অধরনামা
তোমার অধরে আমূল আইসক্রিমের মজুদ
যা ফুরোবার নয় একজীবনে
আমার ঠোঁটে রোদলাগা পিপাসা
যা নবায়িত হয় রাত পোহালেই
ঠোঁটে ঠোঁটে এক জোট
প্রার্থী আমার পিপাসা
আবেদনপত্র নিয়ে উদগ্রীব তোমার শিহরণমাখা অধর
চা
সারাদিনে চার কাপ; রুমি খায়,
গরম গরম
তাপে বিবর্ণ হয়ে ওঠে অধরে
রাত আসে
চুমু দিই আমি
বিবর্ণ অধর ফিরে আসে সব…
আমি চা খাই না, আমাকে টানে না
কিন্তু সকালের এক কাপ চা
রুমির জন্য অনেক কিছু
তার আগেই ঘুম থেকে উঠে
চা বানাই আমি-
এই নাও তোমার চা!
পিরিচসহ কাপটা হাতে নেয় সে
এক ফাল্গুন হাওয়া এসে
ফুল ফুটিয়ে তোলে
তার বাগান বাগান মুখে;
আমি চা খাই না- বুঝি না চায়ের মজা
কিন্তু চা বানাই প্রতিদিন
মিঠুর টি-স্টলের মিঠু
চা বানায় প্রতিদিন
শতশত কাপ
মিঠুও জানে না-
সকালে এক কাপ চা বানিয়ে
সারাদিন কী সুখ আমার!
লাল মাটির অধর
প্রথম চুম্বন দিয়ে টেনে নিতে পারি নাকো ঠোঁট
তুমি বলো, কী কিসিমে দ্বিতীয় চুম্বন দিই আর ?
লাল মৃত্তিকার ঠোঁট চারপাশে বেঁধে আছে জোট
লীলাবতী দিঘি আজ জলঠোঁটে কথা বলে কার?
তাই বলে এত আঠা ঠোঁটে ও অধরে? এত গাঢ়!
তাকে পেয়ে বাকিসব ইচ্ছা যত উঠে আছে লাটে
চায় তবু বাড়াতে পারে না ঠোঁট ঠোঁটে অন্য কারো
রবীন্দ্র-নোঙর বাঁধা জীবনদেবতা যেই ঘাটে।
জীবনদেবতা ছিল নারী কোনো? নামটি গোপন?
বিশ্বকবি দেখেছেন লাল মাটিতেও শত সাঁঝ
অধিকন্তু বিজয়া মৈত্রেয়ী আর আন্নার নয়ন
তবু কেন তাকে নিয়েই গীতাঞ্জলির যত কাজ?
পপি-রুমি মরে গেছে? কে বলেছে–সুমি? জেসমিন?
দোল খায় কত নাম ঝড়ের চুম্বনে কাঁপা ফ্রেমে
দ্যাখো প্রিয় আমি তবু জড়িয়ে রয়েছি রাতদিন
গাবের আঠার মতো শুধু এক সে তোমারি প্রেমে।
বগলে ইট রেখে হেঁটে চলেছে দিন
দ্যাখো, বগলে ইট রেখে হেঁটে চলেছে দিন,
মাথায় গোল করে বাঁধা শেখ ফরিদের পাগড়ি
সূর্যটা আড়াল হলেই ভালোবাসার এসএমএস
পাঠায় নক্ষত্রের খোঁপা পরা রাতের মেসেঞ্জারে:
লাভ ইউ মাই ডিয়ার! নাভির নিচে মুচকি হাসে
কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র! আর হায় রাত, তুমিও তো!
ভালোবাসার নামে নীল উলকি এঁকে বাঁহাতে,
চান্স পেলেই তারকাখচিত লুটেরার ঠোঁটে
শোঁকো বারোয়ারি রেণু মাখা মহব্বতের ঘ্রাণ!
অথচ হাসিঠোঁটে একদিন রাত ছিল আনারকলি
একদিন ফুলহাতে দিন ছিল শাহজাদা সেলিম!




