এখন সময়:দুপুর ১২:১৯- আজ: মঙ্গলবার-২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

এখন সময়:দুপুর ১২:১৯- আজ: মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

অস্কার ওয়াইল্ড এবং ও হেনরীর দু’টি গল্প

ভাষান্তর : আলমগীর মোহাম্মদ

 

শিষ্য

অস্কার ওয়াইল্ড

 

নার্সিসাসের যখন মৃত্যু হলো তখন তার আনন্দের উৎস সেই জলাধার এক কাপ মিঠা পানি থেকে এক কাপ লবণাক্ত অশ্রুজলে রূপান্তরিত হল। পর্বতপরিরা বাগান পেরিয়ে কাঁদতে কাঁদতে হাজির হল  জলাধারকে গান গেয়ে শোনাতে এবং সান্ত¡না দিতে।

এবং তারা যখন দেখলো জলাধার আগের সেই অবস্থানে নেই, তারা তাদের চুলের সবুজ বেণীগুলো খুলে দিল। এবং জলাধারের কাছে বসে কেঁদে কেটে বললো, ‘ আমরা আশ্চর্য হইনি  নার্সিসাসের জন্য তোমাকে এভাবে শোক করতে দেখে কারণ সে অনেক সুন্দর ছিল।’

‘ কিন্তু নার্সিসা কি সুন্দর ছিল?’ জলাধার জিজ্ঞেস করল।

‘তোমার চেয়ে আর কে ভালো জানবে?’ পর্বতপরীরা জবাব দিল। ‘সে কি কখনো আমাদের পাশ দিয়ে হেঁটেছিল? কিন্তু, তোমাকে  তো সে খুঁজতো, তোমার পাড়ে শুয়ে থাকতো, তোমার গভীরে তাকাতো এবং তোমার জলের আয়নায় সে নিজের রূপ দেখতো।’

আচ্ছা,  জলাধার জবাব দিল, ‘ কিন্তু আমি নার্সিসাসকে ভালোবাসতাম কারণ,  সে যখন আমার পাড়ে শুয়ে, তার চোখের আয়নায় আমার গভীরে যখন তাকাতো,  তখন আমি  নিজের সৌন্দর্যের প্রতিফলন দেখতে পেতাম।’

“একটি আজব গল্প”

ও হেনরি

 

অস্টিনের উত্তর অঞ্চলে স্মোদার্স নামে একটি সৎ পরিবার বাস করতো। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিল জন স্মোদার, তাঁর স্ত্রী, এবং তাঁদের পাঁচ বছর বয়সী মেয়ে। কিন্তু বিশেষ একটা লেখায় তাঁদের তিনজনকে পাঁচজন হিসেবে দেখানো হয়েছিল।

একদিন রাতের খাবার শেষে মেয়েটি মারাত্মক শূলবেদনায় ভুগছিল। এবং জন স্মোদার মেয়ের জন্য কিছু ওষুধ আনার জন্য তাড়াহুড়ো করে শহরে চলে গেলেন।

তিনি  আর ফিরে আসেননি।

ছোট মেয়েটি বড় হল একদিন। সময়ের আবর্তে সে একদিন নারী হয়ে উঠল।

মা তাঁর স্বামীর গুম হয়ে যাওয়াতে খুবই মর্মাহত হয়েছিলেন।  তিনি আবার বিয়ে করার তিন মাস আগে সান আন্তোনিওতে চলে যান।

ছোট্ট মেয়েটিরও সময়মতো বিয়ে হয়। এবং কয়েক বছর পর তার একটি পাঁচ বছর বয়সী ছোট্ট মেয়ে আছে এখন।

সে এখনো একই ঘরে বাস করে যেখানে তার মা-বাবা বাস করতো।

.এক রাতে ঘটনাক্রমে, জন স্মোদার গুম হয়ে যাওয়ার বার্ষিকীর রাতে, যিনি বেঁচে থাকলে এবং স্থায়ী একটা চাকরি থাকলে আজকে নাতনির সাথে  ভালো সময় পার করতেন, পাঁচ বছরের মেয়েটি তীব্র শূল বেদনায় আক্রান্ত হল।

” আমি নিচে যাব আর কিছু ওষুধ নিয়ে ফিরব,” জন স্মিথ বললেন ( জন স্মিথ মেয়েটির স্বামী)।

” না, না, প্রিয় জন,” তাঁর স্ত্রী চিৎকার করে বাধা দিল। ” তুমিও হয়তো চিরতরে হারিয়ে হয়ে যাবে, এবং ফিরে আসতে ভুলে যাবে।”

অতএব, জন স্মিথ আর বেরুলেন না এবং উভয়ে ছোট প্যান্সির পাশে বসে রইলেন। (প্যান্সি ছোট মেয়েটির নাম)।

কিছুক্ষণ পর প্যান্সির অবস্থার অবনতি ঘটলে জন স্মিথ আবারো বের হতে চাইলেন ওষুধের জন্য। কিন্তু  স্ত্রী তাঁকে যেতে দেননি।

হঠাৎ তাদের ঘরের দরোজা খুলে গেল। একজন বয়সের ভারে ন্যুব্জ, লম্বা সাদা চুলো বুড়ো ঘরে ঢুকলেন।

” হ্যালো, এই তো  নানাভাই” প্যান্সি বলে উঠলো। অন্য সবার আগে সে তাঁকে চিনতে পারল।

বুড়ো মানুষটি তাঁর পকেট হাতড়ে একটি ওষুধের বোতল বের করে প্যান্সিকে এক চামচ খাইয়ে দিলেন।

সে অতি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলো।

” আমার একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল,আসলে”, জন স্মোদার বললেন। কারণ, “আমি একটা গাড়ির জন্য পথে অপেক্ষা করছিলাম। ”

 

আলমগীর মোহাম্মদ, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক

আন্দরকিল্লা প্রকাশনার ২৮ বছর আগামীর পথ ধরে অনাদিকাল

রূপক বরন বড়ুয়া আমি মাসিক ‘আন্দরকিল্লা’ কাগজের নিয়মিত পাঠক। প্রতিবারের মতো হাতে নিলাম এবারের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে ঢাকা জুলাই ২০২৫ সংখ্যা, হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতেই

জলে জঙ্গলে (পর্ব-২)

মাসুদ আনোয়ার   ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী বোর্ডের রেজাল্ট আউট হলো। আমি কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী। ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠলাম। যে কোনোদিন কুমিল্লা বোর্ডও ফল প্রকাশ

স্বপ্নে গড়া অবয়ব

সৈয়দ মনজুর কবির   মনটা যখনই কেমন অজনা বিষণ্নতায় ছেয়ে যায় তখনই কেয়া জানালার ধারে এই চেয়ারটাতে এসে বসে। আজ অবশ্য অন্য একটা কারণ আছে

অন্তহীন সুড়ঙ্গ

সুজন বড়ুয়া   কবর থেকে বেরিয়ে মহিম অশরীরী রূপ নিল। সঙ্গে সঙ্গে গত কয়দিনের সব ঘটনা একে একে মনে পড়ে গেল তার। ফার্স্ট সেমিস্টারের পর

রাত যখন খান খান হয়ে যায়…

মনি হায়দার   চোখ মেলে তাকায় সোাহেল হাসান। প্রথম দৃষ্টিতে সবকিছু অচেনা লাগে। কোথায় এলাম আমি? উঠে বসতেই মনে পড়ে গতরাতে অনেক ঝক্কি আর ঝামেলার