এখন সময়:বিকাল ৪:২০- আজ: শুক্রবার-৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:বিকাল ৪:২০- আজ: শুক্রবার
৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

কোয়ারান্টাইন

সরকার হুমায়ুন :

২১৩০ সাল। পৃথিবী একটি নির্জন বর্জ্যভূমি। শতাব্দীর দূষণে পৃথিবীর আবহাওয়া দুষিত। শতো বছরের চলমান  যুদ্ধে মানুষ বেঁচে নেই বললেই চলে। বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় কিছু মানুষ বেঁচে আছে। তবে তারা আইসোলেটেড। তারা কোয়ারান্টাইনে আছে। একে অপরের সাথে দেখা সাক্ষাৎ হয় না। ভয়াবহ পরমাণু অস্ত্র দ্বারা পৃথিবী বিধ্বস্ত। এটম বোমার বিষ ক্রিয়াপুরো গ্রহে বিরাজিত। এই  বিষক্রিয়া  এবং জীবাণু অস্ত্রের ভাইরাস থেকে রক্ষার জন্য এই গ্রহের জীবিত মানুষেরা সাপ-ব্যাঙের শীতনিদ্রা যাপনের মতো কোয়ারান্টাইনে আছে। পৃথিবী থমকে গেছে। অন্ধকারে ছেয়ে আছে একসময়কার আলোকোজ্জ্বল নগরীগুলো। যেখানে ছিল বিশাল বিশাল আকাশচুম্বী  অট্টালিকা। সেখানে জমে আছে পাহাড় সমান উঁচু আবর্জনার স্তুপ। ধ্বংসস্তুপে চাপা পড়ে গেছে প্রশস্ত  রাস্তাঘাট। অলি গলিতেও  জীবিত প্রাণীদের চলাচল নেই। অর্ধভগ্ন যানবাহনগুলো কাত  হয়ে পড়ে আছে এখানে সেখানে। মরিচারা তাদেরকে শাসন করছে। সবকিছু স্থবির হয়ে আছে। এই স্থবিরতা শতো বছরের। জন মানবহীন ধ্বংসস্তুপের আড়ালে আবডালে  বিলুপ্ত প্রায় সভ্যতা মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। কালের সাক্ষী  হয়ে দাঁড়িয়ে আছে শতো বছর বয়সী ডালাপালাবিহীন পুড়ে যাওয়া বৃক্ষরাজি।

বিশ্ব যুদ্ধ শুরুর আগে মানব সভ্যতা পৌঁছেছিল উন্নতির চরম শিখরে। তারা গড়েছিল  টাইপ-২ সভ্যতা। যে সভ্যতায় অধিবাসীরা  গ্রহান্তরে আবাস গড়ে তোলে।

তাদের নিজস্ব শক্তির আয়ত্তের পাশাপাশি টাইপ ২ সভ্যতার মানুষ যখন তখন মহাকাশ ভ্রমণে পারঙ্গম। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ক্ষেত্রে তারা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারে সক্ষম। তারা অন্যান্য গ্রহকে টেরাফর্ম করার ক্ষমতা রাখে। আণবিক স্তরে পদার্থকে ম্যানিপুলেট  করতে  সক্ষম। এমনকি তারা জীবনের নতুন রূপ তৈরি করতে পারে। যুদ্ধের  ভয়াবহতায় পৃথিবী  ধ্বংসের পূর্বে মানুষ সভ্যতার শীর্ষ বিন্দুতে  আরোহন  করেছিল।

চাঁদে মানুষের কলোনি রয়েছে। মঙ্গল গ্রহে আবাস গেড়েছে। মানবতা পৃথিবীর বাইরে প্রসারিত হয়েছে। চাঁদে এবং মঙ্গলে উপনিবেশ রয়েছে। বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায় মানুষেরা ফাঁড়ি তৈরি করেছে। কিন্তু মানুষের কৃতিত্বের প্রকৃত শিখর ছিল আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন, বা আইএসএস। যা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির প্রতীক হিসেবে পৃথিবীকে  প্রদক্ষিণ  করে।

ভয়ংকর মারণাস্ত্র ব্যবহারের আগে জনসংখ্যার অধিকাংশই অন্য গ্রহের উপনিবেশে পালিয়ে গেছে। কিন্তু যারা পৃথিবীতে থেকে গিয়েছিল তারা দু:সাহসী। একসময়ের সমৃদ্ধ শহরগুলোর ধ্বংসাবশেষে নিজেদেরকে তুচ্ছ অস্তিত্ব হিসেবে খুঁজে পেয়েছিল।

বেঁচে যাওয়া মানুষের মধ্যে এলিজা নামে এক তরুণী ছিল। সে এই ধ্বংসাবশেষ এবং বিপর্যস্ত পৃথিবীতে  জন্মগ্রহণ  করেছিল। কিন্তু সে আশা ছেড়ে দেবার মানুষ  নয়। এক প্রাণচঞ্চল  তরুণী। পজিটিভ  ভাবনার মানুষ। ভয়ানক পরিস্থিতির মধ্যেও সে উপভোগ্য  বিষয়ের  খোঁজে  নিজেকে  নিয়োজিত  রাখার  চেষ্টা  করে। সে তার দিন পার করে খাবার বিহীন। অথচ  তার রাতগুলো একটি উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখে কাটায়।

 

একদিন, একটি পুরানো গবেষণাগারের ধ্বংসাবশেষ অন্বেষণ করার সময়, এলিজার চোখ পড়ে অসাধারণ একটি  মেশিনের ওপর। এটি একটি  টাইম মেশিন। সে সায়েন্স ফিকশনের  বইগুলোতে  এই জাতীয়  ডিভাইস সম্পর্কে  পড়েছিল। তবে সে কখনই এগুলো বিশ্বাস করতোনা। এমন আজব যন্ত্রের অস্তিত্ব যে আসলে পৃথিবীতে বিদ্যমান ছিল। এটি এর আগে সে আমলে  নেয়নি। কিন্তু এখন সে বিভ্রান্তির দোলাচলে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। একটি মসৃণ রূপালী বাক্স। আবছা আলোতে মৃদুভাবে গুনগুন করছিল।

লোভ সামলাতে পারলো না এলিজা। সে টাইম মেশিনের ভিতরে আরোহণ করে বসলো। ২০৩০ সালের পৃথিবীকে সে নিয়ন্ত্রণ সেট করলো। এমন একটি সময় যখন পৃথিবী ছিল অক্ষত। ধনে জনে সমৃদ্ধ ছিল। আধুনিকতার সর্বোচ্চ পর্যায়ে উপনীত ছিল। তখনকার  প্রযুক্তি  কেমন  ছিল। মানুষের  জীবন যাপন কেমন উন্নত  ছিল। সে আসলে দেখতে চেয়েছিল কি হারিয়ে গেছে। যা দেখে ভবিষ্যতের জন্য কিছু আশা ভরসা মনে প্রাণে ফিরিয়ে আনতে।

টাইম মেশিনটি প্রাণবন্ত হয়ে উঠল। এলিজার মনে আনন্দ উত্তেজনার ঢেউ খেলে গেল। সে চরম  প্রশান্তি অনুভব  করলো। কারণ, তার সময় পরিভ্রমণ সঠিক ছিল। একশো বছর আগের পৃথিবীতে তাকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল।  কিন্তু যখন সে এসেছিল তখন দেখতে পেল যে, পৃথিবী তার কল্পনার  মতো নয়।  হ্যাঁ, আকাশচুম্বী বিল্ডিংগুলো দাঁড়িয়ে ছিল। যেন সেই ইমারতগুলো আকাশের সংগে  প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। পৃথিবীর বাতাস দূষনমুক্ত ছিল। পানি বিশুদ্ধ ছিল। আলো নির্মল ছিল। তবে লোকেরা এলিজার নিজের সময়ের চেয়ে সুখী ছিলনা। প্রকৃতপক্ষে, মানুষ লোভ এবং স্বার্থপরতায় নিমগ্ন ছিল। প্রযুক্তি তাদেরকে  এমনভাবে গ্রাস করেছিল যে, তারা ভোগ বিলাসে হারিয়ে গিয়েছিল। সেই সভ্যতা দেখে তার কাছে মোহভঙ্গ বলে মনে হয়েছিল।

এলিজা তার নিজের সময়ে ফিরতে যাচ্ছিল। সে পুরোপুরি হতাশ এবং মোহগ্রস্ত। সে সময় অ্যালেক্স নামে  একজন সুদর্শন যুবকের সংগে তার দেখা হয়। সে একটি পার্কের বেঞ্চে বসে একটি বই পড়ছিলো। বইটির নাম – সাইবার যুদ্ধের পাগলা ঘোড়া। এলিজা বইয়ের নাম দেখে চমকে উঠেছিল। যে যুদ্ধের ভয়াবহতায় একটি  গ্রহ বিপর্যস্ত হতে পারে। একটি প্রতিষ্ঠিত সভ্যতা ধ্বংস  হয়ে যেতে পারে। ছেলেটি সেই যুদ্ধ বিষয়ক বই পড়ছে। এলিজা তার সম্পর্কে না জেনেই ফিরে যেতে চাইলো। কিন্তু তার মধ্যে এমন  কিছু ছিল যা এলিজাকে  আকৃষ্ট  করেছিল। সে দয়ালু এবং ন¤্র ভদ্র  ছিল। সে এলিজার মতোই আশাবাদী চোখ দিয়ে পৃথিবীকে ভাবতো।

তারা এমনভাবে কথোপকথন শুরু করেছিল যেন অনেক আগে থেকেই তারা অবিচ্ছেদ্য ছিল। অ্যালেক্স এলিজাকে বলল,” তুমি খুব সুন্দর। আমি অ্যালেক্স। তোমার নাম কি?”

এলিজা খানিক হেসে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বলল,” তুমিও খুব সুন্দর। নাইস টু মিট ইউ।”

অ্যালেক্স এলিজাকে বসতে ইশারা করলো। এলিজার গায়ের সৌরভ অ্যালেক্সের অনুভূতিকে নাড়িয়ে দিল।তার চোখ দুটি  যেন পদ্মপাতার ওপর বসানো ফুটন্ত শাপলা।

অ্যালেক্স বলল,” দেখো আমাদের পৃথিবীটা কি সুন্দর! তোমার চোখ দুটি কতো সুন্দর!

তোমাকে  খুব  চেনা চেনা লাগছে। আমাদের

মধ্যে কি এর আগে দেখা হয়েছিল?  আমরা  কি ফেইসবুক  বন্ধু?”

ফেইসবুকের কথা সে এই প্রথম শুনলো। মনে মনে সে ভাবলো একশো বছর আগে পৃথিবীতে নিশ্চয়ই এমন বন্ধুত্ব ছিল। এলিজা প্রাণভরে অ্যালেক্সের দিকে তাকালো। তার মুখে ভেসে ওঠলো স্মৃতির বিস্তীর্ণ আঙিনা।সেই আঙিনায় আকাশ ছোঁয়া ভবন নির্মাণের স্বপ্ন আঁকলো। সে কল্প জগতে হারিয়ে গেল।হাজার চেষ্টা করেও এলিজার মুখ থেকে যেন কথা বের হচ্ছিল না। কেননা, এর আগে কোন পুরুষের এমন ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে যাওয়ার সুযোগ তার হয়ে ওঠেনি। কারণ, তার জগত যে প্রায় জনমানবহীন।

এলিজা তার পাশে বসলো। যেন ডালিম গাছ থেকে কিচিরমিচির  করে ডেকে উঠল এক ঝাঁকপাখি। আহ্লাদী কন্ঠে বলল,” আমি তোমায় ভালবাসি।”

সে অ্যালেক্সের হাতের ওপর হাত রাখলো।

অ্যালেক্স এলিজাকে জড়িয়ে ধরে বলল,” আই লাভ ইউ, এলিজা।”

এলিজা  বলল,” আই লাভ ইউ টু অ্যালেক্স। ”

 

এলিজা জানতো যে, সে এই সময়ে চিরকাল থাকতে পারবে না। আবার অ্যালেক্সকে ছেড়ে যাওয়ার চিন্তা সে  সহ্য  করতে পারলো না। তারা প্রতিটি  মুহূর্ত একসাথে কাটিয়েছে। অ্যালেক্স তাকে নিয়ে শহরে ঘুরে বেড়িয়েছে। সী বিচে ঘুরেছে। বৃষ্টি ধোয়া আকাশের মতোখুটিয়ে খুটিয়ে এটা ওটা  জিজ্ঞেস করেছে। সাগরের  নীল জলের  পাশে দাঁড়িয়ে  তারাভরা রাতে প্রেমময় হৃদয়ে  সুরের  ঝংকার  তুলেছে।তাদের  আশা এবং স্বপ্নের কথা বলেছে।

কিন্তু সময় ফুরিয়ে যাচ্ছিল। এলিজা জানতো যে, টাইম মেশিনের শক্তি ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই তাকে তার নিজের সময়ে ফিরে আসতে হবে। সে অ্যালেক্সকে বিদায় না বলে চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু অ্যালেক্স ঠিক সময়েই তাকে খুঁজে পেয়েছিল। তারা অশ্রুসিক্ত চোখে বিদায় ভাগাভাগি করে নিয়েছিল। একদিন আবার দেখা করার প্রতিশ্রুতি একজন আরেকজনকে  দিয়েছিল।

এলিজা তার নিজের সময়ে ফিরে এসেছে। তার হৃদয়ে ক্রন্দন কিন্তু সে আশাবাদী। সে জানতো যে, অ্যালেক্সের  মধ্যে মূল্যবান কিছু সে খুঁজে পেয়েছে। যা তার পৃথিবীর অন্ধকারকে সহনীয় করে তুলেছে। সে আবার অ্যালেক্সের  সময়ে ফিরে যাওয়ার উপায় খুঁজতেছিল। অ্যালেক্সকে সে খুব মিস করতো। সে সবসময় বিষন্ন থাকতো। আছি ভাল আছি বর্তমানে আছি আনন্দে ‘মন্ত্রে দীক্ষিত হাসি খুশি মেয়েটি নিষ্প্রভ হয়ে গেল। অ্যালেক্সের সংগ পেতে সে পাগল প্রায়। এ অবস্থায় এলিজা কয়েক বছর অতিবাহিত করেছিল। তার  দরকার ছিল একটি টাইম মেশিনের। কিন্তু  এলিজা তা খুঁজে পায়নি।

তারপর, একদিন অলৌকিক কিছু ঘটেছিল। একদল বিজ্ঞানী কেবল মনের শক্তি ব্যবহার করে কোন যন্ত্র ছাড়াই  সময়ের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করার উপায় আবিষ্কার করেছিলেন। এলিজা ছিল বিজ্ঞানীদের পরীক্ষার জন্য প্রথম  স্বেচ্ছাসেবকদের  একজন।

এলিজা তার চোখ হালকাভাবে বন্ধ করলো। তার শ্বাস-প্রশ্বাস গভীরভাবে খেয়াল করলো। তার সমস্ত শক্তি দিয়ে  মনোনিবেশ করল। মনে মনে অ্যালেক্সের মুখটি চিত্রিত করল। তার ভেতরের স্থিতি শক্তি গতি শক্তিতে রূপান্তরিত হলো। স্থান-কাল-পাত্র স্থানান্তরিত হলো।তাকে  অ্যালেক্সের  সময়ে  ফিরিয়ে  আনা  হলো।

 

কিন্তু এটা খুব দেরি হয়ে গিয়েছিল। এরমধ্যে পৃথিবীতে বিশ্বযুদ্ধ শুরু গিয়েছিল। একটি বড়  বিপর্যয় ঘটেছিল। যুদ্ধ বেশিরভাগ মানুষকে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। টিকে থাকা মানুষদেরকে দূষিত এবং যুদ্ধ বিধ্বস্ত পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রামী করে রেখেছিল। এলিজা মরিয়া হয়ে অ্যালেক্সের খোঁজ করল, কিন্তু সে তাকে কোথাও  খুঁজে পেল না।

তারপর, দূরে সে একটি কণ্ঠস্বর শুনতে পেল। এটা  অ্যালেক্স ছিল। সে এলিজাকে ডাকছিল। এলিজা  তার দিকে ছুটে গেল। অ্যালেক্সকে দেখতে পেয়ে তার হৃদয় আনন্দে ভরে গেল।

কিন্তু যখন সে কাছে এলো, সে দেখতে পেল যে, সে একা নয়। অ্যালেক্স একটি ছোট শিশুর  হাত ধরেছিল। একটি  মেয়ে। মেয়েটি  দেখতে  ঠিক  তার  মতোই  ছিল।

 

 

সরকার হুমায়ুন, বিজ্ঞান  লেখক

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।