এখন সময়:সকাল ১১:০৫- আজ: শনিবার-২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:সকাল ১১:০৫- আজ: শনিবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

লোকধর্ম: ‘মা মগধেশ্বরী’র পূজা

অমল বড়ুয়া

মানবজাতির উৎপত্তি ও বিকাশের ঊষালগ্ন থেকে লোকধর্মের উৎপত্তি, যা মৌখিক ঐতিহ্যের মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে রূপান্তরিত ও স্থানান্তরিত হয়েছে। লোকসম্প্রদায়ের নিজস্ব জীবনযাপন, বিশ্বাস, ভক্তি-শ্রদ্ধা, সংস্কার, এবং সংস্কৃতি থেকে লোকধর্মের গোড়াপত্তন, যা মূল ধর্ম থেকে স্বতন্ত্রভাবে বিকশিত হয়। প্রাগৈতিহাসিক সময়কাল থেকে লোকধর্মের উন্মেষ ঘটলেও আঠারো শতকে বাংলায় শাস্ত্রীয় ধর্মের অনেক কিছুই প্রত্যাখ্যান করে লোকধর্ম জনপ্রিয়তা লাভ করে। মানুষের নিজস্ব জীবন, বিশ্বাস ও অভিজ্ঞতার সুনিপুণ সংশ্লেষের কারণে এই জনপ্রিয়তা। এ যেন সত্যের সাধনায় বহুমুখী স্রোতধারা। মূলত লোকধর্ম হলো একটি বিশ্বাস ও রীতিনীতি যা কোনও মৌলিক ধর্মের মতবাদ, নেতৃত্ব বা পবিত্রগ্রন্থ থেকে উদ্ভূত নয়। এটি বরং একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় বা উপজাতির মধ্যে প্রথাগতভাবে প্রচলিত থাকে। লোকধর্মে সাধারণত কোনও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, লিখিত পবিত্র গ্রন্থ বা কঠোর নিয়মকানুন থাকে না। এটি মূলত স্থানীয় রীতিনীতি, উৎসব, লোককথা এবং সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের বিশ্বাস ভক্তি-শ্রদ্ধার ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত। তবে দেখা যায় লোকধর্ম বড় মৌলিক ধর্মগুলোর সাথে সহাবস্থান করে এবং তাদের রীতি-নীতি ও বিশ্বাসে মিশে যেতে পারে। বাংলার লোকধর্ম হলো বাংলার স্থানীয় প্রথা, বিশ্বাস ও লোককথার একটি মিশ্রণ, যা মূল ধর্মীয় কাঠামোর বাইরেও প্রচলিত। বাংলাদেশে বাঙালি সমাজে অনুসৃত হচ্ছে বহু লোকধর্ম। আর এরকম একটি জনপ্রিয় ও বহুলপ্রচলিত লোকধর্ম হলো- মা মগধেশ্বরীর পূজা।

 

মা মগধেশ্বরীর ইতিবৃত্ত:

চট্টগ্রামের বৌদ্ধ, হিন্দু ও অন্যান্য সম্প্রদায় কর্তৃক পূজিত একজন দেবী হলেন- ‘মা মগধেশ্বরী’। বৃহত্তর চট্টগ্রামের বিস্তীর্ণ গ্রাম ও নগর জনপদে ‘মা মগধেশ্বরী’র মন্দির বা সেবাখোলা দেখা যায়। মা মগধেশ্বরী কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের একক দেবী না হলেও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মধ্যে তাঁর বিশেষ প্রাধান্য রয়েছে। এই অঞ্চলের প্রাচীন ইতিহাস এবং মগধরাজ্যের সঙ্গে এর সংযোগ থাকার কারণে স্থানীয় বৌদ্ধরা এই দেবীর পূজা করে থাকেন। বৌদ্ধশাস্ত্র অনুযায়ী, মগধের অধিশ্বর রাজা বিম্বিসার মদ্র দেশের রাজকন্যা ক্ষেমাকে বিয়ে করেন। ক্ষেমা মগধের অধীশ্বর রাজা বিম্বিসারের তৃতীয় রাণী ও প্রধানমহিষী যিনি ছিলেন প্রজাহিতৈষী ও প্রজাবৎসল। তাই তাঁকে মগধেশ্বরী বা মগধের অধিশ্বরী বা মহারাণী বা রক্ষাকর্ত্রী দেবী হিসেবে মানা হয়। সিংহলী বৌদ্ধগ্রন্থ মহাবংশ অনুসারে বিম্বিসার (৫৬৭-৪৯২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) মাত্র পনেরো বছর বয়সে তার পিতা মহাপদুম কর্তৃক মগধের রাজারূপে অভিষিক্ত হন। রাজা বিম্বিসার ৫৪২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৪৯২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ পর্যন্ত মগধরাজ্য শাসন করেন। সেই সময় মহাভারতে ষোলটি মহাজনপদ ছিল এবং মহাজনপদগুলো পরষ্পরের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল। একজন দূরদর্শী ও প্রাজ্ঞ রাজা হিসেবে মগধাধিপতি বিম্বিসার নিজ রাজ্যের সীমানা ঠিক রেখে অপরাপর রাজ্যের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনের কূটনৈতিক পন্থা অবলম্বন করেন। আর এই কারণে বিম্বিসার বিভিন্ন রাজ্যের রাজকুমারীদের বিবাহের মাধ্যমে রাজ্যগুলির সঙ্গে কূটনৈতিক সুসম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী ছিলেন। তিনি কোশলরাজ মহাকোশলের কন্যা কোশল দেবীকে বিবাহ করলে দুই রাজ্যের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরিতার অবসান ঘটে। বিম্বিসার বৈশালীর লিচ্ছবি মহাজনপদের প্রধান চেতকের কন্যা চেল্লনাকে বিবাহ করেন। বিম্বিসারের তৃতীয় পত্নী ক্ষেমা ছিলেন মদ্র দেশের রাজকন্যা। পব্বজ্জাসুত্ত অনুসারে, বোধিলাভের সাত বছর পূর্বে মগধের রাজধানী রাজগৃহে সিদ্ধার্থ গৌতমের সঙ্গে বিম্বিসারের সাক্ষাত ঘটে এবং বোধিলাভের পর সিদ্ধার্থ রাজগৃহে আসবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। গৌতম বুদ্ধত্ব লাভের দুই বছর পরে বিম্বিসারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেইদিনই বিম্বিসার বৌদ্ধসংঘের সহস্রাধিক ভিক্ষুদের বসবাসের জন্য বেণুবন নামক উদ্যানটি গৌতম বুদ্ধকে দান করেন। বিম্বিসারের অনুরোধে বুদ্ধ অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে উপোসথব্রত পালনের বিধি এবং বর্ষাকালে পরিব্রাজন না করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান করে সাধনার বর্ষাবাস নামক রীতি প্রচলন করেন। রাজা বিম্বিসার একজন বৌদ্ধ উপাসক হিসেবে স্রোতাপন্ন (নির্বাণ স্রোতে বা নির্বাণের প্রথম সোপানে উপনীত) ছিলেন। বিম্বিসারের তৃতীয় পত্নী ক্ষেমাও পরবর্তীকালে ভিক্ষুণী সংঘে যোগদান করে অর্হৎ লাভ করেন। বৌদ্ধশাসনে নারীদের মধ্যে ক্ষেমা পরমার্থ সত্য উপলব্ধির মাধ্যমে আধ্যাত্মিক প্রজ্ঞার অধিকারী হয়ে বুদ্ধের প্রথমসারির অগ্রশ্রাবিকা (প্রধানশিষ্য) হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি ছিলেন স্নেহবৎসল, কল্যাণকারী, পরোপকারী ও মঙ্গলকামী। তাঁর আধ্যাত্মিক জীবনের পরমার্থিক জ্ঞানের মঙ্গলপ্রভায় দুঃখ-কষ্টে উদ্বেলিত অনেক মানুষ সুখ-শান্তি-সন্তুষ্টি ও উন্নতি লাভ করায় মানুষ তাঁকে কৃতজ্ঞতাবশত বন্দনা-পূজা করা শুরু করেন। যার চলমানতা অদ্যাবধি বিদ্যমান। বুদ্ধের প্রথমসারির অগ্রশ্রাবিকা অর্হৎ ক্ষেমাই হলেন- লোকধর্মের পরোপকারী দেবি ‘মা মগধেশ্বরী’।

 

লোকধর্মের বিবর্তন:

মগধেশ্বরী মায়ের পূজা বৌদ্ধদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিল। তৎকালীন স্থানীয় বৌদ্ধরা মগধেশ্বরী মায়ের একটি বিগ্রহরূপ নির্মাণ করে একটি ছোট মন্দিরে রেখে পূজা করত। পঞ্চদশ শতকে চট্টগ্রাম বিভিন্ন রাজাদের যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়ে ওঠে। আরাকানী-বর্মী-মোগল-ত্রিপুরা ও স্থানীয় শাসকদের দখল ও পুনরুদ্ধারের রাজকীয় মত্ততায় বিপর্যস্ত ছিল সমগ্র চট্টগ্রাম। তারই ধারাবাহিকতায় ‘১৫০১ খ্রিস্টাব্দে ত্রিপুরার রাজা ধন্যমানিক্য চট্টগ্রাম আক্রমণ করে বৌদ্ধ দেবতা মগধেশ্বরীকে ত্রিপুরার উদয়পুরে নিয়ে যান এবং ‘ত্রিপুরাসুন্দরী’ নামে প্রতিষ্ঠা করেন। ১৬৩১ খ্রিস্টাব্দে চক্রশালার সামন্তরাজ মুকুট রায়ের নেতৃত্বে চট্টগ্রামের বৌদ্ধরা তাদের মগধেশ্বরী দেবীকে পুনরুদ্ধারের জন্য ত্রিপুরারাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। এই যুদ্ধে ‘মগধেশ্বরী মা’ তথা ‘ত্রিপুরাসুন্দরী’র প্রভুত ক্ষতি সাধিত হয়।’ ত্রিপুরারাজ কর্তৃক ‘মগধেশ্বরী মা’ তথা ‘ত্রিপুরাসুন্দরী’ প্রতিষ্ঠিত হলে সনাতনী সমাজে মগধেশ্বরী মায়ের পূজার কদর বেড়ে যায়। লোকবিশ্বাস অনুযায়ী, মগধেশ্বরী মায়ের পূজা করলে মায়ের আর্শীবাদে সকল প্রকার বাঁধা-বিপত্তি অন্তরায় মুক্ত হয়ে সকল মনোস্কামনা পূর্ণ হয়। আর এই বিশ্বাস ও ভক্তি-শ্রদ্ধায় ঐতিহ্যবাহী সনাতন ধর্মীয় প্রথায় চট্টগ্রামের মগধেশ্বরী মন্দিরে এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রতি বছর ভক্তরা মায়ের কাছে মনোস্কামনা পূরণের জন্য আসেন। এই প্রথা বৃহত্তর রাঢ়-বঙ্গ থেকে আসা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বারা শুরু হয়েছিল এবং আজও এটি প্রচলিত আছে। এই পূজার মূল অংশ হিসেবে সেবাখোলা তৈরি করা হয় এবং ভক্তরা মায়ের কাছে প্রার্থনা করে, যা সাধারণত মায়ের জাগ্রত মন্দিরগুলোতে অনুষ্ঠিত হয়।

 

মগধেশ্বরী মায়ের পূজা:

‘মা’ শব্দটি বিশ্বজনীনভাবে স্নেহ, মমতা, ও ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে পরিচিত এবং বিভিন্ন সংস্কৃতিতে শ্রদ্ধার সাথে ব্যবহৃত হয়। ‘মা’ শব্দটি এখানে মগধেশ্বরী দেবীর প্রতি সন্তানের ভালোবাসা ও নির্ভরতা প্রকাশ করে। এটি দেবীর মাতৃরূপকে নির্দেশ করে। মগধেশ্বরী মায়ের পূজা ও ভক্তির মাধ্যমে ভক্তরা নিজেদের জীবনের কঠিন সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে বিশ্বাস করা হয়। এটি একটি স্থানীয় ঐতিহ্য, যেখানে দেবী মগধেশ্বরীর ভক্তি ও আরাধনার মাধ্যমে অসম্ভবকে সম্ভব করার কথা বলা হয়। সাধারণত গ্রামের একপাশে নির্মিত ছোট মন্দিরের সম্মুখে খোলা স্থানে মগধেশ্বরী মায়ের পূজা করা হয়। পূজার এই স্থান লোকালয় থেকে অনতিদুরে খোলা স্থানে হয়ে থাকে। ফলে এই স্থান ‘সেবাখোলা’ নামে পরিচিতি লাভ করে। তবে এই খোলা স্থানের একপাশে একটি খুবই ছোট মন্দির তৈরি করা হয়। মন্দিরের ভেতরে কোনো মূর্তি বা বিগ্রহ থাকে না। অর্থাৎ খালি থাকে। সচরাচর এই মন্দিরের পাশে একটি বৃক্ষ (বিশেষ করে বটবৃক্ষ) রোপণ করা থাকে। মন্দিরটি সাদা বা লাল রঙে আবৃত থাকে। মন্দিরের সামনে ছোট একটি ঢালাইকৃত মঞ্চ (স্ল্যাপ) থাকে, যার উপর ধূপ-প্রদীপ-পূজাদি অর্পণ করা হয়। মগধেশ্বরী মায়ের পূজা উপকরণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ‘ঘট’-এর জন্য: শাড়ি (সাদা), পান, সুপারি, চুন, তেল, সিঁদুর, নারকেল, কলাপাতা এবং পূজা ও প্রসাদের জন্য- কলা, সাগুদানা, চিনি, মিষ্টি (পাঁচ প্রকার), চাউল (আতপ), আপেল, আঙুর, কমলা ইত্যাদি। মগধেশ্বরী মাকে প্রণাম মন্ত্র হলো-

সর্ব্বকার্য্য সিদ্ধি দেবী,

সর্ববিঘ্ননাশিনী, সর্ব্বফল প্রদায়িনী দেবী,

মগদ্বেশ্বরীই নমো নমোঃ!!

পূজা বিধি:

মা মগধেশ্বরীর পূজার ক্ষেত্রে হিন্দুরা কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চলেন। এই নিয়মগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ক) পাঁচজন সধবা নারী একসাথে মায়ের ঘট সাজাবে, খ) কাঁসর, উলুধ্বনির মাধ্যমে ঘট নারকেল ও শাড়ি দিয়ে বাঁধবে, গ) ঘটের মুখ বাঁধা ও ঘটের পানি পূর্ণ করার কাজ শুধুমাত্র যে নারী মানত করেছেন তিনি করতে পারবেন; ঘ) ঘটের কাজ শেষ হওয়ার পর পূজার জন্য আনা ফল-মূল ও অন্যান্য সামগ্রী থেকে অল্প অল্প পরিমাণে একটি পরিষ্কার কলা পাতার উপরে সাজিয়ে দিয়ে মাকে নিবেদন করবেন; ঙ) এর পরে সধবা নারীরা উলুধ্বনি ও কাঁসরের মাধ্যমে মায়ের আহ্বান করবেন, এবং চ) নিবেদিত কলাপাতার প্রসাদ যেকোনো পশু বা পাখি কর্তৃক গ্রহণ না করা পর্যন্ত মায়ের পূজা সম্পন্ন হয় না।

 

মগধেশ্বরীর সাধনা:

 

মগধেশ্বরী ছিলেন একজন উদার পরোপকারী দয়াময় করুণাময় ও মৈত্রীময়ী পুণ্যবতী মহীয়সী। যারা মহাকরুণার আধার মগধেশ্বরী মায়ের সান্নিধ্য পেতে আগ্রহী এবং তাঁর স্নেহধন্য হয়ে সর্বক্ষেত্রে সফলকাম হয়ে জীবনযাপন করতে চান এবং অন্যদেরও মায়ের করুণায় সিক্ত করতে চান, তারা মায়ের সাধনায় রত হন। মায়ের সাধনায় অবিরত থাকলে জীবনের সকল দুঃখ-দুর্দশা অতিক্রম করে সুখ-সমৃদ্ধি লাভ সহজতর হয়। আর মগধেশ্বরী মায়ের সাধনার নিয়ম হলো:- যেকোনো ধর্মের মানুষ রাত বারোটার পর কোনো একটি নির্জন স্থানে, মা মগধেশ্বরী সেবাখোলায় বৃক্ষতলে অথবা কোনো প্রকোষ্ঠে বা গৃহে অথবা কোনো মন্দিরে বসে একাগ্র মনে মগধেশ্বরী মায়ের সাধনায় নিয়োজিত হতে পারেন। সাধনায় বসে সকল বিষয়-আশয় বিমুক্ত হয়ে একাগ্র মনে একহাজার আট (১০০৮) বার এই সাধনামন্ত্র জপ করতে হয়-

মহা তবনং মহা কাকিং

ওঁং দবলং দ্রিং লাং

মগধেশ্বরী হুং সাং

হুম হুং মাগনী দবলা

তিং তিং কৃয়ং স্বাহা।।

এই সাধনা একনাগাড়ে একচল্লিশ (৪১) দিন ধরে করতে হবে। যেকোনো শনিবার বা মঙ্গলবার থেকে অথবা যেকোনো অমাবস্যা-পূর্ণিমা থেকে এই সাধনা শুরু করতে হয়। এই সাধনার মূল বিয়ষ হচ্ছে সাধকের দৃঢ় বিশ্বাস, অচলা ভক্তি ও সৎ উদ্দেশ্য। তবে উদ্দেশ্য খারাপ হলে এই সাধনায় সফলকাম হওয়া যায় না। বলা হয়, দৃঢ় বিশ্বাস, অচলা ভক্তি ও সৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এভাবে সাধনা করলে মা মগধেশ্বরী সাড়া দেন এবং কাঙ্ক্ষিত মনোবাসনা পূর্ণ হয়। গাছার মাধ্যমেও মা মগধেশ্বরীর সাড়া পাওয়া যায় বা মা মগধেশ্বরীকে হাজির করা যায়। পহেলা বৈশাখে ক্ষেত্রপালের মেলায় গাচার মাধ্যমে মা মগধেশ্বরীকে হাজির করা হয়ে থাকে। এই পূজা মূলত একটি লোকজ ও ধর্মীয় প্রথা, যা মায়ের প্রতি ভক্তদের বিশ্বাস ও শ্রদ্ধার প্রতীক।

 

অমল বড়ুয়া, প্রাবন্ধিক ও গবেষক

একজন রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষ ও তাঁর তোলা কিছু দুর্লভ আলোকচিত্রের কথা

আলম খোরশেদ অনেকেই জানেন যে, প্রখ্যাত ফরাসি কল্পবিজ্ঞানলেখক জ্যুল ভের্ন এর কিংবদন্তিতুল্য গ্রন্থ ‘অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ’ অবলম্বনে ১৯৫৬ সালে হলিউডে একই নামে

প্রগতির পথে, জীবনের গান, সকল অশুভ শক্তির হবে অবসান” এই আহবানে উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের ৫৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

\ ভাস্কর ধর \ সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বানের মধ্য দিয়ে এবং প্রগতির লড়াইকে দৃঢ় করার দৃপ্ত শপথের মধ্য দিয়ে উদীচীর ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। 

আমার বাবা কর্নেল তাহের

জয়া তাহের   আমাকে যখনই কেউ জিজ্ঞাসা করেন, কর্নেল তাহেরের মেয়ে হিসেবে আপনার অনুভূতি কি? আমার চোখের সামনে এক নিমেষেই ভেসে ওঠে ৪০ বছরের অসংখ্য

ছাগল-মাহাত্ম্য

ড. ইউসুফ ইকবাল ভূপৃষ্ঠের বঙ্গ-ভূভাগে দ্রুতবর্ধমান প্রাণিকুলের মধ্যে সর্বাগ্রে উল্লেখযোগ্য প্রাণিটির নাম ছাগল। আমাদের একচুয়াল ও ভার্চুয়াল প্রতিবেশ-বাস্তব ও মেটাফোরিক পরিমণ্ডলে এর প্রভাব অপরিসীম। ছাগলের

সৈয়দ মনজুর কবির-এর অনুগল্প

শুধুই কলিজার টুকরা পারে   সম্প্রতিক সৃষ্টি হওয়া চরম বিপরীতমুখী দুই পরিবারের মাঝে একটি টানা বেড়ার আড়াল। শুধু ওপাশের আম গাছটির ছড়ানো লম্বা ডালটি চলে