এখন সময়:সকাল ৭:২০- আজ: মঙ্গলবার-২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

এখন সময়:সকাল ৭:২০- আজ: মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

রুবিকস কিউবের ধাঁধা

সরকার হুমায়ুন

গল্পের শুরুতেই বিজ্ঞান লেখক সামস জী একটি লম্বা নিশ্বাস টানেন। নিশ্বাসটি গভীরভাবে ছেড়ে দিয়ে বললেন,’আমাদের জীবন এত রহস্যময় যে, আমাদের হাত সেই রহস্যময়  উচ্চতায় পৌঁছতে পারে না। সেখানে যাওয়ার পথে রয়েছে যেন চীনের প্রাচীর সমান বাধা। সেজন্য, আমাদের চোখ দেখতে পারে না  জীবনের গভীরতম রহস্যকে।  বিজ্ঞানের ক্রিয়াকলাপ বা  অস্তিত্বের যে কোনও অভিব্যক্তি বোঝা – গাছ বা প্রাণী বা পাখির কাছে কোনও রহস্যের বিষয় নয়।  আমরা কেউ বিজ্ঞানী নই। আমাদের কাছে বিজ্ঞান নিজেই একটি রহস্য। বিজ্ঞানীরা প্রকৃতির রহস্যকে নতুন করে খুঁজতে শুরু করেছেন। তারা তাদের পুরোনো একগুঁয়েমি এবং কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাবকে বাদ দিয়েছেন। একদিন তারা প্রকৃতির সমস্ত রহস্য ঠিকই জেনে যাবে ।

 

আলবার্ট আইনস্টাইনের সাথে বিজ্ঞানের পুরো ইতিহাস একেবারেই আলাদা পথ বেছে নিয়েছিল। কারণ,তিনি যত বেশি  পদার্থের গভীরতম কেন্দ্রে গিয়েছিলেন, তিনি ততই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। সমস্ত যুক্তি পিছনে ছিল। সমস্ত যৌক্তিকতা  পিছনে ছিল।  আমরা অস্তিত্বকে নির্দেশ দিতে পারবো না। কারণ অস্তিত্ব কারো যুক্তি অনুসরণ করে না।  যুক্তি মনুষ্যসৃষ্ট।

অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের জীবনের একটা পয়েন্ট ছিল। যখন তিনি দোদল্যতায় ভাবতেন যে, তিনি কী যুক্তিযুক্ত হওয়ার জন্য জোর দিবেন কিনা … তবে এটি তাঁর জন্য অস্বস্তিকর ছিল।  যদিও বিষয়টি মানবীয় কিন্তু বুদ্ধিদীপ্ত ছিল না। তিনি জেদ করলেও তার মধ্যে যুক্তিযুক্ত হওয়ার বিষয়টি ছিল।

তিনি মন্তব্য করতেন যৌক্তিকতার ভিত্তিতে।  কিন্তু প্রকৃতি কখনো আমাদের যুক্তি অনুসারে পরিবর্তিত হয়না। বরং প্রকৃতি অনুযায়ী যুক্তি পরিবর্তিত হয়।  আমরা যত বেশি গভীরে যাই। প্রকৃতি  আরও বেশি রহস্যময় হয়ে ওঠে।

যখন কোনো বিষয়ে যুক্তি আসে তখন আমাদেরকে যুক্তি এবং যুক্তিবাদ ছেড়ে চলে যেতে হয়। কেবল প্রকৃতিকে শুনতে হয়। এটাকে চূড়ান্ত বোঝাপড়া বলা যেতে পারে – তবে সাধারণ বোধগম্যতায় নয়।  আমরা এটি জানি, আমরা এটি অনুভব করি, তবে এটা বলতে পারি না।

প্রকৃতিতে পুরুষ চরিত্র  যেমন একটি রহস্য, তেমনি নারী  চরিত্র আরও রহস্যময়। এক কথায়- যা বিদ্যমান তার সবই একটি রহস্য। এই রহস্য উদঘাটনের জন্য আমাদের সমস্ত চেষ্টা ব্যর্থ হতে চলেছে।’ এক্ষেত্রে ,একজন গণিতবিদের কথা উদাহরণ হিসেবে বলা যায়। যিনি খেলনা দোকানে  ক্রিসমাস উপলক্ষে তার ছেলের জন্য একটি উপহার কিনতে গিয়েছিলেন।  তিনি ছিলেন একজন প্রখ্যাত গণিতবিদ। তাই স্বাভাবিকভাবেই দোকানদার একটি রুবিকস কিউবের ধাঁধা বের করে আনেন।  গণিতবিদ  চেষ্টা করলেন এটিকে সমাধান করতে। এটি একটি সুন্দর ধাঁধা ছিল।  তিনি চেষ্টা করছিলেন  এটা সমাধানের জন্য। চেষ্টা করলেন এবং চেষ্টা করলেন। এটি তাঁর কাছে জটিল হয়ে উঠলো। গ্রাহক, বিক্রয়কর্মী এবং দোকানদার সকলেই দেখছিলেন। তিনি সক্ষম হননি  ধাঁধাটির একটি সমাধান আনতে।

অবশেষে তিনি চেষ্টা করা ছেড়ে দিলেন। এরপর তিনি রেগেমেগে দোকানদারকে বললেন, “আমি একজন গণিতজ্ঞ। যদি আমি না পারি তবে আপনারা কেউ এই ধাঁধাটি সমাধান করুন। আপনারা কিভাবে আমার ছোট ছেলেটিকে বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হবেন বলে মনে করেন? ”

দোকানদার বললো, “আপনি বুঝতে পারছেন না,স্যার ! এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, কেউ এর সমাধান করতে পারবে না। গণিতবিদ বা কোনও অংক বিশারদও নয়। ”

গণিতবিদ জিজ্ঞেস করলেন, “তবে কেন এটি এভাবে তৈরি করা হয়?”

দোকানদার বললো, “এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে প্রথম থেকেই শিশুরা এটি শিখতে শুরু করে যে, জীবনে অনেক সমস্যার সমাধান করা যায় না। বোঝা যায় না। ”

সামস জী বলেন,’আপনাকে এর মধ্যেই চলতে হবে। এর মধ্য থেকেই আনন্দ করতে হবে।  আপনি রহস্যের সাথে এক হয়ে খুব সহজেই বলতে পারেন ‘আছি আনন্দে ‘। তবে ধারণাটি পর্যবেক্ষক হিসেবে বোঝা মোটেই সম্ভব নয়।

আমি নিজেকে বুঝতে পারি না। আমার কাছে সবচেয়ে বড় রহস্য আমি নিজেই। তবে কয়েকটি ক্লু আমি আপনাদের দিতে পারি।”

আপনার একজন সাইকিয়াট্রিস্ট সহকর্মী যিনি আপনাকে প্রচুর প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেন। অথচ আপনার স্ত্রী আপনাকে কিছুই জিজ্ঞেস করে না।

সুখের মূল চাবিকাঠি: ভালবাসা এবং কোমলতা। আবেগের কথা সংগীনিকে বলতে পারা।

মহিলারা একজন পুরুষের অগ্রযাত্রাকে উৎসাহিত করে। তার পশ্চাদপসরণকে আটকে দিতে পারে। কবি কাজী নজরুল  ইসলাম নারীর স্তুতি গেয়ে লিখেছেন —

” কোন কালে একা হয়নি ক জয়ী পুরুষের তরবারি

প্রেরণা দিয়াছে শক্তি দিয়াছে বিজয় লক্ষ্মী নারী। ”

আপনি যদি কোনও মহিলার মন পরিবর্তন করতে চান তবে তার সাথে একমত হন।

যদি আপনি কোনও নারীর সত্যিকারের অর্থ কী তা জানতে চান তবে তার দিকে ভাল করে তাকান – তার কথা শোনার দরকার নেই।

সব সময় বলুন – আছি ভাল আছি বর্তমানে আছি সত্যে।’

 

সরকার হুমায়ুন, কল্পবিজ্ঞান লেখক

আন্দরকিল্লা প্রকাশনার ২৮ বছর আগামীর পথ ধরে অনাদিকাল

রূপক বরন বড়ুয়া আমি মাসিক ‘আন্দরকিল্লা’ কাগজের নিয়মিত পাঠক। প্রতিবারের মতো হাতে নিলাম এবারের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে ঢাকা জুলাই ২০২৫ সংখ্যা, হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতেই

জলে জঙ্গলে (পর্ব-২)

মাসুদ আনোয়ার   ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী বোর্ডের রেজাল্ট আউট হলো। আমি কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী। ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠলাম। যে কোনোদিন কুমিল্লা বোর্ডও ফল প্রকাশ

স্বপ্নে গড়া অবয়ব

সৈয়দ মনজুর কবির   মনটা যখনই কেমন অজনা বিষণ্নতায় ছেয়ে যায় তখনই কেয়া জানালার ধারে এই চেয়ারটাতে এসে বসে। আজ অবশ্য অন্য একটা কারণ আছে

অন্তহীন সুড়ঙ্গ

সুজন বড়ুয়া   কবর থেকে বেরিয়ে মহিম অশরীরী রূপ নিল। সঙ্গে সঙ্গে গত কয়দিনের সব ঘটনা একে একে মনে পড়ে গেল তার। ফার্স্ট সেমিস্টারের পর

রাত যখন খান খান হয়ে যায়…

মনি হায়দার   চোখ মেলে তাকায় সোাহেল হাসান। প্রথম দৃষ্টিতে সবকিছু অচেনা লাগে। কোথায় এলাম আমি? উঠে বসতেই মনে পড়ে গতরাতে অনেক ঝক্কি আর ঝামেলার