এখন সময়:রাত ১:৩৮- আজ: শনিবার-৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:রাত ১:৩৮- আজ: শনিবার
৮ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৩শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

বৈশাখ বৃষ্টি ভোর

দীপক বড়ুয়া

 

বাবার  দুই  ছেলে আমরা। আমি ছোট, দেশে থাকি, দাদা  বিদেশে। একসময়  বাবার  অনেক ব্যবসা  ছিল। প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ছিলেন।  আমাকে, দাদাকে অনেকদূর  পড়িয়েছেন।  এম বি এ পাস করি ঢাকা আই ইউ বি ভার্সিটি থেকে।

পাস করে তখনকার সিটিসেলে চাকরি পাই। চাকরি করছি। কাস্টমার  কেয়ার সেন্টারে।  কি অসভ্য গালিগালাজ করে  কাস্টমার। অস্বস্তি হয়, নিজের  ব্যক্তিত্বের জন্য  করুণা হয়। এম বি এ পাস করেছি  মানুষের গাল শোনার  জন্য! মানুষে কীভাবে চাকরি করে। মালিক  কাজের ভুলের জন্য  অকথ্য ভাষায় মন্দ বলে। হাত তুলতেও লজ্জা করে না।

তখনই  বাবা জানায় তাঁর ব্যবসা ভালো যাচ্ছে না। ব্যবসা চালানোর পর্যাপ্ত টাকা নেই।  ঢাকা থেকে ফোন করে আত্মীয় থেকে কিছু টাকার ব্যবস্থা করি। এদিকে চাকরি ভালো লাগছিল না মোটে। বাবাকে বললাম, চাকরি  ভালো লাগে না। করব না ভাবছি। বাবা উত্তরে বললেন, ঠিক আছে। চট্টগ্রাম  চলে এসো। বাবার  ব্যবসা দেখভাল করবে। এটা তোমার দাদুর ব্যবসা। এই গ্রামে, শহরে এত সম্পত্তি, দোকান সব তোমার দাদুর হাতে গড়া। আমাদের  তোমার  চাকরির প্রয়োজন  কি?  দাদুর ব্যবসা সুন্দর করে পরিচালনা করলে অভাব থাকবে না। স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন চলে যাবে।

বাবার ঐ একটি  কথায় ঢাকা ছেড়ে আসি।  অথচ সবাইকে বলতে শুনি, ঢাকায় থেকে যে কোন কাজ করলে সহজে উন্নতি করা সম্ভব।  হবে না রাজধানী বলে কথা।

যা হোক এলাম চট্টগ্রাম।  তখনও বিয়ে করিনি। বাবাকে বললাম, আমি ব্যবসা করব,তবে একটি শর্তে। আমি নিজের মতই ব্যবসা পরিচালনা করব। কেউ কিচ্ছু বলতে পারবে না। তখন থেকে ব্যবসা শুরু করি। অদ্ভুত কান্ড,বাবা কিভাবে ব্যবসা করবেন?  মূলধনই নেই। মূলধন ছাড়া ব্যবসা করা যায়? পাশের ব্যবসায়ীরা  হু হু করে ব্যবসা করছে।  আমি ভাবছি কি করা যায়? ব্যবসায়ীদের সাথে আলোচনা করে জানলাম, ব্যাংক ঋণ দিয়ে  ব্যবসায় উন্নতি করা যায়। কিভাবে ঋণ নেয়া যায় ভাবি। অতঃপর বাবার নামে কিছু জায়গা ক্রয় করি। ঐ জায়গার বিনিময়ে  ব্যাংক থেকে লোন নিই। বাবার  আরো কিছু জায়গা দিয়ে আমার নামে ঋণ নিলাম। বাবা একটা  দোকান  কয়েক লক্ষ টাকা অগ্রিম নিয়ে ভাড়া নিতেন। ভাবলাম ঐ দোকানের অগ্রিম টাকা দিয়ে নিজেরা করলে ভালো আয় হবে। তাই আরো ঋণ নিয়ে দোকানটা নিজেরা শুরু করলাম। পার্টি বাড়ছে। ব্যবসা বড় হচ্ছে। তবে পেমেন্ট দিতে কষ্ট হচ্ছে ভীষণ।  অগত্যা বেশি কিছু  না ভেবে অর্ধ লক্ষ টাকা মাসিক তিনহাজার টাকা সুদে ঋণ নিই। অন্য মানুষ থেকেও অনেক টাকা ঋণ নিতে হয়। ঋণের  বোঝায় আমি বিধ্বস্ত তখন। বাবার সাথে ঋণ নেবার সময় অত আলোচনা করিনি। আমার অবস্থা  দেখে বাবা বললেন, তুমি ব্যবসা করছ তোমার মতই। তবে একটি কথা শোনো, আমার বাবা বলতেন, ভাবিয়া করিও কাজ। করিয়া ভাবিও না। আরো বলতেন, চাদরের বাইরে  পা রাখবে না, মশা কামড়াবে। এবং হাতের মুঠোয় ভেতরে সব সীমাবদ্ধ রাখবে। মুঠোর বাইরে গেলে কন্ট্রোল করতে পারবেনা।

বাবার নীতি মূল্যবান কথাগুলো নীরবে শুনছি! ভাবছি, সত্যকথন আগে শোনা উচিত ছিল  আমার।  শুনিনি।

বাবা একটু  থেমে আবারও বলতে শুরু করলেন, জানো বৈশাখ, আমার বাবা ছিলেন  একজন মহান শিক্ষক।  চার ছেলে,দুই মেয়ে। বাবা যখন মারা যান, তখন তোমার  ছোট দাদু মায়ের গর্ভে। বাবাকে দেখেনি। পরিবারে আয় করার লোক নেই। আমার মা কাজ করত মানুষের বাড়িতে। আমি, দাদা, ছোট ভাই কাজ করতাম মানুষের ঘরে। আমি ভাবলাম, এভাবে জীবন চলে না। ঝটপট শহরে চলে যাই। দোকানে চাকরি  করছি। দাদাও চাকরি করছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু। সবাই শহর ছেড়ে পালাচ্ছে। আমিও পালাই। যুদ্ধের গতি একটু কমলে আবারও শহরে আসি। ভাবলাম এবার আর চাকরি নয়,ব্যবসা করব। নিজে কোন রকমে মাথার উপরে ছাউনি দিয়ে ব্যবসা শুরু করি। ব্যবসায় যথেষ্ট উন্নতি হচ্ছে। নিজে একা রান্না, ব্যবসা চালিয়ে নেয়া কষ্টকর, আমার  একার পক্ষে ব্যবসা চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। তখনও দাদা চাকরি করছে। একদিন তার চরম সান্নিপাতিক অসুখ হল। দোকানের মালিক চলে যেতে বলেন। বাড়িতে মায়ের অক্লান্ত সেবায় সুস্থ হয়ে উঠেন। দাদাকে বললাম, দাদা,তোমাকে আর চাকরি  করতে হবেনা। দুই ভাই ব্যবসা করব।

আরো কি জান বৈশাখ, বাবা আরো বলেছে, সেইদিন  আমি যদি সাহসের সাথে ব্যবসা না করতাম এতদিনেও পরিবারের সবাইকে চাকরি করতে  হত।

ব্যবসা করে শহরে বাড়ি, ভার্সিটির জায়গা, গ্রামে এত জমি কিনেছি। আমরা বিয়ে করেছি,দুই  বোনের বিয়ে দিয়েছি। তোমাদের দশ ভাই,দশ বোনকে পড়িয়েছি, বিয়ে দিলাম। তোমাদের উপযুক্ত শিক্ষিত করে বিয়ে করিয়েছি। তোমরা আজ প্রতিষ্ঠিত। আয় করছ। তোমাদের থেকে টাকা খুঁজি না।

বৈশাখ বাবা যখন বলত, সপ্তাহে একবেলা খেয়েছি, বাকি দিন গুলো উপোসে কাটিয়েছি।

আমার  বাবাও কম করেনি। দুটো এখানে, অন্য জায়গায় ও একটা  দোকান নিয়েছেন। আমার  এতটা ঋণের বোঝা সইতে না পেরে আমি সব দোকান  বিক্রি করেছি। দাদাও টাকা দিয়েছে। তবুও ঋণের শেষ নেই। ব্যাংক ঋণের মতো মারাত্মক ভয়ানক ঋণ হয় না। তুমি ব্যাংকে রাখলে সুদের টাকা পাবে না। তদুপরি জুনে, ডিসেম্বরে  সার্ভিস টাকা কাটে ইচ্ছেমত। অথচ ব্যাংক থেকে ঋণ নাও, চক্রবৃদ্ধি হারে সুদের ভারটা ক্রমশ বাড়বে বৈ কমবে না। এখন বিক্রি করতে শুরু করেছি দেশের  জমি। তারপরও ঋণের শোধ হয় না। আমার চাচতো, জেঠাতো ভাই জমি বিক্রি টাকা ব্যাংকে জমায়,আর আমি ব্যাংকের ঋণ শোধ করি। হায় ভগবান এই ঋণ থেকে কবে মুক্তি পাব জানি না।

অথচ  বিদেশে এই ধরনের  বড় ঋণের  উৎপাত নেই।  কম ঋণে সব করা যায়। ওরা জনগণের  দুঃখ বোঝে।

বাবার এসব কথায় চোখ জল ছলছল করে।  আমি কত কি করছি,ভাগ্যটা প্রসন্ন নয়। যেটা ধরি ছাই হয় শুধু।  আর আমার দাদু ছাই ধরলে সোনা হত। লোকের  মুখে এই কথাটি বারবার শুনি।

বাবা যখন টাকা খোঁজেন, ভাবি, একসময় বাবা কোটি কোটি টাকা নাড়াচাড়া করতেন। আজ সেই বাবা এক হাজার টাকা  খোঁজেন কত লজ্জায়।

– বৈশাখ, এক হাজার টাকা লাগবে কাল,দেবে?

– দেবো বাবা। কোন সময় মা- বাবাকে টাকার জন্য না বলেনি।

আচ্ছা  ব্যবসাটাতো বাবার। আমি পরিচালক মাত্র।  বাবার টাকা খুঁজতে এত দ্বিধা,লজ্জা কেন? সত্যিকথা পৃথিবীতে টাকাটা প্রধান।  টাকা ছাড়া জীবনটাই  মূল্যহীন। সে যত গুণের অধিকারী হউক না কেন? ছেলে হোক, বাবা হোক।

আমি,দাদা ছোট বেলায় বাবার থেকে টাকা খুঁজতে তো এতটা লজ্জা করতাম না। বাবা টাকা দিতেন। এখানে  বাবা- সন্তানের পার্থক্য।

মাঝেমাঝে বাবার ওপর রাগ করি। শুধু  টাকা, টাকা। টাকাটা কিভাবে আসে একটুও ভাবেন? এও ভাবি,অনেক সময় টাকা থাকে না, বাবার ইনসুলিন প্রয়োজন, আনি না। সেদিন বাবা ইনসুলিন দেন না। একা একা বিছানায় শুয়ে ভাবি,বাবার প্রতি এটা প্রচন্ড অন্যায় করেছি। ছিঃ ছিঃ কি লজ্জা!

আমার বাবা আমার, দাদার  জন্য অনেক করেছে। বাবা শরীরটা ভাল নয়। কোমড় ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছে দীর্ঘদিন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যেতে চায়না। আমিও  জোর  করি না।

বাবার ডায়বেটিস রুগী। সপ্তাহে চারহাজার টাকার ইনসুলিন, ওষুধ লাগে। ঔষধ হাতে নিয়ে বিষণœ মুখে বলেন,

– তোমাকে বড্ডো বিপদে ফেলি বৈশাখ। মাসে কত টাকার ওষুধ কিনতে হয় আমার জন্য।  না খেলে তো বাঁচবোনা আমি।  কি করবো বলো!

বাবার কথায় দয়া হয়। মাঝে মধ্যে বিরক্ত হই ঠিকই। কিন্তু জানি এটা ঘোরতর অন্যায়।  মন  সব সময় ভালো  থাকে না। প্রতি মাসে ব্যাংকের মামলা। ম্যানেজারের বকুনি।

হাত খরচের টাকা খোঁজেন, দিই। বাবা অযথা টাকা খরচ করেন না। একজন প্রতিষ্ঠিত লেখক বাবা। দেশের সকল জাতীয় পত্রিকায় লিখছেন। এই পরিচয়ে গর্বে মন ভরে যায়। বাবা সেই দিন চিত্রাকে বলছিল, গেল করোনায় এত অভাব অনটনে ও খাওয়ার অভাবে রাখেনি বৈশাখ। ঋণের  মধ্যেও নাতনিদের ভালো  ইশকুলে পড়াচ্ছে। ছেলটার মনটা কত বড় ভাবা যায় না বউমা।

চিত্রাও বলে,

– বাবা সব সময় ভালো করে  সেটা নয়। ভুলও করে।

– বউমা ভালো-খারাপে মানুষের জীবন। তবে বিবেচনা করে চললে কষ্ট হয় না। আমরা মানুষতো ঠিক থাকতে পারি না অনেক সময়। লোভ, আকাঙ্খা বারবার বিপদে ফেলে দেয়।

– সেটা বাবা যথার্থ বলেছেন। একজন মানুষের স্বাচ্ছন্দ্যে চলতে কত টাকারই প্রয়োজন? আমাদেরতো চাই চাই স্বভাব।

যত পাই তত চাই, তাইতো এত কষ্ট।

– বউমা তোমার  কথাটিকে অগ্রাহ্য করা যায় না। কি বলি, সবই মানুষের কর্ম। যেমন কাজ তারই ফলই তাই হবে, এটাই স্বাভাবিক।  এটা আমার কথা নয় বউমা, তথাগত বুদ্ধ,  শ্রীকৃষ্ণের কথা।

আমার দুই মেয়ে, উইলিয়াম কেরিতে পড়ছে। মাসিক বেতন দিতে হিমসিম খাই রীতিমতো। বউ ফ্লোরেলে ইশকুলের টিচার। সামান্য বেতনের চাকরি। তাতে তার যাওয়া আসায় হয়।

নববর্ষ এলে হালখাতা নতুন করে লিখতে হয়। দোকানের কর্মচারীদের বাড়তি বেতন দিতে হয়। পাশের  দোকানদারদের আপ্যায়ন করতে হয়। কত খরচ। নতুন বছর এলে মা, বাবা,মেয়ে,চিত্রাকে নববর্ষের কাপড় দিতে ইচ্ছে করে।  বাবার ক্রেডিট কার্ড খুঁজি।  বাবা প্রশ্ন করে,  কি জন্য?

– এমনি। বাইরে যাচ্ছি, ইচ্ছে হয় নেব, নাহয় নেব না। বাইর থেকে এসে বাবাকে ডাকলাম। বাবার হাতে নতুন পানজাবি দিয়ে বললাম  পছন্দ হয়েছে? ভাঁজ খুলে বাবাকে পরিয়ে দিই। বাবার চোখেমুখে হাসি দেখে ভালো লাগছিল। বাবার পছন্দ অপছন্দ নেই। মায়ের হাতে শাড়ি,চিত্রার হাতে থ্রি পিচ দিলাম। ওদের পছন্দ  হয়নি। এই মেয়েদের একটি অন্যরকম চরিত্র।  অন্য কারো দেয়া কিছুই পছন্দ  হয় না। তবু বললাম, – ইফতারের পরে গিয়ে বদলে আনবে!

বাবা জিগ্যেস করে, দিদি ভাইদের জন্য নববর্ষের কিছু আননি? তোমার জন্য কিছু আনলে না? এটা অন্যায় করেছ তুমি।

– দেখেছিলাম। মা’র  চিত্রার কাপড় কিনে এসে দেখি নেই।  বিক্রি হয়ে গেছে। আমার জন্য  পরে নেবো। বাবা  কি মানুষের টাকা নেই?  দুই হাতে শপিং করছে।

– পৃথিবীতে  সবসময় কিছু মানুষের  কাছে টাকা থাকে। ওদের  ইঙ্গিতে তাদের  টাকায় সরকার  চলে। বাবা উত্তর দেন।

এবারও বাংলা নববর্ষ শুরু। বাবা রাতের খাওয়ার টেবিলে বলেন, গদির শুভযাত্রা কখন? আমি সময়টা বাবাকে বললাম। উত্তরে বাবা বললেন, তা’ হলে সকালে যেতে হবে। ভোরে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠবে। মঙ্গল কাজ যথাসময়ে করা উচিৎ।

– ঠিক  আছে বাবা, তাই উঠব।

 

আকাশ ভর্তি মেঘ। কাল মেঘে ঢেকে আকাশ। ঝুপঝুপ বৃষ্টি।  সাথে ঘূর্ণিঝড়, হাওয়া। বিভৎস রূপ  আকাশের। কখন মারাত্মক অঘটন ঘটে ঠিক নেই।  আজকালের বৃষ্টির রূপ বোঝা কঠিন।  একটুতেই ভাসিয়ে  দিতে দ্বিধা নেই। তার উপরে  চাকতাই  খাল ভরাটের খনন চলছে।  সত্যিকথা উপযুক্ত ব্যবস্থাপনার অভাব।  পরিকল্পনাহীন, দূরদৃষ্টিহীন  কাজ।  যখন যা’  ইচ্ছে করা।  এবং করা কাজের ভাঙচুর  করে।

আমি ঘুম থেকে উঠে সকালের নাস্তা খেয়ে দোকানে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বাবা আমাকে দেখে বলে, বৈশাখ, বৃষ্টি ভোর। মেঘকালো আকাশ।  প্রচণ্ড ঝড় বাইরে, সঙ্গে ঘূর্ণি তুফান, রাস্তায় হাঁটু জল।  গাড়িতে উঠতে বুদ্ধের  নাম নেবে।  সাবধানে গাড়িতে উঠে  যাবে। না যেয়ে তো পারবে না।

পৃথিবীর সব বাবারা সাবধানে চলবার কথা বলে। অনেক সময় বাবা, মাকে না বলে ঘর থেকে বেরুই।  তা’তে উনারা কত চিন্তায় থাকেন।

আমার  মেয়েরা বড় হলে বেরোবার সময় হয়তো আমিও বলব, মা সাবধানে যাবি, বুদ্ধের  নাম নিবি। এটা নিয়ম। এই নিয়ম কেউ  কোনোদিন ভাঙতে পারিনা।

তিনতলার  সিঁড়ি ভেঙে নীচে নামি।

বাইরে প্রচণ্ড  বৃষ্টি ঝড়।

বাবার কথাগুলো মনে পরে তখন।

 

দীপক বড়ুয়া, গল্পকার

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।