এখন সময়:সকাল ৮:৫০- আজ: মঙ্গলবার-২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

এখন সময়:সকাল ৮:৫০- আজ: মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

ঘুমের পৃথিবী জুড়ে রাত

নূরুল হক

 

লিখেছি ঘুমের পদ্য। ঘুম নিয়ে চোখে

অদৃশ্য জগতে তুমি অদেখা বালিকা

আকারে ইঙ্গিতে আর আধাঁরে আলোক

জ্বালো তুমি অনন্তর রজতের শিখা।

 

২.

সন্ধ্যা নামে চরাচরে তোমার স্মরণে

আঁধারের হাত ধরে আমার শরীরে

ঘুম আসে ক্লান্তপায় বৈচিত্র্য ক্ষরণে

প্রথম বসন্ত রাতে ধীরে অতি ধীরে।

 

৩.

অতঃপর গোধূলিরা মিশে তার চুলে

প্রকৃতি যেমন সাজে বসন্ত গহীনে

যুবতী ঋতুর খেলা দৃশ্যমান ফুলে

দূরে যাও তন্দ্রা তুমি ফাগুনের দিনে।

 

এমন বসন্ত বায়ু বহে যায় ধীরে

পৃথিবী পরেছে গায়ে বাসন্তী পোশাক

জেগে থাক চোখ দুটি চোখের গভীরে

ঘুম নয় এ আনন্দে সম্মুখে বৈশাখ।

 

কোলাহল ক্লান্ত এ নগরে নিশিভারে

আমি চুপিসারে ঘুমে কিম্বা অচেতনে

ফিরেফিরে আসি একা রাত্রি অভিসারে

ঘুম নিয়ে ঘুম ঘুম চোখে তার মনে।

 

৬.

তুমি প্রলম্বিত চোখে শিহরণ সিক্ত

তুমি দিবসের ডালে ঝুলে থাকা পাখি

লাজুক নয়না আহা দুটি হাত রিক্ত

আমার চামার রাত্রি। আলপনা আকি।

 

৭.

একঘুমে অপরাহ্ণ অনায়াসে পার

ঘুম ঘুম আঁখি তারা এক ঘুমে রাত

এক ঘুমে জেগে থেকে সব ছারখার

আমার স্বাদের ঘুম নিজে কুপোকাত।

 

৮.

নাওয়া খাওয়া ঘুমে নাকি মহাঘুমে

আর বাকিটুকু যত প্রেম প্রীতি গীতি

ঘুম নিয়ে তুমি আমি সেই মহা ধুমে

গ্লানিহীন দিন শেষে উবে যায় ভীতি।

 

৯.

ঘুম আর ঘুম আহা মহা ধুমধাম

পিরীতের ঘুম তোমাকে সালাম

আঁধার মেলিছে হাত। দিবা অবসান

এসো আজ গেয়ে যাই তমিস্রার গান।

 

১০.

ঘুমকে কহিলাম তুমিও ঘুমাও

চুপিচুপি ঘুম কহে আমার দু কানে

আমি যদি ঘুমিয়ে পড়ি তুমিতো একাই

ভেসে যাবে নির্ঘুমের নিরানন্দ বানে।

 

১১.

আমি কালিদাস নই কবি আমি কলি

আমি মহাঘুমে নিজে দেই জলাঞ্জলি

এই হোক আর্শীবাদ যেন ঘুমদূত

ঘুমে তুমি একাকার আমিই অদ্ভুত

 

১২.

শুভরাত্রি বলে তুমি চলে যেতে চাও

এ দায় তোমার নয়। আমার এ দায়

তোমার আখিঁতে কিগো মেলে এক বাও

পাপড়ির স্বর্ণ কণা, নাও না বিদায়।

 

১৩.

আমাকে ঘুমের কাছে কলঙ্কিত করোনা

তুমি যাও নির্নিমেষ। আমি আছি তাকে

নিয়ে মহা আনন্দে অনিমিখে অবিরাম

তুমি যাও ঘুমের খরস্রোতা নদীর বাঁকে।

 

১৪.

এখন প্রায়ই ভোর। ঘুম ঘুম খেলা

ইঁদুর বিড়াল যেন। দুন্দুভিনিনাদ

চলে বেশ ধুমধাম নিতিরাত্রি বেলা

তুমিতো আমার ঘুম আনন্দ নিখাদ।

 

১৫.

এখনো তোমার পাশে ঘুম নদী তীরে

জ্বলে আলো জোনাকির ঘুম ঘুম চোখে

তুমি কি তমিস্রা দেবী, রজনী গভীরে

খেলে যাও ঘুম নিয়ে ঋদ্ধ কল্পলোকে।

 

১৬.

প্রভাত মেলিছে আখিঁ তিমির বিনাশী

জ্যোতিষ্মান অবিনাশী রবিরশ্মি কণা

দিকে দিকে বেজে যায় নাগরিক বাঁশী

আলো দেখে ক্রুদ্ধ ঘুম তোলে বিষ ফনা।

 

১৭.

তোমার শিয়রে আর স্নিগ্ধ আঁখি জলে

পাশাপাশি খেলা করে নির্বোধ অহম

তুমিতো হারিয়ে গেছো ঘুমের অতলে

দেখি তুমি মহারাণী আলোকিত ভ্রম

১৮.

উত্তর আকাশে স্থিত নীহারিকা তুমি

ঘুমের পোশাকে ঢাকা চোখ দুটি কার

হীম হীম সুনয়না শ্যামলীম ভূমি

ঘুমে কি নির্ঘুমে দেখি রাজ্যের আঁধার।

 

১৯.

পৃথিবীর এ গোলার্ধে আমি বসে আছি

নির্বিকার নিরুদ্বেগ ভাবাবেগ হীন

তুমি থাকো একাকার তার কাছাকাছি

আমি ঘুমে পার করি ক্লান্তিকর দিন

 

২০.

এখন ঘুমের দিন। ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে

কাজ কাম উঠা বসা হাঁটা আর চলা

বলোনা খুলিতে আঁখি অনুরোধ প্রিয়ে

কেটে যাক বাকী কাল দেখে তার কলা।

 

২১.

প্রভাত এসেছে ফের মেলে তার আঁখি

চারদিকে উড়ে যায় আলোকের পাখি

ঘুম নিয়ে আমি উড়ি তোমার আকাশে

নির্ঘুম বিরহ স্মৃতি চোখে চোখে ভাসে।

 

২২.

ডিমের হলুদ মাখা হীমে ভেজা ভোর

দাঁড়ায় দুয়ারে এসে খোলা করিডোর

পাখায় জড়ানো তার অতি প্রিয় ঘুম

অনঙ্গ অভঙ্গ আহা কোমলা কুসুম

 

২৩.

ঘুম নেই তার চোখে বিরহে বিধুর

ঘুম যেন রক্ত রাঙা সিঁথির সিধুর

বেদনা মথিত বধূ শঙ্কিত জীবন

ঘুম নেই চোখে তার ভারানত মন।

 

২৪.

ঘুমেরা সর্পিল বেগে পৃথিবীর বুকে

নেমে আসে আচানক রাজ সাজ পরে

নির্ঘুম কবির চোখ জ্বলে ধুকে পুকে

আমি আছি ঘুমক্লান্ত কৃষ্ণ গহ্বরে

 

২৫.

আবারো ভোরের পাখি উড়ে উড়ে যায়

পালকের দেহ থেকে ঝেড়ে ফেলে ওম

পাখি নয় উড়ে ঘুম. ছলা ও কলায়

ঘুম নেই পক্ষি চোখে নেই কোন ঘুম।

আন্দরকিল্লা প্রকাশনার ২৮ বছর আগামীর পথ ধরে অনাদিকাল

রূপক বরন বড়ুয়া আমি মাসিক ‘আন্দরকিল্লা’ কাগজের নিয়মিত পাঠক। প্রতিবারের মতো হাতে নিলাম এবারের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে ঢাকা জুলাই ২০২৫ সংখ্যা, হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতেই

জলে জঙ্গলে (পর্ব-২)

মাসুদ আনোয়ার   ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী বোর্ডের রেজাল্ট আউট হলো। আমি কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী। ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠলাম। যে কোনোদিন কুমিল্লা বোর্ডও ফল প্রকাশ

স্বপ্নে গড়া অবয়ব

সৈয়দ মনজুর কবির   মনটা যখনই কেমন অজনা বিষণ্নতায় ছেয়ে যায় তখনই কেয়া জানালার ধারে এই চেয়ারটাতে এসে বসে। আজ অবশ্য অন্য একটা কারণ আছে

অন্তহীন সুড়ঙ্গ

সুজন বড়ুয়া   কবর থেকে বেরিয়ে মহিম অশরীরী রূপ নিল। সঙ্গে সঙ্গে গত কয়দিনের সব ঘটনা একে একে মনে পড়ে গেল তার। ফার্স্ট সেমিস্টারের পর

রাত যখন খান খান হয়ে যায়…

মনি হায়দার   চোখ মেলে তাকায় সোাহেল হাসান। প্রথম দৃষ্টিতে সবকিছু অচেনা লাগে। কোথায় এলাম আমি? উঠে বসতেই মনে পড়ে গতরাতে অনেক ঝক্কি আর ঝামেলার