এখন সময়:সন্ধ্যা ৬:০৪- আজ: শুক্রবার-৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:সন্ধ্যা ৬:০৪- আজ: শুক্রবার
৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

বিদ্যুৎ কুমার দাশ এর গুচ্ছ কবিতা

কাঁচা সোনার ফসল

 

ফসলের ঠাঁসা জমি-

লুকানো চাষার ডাল পালা।

এই শীতে ফল দেবে-

বরষার জলে ভরা মাঠ

 

ফসলের হাসি

ডুবে আছে অন্ধকার

আলোকের বানে

রোদেলা সবুজ মাঠ

হলুদ সোনালি খড়

 

সোনার সংসারে স্বামী-

চাঁদের নরম কবিতায় ওড়ে

শিমুল তুলোয় ভরা দোদুল যৌবন-

 

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ

কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে……..

 

 

 

 

 

অসাম্প্রদায়িক কবিতা

 

তোমার আত্মা-রক্ত কণিকা

সমতার সংবিধান।

আমার ধর্মে তোমার ধর্মে

সহমর্মিতার গান……

 

প্রাণ বাজি রেখে চিরদিন রবে

সুখে সহ—অবস্থান,

সবার উর্ধ্বে মানবতা আর

ভালোবাসা—সম্মান।

 

 

 

 

মাটি

 

হাওয়ায় হাঁটি

মৃত্তিকা কোথায়?

 

বহু শতাব্দী মাটিতে

পা—ও নেই মনে হয়।

 

বুকের ভেতর ছাই

শূন্য জীবনের ঠিকানায়

আমি আছি আমি নাই।

 

মৃত্যু এসেছে পায়ের তলায়

বাতাসে পালায়।

মানুষের রং শুধু পালটায়।

 

হাওয়ায় হাঁটি মৃত্তিকা কোথায়?

 

 

 

 

 

 

 

মহিষাসুর মদ্দির্নীর দিন

 

অনেক শতাব্দী তৃপ্তিহীন ঘুম-

পথ ভোলা  মৃত্যু চুম।

 

পার কর  এবার দয়াল এইদীন-

আর ঘুরে   দাঁড়াবো না কোনদিন

 

ভালোবাসা  সন্ত্রাসীর অন্তিম চূড়ায়

আমার শরীর পথ পান করে যায়

 

আমাকে আমার  দয়াল হে বাঁচাও না

স্বর্গ নরকের কোথায় মম ঠিকানা?

 

অনেক শতাব্দী তৃপ্তিহীন ঘুম-

এর ভেতরেই কত মৃত্যুর জীবন

এখন তো ধৈর্যহীন অস্থিরও মায়াহীন

এসেছে মহিষাসুর মদ্দির্নীর দিন।

 

 

 

 

 

 

 

জ্ঞান—শৈল সড়ক

 

একশদিন গুমরে কান্নার শব্দ

একশদিন ঘুমহীন রাত্রির গান

একশদিন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সৎ

আমার পিতা মাতাকে অনর্গল   গাল শুনানো

একশদিন ঈশ্বর এর সাথে মন

ভাঙা অর্ধ প্রাণের অবস্থানের টানাটানি

 

ক্ষমা কর রতনপুর, তোমার নরম মাটিতে

আমার জন্ম এখনো হৃদয়ে ভাসে—

তোমার মাটির ঘরের আদর মাখা

জীবনের স্বপ্ন এখনো মধ্য রাতে আসে

 

জ্ঞান—শৈল সড়ক তুমিঅস্থির

বহুমন ভাঙ্গাঁ জীবনের গল্প

জ্ঞান—শৈল সড়ক তুমি অন্যরকম

এক মুক্তিযুদ্ধের জয় গান—

 

সাড়ে তিন বৎসর এর যুদ্ধের ইতিহাসে

পৃথিবীতে প্রথম এই সড়ক নির্মান—

শুধু টাকায় নয় বঙ্গবন্ধুর সূর্যে্যর ভালোবাসায়।

 

আমি জন্মেছি মার খাওয়ার জন্য —

মারো রতনপুর, পিঠ দিলাম বুক দিলাম—

আমি এত পাক খেয়ে খেয়ে পরেও

কোনদিন দাঁড়াতে শিখিনি—

রতনপুর চল ভাসি হারগেজি খালের নৌকায়।

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।