আ.ফ.ম. মোদাচ্ছের আলী :
১২ জুলাই সন্ধ্যা। বাইরে ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি। ইসলাম নিবাসের গাছের পাতায় কাঁপন। এমনি এক মুগ্ধ করা পরিবেশে উপমহাদেশের শাস্ত্রীয় সংগীতের খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব শিল্পকলা (সংগীত) একুশে পদকে ভূষিত, বাংলা একাডেমি কর্তৃক সাম্মানিক ফেলোশিপ প্রাপ্ত ওস্তাদ ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম বাঁশির সুরে মোহিত করলেন উপস্থিত বিভিন্ন শ্রেণী পেশার সুধীজনকে। লেকচার ডেমোনেস্ট্রেশনের মাধ্যমে তিনি সান্ধ্যকালীন রাগ মারোয়া দিয়ে বংশীবাদন শুরু করেন। একই রাগের রাত্রিকালীন করুণ রাগ কণ্ঠে ও বাঁশিতে পরিবেশনের মাধ্যমে দীর্ঘ প্রায় তিন ঘণ্টার এই ধ্রুপদ সন্ধ্যায় তিনি পরিবেশন করেন রাগ সোহিনী, হংসধ্বনি, খাম্বাজ, ঝিনঝুটি। রাগ ঝিনঝুটি শুদ্ধ, মিশ্র এবং ভাটিয়ালি তিনভাবে পরিবেশন করেন যার সাথে শ্রোতা ও বাদন একাত্ম হয়ে যায়। মেঠো সুর ভাটিয়ালি দিয়ে তিনি তাঁর পরিবেশনা শেষ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে তাঁর মরহুম মাতাকে এবং শিল্পীর গুণমুগ্ধ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মোহাম্মদ আলী, বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী ড. জামাল নজরুল ইসলাম, প্রফেসর খালেদা হানুম, অধ্যাপক আসমা সিরাজকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। বরেণ্য সাংবাদিক ওসমান গণি মনসুর এর প্রাঞ্জল সঞ্চালনায় ওস্তাদ আজিজুল ইসলামকে নিয়ে কথামালায় অংশগ্রহণ করেন চট্টগ্রাম কলেজের প্রাণবিদ্যা বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ড. জয়নাব বেগম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার, কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহীত উল আলম, ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সিকান্দার খান, সাউদার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হক, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইমান আলী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, নাট্যজন রবিউল আলম প্রমুখ। সংস্কৃতি অনুরাগী সুধীজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইইউবি’র

প্রাক্তন চেয়ারম্যান ইঞ্জি. হারুন, মেরিন একাডেমির কমান্ডেন্ট ড. সাজিদ হোসেন, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট এর অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান, ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার সজল বড়–য়া, ড. মনজুরুল আমিন, বিশিষ্ট চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. এম এ করিম, লায়ন পিডিজি রুপম কিশোর বড়–য়া, শাহ আলম বাবুল, নাজমুল হক, ক্যাপ্টেন মাহবুব, বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা লীগ, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাধারণ সম্পাদক লুবনা হারুন, স্থপতি সোহেল শাকুর, রোটারিয়ান নুরুল আলম কিরণ, সংগীত শিল্পী মালবিকা দাশ, মাসিক শিক্ষা সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক ব্যারিস্টার দেওয়ান মামুনুর রশিদ, স্যার আশুতোষ কলেজের সহকারী অধ্যাপক নুসরাত জাহান, স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. তাসলিম চৌধুরী, রোটারিয়ান ফাতেমা জেবুন্নেসা, প্রফেসর ড. মনিরুল ইসলাম, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা দপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আজাদ বুলবুল, বিজিএমইএ’র সাবেক প্রেসিডেন্ট লায়ন নাছির উদ্দিন, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, চট্টগ্রামের জেলা কর্মকর্তা মোসলেহ উদ্দিন, সম্মিলিত আবৃত্তি জোট, চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজাহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আলী প্রয়াস, প্রত্যয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক একাডেমি, পটিয়ার সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ফারুক রবি, বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠান উপস্থাপক শহীদুর রহমান, নজরুল সংগীত শিল্পী লোকমান হোসেন রাশু, বোধন আবৃতি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবর্ণ চৌধুরী প্রমুখ। শিল্পীকে তবলা ও তানপুরায় সহযোগীতা করেন যথাক্রমে পলাশ দে, জাহাঙ্গীর আলম। নান্দনিক ও ভিন্নধর্মী এ অনুষ্ঠানটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন বরেণ্য আলোকচিত্র শিল্পী শোয়েব ফারুকী। অনুষ্ঠান শেষে শিল্পীকে উপস্থিত অনেকেই ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। বাঁশির রাগ-রাগিনীর ঝংকারে মুখরিত এই অনুষ্ঠানটি উপস্থিত শ্রোতা-দর্শকদের মানসপটে অম্লান থাকবে বহুদিন ধরে।
আ.ফ.ম মোদাচ্ছের আলী, শিশুসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক




