এখন সময়:সকাল ৮:৫২- আজ: মঙ্গলবার-২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

এখন সময়:সকাল ৮:৫২- আজ: মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল-এর গুচ্ছ কবিতা

হেমন্তের পাখি

 

দ্বৈত দেশ। ঋতু সংকট, কিছুটা হাহাকার

কিছুটা ছক্কা আর খানিকটা চার।

চার ঋতুর বৈচিত্র্যে- হেমন্ত নেই।

মিসিং, সে মন তো নেই।

স্বদেশে রেখে এসেছি- ষড়ঋতুর সৌন্দর্য ‘মুগ্ধ’ হেমন্ত

তুমি সেই মুগ্ধতা আমার! যে মন তো-

মানে না, অস্থির থাকে-

কোথা থেকে যেনো হেমন্তের পাখি ডাকে।

 

 

 

 

 

রূপকথা চুপকথা

 

মানববংশ ধ্বংসের আগে

তোমরা অমৃতের সন্তান, অন লাইনে তোমাদের জন্ম

অগ্নি বা বাতাস তোমাদের পিতা ।। মাতা!

 

তোমরা আরেক মানব জাতির মতো অথবা অধিক মহা মানব

কিন্তু মানুষ নও ।। মানবিক নও

 

বাতাসে-বিজ্ঞানে তোমাদের অদ্ভুত ভাবে জন্ম হলেও

তোমরা বাতাস-বিজ্ঞান বিরোধী!

পৃথিবী ও প্রকৃতি বিরোধী।

আয়নায় তোমাদের কোনো প্রতিবিম্ব নেই!

.

আমাদের কোন কাজলা দিদি নেই,

রূপকথার মতো সুন্দর করে বোন বেলা দিদি বলেছেন:

তোমরা সেন্ট মার্টিনে যেও না, চারিদিকে সমুদ্র

সামুদ্রিক হাঙর আছে, কুমির আছে!

তোমরা সুন্দর বনে যেও না, বন মানে ভয়ভূত গা ছমছম

আছে বাঘ; আছে সাপ, সরীসৃপ

বনে বনভোজনে যেও না।

 

 

 

 

 

বাংলা কবিতার আঁচল

 

তুমি ক্লাশরুম থেকে চক-ডাস্টারে বাংলা কবিতা মুছে

দিয়ে নিয়ে গেছে নির্জনতার কাছে,

ঘুড়ি বানিয়ে উড়িয়ে দিয়েছো

ছড়িয়ে দিয়েছো বঙ্গপো আঁচলে, ভারত মহাসাগরে

তুমি বাংলা কবিতাকে বানিয়েছো শঙ্খ ঘোষ।

 

কবিতার নান্দনিকতা এবং নগ্নতাকে বিবাহিত করেছো

ষড়ঋতুর সৌন্দর্যে।

অধ্যাপিকা, তোমার শিক্ষার্থীদের মতো আমিও শিখতে চাই সম্পর্ক,

পাঠ করতে চাই প্রাকৃতিক পাসপোর্ট।

 

বহু বহু বছর আগে অথবা তারুণ্যে

বাংলা কবিতার কৃষ্ণ নগর সম্মেলনে আমার নামের ভুল

আজ ফুল, আজ গন্ধে-সুগন্ধে

তুমি ভাষার সাথে বন্ধুত্ব করিয়ে দিয়েছো প্রতিবেশি ভাষার।

 

আজো খোলা জিপে বাংলা কবিতা,

আজো আমরা আমাদের জন্মদিনে এক হয়ে থাকি।

 

 

 

 

 

 

 

কুড়িয়ে পাওয়া কবিতা

 

কুড়িয়ে পাওয়া ঠোঙা

জন্ম হয়েছে দৈনিক প্রথম আলো থেকে।

 

বাদামখোরের হাত থেকে এখন টোকাইয়ের হাতে

তাদের দ্বিতীয় জন্ম বাতাস থেকে,

তারা কথা বলে গ্রাফিতি ভাষায়।

 

মানুষের ভাষা এই দেশে এবং বাতাসে নিষিদ্ধ।

আন্দরকিল্লা প্রকাশনার ২৮ বছর আগামীর পথ ধরে অনাদিকাল

রূপক বরন বড়ুয়া আমি মাসিক ‘আন্দরকিল্লা’ কাগজের নিয়মিত পাঠক। প্রতিবারের মতো হাতে নিলাম এবারের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে ঢাকা জুলাই ২০২৫ সংখ্যা, হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতেই

জলে জঙ্গলে (পর্ব-২)

মাসুদ আনোয়ার   ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী বোর্ডের রেজাল্ট আউট হলো। আমি কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী। ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠলাম। যে কোনোদিন কুমিল্লা বোর্ডও ফল প্রকাশ

স্বপ্নে গড়া অবয়ব

সৈয়দ মনজুর কবির   মনটা যখনই কেমন অজনা বিষণ্নতায় ছেয়ে যায় তখনই কেয়া জানালার ধারে এই চেয়ারটাতে এসে বসে। আজ অবশ্য অন্য একটা কারণ আছে

অন্তহীন সুড়ঙ্গ

সুজন বড়ুয়া   কবর থেকে বেরিয়ে মহিম অশরীরী রূপ নিল। সঙ্গে সঙ্গে গত কয়দিনের সব ঘটনা একে একে মনে পড়ে গেল তার। ফার্স্ট সেমিস্টারের পর

রাত যখন খান খান হয়ে যায়…

মনি হায়দার   চোখ মেলে তাকায় সোাহেল হাসান। প্রথম দৃষ্টিতে সবকিছু অচেনা লাগে। কোথায় এলাম আমি? উঠে বসতেই মনে পড়ে গতরাতে অনেক ঝক্কি আর ঝামেলার