এখন সময়:রাত ৯:১৪- আজ: শনিবার-১লা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:রাত ৯:১৪- আজ: শনিবার
১লা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৬ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

রুহু রুহেল-এর গুচ্ছকবিতা

ভালোবাসা পরমায়ু

 

নিঃশ্বাস হতে লু হাওয়া বাতাসে উত্তপ্ত ঘ্রাণ

শরীর ভিজেছে  যেন কর্মে পরিশ্রান্ত

জীবনের হিস্সা খোঁজে কামনার ইন্দ্রধনু!

 

বিশ্বাস হতেও  ঝরছে  ধূসর ধুলোর আয়ু

জীবনের  বাঁকে বাঁকে সুপ্ত কতকিছু!

দিনে দিনে বাড়ে ভালোবাসার প্রগাঢ় পরম পরমায়ু

 

 

 

 

শব্দদের বাড়ি

 

যাবো আমি কবিতার বাড়ি

যতই দুর্বোধ্যই হোক দেবো তা পাড়ি!

মেখে দেবো তার দেহে শব্দস্বর

জড়িয়ে দেবো সঙ্গে জৌলুস অলঙ্কার

উপমার মতো ভরে দেবো কবিতার জমিন

উৎপ্রেক্ষায় যেন না হারায় ছন্দ মিতা!

 

অনুপ্রাসে ঝংকৃত করবো ধ্বন্যন প্রতিমা

প্রতীকে প্রতীকে দর্শনে দর্শনে নিংড়িয়ে

বিবিধ অভিতরঙ্গ সাজাবো

কবিতার অনিন্দ্য স্বর  সবই তা

 

সবুজে সজীবে নীলিমার নীলে

ভরে উঠবে তার শিল্পচর

“শিল্পের জন্য শিল্প” তে রাঙাবো কবিতার বাসর

বৈষম্যহীনের আদলে সাজাবো আধুনিকোত্তর করতলগত নগর!

 

যতই রক্তাক্ত করোনা আমায়

তবুও আমি দেখে নিতে চাই কবিতার নতুন বাড়ি

তার ইতিহাস ও ঐতিহ্যে ভরা

মাটি ও মমতার ঘ্রাণে লেপটে দিতে চাই

চরণ শৈলীর , স্পন্দিত নবতর অবয়ব !

 

যন্ত্র ও যান্ত্রিকতায়, ইটসুরকির শহরে

তোমাকে শিউলি শেফালি কাশফুলের

শুভ্রতায় জড়াতে চাই আপন আনন্দ সাগর!

 

তোমায় নিয়ে সাজাবো আমার শব্দ সংসার

যেখানে উঠে আসবে অতীত ও বর্তমান

থাকবে যত আনন্দ বেদনায় সুখ দুঃখ সহযোগ!

অতিবাস্তবের ঘর গেরস্থির,

মন মাতানো সব শিল্পিত কারবার!

 

 

 

 

 

 

ভাবনার বিকিকিনি

 

আমার ভাবনাগুলো বিকিকিনিতে তোলপাড়

চলে হাহাকার

আমার শব্দগুলো পরিযায়ী পাখির মতো ছুটে

চলে অবিরাম

আমার চিত্রকল্পগুলো রঙিন ঘুড়ির মতো উঠে

নামে বারংবার

আমার উপমা নিরূপমা হয়ে আরব সাগরে ঢেউ

খেলে প্রতিবার!

আমার অনুপ্রাস অধর আর অধরার ঘরে ঝংকার তোলে বারেবার

আমার প্রতীকবাদিতা নিভৃতের অন্ধকার  করালে

কাঁদে কতবার!

আমার উৎপ্রেক্ষারা পৃথিবীর সমস্ত সকালে ঘুম হতে জাগে বারবার!

আমার ব্যঞ্জনাগুলো অপখেলায় বিনষ্ট প্রহরে পিষে

যায় বারেবার

আমার দর্শন আর ইচ্ছেগুলো গুমরে গুমরে বিকল

হচ্ছে  দিনরাত!

 

 

 

 

 

নীলে লীন

 

সূর্যের নরম রোদেলায়

সোনাঝরা আলোর বিকেলে

পেয়েছিলাম পরম অনুভব;

পারদের স্পর্শে জাগে সুখানুভব

দেহের দোলায় চলে  সন্ধি আর উপসর্গ!

 

স্থবিরতার করাতে জমে ঘৃণার শরাব!

 

সময় যাচ্ছে বড় নির্মম বাস্তবতা

শ্রাবণের আকাশে মেঘেদের ভেলা

খুঁজতে খুঁজতে শরতের সন্ধ্যায়

দু’পশলা বৃষ্টি, জমির উর্বরতায়!

 

বেশি প্রয়োজন সমতার আলিঙ্গন!

 

নীলের ছোঁয়াতে চেয়েছিলাম সম্ভ্রম পুলক

নিরাশায় সব অনুভূতি! নীলে লীন অনুভব

সোনাঝরা সেই বিকেলের ঘণ্টা আজো স্থির!

 

সে ছোঁয়া কত মধুর  ছিল ভাবছি নিরবধি!

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।