এখন সময়:রাত ১:৩৬- আজ: শনিবার-৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:রাত ১:৩৬- আজ: শনিবার
৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

আবু মুসা চৌধুরী’র সাবঅলটার্ন কবিতা

আঁর-অ বারিত আইস্সু বন্ধু

আঁই খাবাইয়ুম মধুভাত,

তুঁই অইলাদে মিয়ার বেডি

আঁরা নিচু জাত।

 

তোঁয়ার অ ভিডার এক কোণাদি

আঁরা বাস করি

তোঁয়ার বাপর খেতি-খোলা

বর্গা চাষ গরি।

 

আঁর মা-বইন তোঁয়ার-অ বারিত

ডেকচি পাতিল মাজে,

তোঁয়ার আঁর মিলন বন্ধু

এই সমাজত্ ন-সাজে।

 

মনে রেখ, হাতর রুমাল

একদিন আঁরে দি-লা,

তোঁয়ার লাই কাঁদে দিনে-রাইতে

আঁর হইলজা-ঘিলা।

 

‘কবুল’ হই হই মানি লই-ও

ডর মাইনসর পোঁয়ারে

হোয়াল দোষে এই জনমত

ন-পাইলাম আঁই তোঁয়ারে।

 

০২.

 

হাইচ পিডা হাবাইয়ুম আঁই

তোঁয়ারে কইলজা ডুবাই

ন-যাইয়ু আঁর মিডা জামাই

আঁরে রাখি ডুবাই।

 

এনসিও ত আঁই গেইয়ে

আইস্সে তোঁয়ার ভিসা,

আঁ-র হইলজাত্ ঢালি দিইয়ে

আইনত্ গলা সিসা।

 

আধা পেডি খাইয়ুম আঁই

উয়াস থাইক্কুম নইলে,

মানি লইয়ুম পাড়ার মাইনসে

ফঅন্নি আঁরে কইলে!

গাছর তলাত্ থাইক্কুম আঁই

সোনা-জেওর ন-চাই,

ডুবাই শহরত ন-যাইবা তুঁই

আঁর মাথা ছুঁই ক-চাই।।

 

==============================

০৩. ‘বারির শোভা গাছ-গাছালি

ঘরর শোভা নারী’

আঁর পরানর বন্দু কিল্লাই

আঁরে গেলগুই ছাড়ি।

 

তোঁয়ার কবরত জুনি পোকে

পইত্য রাইতে কাঁদে,

প-অলা মন কয় বন্দু আইবো

হয়েক মাদান-বাদে।

 

মরুভূমির বাতাস তোঁয়ারে

ডাইকতাম আদর গরি,

তুঁই আছিলা আলগা বয়ার

তুঁই আছিলা পরি।

 

বেবাম বারিষার কালে

সায়র তোঁয়ারঅ পাড়া,

আঁই নাদান ‘মজনু’ ত’-অ

ন-ডরাইতাম গাড়া।

 

তোঁয়ারঅ গাছর গোয়াছি হাইলাম

হাইলাম পোয়ানা আম,

ত-অ-ত অ-বইন, ন-পাইলামরে

মহব্বতর দাম।

 

তুঁই গেলা গই পচিম মিক্যা

আঁই রইলাম পুবে,

জীবন-রসর ভাঁজে ভাঁজে

চাঁদ-সুরযু ডুবে।

 

কিল্লাই বন্দু নামি গেলা

ন-ফিরিবার ঘাটে,

তোঁয়ার লাই আর খরান শীতত্

উয়াইস্যা দিন কাটে ॥

 

===========================

০৪.

হইলদা চড়ই আই বইস্সে

ভাদি গাছর আগাত,

পরান বন্ধু পরবাসত

আঁই আছি আঁর জাগাত।

 

এই বরষাত ভা-ই-যারগই

খাল-বিল-ডোবা পইর,

দুঃখর কথা কারে হইয়ুম

মনে মনে হইর।

 

(আঁর) দিন ন, হাডের রাইত ন পোয়ায়

বন্ধু তোঁয়ারে ছাড়া,

আঁর জীবন খান কে-নে অইলো

ফোয়ানা জমির নাড়া।

 

কাঁঠ্ঠল গাছত্, কাঠ্ঠল পাইক্কে

আম গাছত্ আম

হোরা হোয়ালির চোখের পানির

দুই পয়সা নাই দাম।

 

চান্নি পইরগা রাইতত্ বন্ধু

গতর হাঁন্দে কিল্লাই,

কে-নে হইয়ুম্ এ নিদানত

কী মধু আঁই-চাই?

 

০৫.

 

টেম্পুওয়ালা, আস্তে চালা

জোরে ন-যাইও,

বাঁধি দিলাম মিডা পান

নিরালাত্ খাইও।

 

বেদিশা অইলে আতিক্কা তুঁই

গাত্ত পরিবা,

হাত-ঠ্যাং-গিরা ভাঁ-ই গেলে

য়েত্তে কী-গরিবা?

গামের্ন্টসর ওই জোয়ান বেডি

খাপ দি-ন-চাইও,

টেম্পুওয়ালা, আস্তে চালা

জোরে ন-যাইও।।

 

তোঁয়ার টেম্পু এরোপ্লেন

তোঁয়ার টেম্পু রকেট,

ট্রিপর পরে ট্রিপ মারিলে

ভরি যাইবো পকেট।

সি-বিচত ন-নিলা তুঁই

আঁরে কী-পাইও!

টেম্পুওয়ালা, আস্তে চালা

জোরে ন-যাইও।।

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।