এখন সময়:রাত ২:৪৬- আজ: রবিবার-২রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:রাত ২:৪৬- আজ: রবিবার
২রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

প্রতিবুদ্ধিজীবী : সময়ের দর্পণ

মুহাম্মদ ইসহাক

বাংলা সাহিত্যের লিটল ম্যাগাজিনের অন্যতম সংযোজন হল প্রতিবুদ্ধিজীবী। ১৯৯৭ সাল থেকে এ ম্যাগাজিনের যাত্রা। প্রতিবারে নতুন কোন বিষয় বা নতুন জ্ঞানের সন্ধানে সদা তৎপর থাকে প্রতিবুদ্ধিজীবী। এ পর্যন্ত ৪১ টি সংখ্যা প্রকাশ করেছে। এবারের সংযোজন হচ্ছে হেলেন কেলারের শিক্ষক। প্রতিবুদ্ধিজীবী শুরু থেকেই সত্য,সাহস ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে এগিয়ে চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় এসংখ্যাটি সম্পূর্ণ ব্যতিক্রম। সাহিত্যের নানান শাখার মধ্যে লিটল ম্যাগাজিন একটি অন্যতম শাখা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম গ্রহণ করেন হেলেন কেলার। সাহিত্যের পাতায় কে এই হেলান কেলার? কেন তিনি ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে আছেন? এরকম নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়। তা জানতে আগ্রহ সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি এটাও মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে আমেরিকায় জন্মগ্রহণকারী হেলান কেলার বাংলা সাহিত্যে কে পরিচয় করে দিয়েছেন? প্রতিবুদ্ধিজীবী’র সম্পাদক হেলেন কেলার সম্পর্কে লিখেছেন, ‘হেলান কেলারকে সারাজীবন অন্ধ ও বধির থেকে যেতে হয়েছিল। তবে আজীবন বোবা পুরোপুরি থাকেননি। তিনি ছিলেন বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষিত অন্ধ ও বধির মানুষ। এমন একজন অন্ধ, বধির ও বোবাকে সত্যিকার অর্থেই মানুষে পরিণত করেছেন সুমহান শিক্ষক অ্যানি সুলিভান’।

 

হেলান কেলার ২৭ জুন ১৮৮০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এলাবামায় জন্ম গ্রহণ করেন। জন্মের দুই বছর পর ১৮৮২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। প্রাবন্ধিক শাওয়াল খান লিখেছেন, ‘হেলেন স্বাভাবিক শিশু হিসেবে জন্ম গ্রহণ করলেও কুড়ি মাস বয়সে ভয়ানক এক অসুস্থতায় দেখার, শোনার এবং বলার মৌলিক শক্তি  হারায়। না-য়ের জগতে দৈহিক অদম্য শক্তি নিয়ে বেড়ে উঠতে থাকে। তার দৈহিক বৃদ্ধি ছিল অস্বাভাবিক। শিশুকালের বাড়ন্তবয়সে শিক্ষার কোন সংস্পর্শে আসার সুযোগ না থাকায় তার সমস্ত দৈহিক শক্তি ধ্বংসাত্মক শক্তিতে রূপ নেয়। ফলে ঘটতে থাকে হরেক রকম বিপত্তি, অনিরাপদ হয়ে উঠে পরিবেশ। একদিন তার ছোট বোন মিলড্রেডকে দোলনা থেকে টেনে তুলে মেঝের উপর ছুঁড়ে ফেললে পুরো বাড়ি প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। এই পরিস্থিতিতে তার বাবা মা চিন্তিত হয়ে পড়েন। হেলেনের বাবা আর্থার কেলার চিন্তা করেন পশুর মত বেড়ে ওঠা ছোট্ট মেয়েটাকে দূরে কোথাও সরিয়ে দেওয়ার। এই চিন্তা ভাবনা দেখে ভয়ে আতংকিত হয়ে পড়েন মা কেট কেলার, কারণ এধরনের অস্বাভাবিক শিশুদের একমাত্র আশ্রয়স্থল রাষ্ট্রীয় বাতুতালয়। যেখানে জীবনের পরিধি রাষ্ট্রীয় তত্ত্বাবধানে খেয়ে খেয়ে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা। এই পরিস্থিতিতে হেলেনের মা কেট কেলার, আর্থার কেলারকে অনুরোধ করেন হেলেন কেলারকে অন্ধ, বধির এবং বোবাদের স্কুল পার্কিন্স ইনস্টিটিউশনে পাঠানোর’ (পৃ.১০-১১)।

কিন্তু এ প্রতিষ্ঠান হেলেনকে গ্রহণ করতে অসম্মতি জানান। তবে প্রতিষ্ঠানের পরিচালক যোগ্য ও মেধাবী শিক্ষার্থী  অ্যানি সুলিবানকে হেলেনের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে তাদের পরিবারে পাঠান। শিক্ষক অ্যানি সুলিবান ১৮৮৭ সালে ৩ মার্চ হেলেনকে পড়ার দায়িত্ব পান। শিক্ষকের সংস্পর্শে আসার আগ পর্যন্ত হেলেনের জীবনে কখনো সুশৃঙ্খল ও নিয়ম কানুন এসব বিষয়ে জ্ঞান ছিল না। নানান প্রতিবন্ধকতা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক হেলেনকে ধৈর্য ও সহনশীল হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিতে লাগলেন। এক পর্যায়ে হেলেনের জীবনে ধীরে ধীরে কিছুটা পরিবর্তন শুরু হয়। লেখাটা মনযোগ সহকারে পাঠ করলে শিক্ষার নানান কৌশল সম্পর্কে জানা যাবে। ‘অ্যানি হেলেনের সংস্পর্শে এসে শুরুতেই ঠিক করে নিলেন প্রথমেই তাকে ভদ্রতার পাঠ, সাক্ষরতা শিক্ষার কাজটা দ্বিতীয় পর্বের। এবং তিনি তাই করলেন। এটাই ছিল অ্যানির সফলতার চাবিকাঠি। হেলেন এবং অ্যানির শেষ পর্যায়ের কয়েক বছর কাটে বিজয়োন্মত্ত আবহে। হেলেনের ঝুলিতে অনেক অনেক খ্যাতি এবং সাফল্য একটার সাথে এসে আরেকটা জমা হতে থাকে। ১৮৯০ সালের বসন্ত মৌসুমে হেলেন ইতিহাসে মুখ ফুটে কথা বলা মানুষের দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। সারাজীবন অন্ধ এবং বধির থেকে যেতে হয়েছিল বটে, তবে আজীবন বোবা পুরোপুরি থাকেননি। তিনি ছিলেন বিশ্বের সর্বশ্রষ্ঠ শিক্ষিত অন্ধ, বধির ব্যক্তি: (পৃ.১১)। শিক্ষক হেলেনকে এমনভাবে তৈরি করেছেন, যার মেধা ও প্রতিভা দেখে সমগ্র বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। কলেজজীবন শেষ করে কর্মজীবনেও প্রবেশ করেছেন হেলেন। শুধু তাই নয় হেলেন ও তাঁর শিক্ষক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করেছেন। তাঁরা প্রতিবন্ধীদের সমস্যাগুলো বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তুলে ধরেছেন। অসংখ্য মানুষের স্নেহ ও ভালবাসা পেয়েছেন। খ্যাতিমান রাষ্ট্রনায়ক থেকে শুরু করে ইতিহাস খ্যাত নানান লেখকের সাথে পরিচয় হয়েছেন। বিশেষ করে অন্ধদের সমগ্র পৃথিবীব্যাপী প্রায় পঞ্চাশটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। অবেশেষে হেলেনের মহান শিক্ষক অ্যানি সুলিবান ১৯৩৬ সালে ১৯ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। হেলেন কেলার ১৯৬৮ সালে ১জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।  শিক্ষকের মৃত্যুর ৩২ বছর পর ছাত্রী হেলেন মারা যান। শিক্ষক হেলেনকে এমনভাবে শিক্ষা দিয়েছেন যেন জীবনের কঠিন মুহূর্তগুলো একাই মোকাবেলা করতে পারে। হেলান কেলারের শিক্ষক বইটি ইংরেজি ভাষায় লিখেছেন মার্গারেট ডেভিডসন। ইংরেজি ভাষা থেকে বাংলায় অনুবাদ করেছেন অনুবাদক শাওয়াল খান। বাংলায় অনুবাদের কারণে আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের জনগণ বইটি সম্পর্কে ধারণা ও পড়ার সুযোগ পাবে।

বইটির শেষভাগে রয়েছে  বই সমালোচনা। যেটি প্রতিবুদ্ধিজীবী জন্মের পর থেকে এখনো পর্যন্ত রয়েছে। বই সমালোচনা বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ দিক। বই সমালোচনার মাধ্যমে নবীন ও প্রবীণ লেখকদের বই সম্পর্কে ধারণা ও জ্ঞান অর্জন করা যায়। নতুন লেখক ও পাঠক তৈরির জন্য বই সমালোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। এ অধ্যায়ে  জ্ঞানশীল দূরদর্শী চিন্তাবিদ অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান লিখেছেন, ‘স্মৃতির কথন: এহসানুল হকের কবিতা’ শীর্ষক আলোচনা। এলেখা থেকে অনেক কিছু পাঠক জানতে পারবে। লেখক সলিমুল্লাহ খান লিখেছেন, “এহসানুল হক কাজল বৃত্তিতে চিকিৎসা -ব্যবসায়ী। কিন্তু মেজাজে সাহিত্য -সাধক। তিনি অনেকদিন ধরিয়া কবিতা লিখিতেছেন। তবে যতদূর জানি ‘সাহিত্য -সাধক চরিতমালা’য় এখনও তাঁহার নাম ছাপা হয় নাই। এই প্রথম তিনি সাহস করিয়া একখণ্ড কবিতা সংগ্রহ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করিতেছেন। আমি তাঁহার প্রয়াসে আশা  ও আনন্দ দুটোই প্রকাশ করবি” (পৃ.১১৯)। দুই পৃষ্ঠার এই লেখায় একজন লেখকের লেখা ও প্রতিভা সম্পর্কে জানা যাবে। সমাজের বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি হলেন চিকিৎসক। শত ব্যস্ততার মাঝেও কবি ও ডাক্তার  এহসানুল হক কাজল তাঁর লেখা -লেখি চলমান রেখেছেন। যা পাঠকদের জন্য অনুপ্রেরণা। সমাজবিজ্ঞানী ও নৃবিজ্ঞানী সাদাত উল্লাহ খান লিখেছেন, ‘মহেশখালির নবীন সারেং’, ‘সুনামগঞ্জের সুবয়ান’ ও ‘কারবালার সমাজতত্ত্ব’ নামে তিনটি বইয়ের আলোচনা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক মুহাম্মদ ইসহাক লিখেছেন, লেখক সলিমুল্লাহ খানের বই ‘প্রসঙ্গ: আদমবোমা’, ও ‘কবি জহরত আরা’র পাখিদের মিছিলে’ শিরোনামে দুটো বইয়ের আলোচনা। লেখক মু.শহিদুল ইসলাম ‘শরমের কঙ্কাল’ এবং আহাদ আজগর লিখেছেন, ‘সেলাই করা হাওয়ার গান: স্বার্থপরতা ও গরিমা’ শিরোনামে বইয়ের আলোচনা। এ সংখ্যায় উপহার বিভাগে লিখেছেন তানভীর রাতুল ‘লিঙ্গ- অধিকারে নারী -সংজ্ঞার ভূমিকা’ বিষয়ে। প্রতিবুদ্ধিজীবী ৪১তম সংখ্যাটি এককথায় অসাধারণ।

 

ঢাকায় প্রতিবার প্রতিবুদ্ধিজীবীর প্রকাশনা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। চট্টগ্রামে ‘সামাজিক গতিশীলতায় লিটল ম্যাগের ভূমিকা ও প্রতিবুদ্ধিজীবী :৪১ তম সংখ্যা’র প্রকাশনা অনুষ্ঠানটি ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ইংরেজি তারিখে সন্ধ্যায় আবির বুকস মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক মুহাম্মদ ইসহাকের সঞ্চালনায় মোড়ক উন্মোচন করেন চবি লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ও কবি হোসাইন কবির, মুখ্য আলোচক ছিলেন সমাজবিজ্ঞানী -নৃবিজ্ঞানী ও প্রতিবুদ্ধিজীবীর সম্পাদক  সাদাত উল্লাহ খান,  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট রাষ্ট্রবিজ্ঞানী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ও প্রফেসর ড. এ.কে এম মাহফুজুল হক (মাহফুজ পারভেজ), আলোচনায়  অংশগ্রহণ করেন বিশিষ্ট চিকিৎসক ও কবি ডা: এহসানুল হক কাজল, লেখক সৈয়দ বাহা উদ্দীন, কবি ও অধ্যাপক রুহু রুহেল, তরুণচিন্তক ও চবির মেধাবী শিক্ষার্থী মুহাম্মদ খোরশেদ। উপস্থিত ছিলেন আন্দরকিল্লার সহকারী সম্পাদক শান্তি পদ বৈদ্য, কবি আ ন ম ইলিয়াস, কবি স্বপন মাহমুদ, কবি রুদ্র সুশান্ত, কবি রফিক আনম ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তসলিম উদ্দিন রানা। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন প্রভাষক মিশকাত কবির, আশরাফুল ইসলাম আশেক, আব্দুল হামিদ মির্জা, মোহাম্মদ তাওহিদুল ইসলাম মিশুক, মুহাম্মদ আকতার হোসেন, ফরহাদ উদ্দিন জিসাদ, ইমরান নাজির, করিম, স ম জিয়াউর রহমান,  লিয়াকত হোসেন লিমন, সংগীত শিল্পী মাসুদ রানা ও সংবাদকর্মী মো: শরীফ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন মাসিক আন্দরকিল্লার সম্পাদক ও প্রকাশক  মুহম্মদ নুরুল আবসার।

এছাড়া আন্দরকিল্লা জানুয়ারি-২০২৫ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করা হয়। প্রধান অতিথি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ বলেন, ‘প্রতিবুদ্ধিজীবী সৃষ্টি লগ্ন থেকে সৃষ্টিশীল মননশীল কাজ করে যাচ্ছে। বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ লিটল ম্যাগাজিনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে প্রতিবুদ্ধিজীবী। সম্পাদক সাদাত উল্লাহ খানের অসাধারণ ব্যক্তিত্বে ও নেতৃত্বে প্রতিবুদ্ধিজীবী আরো বহুদূর এগিয়ে যাচ্ছে, এ প্রত্যাশা রাখি।’ কবি হোসাইন কবির বলেন, ‘চট্টগ্রামে সাহিত্যের আড্ডার মধ্যে লিটল ম্যাগাজিনের আড্ডা তেমন দেখা যায় না। তবে প্রতিবুদ্ধিজীবীর আয়োজনটা ঢাকায় নিয়মিত হলেও চট্টগ্রামে এবার প্রথম। আমি আশা করছি, পরবর্তী যেন এরকম প্রোগ্রামের ধারাবাহিকতা থাকে। প্রতিবুদ্ধিজীবী অনেক জ্ঞানী ও গুণী লেখক তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।’ লেখক মুহাম্মদ ইসহাক বলেন,’ নতুন লেখক ও প্রবীণ লেখকদের সাথে পরিচয় বা মেলবন্ধনের কাজটা করে যাচ্ছে প্রতিবুদ্ধিজীবী’।

 

 

 

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও আন্দরকিল্লার সম্পাদক নুরুল আবসার বলেন,  ‘প্রতিবুদ্ধিজীবীর আজকের আয়োজন চট্টগ্রামে সাহিত্য ভাবনার লোকজনের কাছে একটা স্মৃতি হয়ে থাকবে। তবে পরবর্তীতে যেকোন প্রোগ্রামের জন্য আন্দরকিল্লা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে, এ আশা রাখি।’ প্রতিবুদ্ধিজীবী ও আন্দরকিল্লা গত ২৭ বছর ধরে বাংলা সাহিত্যে বহু লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক ও পাঠক তৈরিতে সহযোগিতা করেই চলছে। এ অনুষ্ঠানটি সকলের জন্য উম্মুক্ত ছিল। পুরো অনুষ্ঠান জুড়ে দর্শকের ব্যাপক উপস্থিত ছিল।এরকম সাহিত্য প্রোগ্রাম থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে।

 

মুহাম্মদ ইসহাক, শিক্ষক ও প্রাবন্ধিক,  রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম- ৪৩৩১, বাংলাদেশ।

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।