এখন সময়:সকাল ১১:০৫- আজ: শনিবার-২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:সকাল ১১:০৫- আজ: শনিবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে ভাষার অধিকার

সাজ্জাদ হোসেন

 

ভাষার মাধ্যমে আমরা পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন করি ও আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করি। তাই, প্রাথমিকভাবে, ভাষাকে যোগাযোগ ও অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু ভাষার ভুমিকা যোগাযোগ স্থাপনের মধ্যে সীমিত, এমন ধারণা খুবই সংকীর্ণ। বস্তুত, ভাষা আমাদের পরিচয়ের (identity) একটি অন্যতম দিক। তবে ভাষার সাথে পরিচয়ের সম্পর্ক নিয়ে নানা মত আছে। কারো কারো ধারণা, ভাষা আমাদের পরিচয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবার আরেকটি পক্ষ মনে করে, ভাষার সাথে পরিচয়ের সম্পর্কটি সামাজিক ভাবে তৈরী, কোন দৈব ব্যাপার নয়। এ সম্পর্কের ক্ষেত্রে  ভাষার উপযোগিতা  মূল ব্যাপার। প্রয়োজনে মানুষ নতুন ভাষা আয়ত্ত করে এবং মূল ভাষা পরিত্যাগ করতে পারে।. আরেকদল এ দুই অবস্থানের মাঝামাঝি। এরা মনে করেন, ভাষা পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ, সঙ্গত কারণে এমনটা দাবী করা যুক্তিসঙ্গত নয়। তবে ভাষা আমাদের পরিচয়ের একটা প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ দিক। এ সম্পর্কের একটা সামাজিক, অর্থনৈতিক, ও আবেগগত দিক আছে। তাঁরা আরো মনে করেন, নিজের মাতৃভাষা  ত্যাগ করার ব্যাপারটি আপনাআপনি ঘটেনা। এর পেছনে সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা লুকিয়ে থাকে। ভাষা যে মানুষের জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণএকটা দিক, বাংলাদেশে বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন তাঁর উজ্জ্বল উদাহরণ। তাই ব্রিটিশ ভাষা বিজ্ঞানী Adrian Blackledge লিখেনঃ: ‘We can hardly argue theoretically that for students who died protesting the right to establish Bengali as the national language of East Pakistan in 1952, language was not a key feature of identity’ (Blackledge, 2008).

 

বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনকে আমরা ভাষার অধিকার আদায়ের সংগ্রাম হিসেবে দেখি। প্রশ্ন করা যেতে পারে, ভাষা অধিকার আসলে কী? ভাষা অধিকারের তাত্ত্বিক ধারণাগুলো সংক্ষিপ্ত আকারে তুলে ধরা এ লেখার মূল উদ্দেশ্য। সাধারণভাবে, মানুষ যেন তাঁর ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে তাঁর নিজ ভাষা ব্যবহার, রক্ষা ও বিকশিত করতে পারে সেজন্য যে আইনি অধিকার তাকে ভাষা অধিকার বলে বিবেচনা করা হয়। উল্লেখ্য, একটা সময় ভাষাকে অধিকার হিসেবে দেখা হতো না; সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু ১৯৪৮ সালের ইউনিভার্সাল ডিক্লারেশন অব হিউম্যান রাইটস (Universal Declaration of Human Rights)-এর পর থেকে ধীরে ধীরে ভাষাকে অধিকার রূপে দেখা হতে শুরু করে। এর ধারাবাহিকতায় ভাষাগত মানবাধিকারের ধারণা বিকাশ লাভ করে। ভাষার অধিকার নিয়ে যারা সুনির্দিষ্ট চিন্তা করেছেন তাদের মধ্যে যার নাম প্রথমে উল্লেখ করতে হয়, তাঁর নাম হেইনয ক্লস (Heinz Kloss)। জার্মান বংশোদ্ভূত এ ভাষা বিজ্ঞানী, ভাষা নিয়ে নিজ দেশ জার্মানী ও পরে যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা করেছেন। তিনি দু ধরনের ভাষা অধিকারের কথা বলেছেনঃ সহিষ্ণুতা-ধর্মী (promotion-oriented) ও উন্নীতকরণ-ধর্মী (promotion-oriented) অধিকার। কোন রাষ্ট্র যখন তাঁর ক্ষুদ্র ভাষা গোষ্ঠীকে তাদের নিজ ভাষা ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে ব্যবহার করতে অনুমোদন করে, তাকে ক্লস সহিষ্ণুতা-ধর্মী অধিকার বলে অভিহিত করেছেন। অপরদিকে, রাষ্ট্র যখন, কোন ক্ষুদ্র ভাষাগোষ্ঠীর ভাষাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করে, যেমন সে ভাষাগুলোতে শিক্ষা ও রাষ্ট্রীয় সেবা প্রদান করা, তাকে ক্লস  উন্নীতকরণ-ধর্মী ভাষা অধিকার বলে অভিহিত করেছেন। ক্লসের মতে, অধিকাংশ আধুনিক রাষ্ট্র তাঁর নাগরিকদের সহিষ্ণুতা-ধর্মী ভাষা অধিকার অনুমোদন করে। অর্থাৎ, রাষ্ট্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীকে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে তাদের নিজ ভাষা ব্যবহারে অন্তরায় সৃষ্টি করে না। বিপরীতে, খুব অল্পসংখ্যক রাষ্ট্র সব জনগোষ্ঠীকে উন্নীতকরণ-ধর্মী ভাষা অধিকার অনুমোদন করে।

 

হেইনযের পরে যারা ভাষা অধিকার নিয়ে চিন্তা করেছেন, তাদেরকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়। প্রথম ধারাটি, ভাষাবৈচিত্রকে জীববৈচিত্রের সাথে তুলনা করে এবং সাংস্কৃতিক বিপর্যয় থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য সংখ্যালঘু ভাষাগুলোকে বিলপ্তির হাত থেকে রক্ষা করাকে অপরিহার্য মনে করেন। এ ধারার ভাষা বিজ্ঞানীরা ভাষাকে মানুষের জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করেন এবং এ পরিচয় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তা ইতিহাস, ঐতিহ্য, ও অন্তঃগোত্রীয় সম্পর্কের ধারাবাহিকতাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে বলে মনে করেন। তাই, তাঁরা সংখ্যালঘু ভাষাগুলোর জন্য ভাষা অধিকারের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। উল্লেখ্য, আধুনিক জাতিরাষ্ট্রে সুপ্রতিষ্ঠিত ও শক্তিশালী ভাষার জন্য অধিকার প্রয়োজন হয়না; রাষ্ট্রে তাদের প্রভাব ও ক্ষমতা ক্রমে বৃদ্ধি পেতে থাকে। আইনগত সুরক্ষা প্রয়োজন হয় সখ্যালঘু ভাষা সমূহের জন্য। এ সুরক্ষা না পেলে এই ভাষাগুলো টিকে থাকতে পারেনা; হারিয়ে যায়। ইতোমধ্যে পৃথিবী থেকে শত শত ভাষা হারিয়ে গেছে। এখনও প্রতি পনেরো দিনে একটা ভাষা হারিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে কিছু ভাষা অস্বাভাবিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। একটা উপাত্ত থেকে ব্যাপারটি বুঝা যায়। বর্তমান পৃথিবীর ৯৪ শতাংশ মানুষ ৬ শতাংশ ভাষা ব্যবহার করে। অপরদিকে মাত্র ৬ শতাংশ মানুষ ৯৪ শতাংশ ভাষায় কথা বলে। মানে, পৃথিবীর বেশিরভাগ ভাষাগুলোর খুব স্বল্পসংখ্যক মাতৃভাষী লোক আছে। বিবিসির একটা প্রতিবেদনে জানা যায়, বাংলাদেশের বান্দরবনের রেমচিংতন ভাষায় মাত্র চারজন মানুষ কথা বলে।

 

দ্বিতীয় একটি ঘরানা ভাষা অধিকারকে ভাষা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্রের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে আগ্রহী নন, কারণ তাতে ভাষার বিলুপ্তি বা মৃত্যুকে, জীবের মৃত্যুর মত, একটা প্রাকৃতিক ব্যাপার বলে মনে হতে পারে। কিন্তু ভাষাবিজ্ঞানিরা বলেন, ভাষার বিলুপ্তি বা মৃত্যু সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার ফল, প্রাকৃতিক ব্যাপার নয়। তারা এ ঘরাণার ভাষাবিজ্ঞানিরা, ভাষা অধিকারকে স্পষ্টত মানবাধিকারের অংশ মনে করেন। তাঁরা মনে করেন, প্রত্যেক ক্ষুদ্র ভাষাগোষ্ঠীর নিজ ভাষায় কথা বলার, শিক্ষা  ও রাষ্ট্রীয় সেবা লাভের অধিকার আছে। তাঁরা ভাষা অধিকারকে দুভাগে ভাগ করেনঃ মৌলিক বা প্রয়োজনীয় অধিকার ও সমৃদ্ধিগত অধিকার। তাদের মতে, মাতৃভাষা শিখার ও মাতৃভাষায় শিক্ষা লাভের অধিকার মৌলিক, কারণ এ ভাষা মানুষের অস্তিত্বের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর কোন বিদেশি ভাষা যেমন ইংরেজি শেখার অধিকার সমৃদ্ধিগত অধিকার। তাঁদের মতে, ক্ষুদ্র ভাষাগুলোর মূল শ্ত্রু জাতিরাষ্ট্রের ধারণা। কারণ, জাতি রাষ্ট্রগুলো একটা ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ও দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে নির্বাচন করে সে ভাষাকে মূলধারার শিক্ষা, আদালত, প্রশাসন ও গণমাধ্যমে এককভাবে ব্যবহার করে এবং নির্বাচিত ভাষাটিকে জাতীয় পরিচয়ের মুলভিত্তি হিসেবে পরিগণিত করে। এতে করে এ ভাষাটি ধীরে ধীরে প্রচন্ড সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক পুঁজি অর্জন করে, অর্থাৎ শক্তিশালী হয়ে উঠে এবং অন্য ভাষাগুলোকে কোণঠাসা করে ফেলে। ফলে, জাতিরাষ্ট্রে ক্ষুদ্র ভাষাগুলো দুর্বল ও অকার্যকর হয়ে উঠে। তাই, তাঁরা মনে করেন, আইনগত সুরক্ষা ছাড়া এসব ভাষার টিকে থাকা দুষ্কর। ফলে, ভাষা অধিকার অপরিহার্য।

 

উল্লেখ্য, জাতিরাষ্ট্র ও জাতীয় ভাষার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা আছে। প্রাথমিক বিচারে জাতিরাষ্ট্রগুলোকে ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্রও বলা যেতে পারে। ভাষাভিত্তিক জাতীয় পরিচয় তৈরীর চেষ্টা যে রাষ্ট্রের অন্য ভাষাগুলোর গুরুত্ব ও আবেদন হ্রাস করে এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে ফ্রান্সের দিকে তাকানো যেতে পারে। ফরাসী বিপ্লবের পূর্বে ২৫ শতাংশেরও কম মানুষ ফরাসি ভাষায় কথা বলতো। সে সময় সে দেশে আরো অনেকগুলো ভাষা ছিল, যা বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হত। কিন্তু বিপ্লবউত্তর কালে দেশটি ফরাসি ভাষাকে রাষ্ট্রীয় ভাষা নির্বাচন করে সেটিকে রাষ্ট্রের সব গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে, যেমন শিক্ষায়, প্রশাসনে, ও আদালতে ব্যবহার শুরু করে। এখন ফ্রান্সে অধিকাংশ ভাষা বিলপ্ত হয়ে বহুভাষিকতা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে এবং দেশটি অনেকটা একভাষী দেশে রূপ নিয়েছে। এমতাবস্থায়, ভাষা বিজ্ঞানী, আইনজ্ঞ ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানীদের নিয়ে তৈরি তৃতীয় একটা ঘরাণা সংখ্যালঘু ভাষাগুলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভাষা আইন থাকা জরুরি মনে করে। তবে তাঁরা স্বীকার করেন, রাষ্ট্রে একটা জাতীয় ভাষা না থাকলে সর্বজনীন  প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বাস্তবায়ন করা ও অন্ত্য-রাষ্ট্রীয় যোগাযোগ নিশ্চিত করা দুরূহ হয়ে উঠে। ফলে, শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে সাম্য নিশ্চিত করা যায় না। তাই তাঁরা আধুনিক রাষ্ট্রে একটি রাষ্ট্রভাষা থাকাটাকে ন্যায্য মনে করেন। তাঁরা দাবী করেন, রাষ্ট্র উদারনৈতিক নীতি গ্রহণ করলে, রাষ্ট্র ভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষাগুলোকেও পৃষ্ঠপোষকতা করতে পারে এবং দ্বি অথবা বহুভাষিকতাকে উৎসাহিত করতে পারে। সেক্ষেত্রে  একাধিক ভাষা একজন নাগরিকের পরিচয়ের অংশ হতে পারে। তাদের মতে, কোনো ভাষাকে পরিচয়ের অপরিহার্য অংশ মনে করা সমর্থনযোগ্য নয়, কারণ তাতে একজন ব্যক্তির সাথে কোনো নির্দিষ্ট ভাষার সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা বাধ্যবাদকতা তৈরি হতে পারে। তবে, অপরিহার্য না হলেও, ভাষা মানুষের পরিচয়ের অন্যতম প্রধান একটা দিক বলে তাঁরা মনে করেন। অধিকারের প্রশ্নে সংখ্যালঘু ভাষাগুলোকে দুভাগে ভাগ করা যায়ঃ আদিবাসী ও অভিবাসী। উইল কিমলকা নামের একজন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও ভাষা ও সাংস্কৃতিক অধিকার বিষয়ের প্রখ্যাত গবেষক মনে করেন আদিবাসীরা  ঐতিহাসিকভাবে রাষ্ট্রের অংশ, তাই তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি পূর্ণাঙ্গগভাবে রক্ষা করার জন্য তাদের স্ব-শাসনের অধিকার রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে। অপরদিকে, অভিবাসীরা যেহেতু স্বেচ্ছায় বা অন্য কোনো কারণে নিজ দেশ ও সংস্কৃতি ছেড়ে নতুন (?) দেশে আসেন, বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পৃক্ততার জন্য তাদের নতুন দেশের জাতীয়/প্রধান ভাষা ভালো ভাবে আয়ত্ত করা উচিৎ। তবে তাঁরা পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে যেন তাদের ভাষা ব্যবহার করতে পারে সেজন্য রাষ্ট্র তাদের কিছু বিশেষ অধিকার নিশ্চিত করতে পারে।

অস্বীকার করার উপায় নেই যে, ভাষা মানুষের জীবনের একটা অতি গুরুত্বপূর্ন উপাদান। ভাষা জীবনের অপরিহার্য উপাদান কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন করা যেতে পারে, কারণ ইতিহাস বলে, মানুষের মূল ভাষা পরিবর্তন হয়। একটা বাংলা-ভাষী পরিবারের নতুন প্রজন্ম ইংরেজি বা অন্যকোন ভাষাকে, আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার কারণে, মূল ভাষা হিসেবে গ্রহণ করে ধীরে ধীরে বাংলা চর্চা থেকে সরে যেতে পারে। কিন্তু ভাষা যে মানুষের অস্তিত্বের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত, তা তর্কাতীতভাবে প্রতিষ্ঠিত। তাই, ভাষার অধিকার অতি গুরুত্বপূর্ণ।

 

সাজ্জাদ হোসেন, ইংরেজি বিভাগ, বাকলিয়া সরকারি কলেজ, চট্টগ্রাম

একজন রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষ ও তাঁর তোলা কিছু দুর্লভ আলোকচিত্রের কথা

আলম খোরশেদ অনেকেই জানেন যে, প্রখ্যাত ফরাসি কল্পবিজ্ঞানলেখক জ্যুল ভের্ন এর কিংবদন্তিতুল্য গ্রন্থ ‘অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ’ অবলম্বনে ১৯৫৬ সালে হলিউডে একই নামে

প্রগতির পথে, জীবনের গান, সকল অশুভ শক্তির হবে অবসান” এই আহবানে উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের ৫৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

\ ভাস্কর ধর \ সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বানের মধ্য দিয়ে এবং প্রগতির লড়াইকে দৃঢ় করার দৃপ্ত শপথের মধ্য দিয়ে উদীচীর ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। 

আমার বাবা কর্নেল তাহের

জয়া তাহের   আমাকে যখনই কেউ জিজ্ঞাসা করেন, কর্নেল তাহেরের মেয়ে হিসেবে আপনার অনুভূতি কি? আমার চোখের সামনে এক নিমেষেই ভেসে ওঠে ৪০ বছরের অসংখ্য

ছাগল-মাহাত্ম্য

ড. ইউসুফ ইকবাল ভূপৃষ্ঠের বঙ্গ-ভূভাগে দ্রুতবর্ধমান প্রাণিকুলের মধ্যে সর্বাগ্রে উল্লেখযোগ্য প্রাণিটির নাম ছাগল। আমাদের একচুয়াল ও ভার্চুয়াল প্রতিবেশ-বাস্তব ও মেটাফোরিক পরিমণ্ডলে এর প্রভাব অপরিসীম। ছাগলের

সৈয়দ মনজুর কবির-এর অনুগল্প

শুধুই কলিজার টুকরা পারে   সম্প্রতিক সৃষ্টি হওয়া চরম বিপরীতমুখী দুই পরিবারের মাঝে একটি টানা বেড়ার আড়াল। শুধু ওপাশের আম গাছটির ছড়ানো লম্বা ডালটি চলে