এখন সময়:দুপুর ১২:০৩- আজ: মঙ্গলবার-২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

এখন সময়:দুপুর ১২:০৩- আজ: মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

নাজিমুদ্দীন শ্যামল গুচ্ছ কবিতা – ফসলের নদী

ফসলের নদী

এ মাটি জানে ঘামের সাথে ঝরে পড়েছে
সাদা ভাতের স্বপ্ন। দুই বুক চিরে দিয়েছে
সোনালি ধান। তবুও চুলায় কেবল জ্বলেছে
জলের হাঁড়ি। ধানগুলো নিয়ে গেছে
মুক্ত বাজার অর্থনীতি।

আমরা দিনরাত এক করে ধান বুনি;
নিয়ে যায় অন্যজন। থালা ভর্তি ভাতের স্বপ্ন
চুরি হয় সারাক্ষণ। তবুও নবান্ন আসে
ধানের গন্ধ নিয়ে জীবনে। শূন্যতার সময়ে
উপোস গৃহস্থ বাড়ি।
চাষ হয়, ধান হয়, মাঠে ফসলের নদী।
আমার কৃষক অভুক্ত শুধু বাজার অর্থনীতি।

জলের নেশা

তোমার সমুদ্র জল দেখে
কতোবার ছুটে গিয়েছিলাম
তুমুল জোয়ারে।
কতোবার করেছিলাম ¯œান
মধ্যাহ্ন দুপুরে।

আশ্চর্য সেসব জল
কবে যেন হারিয়ে গেলো…
এখন শুধু ধু ধু
চরাচর।
এখন কেবল পড়ে আছে
কৃষ্ণবন।

তবুও জলের নেশা আমার
কাটেনি আমি তাই ছুঁয়ে যাই
বালির পারাপার। জানি তো,
জলের নেশা কাটে না কোনদিন…

স্বপ্ন

ঘরের দরজা খুলে চলে গেছে ঘুম; তারপর
দুই চোখে জোছনার নদী। বারান্দার ফোকর পেরিয়ে
জোছনার রং এসে পড়েছে তোমার জাফরান গালে!
কেমন ফর্সা হয়ে আসছে স্বপ্ন…

হঠাৎ চাঁদ উঠলে ঘুম চলে যায়। চোখের পাতায়
রাত জেগে থাকে, জেগে থাকে তোমার স্বপ্ন।
রাতের আয়নায় দেখি কেবল জেগে আছি আমি
আর জেগে আছে আমার স্বপ্ন…

 

বিদ্যালয়

কতো জীবন পার করলাম একা একা জন-সমাগমে।
কেবল হেঁটেছি বৃক্ষের সাথে, মেঘের সাথে, নদীর সাথে…
সমুদ্রও দেখেছি, দেখেছি ভালোবাসার জোয়ার।
তবুও কোন দিন নদী হতে পারিনি, পারিনি হতে মেঘ।
না সমুদ্র, না বৃক্ষ কিছুই হইনি আমি।

নিজের ছায়ার সাথে পুরাতন ঘুমের স্মৃতি নিয়ে
গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে গেছি। যাযাবর রাত আর
সব সমুদ্র ফেনা আমাকে নিয়ে গেছে বিদ্যালয়ে…
আর বিদ্যালয় বলতে বুঝেছি শুধু সমুদ্র,
সীমাহীন জলরাশি কিংবা মানুষের অসহায়তা।
আমি বিদ্যা শিক্ষা করিনি। আমার কোনো
অক্ষরজ্ঞানও নেই। গদ্যে পদ্যে কিছুই বলিনি।
শুধ শিখেছি ভালোবাসা পাঠশালায়; বলেছি আমি
ভালোবাসি তোমায়…

ঘুম ভাঙার কাল

এখন সাম্য স্বপ্নের মুগ্ধ সময় নয়,
এখন এক নিদারুণ স্বপ্ন ভাঙার কাল।
একদিন যেসব স¦প্ন আমরা দেখেছিলাম
যৌথ খামারের, মুক্তির অনাবিল আনন্দের…
সে সব স্বপ্ন চুরি হয়ে গেছে গোপনে।

সতীর্থরা অনেকেই আমাদের নদী থেকে
মাছ সব চুরি করে নিয়ে গেছে অন্ধকারে।
আমাদের পাড়ার জেলে রমণীরা
কেবল বলাবলি করছে : এই নদীতো
কারো একার নয়, আমাদের সকলের।
গুমান বিলের মাঝে মাঝে ঝুলে আছে
কর্পোরেট সাইনবোর্ড। গ্রামের কৃষকরা
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে, কারা যেন
গ্রামটাকে পকেটে নিয়ে শহর বানিয়ে
বগলদাবা করে উড়ে যাচ্ছে আকাশে।
আমরা যারা পাহারাদার ছিলাম,
তারা কি ঘুমিয়ে ছিলাম? নাহলে
আমাদের সকলের স্বপ্নের সিন্ধুক
কীভাবে তস্কর নিয়ে যায় রাতের আঁধারে!
তবে আমাদেও ঘুম ভাঙার কাল কখন হবে?

আন্দরকিল্লা প্রকাশনার ২৮ বছর আগামীর পথ ধরে অনাদিকাল

রূপক বরন বড়ুয়া আমি মাসিক ‘আন্দরকিল্লা’ কাগজের নিয়মিত পাঠক। প্রতিবারের মতো হাতে নিলাম এবারের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে ঢাকা জুলাই ২০২৫ সংখ্যা, হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতেই

জলে জঙ্গলে (পর্ব-২)

মাসুদ আনোয়ার   ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী বোর্ডের রেজাল্ট আউট হলো। আমি কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী। ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠলাম। যে কোনোদিন কুমিল্লা বোর্ডও ফল প্রকাশ

স্বপ্নে গড়া অবয়ব

সৈয়দ মনজুর কবির   মনটা যখনই কেমন অজনা বিষণ্নতায় ছেয়ে যায় তখনই কেয়া জানালার ধারে এই চেয়ারটাতে এসে বসে। আজ অবশ্য অন্য একটা কারণ আছে

অন্তহীন সুড়ঙ্গ

সুজন বড়ুয়া   কবর থেকে বেরিয়ে মহিম অশরীরী রূপ নিল। সঙ্গে সঙ্গে গত কয়দিনের সব ঘটনা একে একে মনে পড়ে গেল তার। ফার্স্ট সেমিস্টারের পর

রাত যখন খান খান হয়ে যায়…

মনি হায়দার   চোখ মেলে তাকায় সোাহেল হাসান। প্রথম দৃষ্টিতে সবকিছু অচেনা লাগে। কোথায় এলাম আমি? উঠে বসতেই মনে পড়ে গতরাতে অনেক ঝক্কি আর ঝামেলার