এখন সময়:সকাল ১১:৫৯- আজ: বৃহস্পতিবার-৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:সকাল ১১:৫৯- আজ: বৃহস্পতিবার
৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

আহমদ ছফার দশ দর্শন

আসহাবে কাহাফ

 

আমাদের প্রজ্ঞা ও সাধনার যথেষ্ট ঘাটতি আছে, এ ঘাটতি থেকেই আমাদের সভ্য সমাজের প্রতিটি মানুষের অন্তরে প্রবেশ করেছে, পরশ্রীকাতরতা ও হীনমন্যতার! যার ফলশ্রুতিতে, আমরা চারিদিকে কেবল নিজেরই প্রতিবিম্ব দেখতে চাই, অলিতে-গলিতে কেবল নিজের প্রতিকৃতি দেখতে চাই, আর চাই; প্রতিটি মিছিলেই কেবল আমাদের নামে জয়ধ্বনি হোক। কিন্তু, একজন ব্যক্তির প্রজ্ঞাই পারে মানুষকে সর্বোচ্চ শিখরেই পৌঁছে দিতে, যা আমরা কখনোই অনুধাবন করতে পারিনি, পারবেও না। আমার কাছে প্রজ্ঞার জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত খ্যাপাটে ছফা! অনেকেই জানেন, আমাদের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে একজন আহমদ ছফা আছেন, কেবল বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে নয়, সমকালীন রাজনৈতিক ভাবনা ও বাংলাদেশের জাতিসত্তার ইতিহাসেও তিনি ছিলেন বিচলিত পুরুষ। আজকের দিনে এমন পুরুষ ত অনেক দূরে, এমন একজন নাবালক শিশুও নেই যে,মাঝেমধ্যে বুঝে না বুঝেও হলে বলবে; আপনি এটা করতে পারেন না। দেশ এভাবে চলতে পারে না, এটা অন্যায় এবং অনিয়ম।

 

 

স্বাধীনতা পরবর্তীতে এদেশে যেকজন বাংলা সাহিত্য নিয়ে উচ্চবাচ্য করেছে তন্মধ্যে বেয়াড়া ছফা অন্যতম। এই ছফা-ই আমাদের আহমদ ছফা, যে বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী ফোনের অপরপ্রান্ত থেকে কোন ছফা জানতে চেয়েছিলো বলেই, ক্ষেপে গিয়ে উল্টো ঐ  এপিএসকে প্রশ্ন করেছিলো, বাংলাদেশে আহমদ ছফা দুজন ছিলো নাকি? লেখার শুরুতেই আমি আহমদ ছফাকে বেয়াড়া কেন বললাম সেই যুক্তি পরে দেখাচ্ছি। তার আগে ছফা সাহিত্য নিয়ে কিছু আলোকপাত করি। আহমদ ছফা’র প্রবন্ধ সমগ্র পাঠান্তে আমার কাছে মনে হলো, বাংলাদেশ, বাংলা ভাষা, ও বাঙালি জাতিসত্তার প্রতি বাংলা সাহিত্যের ছাত্র-ছাত্রীদের যে একটা নাড়িরটান থাকে, তা সম্ভবত অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের যারা সাহিত্য রচনায় জড়িত তাদের ততটা থাকে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হলেও শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ডিগ্রি নেয়া এ লেখক তাই তাঁর রচিত,  ‘ তাহলে এই হল গ্রন্থ মেলা’ প্রবন্ধে লিখেছে, “আমি বিশ্ববিখ্যাত ফ্রাঙ্কফুট বইমেলা দেখেছি, যেখানে দিনে দশ লক্ষ দর্শকের সমাগম হয়।

দিল্লি কোলকাতা বইমেলাগুলো দেখেছি। আমাদের বইমেলার এন্তেজাম দেখে কেমন জানি মনে হল, ফ্রাঙ্কফুট কিংবা দিল্লি কোলকাতা এই সমস্ত জায়গায় কোন প্রধানমন্ত্রী নেই। কারণ প্রশাসনের কেষ্টবিষ্টু, টম ডিক হ্যারি কারো টিকিটিও ওইসব মেলায় দেখিনি। মেলায় প্রধান আকর্ষণ লেখকরা। লেখকেরাই বলেছেন, লেখকদের কেন্দ্র করেই আলোচনা জমছে। ক্রেতা দর্শকরা লেখকদেরই প্রশ্ন করছেন।  আমার ভাগ্য বাংলাদেশের বইমেলায় গিয়ে আমি দেখলাম, লেখকদের কোন সম্মানজনক অবস্থান সেখানে রাখা হয়নি। লেখকদের সৃজনশীলতা উপলক্ষ করে যে মেলার আয়োজন করা হয়েছে সেখানে লেখকরা প্রথম সারিতে বসবেন না কেন? বইমেলা কি একটা যুদ্ধক্ষেত্র যে তিনবাহিনী প্রধানকে সেখানে আসতেই হবে।”

এই যে, রাষ্ট্রীয় প্রথাকে এমনভাবে প্রশ্নের সম্মুখীন করার মনমানসিকতা ও সাহসীকতা একমাত্র সাহিত্যের প্রতি অগাধ ভালোবাসার ফল। আজকে যে বইমেলা আমরা পেয়েছি, এক সময় এই বইমেলায় ভারতীয় লেখকদের বইয়ের সয়লাব হতো, একমাত্র ছফা’র মতো প্রতিবাদী ব্যক্তিদের জন্য এ অভিশাপ থেকে আমরা মুক্ত হয়েছি।  ইতোপূর্বে এমনতর কেউ করেছে কি? শুধু তাই নয়, ১৯৯৬ সালের বইমেলা সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে তিনিই প্রথম লিখতে বাধ্য হয়েছেন, ‘ কেন আমি বই মেলায় যাব’ নামক প্রবন্ধ। সাহিত্যিক বলি আর প্রাবন্ধিক,  আহমদ ছফা ছিলো মূলত ত্রিকালদর্শী একজন বেয়াড়া লেখক।  তবু, কেন জানি এদেশে ছফা সাহিত্য পাঠের বাইরে রয়েগেছে। বিস্তারিত লিখার আগে, আহমদ ছফাকে এই নিয়ে আমার একটা মজার ঘটনা বলি। আমি যখন ছফার বিভিন্ন বইপত্র নিয়ে এই প্রবন্ধটি লিখতে বসেছি,  আমার স্ত্রী আমাকে উদ্দেশ্য করে বললো, আহমদ ছফা টফা এরা আর কী এমন লেখক, তিন বছর আগেও এদেশে মনে হয় না তরুণদের মধ্যে কেউ আহমদ ছফার বই পড়তো। অতি সাম্প্রতিক সময়ের দুয়েকটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, পিএসসি’র  পরীক্ষা ও বিভিন্ন চাকরির নিয়োগে   ছফা সংক্রান্ত কয়েকটা প্রশ্ন এসেছে বলেই ইদানীং নতুন প্রস্তুতি মূলক বইগুলো  তাঁকে সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করছে। আমি ভেবে দেখলাম, আমার স্ত্রী কথাটা একেবারে খারাপ বলেনি। আমি স্ত্রীর উদ্দেশ্য শুধু বললাম, আহমদ ছফা বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শক্তিমান লেখকদের একজন, সাহিত্য জগতের প্রায় সব লেখকই মনে মনে আহমদ ছফা হতে চাই, কিন্তু বাস্তবতা ও দ্বিমুখী নীতির কারণে পেরে উঠে না। আর, আহমদ ছফা ও তাঁর সাহিত্যকর্মকে বই-পুস্তক ও সিলেবাসের বাইরে রাখার অন্যতম কারণ,  হয়তো আমরা ও আজকের বাংলা সাহিত্য আহমদ ছফাকে পুরোপুরি ধারণ করতে অক্ষম। সাহিত্যিকদের অনেকেই জানেন, মধ্যযুগ পরবর্তী আধুনিকযুগের সাহিত্যিকদের মধ্যে ছফার লিখা ছিলো অত্যন্ত ঋদ্ধ, বুদ্ধিদীপ্ত ও তেজময়। তাঁর প্রবন্ধে গবেষণার ঐকান্তিকতা, ইতিহাসের নিবিড়তা,  কাব্যের প্রাণবন্ততা উপন্যাসের বিমূর্ততা আর নাটকের পরিণতি ত্রিকালদর্শীর মত চিরন্তন, সতত, বর্তমান ও সার্বজনীন।  যেহেতু, আমি একটা সাহিত্য ম্যাগাজিনের, ‘আহমদ ছফা’ সংখ্যার জন্য লিখতে বসেছি, তাই লেখকের সম্পূর্ণ সাহিত্য কিংবা মতাদর্শ, সাহিত্যের আলোচনা করা সম্ভব না, যদি সম্ভবও হয় সেক্ষেত্রে কয়েকটা বই লিখতে হবে। ফলতঃ বলতে পারেন, এটা আমার পক্ষে এক প্রকারে সম্ভবও না। তদুপরি, আমি সাহিত্যবোদ্ধা আহমদ ছফা সম্পর্কের পাঠককে ধারণা প্রদানের জন্য তার প্রবন্ধানুসারে কয়েকটি উক্তির অবতারণ করবো, যেন একজন সচেতন পাঠকমাত্রই বুঝে, বাংলা সাহিত্যের আহমদ ছফা কী জিনিস।

 

” বাংলাদেশ বোধহয় পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে মানুষ সুন্দরভাবে বুড়ো হতে জানে না। এ দেশে মানুষ যতো বুড়ো হয় ততো বেশি বানর হয়ে উঠে। ”

– প্রবন্ধ: বিশাল জীবন বিপুল মরণ।

 

” আমাদের দেশের দিকে তাকালেই আমরা এই চিত্রই দেখতে পাই। প্রতিদিন খুন হচ্ছে,লুট হচ্ছে, হাইজ্যাক হচ্ছে, ডাকাতি হচ্ছে, ধর্ষণ হচ্ছে, সরকারি অফিসে দুর্নীতি হচ্ছে, ব্যবসায়ীরা দুর্নীতি করছে, আমলারা ঘুষ খাচ্ছে, রাজনীতিবিদেরা নিজেদের আখের গুছাবার চেষ্টায় ব্যস্ত। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ সন্ত্রাসী তৈরির কারখানাতে পরিণত হচ্ছে- এই সামাজিক অপরাধগুলো চলমান রাজনীতি থেকেই জন্ম নিচ্ছে। রাজনীতির মধ্য থেকেই সমস্ত অসুস্থতার বীজ সমাজের শরীরে সংক্রমিত হচ্ছে। যত ধরণের পাশবিক প্রবৃত্তি থাকতে পারে, তার সবগুলো রাজনীতির প্রশ্রয়ে বিকাশ লাভ করছে, রাজনীতিই তার সবগুলোকে লালন-পালন করছে।”

– প্রবন্ধ: রাজনীতি যখন সমাজকে চালায়

 

” ব্যক্তি ভালো কাজ করল অথচ সমাজে তারিফ করার কেউ রইল না, মন্দ কাজ করল কেউ ধিক্কারধ্বনি তুলল না, বুঝতে হবে সমাজে তখন অবক্ষয় চলছে। ”

– প্রবন্ধ: অবক্ষয়ের সংজ্ঞা।

 

” মানুষের বাচ্চাকে ঘোড়ার মত পিটিয়ে মানুষ না করলে সত্যিকার মানুষ হয়ে ওঠে না। আমাদের বুড়ো হাবড়ারা তরুণদের বুদ্ধিবৃত্তিসম্পন্ন মানুষ করে তোলার দায়িত্ব স্বীকার করেন না। কারণ এটা অনেক কঠিন কাজ। তরূণরা যদি বোধে, বুদ্ধিতে,  কল্পনা এবং উপলব্ধিতে প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে তাহলে এই বুড়ো মানুষদের সকলের মাথা কাটা যাবে। তাই তারা ধূর্ত শিকারির মতো টোপ ফেলে তরূণদের শিকার করার জন্য বসে থাকেন।… কেউ ফেলেছে ধর্মের জাল, কেউ রাজনীতির জাল, কেউ শিল্প-সাহিত্যের জাল। ”

– প্রবন্ধ: যযাতির গল্প।

 

” সময় স্বয়ং ঈশ্বরের মত। সময়ের শরীর স্পর্শ করার ক্ষমতা কোন মানুষের নেই। আমরা যে ঘণ্টা, মিনিট,  মাস, বছর, যুগ, শতাব্দী এবং সহ¯্রাব্দ হিসেবে সময়কে চিহ্নিত করতে চেষ্টা করি সেটা আমাদের নিজেদেরই ধারণার প্রতিফলন। ”

-প্রবন্ধ: মিলেনিয়াম গিফট।

 

 

 

” এ দেশে পুলিশের প্রয়োজন একটা কারণে,  সেটা হল বিরোধীদলীয় সভা-সমাবেশ প- করা। এছাড়া পুলিশের আর করার কিছু নেই। ছিনতাই হচ্ছে, লুট হচ্ছে, খুন হচ্ছে, চাঁদাবাজি হচ্ছে, এর কোনটা পুলিশ বন্ধ করতে পেরেছে?”

– প্রবন্ধ: মিলেনিয়াম গিফট।

 

” এখানে প্রতিষ্ঠাসম্পন্ন কাউকে সালাম দিলে, সালামটা তার প্রাপ্য বলে ধরে নেন এবং যিনি সালাম দেন তাকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিতান্তই ছোটলোক বলে ধরে নেয়া হয়।”

-উপন্যাস: যদ্যপি আমার গুরু।

 

” একমাত্র চিন্তাশীল মনই আগামীকাল কি ঘটবে সে বিষয়ে চিন্তা করতে জানে। বাঙালি মুসলমান বিমূর্তভাবে চিন্তা করতেই জানে না এবং জানে না এই কথাটি ঢেকে রাখার যাবতীয় প্রয়াসকে তার কৃষ্টি-কালচার বলে পরিচিত করতে কুণ্ঠিত হয় না।”

-প্রবন্ধ: বাঙালি মুসলমানের মন।

 

৯.

” আওয়ামী লীগ যখন জেতে, শেখ হাসিনা ও তাঁর অনুগ্রহভাজন ব্যক্তিরা জেতে। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখন হারে, গোটা বাঙালি জাতি পরাজিত হয়।”

-প্রবন্ধ: একটি খোলা নালিশ।

 

১০

” যে জাতি একটি সাধারণ ভাষা তৈরি করতে পারে না, সে জাতি হিসেবে ভবিষ্যতে টিকে থাকবে তেমন আশাবাদ ব্যক্ত করা অনেকটা অসম্ভব বলে মনে হয়।”

– প্রবন্ধ: নিকট ও দূরের প্রসঙ্গ।

 

যে আহমদ ছফা সম্পর্কে আমাদের বিন্দুমাত্র ধারণা ছিলো, অন্তত, এই দশটি প্রবন্ধের দশটি চুম্বকাংশ পাঠান্তে পাঠের কিছুটা ধারণা হয়েছে, আহমদ ছফা কী জিনিস ছিলো। যাইহোক,  আমি শুরুতেই আহমদ ছফাকে বেয়াড়া ও ত্রিকালদর্শী বলেছিলাম। এখন আপনারাই বলুন, আমি কি অন্যায় ও বেশি কিছু বলেছি? তা কখনোই নয়। এইছাড়াও আমাদের ছফার প্রবন্ধ পাঠে অনীহার অন্যতম আরেকটা কারণ রয়েছে, সেটা হলো, তাঁর প্রবন্ধে ব্যবহৃত কিছু কিছু শব্দের দুর্বোধ্যতা। এই শব্দের দুর্বোধ্যতা বুঝার জন্য ছফা সাহিত্য হতে কয়েকটি শব্দ তুলে ধরছি,  যা একজন পাঠক বলেন কিংবা সাহিত্যিক, অর্থের জন্য অভিধানের সম্মুখীন হতে হবে-

ফরজন্দ, সন্তর্পণে, প্রোপাগা-া, গত্যন্তর, এন্তার, অশ্বমেধযজ্ঞ, ঠিকুজি কুলজি, কড়পরা, অনিভন্ত ইত্যাদি।

 

তবে একটা কথা স্বীকার করতে হয়,  এতো রূঢ়তা ও তেতোমিঠা স্পষ্টভাষী কঠিন চারিত্রিক আবরণে ঢাকা আহমদ ছফা মরমে ছিলো একজন রসিক মানুষ!  মাওলা ব্রাদার্স এর একটা পা-ুলিপি প্রতিযোগিতার পা-ুলিপি দেখা নিয়ে, প্রকাশক মাহমুদ ভাই ও ছফার একটা কথোপকথন হিসেবে ছফার ‘ সাহিত্যের সুসমাচার’ প্রবন্ধে আমরা দেখতে পাই, ” মাহমুদ, প্রতিদিন টেলিফোন করে। দেখা হলে বলে, ‘ ছফা ভাই, পা-ুলিপি কী করলেন?

আমি জবাব দিতাম, তোমার পা-ুলিপিগোষ্ঠী গোপন ঘরে সুখে নিদ্রা যায়।

‘ কবে দেখবেন’ জোর দিয়ে বললে আমি বলতাম, দেখবার কিছু নেই, নিয়ে যাও। বিচার করারও কিছু নেই, ওপর দিকে ছুঁড়ে মারো। যেটা প্রথমে মাটিতে পড়বে সেটাকেই পুরস্কার দিয়ে দাও। অথবা আরো একটা সহজ পন্থা অবলম্বন করতে পার। একটা মাইক্রোবাস ভাড়া করে তুমি গোষ্ঠীসুদ্ধ লেখকদের আমার ঘরে নিয়ে এস। আমি চেহারা, সুরত, আদব-লেহাজ, জামা-কাপড় দেখে যাকে পছন্দ হয় তাকেই পুরস্কারের জন্যে নির্বাচিত করব।”

 

শেষমেশ, আমি তরুণ প্রজন্ম ও সাহিত্যবোদ্ধাদের প্রতি এই অনুরোধ, আপনারা আহমদ ছফাকে বাংলা সাহিত্য হতে মুছে যেতে দিবেন না। এবং এও আমার বিশ্বাস কেউ সুকৌশলে দিলেও তিনি বেঁচে থাকবেন আজীবন। অতএব,  একটা সাহিত্য ম্যাগাজিনের জন্য কিংবা একজন সাহিত্যিকের সাহিত্যমান বিবেচনা করার জন্য এরচেয়ে বেশি লিখার দরকার আছে বলে আমি মনে করি না বিধায় শেষ করছি। অবশ্যই আমি লেখকের জীবনী ও সাহিত্যকর্মের একটা তালিকা দিতে পারতাম, কিন্তু সেটা এইজন্যই দিলাম না, আশারাখি, আমার এই ছোট্ট লিখনি সেই কাজটা অনুসন্ধানের জন্য ইতোমধ্যে আপনার ভেতরে একটা স্পৃহা সৃষ্টি করেছে।

 

আসহাবে কাহাফ, কবি ও প্রাবন্ধিক

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।