এখন সময়:দুপুর ১:১৫- আজ: বৃহস্পতিবার-৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:দুপুর ১:১৫- আজ: বৃহস্পতিবার
৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

রায়হানের ফিরে আসা

অনন্ত পৃথ্বীরাজ

এক.

গ্রামের নাম চেংটিয়া। চেংটিয়া গ্রামের ইতিহাস আমাদের জানা নেই। লোকমুখে শোনা যায়—প্রাগৈতিহাসিক কালে এ গ্রামে দস্যু চেঙ্গিস খানের আসা-যাওয়া ছিল। বিভিন্ন এলাকা থেকে ডাকাতি করে লুটের মাল বিলের ধারে জঙ্গলের মধ্যে ভাগ-বাটয়ারো করা হতো। তখনই চেঙ্গিস খান খেয়াল করেন মাথার উপর, গাছের ডালে অসংখ্য টিয়া পাখির আনাগোনা। জায়গাটি চেঙ্গিস খানের খুব ভালো লেগে যায়। তিনি তার দলের সদস্যদের কাছে জায়গাটির নতুন নামকরণ করেছিলেন ‘চেঙটিয়া’। কিন্তু ইতিহাস অনুসন্ধান করে অথবা পুরাতন নথি বা দলিল-দস্তাবেজে এই ঘটনার  কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায় না। গাল-গল্প হিসেবেই লোকমুখে শত শত বছর ধরে প্রচলিত হয়ে আসছে। লোককাহিনি বা কিংবদন্তির মতো সবাই তার পূর্ব-পুরুষের কাছে কাহিনিটি শুনেছে। কেউ দেখেনি। এ-গ্রামের এক যুবকের নাম রায়হান। আজ এ কাহিনিতে আমরা রায়হানের কথা বলবো। কোনো এক ঘটনায় রাগে, ক্ষোভে, দুঃখে সে বহুদিন গ্রামে আসে না। তা প্রায় দশ বছর তো হবেই। দশ বছর পর আজ বাড়ি ফিরছে রায়হান।

 

এই দশটি বছর তার কাছে দশ যুগের সমান। কত কষ্টে কেটেছে তার দিনগুলো— সে সব কথা বলে বোঝানো যাবে না। রায়হান গ্রামের ছেলে। এতোকাল পরে গ্রামে ফেরার পথে অতীতের কত কথা; কত স্মৃতি তার মনে পড়ছে। সবকিছু যেন এই সেদিনের ঘটনা। মাঝখানে কীভাবে যে জীবন থেকে দশটি বছর নাই হয়ে গেল। এ-সব ভাবলে বড় আশ্চার্য লাগে রায়হানের।

দুই.

ছোটবেলায় দেখা গ্রামের সবুজ মাঠ, শস্যক্ষেত, সরু আইলপথ, বন-জঙ্গল, মৃদু স্রোতা গাঙ, ডুব সাঁতার, দৌঁড় ঝাঁপ আর হৈ-হুল্লোরের মধ্যেই কেটে গেছে তার শৈশব আর কৈশোরের স্বপ্নময় দিনগুলো। রায়হান, ছেলেটি পাজি ছিল কী না বলতে পারি না। তবে আমরা বন্ধুরা সবাই কমবেশি দুষ্টু ছিলাম। পাড়ার ছেলেরা সকাল হলে— দল বেঁধে স্কুলে যেতাম। তবে যাওয়া-আসা অনেকটা লোক দেখানো। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। স্কুলের পথে কার গাছের আম পেকেছে, শশাগুলো খাওয়ার উপযুক্ত হয়েছে কী না, কোন নারিকেল গাছটি অপেক্ষাকৃত নিচু, কীভাবে কলার কাঁদিটা কেটে এনে লুকিয়ে রাখা যায়— সবার মাথায় এসব চিন্তাই ঘুরপাক খেতো বেশি। আমি, রায়হান, ফয়সাল, ছাবের, মজিবর, আছের, গঞ্জের ও আফজাল—আমরা সবাই একই ক্লাসে পড়তাম। আমাদের মধ্যে গঞ্জের ছিল সবচেয়ে ব্রিলিয়ান্ট। আমাদের ধারনা ছিল বড় হলে সে নিশ্চিত ব্যারিস্টার হবে। দোলযাত্রার দিনে মজিবরের অভিনয় আর গানের সুমধুর কণ্ঠস্বর আমাদের সবাইকে মাতাল করে রাখত। রেডিওতে তখন নানা ধরনের গান বাজত। সে-সব গানের চেয়েও লিটনের কণ্ঠে সদ্য রিলিজ হওয়া বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় গানগুলো আমাদের বেশি বিনোদন দিত। সেই কিশোর বয়সে আমরা বন্ধুরা ছিলাম কিছুটা বাউণ্ডলে স্বভাবের। দিনের বেশির ভাগ সময় আমাদের খেলাধুলা আর আড্ডাবাজিতে কেটে যেত। আমাদের অভিভাবকেরা যেহেতু অশিক্ষিত ছিলেন, তাই শিক্ষিত হতে দেওয়া ছেলেমেয়েকে তারা সহজে কোনো কাজে পাঠাতেন না। পাছে, অন্যের নিন্দা সইতে হয়। শিক্ষিত ছেলেকে রাখালের মত খাটানোর অপরাধে বছর শেষে হেডমাস্টারের এজলাসে উঠে সন্তানের প্রমোশনের জন্য হাত জোড় করা ছিল রীতিমত লজ্জার বিষয়। তবু অনেকেই সেই কাঠগড়ার সাথে পরিচিত হয়ে আসতেন। এখানে বলে রাখা ভালো, হেডমাস্টার অভিভাবকদের সাথে যদি একটু কড়া করে কথা বলতেন; বাইরে সেই কথার তীব্রতা বহুগুণ বেড়ে যেত। অবশ্য এর সুফল ছাত্ররা পেয়েছে। ছাত্র হলেই বাড়ির সব কাজকাম বাদ। শুধু পড়ালেখা আর পড়ালেখা।

 

তিন.

আগেই বলেছি, আমাদের অভিভাবকেরা শিক্ষিত না হলেও তারা শিক্ষার কদর বুঝতেন। আমরা প্রায়ই এই সুযোগের অপব্যবহার করতাম।  রায়হানদের বাড়ি ছিল গ্রামের সর্ব দক্ষিণে। সেখান থেকে ছোট্ট সরু একটি রাস্তা বয়ে গেছে উত্তর দিকে। এ রাস্তার ধরেই ভুলু সরকারের জোড় পুকুর। তারপর এক এক করে মণ্ডলপাড়া, সরকারপাড়া, ফকিরপাড়া, আকন্দপাড়া, মুন্সিপাড়া হয়ে উত্তর দিকে গ্রামের প্রান্ত সীমা। এই গ্রামের প্রান্তভাগে রমেশ ডাক্তারের বাড়ি। অশিক্ষিত আর দরিদ্র গ্রামবাসীর কাছে ডাক্তার সাহেব ছিলেন দেবতুল্য মানুষ। দিনে তো আছেই; রাত-বিরাত, বিপদে-আপদে, রোগ-শোকে ডাক্তার সাহেব ছিলেন সবার নির্ভরতার প্রতীক। কিন্তু সবার সরল বিশ্বাসের সুযোগে ডাক্তার সাহেব কুড়ি টাকার ঔষধ বাকির খাতায় দু’শো টাকা লিখে রাখতে ভুল করতেন না। আমরা বন্ধুরা দিনের তিনপ্রহর গ্রামের উত্তরপাড়াতেই কাটাতাম। ডাক্তার বাড়ি থেকে একটু দক্ষিণে চিপা গলির মত পথ পাড় হলেই বিশাল আম বাগান। সারি সারি ইউক্যালিপটাস গাছ, বাঁশঝাঁড়, পুকুরসমেত এক বিশাল বাড়ি। বাঁশের চাটাই দিয়ে বেড়া দেওয়া ব্রিটিশ আমলের মরচেধরা সব টিনের ঘর। শানবাঁধা বারান্দা, নিচে উঠোন। উঠোনের একপাশে বারো মাসি পেয়ারা গাছ। কতগুলো মুরগী আর কবুতরের খোয়ার। বাইরে পূর্বদিকে একটি বৈঠকখানা। চারচালা এই ঘরটি কত মানুষের হাসি-কান্নার স্মৃতি বহন করে আছে— তার কোনো ইয়ত্তা নেই। আগের দিনের নবাব, রাজা-বাদশা, জমিদার, কতক চৌকিদার সমেত থানার বড়বাবু থেকে শুরু করে চোর, বদমাশ, রাতের প্রেমিক-প্রেমিকা সবার পায়ে ধুলো এ ঘরের ভীতকে মজবুত করেছে। বাড়িটি গ্রামের প্রধান মাতব্বর জয়েনউদ্দীন সরকারের। ছোটখাটো অথচ তুখোর একজন মানুষ ছিলেন তিনি। আমরা অবশ্য কেউ তাকে দেখিনি। যতটুকু জানি এ-সব কিংবদন্তীর মত; শোনাকথা, লোকশ্রুতি। আমরা সবাই বড়দের কাছে কেচ্ছা-কাহিনির মতো তাঁর গল্প শুনেছি। আমাদের জন্মের কয়েক যুগ আগেই তিনি ইহধাম ত্যাগ করেছেন। তবে অ্যাডভাঞ্চার থ্রিলারের মত তাঁর কাহিনি শুনতে ভালো লাগে। তিনি একজন নিষ্ঠাবান মানুষ ছিলেন। তাঁর হাতের ইশারায় বাঘে মহিষে এক ঘাটে পানি খেত। বাড়িটি এখন কেবল কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। কারণ সভ্যতার উন্নয়ন আর শিক্ষার আলো মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে। এখন গ্রাম পঞ্চায়েতের তেমন দরকার হয় না। ছোট-খাটো অপরাধেও মানুষ আইন-আদালত করতে শিখে গেছে। নগদ উপার্জন আর কাঁচা টাকার কামড় সহ্য করা কঠিন। তবু এখনকার চেয়ে আগের দিনেই নাকি মানুষের মধ্যে বেশি সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ছিল। গ্রামের একপ্রান্তে ছকির মিয়ার বসবাস ছিল। তিনি ছিলেন বাউল শিল্পী। এক-তারা, দো-তারায় টুং-টাং শব্দ করে গান গাইতেন। আমরা ছেলেরা বিকেলবেলা তার কাছে গান শুনতে যেতাম। শুধু কি গান শুনতাম; নাহ। আরও অনেক কেচ্ছা-কাহিনি তিনি আমাদের শোনাতেন। যৌবনে তিনি যাত্রাপালার সদস্য ছিলেন। যাত্রার মঞ্চেও তিনি বয়াতির রোল করতেন। তিনি আমাদের প্রায়ই বলতেন, বয়াতির রোল তো যে-সে পাঠ নয়, দাদা। ওরা সমাজের বিবেক। আহা, তার কথায় উঠে আসতো সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অনৈতিক ঘটনার ইতিহাস। অতীতের নানা অন্যায় আর লোমহর্ষক কাহিনির ইতিবৃত্ত। গ্রামের পশ্চিম প্রান্ত একদম ফাঁকা বিল। গ্রীষ্মকালে বিলের তলানী পর্যন্ত শুকিয়ে যায়। এঁটেল মাটি ফেঁটে চৌচির। আমন ধানগুলো রুক্ষ মৃতপ্রায় মনে হয়। বৈশাখ পেরুতে না পেরুতেই বাদলার জলে বিল হয়ে ওঠে নবযৌবনা। বিলের পূর্বপাড়ে উত্তর দক্ষিণে বিস্তৃত এ গ্রামটিই ‘চেংটিয়া’ নামেই পরিচিত। শহর থেকে গ্রামে ফেরার পথে রায়হানের আরও কত কথা মনে পড়ে! সে তাকিয়ে থাকে অবারিত মাঠের পানে। মাঠভরা সোনা রং ধান পেকে আছে থরে বিথরে।

 

চার.

রায়হানের গ্রাম ছাড়ার ইতিহাস খুবই করুণ। তখন রায়হান কলেজে পড়ে। একবার গ্রামের কোনো এক সালিশি বৈঠকে রায়হানকে সাক্ষী মানা হয়েছিল। রায়হান ঘটনার মাথামুণ্ডু কিছুই জানে না। মিথ্যে কথা কীভাবে বলবে ? তাই সে যায়নি। ওদিকে গ্রামের পঞ্চায়েত সভায় বিচার অগ্রাহ্য করায় রায়হান আর তার বাবাকে ধরে বেঁধে হাজির করার হুকুম হয়। চৌকিদার কালীচরণ হুকুম তামিল করার জন্য সদা প্রস্তুত। কালীচরণ এসে রায়হানের বাবাকে পঞ্চায়েত বৈঠকের আদেশ জানায়।  রায়হানের বাবা খুব সাদাসিধে আর নিরীহ প্রকৃতির একজন মানুষ। তিনি জীবনে কখনও কারও ক্ষতি বা অন্যায় করেননি। ছেলের প্রতি এরূপ হুকুম শুনে তিনি ভয় পেয়ে যান। অগত্যায় রায়হানকে নিয়ে তিনি পঞ্চায়েতের দিকে ছোটেন। রায়হানের অনুপস্থিতিতে মূল ঘটনা ঢাকা পড়ে যায়। সমবেত মানুষের মুখে তখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয় রায়হান ও তার বাবা। সে কবে কাকে সালাম দেয়নি, কার সামনে জোরে পায়ে হেঁটে গেছে, কাদের সাথে চলাফেরা করে, কবে কার গাছের নারকেল না বলে পেরে খেয়েছে— এই সব টাইপের কথাবার্তায় আসর মশগুল। আসলে বিচারে রায়হানের সাক্ষী দেওয়া মুখ্য নয়। পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্দেশ্য ছিল ভিন্ন। তিনি বিজ্ঞ মানুষ। শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে পটু। রায়হান পড়ালেখায় যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ওকে আটকানো কঠিন। বেশি বিদ্বান হয়ে গেলে সে আর মুরব্বি মানবে না। গ্রামের সবার চেয়ে সম্মানিত হয়ে যাবে। তারচেয়ে বড় কথা, ন্যায্য-অন্যায্য ধরে তাদের ওপর খবরদারি ফলাবে। ভালো হয় গাছ বড় হওয়ার আগেই ডালপালা ছেঁটে দেওয়া। অনেক দিন ধরেই বিষয়টি মাতব্বরদের নজরে এসেছে। কিন্তু বেটাকে বাগে পাওয়া যায় না। এবার সুযোগ এসে গেছে। সালিশের মূল কাহিনি খুবই সংক্ষিপ্ত। গোলেদানের লাগানো শসার মাচা থেকে পরশু খাওয়ার উপযুক্ত সব শসা চুরি হয়ে গেছে। কে বা কারা চুরি করেছে— কেউ তা দেখেনি। রায়হান সাইফুলকে ঐ দিন বিকেলে ব্যাগে করে শসা বাজারে বিক্রি করতে নিয়ে যেতে দেখেছে। গোলেদান আর সাইফুল সম্পর্কে মা আর ছেলে।

 

পাঁচ.

পঞ্চায়েতের বিচারে যে রায় হয় তা খুবই অবাক করার মত। ‘রায়হান যথাসময় হাজির না হয়ে উপস্থিত সবাইকে অপমান করেছে। তাছাড়া ছেলেটি উচ্ছৃংখল আর বখাটে টাইপের। তাই ছেলেকে সবার সামনে শাসন করার হুকুম দেওয়া হল। রায়হানের বাবা রায় কার্যকরে অপারক হলে কালীচরণ তা কার্যকর করবে। আর সাইফুল শসা বেচার সব টাকা গোলেদানকে ফেরত দিয়ে মায়ের কাছে মাফ নিক।’

ভর মজলিশে একজন নিরাপরাধ ছেলেকে বাড়ি থেকে ডেকে এনে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আঘাত করা কতটা যৌক্তিক হয়েছিল তা পঞ্চায়েত প্রধান আর আল্লাহ মাবুদ ভালো জানেন।

 

 

 

কিন্তু ঘটনাটি যে রায়হান আর তার পরিবারের জন্য দুঃখজনক— তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এই ঘটনার পরদিনই বাবা রায়হানকে শহরে পাঠিয়ে দিলেন। আর যেন সে কোনোদিন গ্রামে না ফেরে।

শহরে এসে রায়হান দিনের পর দিন কষ্ট করে লেখাপড়া শেষ করে। রায়হানের জীবনে শহুরে জীবন যেন নতুন এক ইতিহাস। সে কথা না হয় অন্য সময় বলব। রায়হান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। পড়াশোনা শেষ হলে সেখানেই তার চাকরি হয়। এর কিছুদিন পর উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করার জন্য পাড়ি জমায় লন্ডনে। সেখান থেকে চার বছরপর কর্মস্থলে ফেরে। এর মধ্যেই বিয়ে। তারপর সরকারের একটি প্রজেক্টের কাজে সস্ত্রীক কানাডা পাড়ি জমায়।

বাবার শেষ কথাটি রাখতে পারেনি রায়হান। মাতৃভূমির চেয়ে প্রিয় আর কিছু নেই। আজ বাবা বেঁচে নেই। বেঁচে থাকলে তিনি নিশ্চয়ই খুব খুশি হতেন। একদিন যারা তাকে গ্রামছাড়া করে ছিল— আজ তারাই তাকে ডেকে আনছে। সংবর্ধনা দেবে। বাবার নামে গ্রামে স্কুল হচ্ছে। রায়হান, স্মৃতি থেকে অতীতকে মুছে ফেলতে চায় না। কারণ অতীতের কিছু কিছু ঘটনা তাকে শক্তি যোগায়। সে-দিন গ্রাম না ছাড়লে আজ হয়তো সে এই রায়হান হতে পারত না।

সময় বড্ড নিষ্ঠুর। কঠিন। সব কেমন পাল্টে দেয়। এই গ্রামটিকেও আজ কেমন পাল্টে দিয়েছে।

 

অনন্ত পৃথ্বীরাজ, গল্পকার

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।