এখন সময়:দুপুর ১২:৩২- আজ: মঙ্গলবার-২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

এখন সময়:দুপুর ১২:৩২- আজ: মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

মার্কিন কবি উইলিয়াম কার্লোস এর কবিতা

অনুবাদ : আলমগীর মোহাম্মদ :

 

১.

বিয়ে

অমিল অনেক, এক পুরুষ

ও এক নারীঃ

বহতা নদী এক

বেয়ে পড়ে এক মাঠে।

 

২.

ক্ষমা

আজ আমি কেন লিখব?

 

সৌন্দর্য

সেই অসাধারণ মুখগুলোর

আমার অসহায়ত্ব

ফুটে ওঠে এটার প্রতিঃ

 

কালো মেয়েমানুষ

দিন মজুর-

বুড়ো ও অভিজ্ঞ

গোধুলিতে বাড়ি ফেরে

ছেঁড়া পোশাকে

মুখগুলো ঠিক

পুরনো ফ্লোরেন্টাইন ওকের মতো।

 

আরো

পুরনো মুখগুলো

আমাকে নাড়া দেয়

নেতৃত্বস্থানীয় নাগরিক

কিন্তু

একইভাবে না।

 

৩.

ভালোবাসার গান

 

“তোমাকে কি বলব

কখন দেখা হবে?

এখনো –

তোমায় ভেবে পড়ে রই।

 

ভালোবাসার ছাপ

পৃথিবীর বুকে

হলদে,হলদে,হলদে,

আস্তে আস্তে পাতায় ঢেকে যায়

জাফরান রংয়ে

শাখাগুলো ঝুলে পড়ে

প্রবল বেগে

নীলাভ বিশাল আকাশে বিপরীতে।

এখানে কোন আলো নেই-

আছে শুধু ঘন মধুর ন্যায় দাগ

যা গড়িয়ে পড়ে পাতায় পাতায়

এবং শিরায় শিরায়

রং মুছে দেয়

পুরো পৃথিবীর।

 

আমি নিঃস্ব।

ভালোবাসার ভার

ভাসমান করেছে আমায়

যতক্ষণ না

মাথা আমার ঠেকে আকাশে।

 

দেখ আমায়!

চুল বেয়ে ঝরে পড়ছে মধু

স্টার্লিং বয়ে বেড়ায় এটা

তাদের কালো ডানায়।

শেষবার দেখ

আমার বাহু আর হাতজোড়া

নির্তেজ পড়ে রয়।

 

আমি কিভাবে বলব

আবার কখনো ভালোবাসব কি তোমায়?

যেমনটা বাসি এখন।

 

৪.

তরুণী গৃহিণী

 

সকাল দশটায় তরুণী স্ত্রী

তার স্বামীর কাঠের তৈরি দেয়ালের পেছনে

শেমিজ প’রে ঘুরাফেরা করে।

আমি আমার গাড়িতে একা বসে থাকি।

 

তারপর সে গেইটের কাছাকাছি আসে

বরফওয়ালা ও মাছওয়ালাকে ডাকতে,  দাঁড়িয়ে থাকে

লাজুক ভঙ্গিতে, স্থিরদৃষ্টিতে, উন্মার্গগামী কুন্তলগুচ্ছ ভাঁজ করা, আমি তার সাথে মিল

পাই একটা ঝরা পাতার।

 

আমার নৈ:শব্দ গাড়ির চাকা

কচকচিয়ে শুকনো পাতা মাড়িয়ে যায়

যখন আমি নত হয়ে হাসিমুখে এগিয়ে  যাই।

 

৫.

আফ্রিকা

লেখালেখি ছাড়ো

এবং মরক্কো গিয়ে

শস্য ফলাও।

 

 

আন্দরকিল্লা প্রকাশনার ২৮ বছর আগামীর পথ ধরে অনাদিকাল

রূপক বরন বড়ুয়া আমি মাসিক ‘আন্দরকিল্লা’ কাগজের নিয়মিত পাঠক। প্রতিবারের মতো হাতে নিলাম এবারের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে ঢাকা জুলাই ২০২৫ সংখ্যা, হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতেই

জলে জঙ্গলে (পর্ব-২)

মাসুদ আনোয়ার   ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী বোর্ডের রেজাল্ট আউট হলো। আমি কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী। ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠলাম। যে কোনোদিন কুমিল্লা বোর্ডও ফল প্রকাশ

স্বপ্নে গড়া অবয়ব

সৈয়দ মনজুর কবির   মনটা যখনই কেমন অজনা বিষণ্নতায় ছেয়ে যায় তখনই কেয়া জানালার ধারে এই চেয়ারটাতে এসে বসে। আজ অবশ্য অন্য একটা কারণ আছে

অন্তহীন সুড়ঙ্গ

সুজন বড়ুয়া   কবর থেকে বেরিয়ে মহিম অশরীরী রূপ নিল। সঙ্গে সঙ্গে গত কয়দিনের সব ঘটনা একে একে মনে পড়ে গেল তার। ফার্স্ট সেমিস্টারের পর

রাত যখন খান খান হয়ে যায়…

মনি হায়দার   চোখ মেলে তাকায় সোাহেল হাসান। প্রথম দৃষ্টিতে সবকিছু অচেনা লাগে। কোথায় এলাম আমি? উঠে বসতেই মনে পড়ে গতরাতে অনেক ঝক্কি আর ঝামেলার