এখন সময়:রাত ৩:৩০- আজ: বৃহস্পতিবার-৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:রাত ৩:৩০- আজ: বৃহস্পতিবার
৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

আজিজ কাজল এর গুচ্ছ কবিতা

ধাত্রি

ধাত্রি-মা বেশি চালাক হলে সুস্থ বাচ্চাজন্ম সংকটাপন্ন হয়ে ওঠে

একটি সুস্থ জলাশয় আর একটি সুস্থ মা, দুটোই পৃথিবীর জন্য বয়ে আনতে পারে কমলাগন্ধা ভবিষ্যৎ।

 

 

 

হিস্

ঢেউ-তোড়ে ভেসে যায় পৃথিবীর সমস্ত দ্বিধা ও সন্ন্যাস কিছু ঢেউ অতল ও অভিজাত, কিছু ঢেউ ক্ষুধা ও ওষুধ।

পৃথিবীর সমস্ত ডালপালা একটি অন্নভুক পাত্রের পাশেই বসবাস করে।

 

 

 

পতনাঙ্ক

শুক্লপক্ষের চাঁদে পতনের সুর নেমে এলে বাবুদের চোখ দোল-পূণিমার পালে জেগে তুলে দেহের প্রার্থনা।

ট্রেনের চাকা গতিপথের সূত্র মেনে হাজারো-শোকের শিশিরে ছড়ায় অগোছালো মুখের মায়া ভুলের পাখায়।

 

 

 

 

 

 

 

 

ধনাইবাড়ি

একটি লম্বা বাঁশের সাঁকোর উপর বসে স্নেহপাতি খুলছি। সাঁকোর প্রতিটি খাপে লাবণ্যধাম; অদূরে বর্ণবাজি আর ধোঁয়ার তামাশা একটার পর একটা যাচ্ছে গাড়ি, গন্তব্য তার নীড়

বিলপাতার সবুজ সাম্রাজ্য আর ধোঁয়ার উলঙ্গ বিষ ধনাইবাড়ির বাস্তুগোলা আজ তুমুল কংক্রিট।

 

 

ফসিল

একসময় প্রজাপতিরা খেয়ে আসতো রুপ-পুরাণের মধু।

এখন আমরা মাংশ খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছি।

শরীরে বেড়ে যাচ্ছে ক্ষতিকর মেদকণা।

তোমার সবগুলো উৎসনদী শুকিয়ে যাচ্ছে; আমিও ধীরে ধীরে ফসিল হয়ে পড়ছি তুমি কি দেখতে পাচ্ছো?

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।