘুরে মঙ্গলের প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখাতে আগ্রহবোধ করেন। মঙ্গলবাসীদের বিভিন্ন সংস্কৃতি দেখালেন। এভাবে কয়েকদিন কেটে গেল। এবার নভোচারীদ্বয় গবেষণায় নেমে গেলেন। গবেষণার বিষয় মঙ্গোলিয়ানদের কিভাবে বংশ বিস্তার ঘটে সে বিষয়ে সবিস্তারে জানা।এইজন্য, নভোচারীরা তাদেরকে একটি কঠিন প্রশ্ন করার সিদ্ধান্ত নেন।

তাদের হোস্টদের কাছে প্রশ্ন করলেন,”কীভাবে তোমরা তোমাদের বংশ বিস্তার করো ?” মঙ্গলগ্রহের নেতা সিংহের মত কেশর দুলিয়ে নভোচারীদের একটি পরীক্ষাগারে নিয়ে যায়; যেখানে সে তাদের দেখায় যে, পরীক্ষাগারটি কিভাবে মঙ্গলবাসীদের বংশ বিস্তার ঘটায়। প্রথমে তাদেরকে টিউবের মধ্যে কিছু সাদা তরল পদার্থ দেখালো , তারপরে তরলের মধ্যে সাবধানে একটি বাদামী পাউডার ছিটিয়ে দিল। মিশ্রণটি নাড়াচাড়া করে ঘুটিয়ে একপাশে রেখে দিল। মহাকাশচারীদের তারা বলল যে, কিছুদিনের মধ্যে এই মিশ্রণ থেকে জন্ম নেবে একটি নতুন মঙ্গল সন্তান । এবার মঙ্গলবাসীদের প্রশ্ন করার পালা। তারা জিজ্ঞেস করল, “কিভাবে পৃথিবীতে মানুষ জন্মলাভ করে থাকে? নভোচারীরা কিছুটা বিব্রত হলেও অবশেষে একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করেন। তারা সাহস সঞ্চয় করে পুরুষ নভোচারী নারীটিকে জড়িয়ে ধরে প্রেম করতে শুরু করে। যেন তারা কৃষ্ণ লীলায় মেতে ওঠলেন। এটি দেখে মঙ্গোলিয়ানরা হাসিতে ফেটে পড়ে এবং নভোচারীদের আর এগুতে মানা করে ।নভোচারীরা বললেন, “এতে মজা করার কি আছে! এত হাসির কি হল ? এই প্রেম লীলার পর নারী তার পেটে সন্তান ধারন করে। নয়/দশ মাস কেটে যায়।তারপর একটি মানব সন্তান জন্মলাভ করে।” মঙ্গলগ্রহের নেতা বললেন, “হুম! তোমাদের জন্ম প্রক্রিয়াটি খুব কষ্টদায়ক। দীর্ঘ দশ মাস পর পর একটি মানব সন্তান জন্ম নেয়।তাহলে পৃথিবীতে এত বেশি মানুষ এল কোত্থেকে?”

 

 

সরকার হুমায়ুন,  সায়েন্স ফিকশন লেখক, ঢাকা

একজন রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষ ও তাঁর তোলা কিছু দুর্লভ আলোকচিত্রের কথা

আলম খোরশেদ অনেকেই জানেন যে, প্রখ্যাত ফরাসি কল্পবিজ্ঞানলেখক জ্যুল ভের্ন এর কিংবদন্তিতুল্য গ্রন্থ ‘অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ’ অবলম্বনে ১৯৫৬ সালে হলিউডে একই নামে

প্রগতির পথে, জীবনের গান, সকল অশুভ শক্তির হবে অবসান” এই আহবানে উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের ৫৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

\ ভাস্কর ধর \ সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বানের মধ্য দিয়ে এবং প্রগতির লড়াইকে দৃঢ় করার দৃপ্ত শপথের মধ্য দিয়ে উদীচীর ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। 

আমার বাবা কর্নেল তাহের

জয়া তাহের   আমাকে যখনই কেউ জিজ্ঞাসা করেন, কর্নেল তাহেরের মেয়ে হিসেবে আপনার অনুভূতি কি? আমার চোখের সামনে এক নিমেষেই ভেসে ওঠে ৪০ বছরের অসংখ্য

ছাগল-মাহাত্ম্য

ড. ইউসুফ ইকবাল ভূপৃষ্ঠের বঙ্গ-ভূভাগে দ্রুতবর্ধমান প্রাণিকুলের মধ্যে সর্বাগ্রে উল্লেখযোগ্য প্রাণিটির নাম ছাগল। আমাদের একচুয়াল ও ভার্চুয়াল প্রতিবেশ-বাস্তব ও মেটাফোরিক পরিমণ্ডলে এর প্রভাব অপরিসীম। ছাগলের

সৈয়দ মনজুর কবির-এর অনুগল্প

শুধুই কলিজার টুকরা পারে   সম্প্রতিক সৃষ্টি হওয়া চরম বিপরীতমুখী দুই পরিবারের মাঝে একটি টানা বেড়ার আড়াল। শুধু ওপাশের আম গাছটির ছড়ানো লম্বা ডালটি চলে