আলম খোরশেদ
১৯৭১ সালের যে-দশ মাস কালজুড়ে বাংলাদেশে চলছিল একটি নতুন দেশের জন্মযুদ্ধ, ঠিক সেই সময়টাতেই পৃথিবীর অন্যপ্রান্তে, পর্তুগালের লিসবন শহরে, তিন সাহসিকা, তিনজনেরই নাম মারিয়া —মারিয়া ইসাবেল বারেনো, মারিয়া তেরেসা ওর্তা, মারিয়া বেলো দে কস্তা- অবতীর্ণ হয়েছিলেন অন্যরকম এক দুঃসাহসী সৃজনসংগ্রামে। মার্চের ঠিক এক তারিখ থেকে তাঁরা লিপ্ত হয়েছিলেন ভিন্নধর্মী এক ভাঙা ও গড়ার লড়াইয়ে, যে-লড়াইয়ের সফল সমাপ্তি ঘটেছিল ডিসেম্বরের তেরো তারিখে একটি অভূতপূর্ব গ্রন্থের আদলে; গ্রন্থটির নাম ঞযব ঞযৎবব গধৎরধং : ঘবি চড়ৎঃঁমবংব খবঃঃবৎং। এই গ্রন্থের মাধ্যমে তাঁরা ভেঙে দিয়েছিলেন রক্ষণশীল পর্তুগিজ সমাজের যাবতীয় গোঁড়ামি, সংস্কার ও পশ্চাৎপদতার মিশেলে তৈরি পুরুষতান্ত্রিক ধ্যানধারণার যুক্তিকাঠামোটি; সেইসঙ্গে সংযোজন করেছিলেন পর্তুগিজ সাহিত্যের ইতিহাসে অমর মাইলফলকসদৃশ এক অনন্যসাধারণ আধুনিক ধ্রুপদীগ্রন্থ। দশ মাস ধরে এই তিন নারী তাঁদের মানসগর্ভে ধারণ করেছিলেন যে-কালাপাহাড়ি গ্রন্থবীজখানি, তা ১৯৭২ সালের বসন্তে ‘তিন মারিয়া : নব পর্তুগিজ পত্রালি’ শিরোনামে ভূমিষ্ঠ হওয়া মাত্রই পর্তুগাল জুড়ে হইচই পড়ে যায়, কেঁপে ওঠে পীড়নপ্রবণ পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ভিতশুদ্ধ; ভীত হয়ে পড়ে গির্জা, পুঁজিবাজার, আদালত, এমনকি খোদ রাষ্ট্রযন্ত্র। এতটাই যে, তারা কালবিলম্ব না-করে গ্রন্থটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা এবং গ্রন্থটির রচয়িতা তিন মারিয়াকে কারাবন্দি করে। তারপর দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে আইনি লড়াই, একদিকে তৎকালীন সামরিক স্বৈরাচারী পর্তুগিজ সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট পুরুষতন্ত্রের রক্ষাকবচ গির্জা ও আদালত, অন্যদিকে সারা বিশ্বের নারীবাদী সংগঠনসমূহ এবং বাক্-স্বাধীনতা, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য ও মুক্তবুদ্ধির সমর্থক বৌদ্ধিক সমাজ। এরই মধ্যে ১৯৭৪ সালের গোড়ার দিকে পতন ঘটে পর্তুগালের স্বৈরশাসকের, ক্ষমতায় আসে সমাজতন্ত্রীরা। তারা প্রথমেই যে-কাজটি করে সেটি এই বইয়েরবিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও গ্রন্থকারত্রয়ীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তুলে নিয়ে তাঁদের সসম্মানে মুক্তিদান করা। তারপর বইখানি রাতারাতি শুধু পর্তুগালে নয়, বিশ্বজুড়েই আন্তর্জাতিক শীর্ষবিক্রির আসন দখল করে। বলা হয়ে থাকে, সিমোন দ্য বোভোয়ারের দ্বিতীয় লিঙ্গর পর আর কোনো বই নারীবাদী সাহিত্য ও চিন্তার জগতে এতটা আলোড়ন তুলতে পারেনি।
কী আছে এই গ্রন্থে যে শত্রুমিত্র নির্বিশেষে সকলের মনোযোগ আকর্ষণ ও চিত্তচাঞ্চল্য সৃষ্টিতে তা এতটা সফল হয়? এই প্রশ্নের উত্তর অনুসন্ধানের আগে অবশ্য আমাদের জেনে নেওয়া দরকার কী পদ্ধতিতে এবং কোন পটভূমিতে লেখা হয়েছিল এই ব্যতিক্রমী বইটি, কেননা খোদ গ্রন্থকারদের ভাষাতেই — ‘এই বইয়ের ভেতরে যা আছে তাকে বইটি যেভাবে হয়ে উঠেছে তা থেকে আলাদা করা সম্ভব নয়।’ তাহলে চলুন শোনা যাক এই বৈপ্লবিক বইখানির হয়ে-ওঠার ইতিকথা। মারিয়া ইসাবেল বারেনো ও মারিয়া বেলো দে কস্তা কৈশোরের বন্ধু, একসঙ্গে কাজ করতেন পর্তুগিজ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ে, ইতোমধ্যে দুজনের লেখাই প্রকাশিত হয়েছে। লেখালেখির সূত্রেই তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় লিসবনের একটি দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সম্পাদক মারিয়া ওর্তার সঙ্গে, যিনি নিজে ছিলেন কবি এবং যাঁর একটি কাব্যগ্রন্থ ’আমিই আমার প্রেমিকা’ ইতঃপূর্বে অশ্লীলতার দায়ে নিষিদ্ধ হয়েছিল। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ত্রিশের কোটায়, তিনজনই বিবাহিত ও পুত্রসন্তানের জননী এবং ঘটনাচক্রে তিনজনের শিক্ষালাভ ধর্মযাজিকার কাছে। তিনজনেরই সুপ্ত বাসনা ছিল তাদের সৃজনপ্রতিভাকে কাজে লাগিয়ে এমন একটি গ্রন্থ রচনার, যার মধ্যে পর্তুগালের বঞ্চিত, অবদমিত ও নির্যাতিত নারীরা খুঁজে পাবে মুক্তির নিশানা। এই লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে তাঁরা ঠিক করেন সপ্তাহে একদিন একসঙ্গে দুপুরের খাবার খাবেন এবং তাঁদের অব্যক্ত কথা, ভাবনাচিন্তা, আশা-কল্পনা, ক্ষোভ-হতাশা, স্বপ্ন-সংঘাত সব পরস্পরের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন অকপটে। সিদ্ধান্তমতো তাঁরা কয়েকদিন একসঙ্গে বসা ও আলাপ-আলোচনার পর ঠিক করলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই কিছু না কিছু নিয়মিত লিখবেন এবং প্রতি সপ্তাহে একদিন সন্ধেবেলায় আবারও নিজেরা একত্রিত হয়ে সেই লেখাগুলো পাঠ করবেন। এইসব টুকরো লেখা রচনা ও পাঠের ভেতর দিয়েই তাঁদের মধ্যে একত্রে একটি গ্রন্থ রচনার তাগিদ তৈরি হয় এবং তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন, তাঁদের এই প্রস্তাবিত গ্রন্থটির উৎসসূত্র ও প্রস্থানবিন্দু হবে পর্তুগিজ সাহিত্যের একটি ধ্রুপদী সৃষ্টি বলে স্বীকৃত খবঃঃবৎ ড়ভ ঃযব চড়ৎঃঁমবংব ঘঁহ গ্রন্থটি।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা উচিত যে, এই কৃশকায় গ্রন্থটি রচিত হয়েছিল সপ্তদশ শতাব্দীর শেষপাদে, প্রথমে ফরাসি দেশে, পরে পর্তুগালে এবং বিশ্বের অন্যত্র, অন্য আরও অনেক ভাষায় অনূদিত হয়ে। বলা হয়ে থাকে, রাইনের মারিয়া রিলকেকৃত ১৯১৩ সালের জর্মন অনুবাদটিই শ্রেষ্ঠ এবং রিলকে স্বয়ং এই অনবদ্য প্রেমপত্রগুলো দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই তাঁর সর্বোত্তম কীর্তি দুয়িনো এলিজিসমূহ রচনা করেছিলেন। ১৬৫০ সালে পর্তুগালের এক বিপত্নীক ভদ্রলোক তাঁর ষোড়শী কন্যাকে একটি ফরাসি ধর্মাশ্রমে শিক্ষানবিশ ধর্মযাজিকা হিসেবে সমর্পণ করেন, নাম তাঁর মারিয়ানা আলকোফোরাদো। মারিয়ানার বয়স যখন পঁচিশ এবং যখন তিনি একজন পুরোদস্তুর ধর্মযাজিকা তখন তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় কর্মব্যপদেশে পর্তুগালে আসা এক তরুণ ফরাসি সেনা কর্মকর্তা নোয়েল বুতঁর সঙ্গে। প্রথম পরিচয়েই মারিয়ানা আনখশির তাঁর প্রেমে পতিত হন, কিন্তু তাঁদের সেই সংরক্ত প্রণয় অচরিতার্থই থেকে যায় কলঙ্ক এড়াতে নোয়েল বুতঁর এক পর্যায়ে স্বদেশে পালিয়ে যাওয়ার কারণে। কিন্তু তাঁর প্রণয়ে তখনও উন্মাদপ্রায় মারিয়ানা তাঁকে ১৬৬৭ সালের ডিসেম্বর থেকে ১৬৬৮ সালের জুন মাস পর্যন্ত মোট পাঁচখানি আবেগ-আপ্লুত, অনুরাগসিক্ত প্রেমপত্র প্রেরণ করেন, সাহিত্যমূল্যের দিক থেকেও যেগুলো ছিল অতি উচ্চাঙ্গের রচনাবিশেষ। ১৬৬৯ সালে প্যারিস থেকে প্রকাশিত গাজেত দ্যু ফ্রান্স পত্রিকায় সেগুলো ছাপা হলে সর্বত্রই আলোচিত, উদ্ধৃত ও প্রশংসিত হতে থাকে। এই চিঠিগুলোর মধ্যে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন, ধর্মানুশাসনের নিগড়ে বাঁধা, প্রেমে প্রত্যাখ্যাত একটি সংবেদনশীল ও সৃজনপ্রতিভাসম্পন্ন নারীর যে-সংরাগ ও বেদনা, আকুতি ও বিক্ষোভ, স্বপ্ন ও সংঘাতের কবিত্বময় প্রকাশ ঘটে, তার সঙ্গে সম্পূর্ণ সংহতি ও সমমর্মিতা অনুভব করেই বিংশ শতাব্দীর পর্তুগালের তিন আধুনিকা তাঁদের পরিকল্পিত গ্রন্থের প্রেরণা হিসেবে নির্দ্বিধায় নির্বাচন করেন এটিকে। এবং তাঁরা সিদ্ধান্ত নেন চিঠিই হবে এই গ্রন্থের একটি অন্যতম প্রধান আঙ্গিক এবং সেই অনুয়ায়ী তাঁরা নিয়মিত পরস্পরের কাছে চিঠি আদান-প্রদান করতে থাকেন, যেগুলো পরে তাঁদের এই তিন মারিয়া গ্রন্থে স্থান পায়। এছাড়া তাঁরা মারিয়ানার চিঠিগুলোর প্রধান প্রসঙ্গসমূহ, যেমন : প্রেম, বিচ্ছেদ, ভগ্নিত্ব, নারী-পুরুষের সম্পর্কের অন্তর্নিহিত আগন্তুকতা, দাম্পত্যের দূরত্ব, জাতিগত ও ব্যক্তিগত বিচ্ছিন্নতাবোধ, পরিত্যক্তের নিগ্রহ, যুদ্ধ, বিদ্বেষ, ধর্মীয় ও নৈতিক সংস্কার অপরাধবোধ, আনন্দ, বিশেষত দৈহিক আনন্দের অনুভূতি ও অনুসন্ধান — সেগুলোকে তদন্ত করে দেখা, ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ করা এবং সমকালের কষ্টিপাথরে যাচাই করে নেওয়াটাকেও তাঁদের অন্যতম কর্তব্য ও উদ্দিষ্ট বলে ঠিক করেন।
যেহেতু চিঠিই হবে এই বইয়ের অন্যতম প্রধান আঙ্গিককৌশল সেহেতু গ্রন্থকারত্রয় প্রত্যেকে নয়টি করে চিঠি লিখেছেন এই বইয়ে, যেগুলো অস্বাক্ষরিত এবং যাদের উদ্দিষ্ট অনুল্লেখিত। এর বাইরে রয়েছে আরও অসংখ্য কল্পিত চিঠি, ডায়েরির অন্তর্ভুক্তি, বেশকিছু কবিতা, গল্পাংশ, ব্যক্তিগত নিবন্ধ, কৌতুক, ধাঁধা ইত্যাকার নানাবিধ সাহিত্য-আঙ্গিক, যার ভেতর দিয়ে রচয়িতারা উপরোল্লিখিত বিষয়গুলোর ওপর নানাভাবে আলো ফেলেন। তবে কোন লেখাটি কে লিখেছেন তার কোনো উল্লেখ নেই, শুধু প্রতিটি রচনার নিচে রয়েছে লেখার তারিখ, যার মাধ্যমে বইটি পায় এক ধরনের ধারাবাহিক কালানুক্রমিকতা ও একত্বের বৈশিষ্ট্য। গ্রন্থের পরিশিষ্টে স্থান পায় ধর্মযাজিকা মারিয়ানা আলকোফোরাদোর লেখা মূল চিঠি পাঁচখানি। তার প্রথমটি থেকে খানিকটা উদ্ধৃতি দেওয়া যাক। — ”দেখো হৃদয় আমার, দূরদৃষ্টির কী অভাব তোমার! বেচারা তুমি প্রতারিত হয়েছ, আর আমার সঙ্গেও প্রতারণা করেছ মিথ্যে আশা দিয়ে। যে-সম্পর্ক থেকে তুমি এত আনন্দ আশা করেছিলে তা এখন তোমাকে দৈহিক দুরাশা ছাড়া আর কিছুই দিতে পারে না, যার তুল্য হতে পারে কেবল তার দ্বারা সৃষ্ট এই বিচ্ছেদ-বেদনাটুকু। এই বিচ্ছেদ, যাকে, আমার শোক, হয়তোবা কল্পিত, যথেষ্ট তীব্রতাভরা কোনো নাম দিতে অক্ষম — আমাকে কি আর সেই চোখজোড়ার দিকে চোখ তুলে তাকানো থেকে নিরস্ত করবে, একদা যা আমাকে আনন্দ-মেশানো আবেগের অনুভূতি শিখিয়েছিল; যা ছিল আমার কাছে সর্বস্ব, আর যা আমাকে দিয়েছিল অন্তহীন আনন্দ? হায় আমার চোখজোড়া তার একমাত্র আলোকে হারিয়ে ফেলেছে, যা তাদের প্রাণদান করেছিল; তাদের এখন আর অশ্রু ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই, আর আমি তাদের অন্তহীন ক্রন্দনের মধ্যে ঢেলে দিচ্ছি, যেহেতু আমি জেনেছি তুমি এই বিচ্ছিন্নতার প্রলম্বনে বদ্ধপরিকর, যা আমি আর বহন করতে পারছি না, যা হয়তো-বা আমার মৃত্যুরও কারণ হবে।”
পাশাপাশি আরেকটি উদ্ধৃতি দেওয়া যাক, গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত ১৯৭১ সালের পয়লা জুনের ভুক্তি একটি ডায়েরির অংশবিশেষ থেকে : ”যেই মুহূর্ত থেকে নর ও নারীর গন্তব্য চিরতরে বিভক্ত হয়ে গেল দুটি বিপরীত দিকে — কিন্তু কখন, হায় কখন ঘটল এই ঘটনা — নারী শুধুমাত্র অস্তিত্বের যাবতীয় যন্ত্রণা ও সমাজের সব পীড়নেরই, যা সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য, শিকার হলো না, সেইসঙ্গে শিকার হলো তার জৈবিক নিয়তির, যা হাতিয়ার হয়ে উঠল এক বিশেষ ধরনের নিগ্রহের, যার ভোক্তা কেবল সে একাই, এবং তা গোটা প্রজাতির কোনো নাটকীয় অভিজ্ঞতা না-হয়ে, হলো তার একার নাটক। প্রেমিকেরা জোড়ায় জোড়ায় হেঁটে যায় আর আমরা টের পাই তাদের মধ্যেকার অনতিক্রম্য দূরত্ব, নর ও নারীর এই অবশ্যম্ভাবী যন্ত্রণার যোগ্য কোনো ভালোবাসা নেই; আর ভালোবাসার অভিজ্ঞতায় নারীর অবস্থান সমাজ-আবিষ্কৃত ও তার জন্যে বরাদ্দকৃত নিঃসঙ্গতা নিগ্রহ ও নিপীড়নের একেবারে শীর্ষে। রোমিও ও জুলিয়েটের কী ও কতটা উপকারইবা করেছিল ভালোবাসা?” এরকম অসংখ্য সুচিন্তিত, সুলিখিত ও অন্তর্ভেদী অন্তর্ভুক্তিতে পরিপূর্ণ এই অতীব সাহিত্যগুণসম্পন্ন, শিল্পোত্তীর্ণ সমাজসন্দর্ভটি প্রতিটি সচেতন পাঠকের অবশ্য-পাঠ্য হওয়া উচিত এবং বিলম্বে হলেও বাংলা ভাষাতেও তার একটি বিশ্বস্ত অনুবাদ হওয়া বাঞ্ছনীয়, যদিও সন্দেহ থেকেই যায়, ক্রমবর্ধমান কূপমণ্ডুকতা, অসহিষ্ণুতা ও প্রতিক্রিয়াশীলতায় আচ্ছন্ন আমাদের সমাজে তার সম্ভবপরতা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে!
আলম খোরশেদ, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও অনুবাদক




