শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি ও সমাজভাবনামূলক কাগজ ‘আন্দরকিল্লা’ চলতি মাসে প্রকাশনার ২৭তম বর্ষ পেরিয়ে ২৮তম বর্ষে পদার্পণ করল। বয়সের সময় বিচারে এখন যৌবনকাল। এই সময়টা বড়ই অস্থির, পদ্মপাতার উপর জলের টলমলে ফোঁটার মতো— যে কোনো সময় এদিক সেদিক ছলকে ছিটকে পড়ে যেতে পারে।
২৭ বছর আগে, বিজয়ের এই ডিসেম্বর মাসে ‘আন্দরকিল্লা’ শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতির ভুবনে আশা আকাঙ্ক্ষার স্বপ্নবুনন শুরু করে এ পর্যন্ত এসে ডালপালা ছড়িয়ে বিস্তৃত হয়েছে; এর সকল কৃতিত্ব লেখক ও পাঠককুলের। প্রাজ্ঞ ও মনস্ক মনুষ্যচিত্তে আন্দরকিল্লা’র এই অল্প-বিস্তর প্রসারতা রাত নিশীথের আকাশভরা অসংখ্য সূর্য তারা’র একটি- মিষ্টি মিটি মিটি দ্যুতি রেখার মতো। এটাই আন্দরকিল্লা’র স্বপ্ন ও প্রত্যাশার সামান্য প্রাপ্তিযোগ। ‘আন্দরকিল্লা’ এখন দেশের সীমানা পেরিয়ে প্রযুক্তির স্পর্শে বৈশ্বিক পর্যায়ে ডানা ছড়িয়েছে। এতেই কৃতার্থ হয়ে আন্দরকিল্লা’র স্থির লক্ষ্য—আগামীর দিকে সাম্য, মৈত্রী, শুভ, সত্য, সুন্দর, কল্যাণ ও প্রগতির পথে।
আন্দরকিল্লা’র এই দীর্ঘ পথ চলাতে যাদের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও সহযোগিতা পেয়েছি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এ সময়ের মধ্যে আমরা যে সব লেখক ও সহকর্মীদের হারিয়েছি তাঁদেরও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।
হাজার বছরের বাঙালির শ্রেষ্ঠতম অর্জন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের অভূতপূর্ব বিজয়। এই মুক্তিযুদ্ধ যূথবদ্ধ বাঙালির মহাকাব্যিক অমর ও অক্ষয় মিথ। সংশয়, সংকোচ, বিহ্বলতা, দ্বিধা, সন্দেহের কোনো কালিমা এই মিথকে স্পর্শ করে না; কেননা, এক সাগর রক্তমূল্যে অর্জিত এই মিথ স্পর্ধিত অহংকার—এটা চিরন্তন, শাশ্বত ও অবিনশ্বর।
তাই সময় যতই বৈরি হোক না কেন, ‘নাই নাই ভয়, হবে হবে, জয় নিশ্চয়’।




