এখন সময়:সকাল ৮:৫৫- আজ: মঙ্গলবার-২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

এখন সময়:সকাল ৮:৫৫- আজ: মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার ও আমরা

জাকির তালুকদার:

এমন এক ভাষায় লেখালেখি করি যে ভাষার আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক মূল্য নেই।

এই ভাষায় কথা বলা মানুষরা বিজ্ঞান গবেষণা, অর্থনীতির গবেষণা নিজের দেশে করতে পারে না।

এই ভাষায় এমন কোনো ব্যক্তিত্ব নেই যিনি আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন।

 

এই ভাষায় এমন কোনো অনুবাদক বা সম্পাদক নেই যিনি উপযুক্ত অনুবাদের মাধ্যমে আমাদের ভাষার সেরা লেখাগুলি আন্তর্জাতিক পরিম-লে তুলে ধরতে পারেন। শুধু ইংরেজিতে অনূদিত হয়ে কিছু বই প্রকাশিত হওয়াই যথেষ্ট নয়, ভিন্ন ভাষার গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকাগুলোতে সেই বইগুলো আলোচিত না হলে চেইন বুকশপগুলো সেই বই তাদের দোকানের র‌্যাকেই জায়গা দেবে না। দেয় না। আমি অন্তত কোনো বুকশপে বাংলাদেশের কোনো লেখক-কবির বই দেখিনি।

বাংলাভাষার অনেক লেখক-কবি ইউরোপ-আমেরিকায় স্থায়ী হয়েছেন। কিন্তু কাউকেই দেখিনি সেসব দেশের মূলধারার সাহিত্যের সাথে সংযুক্ত হতে। ইচ্ছা নেই তা নয়। কিন্তু নানা কারণে সম্ভব হয়নি।

 

প্রশ্ন উঠতে পারে আফ্রিকা এবং লাতিন আমেরিকান অভিবাসী লেখকরা সেখানে জায়গা করে নিতে পারলে আমাদের প্রবাসী লেখকরা কেন পারছেন না?

উত্তর হচ্ছে, আফ্রিকার লেখক-কবিরা সেখানে গেছেন সাহিত্যের তীব্র আগুন বুকে নিয়েই। নিজের দেশ থেকে কেউ বিতারিত, কেউ গৃহযুদ্ধের শিকার। তারা নিজেদের দেশকে তুলে ধরার ব্রত নিয়ে তীব্র যুদ্ধে নামেন সেখানে। তাই অবজ্ঞা, অবহেলা, অপমান– কিছুই তাদের দমাতে পারেনি। তারা নিজেদের জন্য জায়গা তৈরি করেছেন, একই সাথে পথ তৈরি করে গেছেন পরবর্তীতে যারা যাবেন সেখানে, তাদের জন্য।

 

 

তারা সেখানে গিয়ে নিজেদের ভাষায় লিখে দেশের পত্রিকায় ছাপার জন্য পাঠাননি। লিখেছেন ইংরেজিতেই। ইংরেজি দিয়েই ইংরেজ সাহিত্যিকদের সমান্তরালে লড়াই চালিয়েছেন।

ছাপোষা মানুষ সাহিত্যে বেশিদূর এগুতে পারে না। আফ্রিকা-লাতিন আমেরিকান প্রবাসী লেখকরা প্রবাসে গিয়েও তীব্র দারিদ্র্যের সাথে লড়াই করেছেন। কিন্তু ছাপোষা হননি।

অন্যদিকে আমাদের লেখক-কবিরা এখানকার মধ্যবিত্ত বা নিম্ন-মধ্যবিত্ত জীবন ছেড়ে সেখানে গেছেন আরেকটু সুখে থাকবেন বলে। কোনো ঝুঁকি কেউ নিতে পারেননি।

আমি তাদের দোষ দিই না। কারণ দেখেছি অভিবাসীদের প্রথম প্রজন্মের জীবন কেটে যায় পরিবারের জন্য স্থায়ী একটি ব্যবস্থা করতেই। আর পরের প্রজন্ম বাংলা শিখতে চায় না। নিজেকে বাঙালি না ভেবে আমেরিকান বা ব্রিটিশ বা কেনেডিয়ান ভাবতে পছন্দ করে।

বাংলাসাহিত্য তাই সেখানে পুরোপুরি অপরিচিত। রবীন্দ্রনাথেই শুরু রবীন্দ্রনাথেই শেষ।

তাই নোবেল পাওয়ার যোগ্যতা আর কোনো বাঙালি লেখকের ছিল কি না, আছে কি না, সেই পরীক্ষাতেই দাঁড়ানোর সুযোগটাই নেই।

 

আমি কি বাংলাভাষার লেখক হবার জন্য নিজেকে দুর্ভাগা মনে করি। বুক ঠুকে বলতে পারি– একদম না।

শুধু দেশের মানুষকে বলতে চাই– নোবেল না পেলেই একটি ভাষার সাহিত্য তুচ্ছ হয়ে যায় না। নোবেল পুরস্কার পাওয়ার সাথে শুধু সাহিত্যের মান নয়, আরো অনেক বিষয় জড়িত।

 

 

জাকির তালুকদার, কথাসাহিত্যিক

আন্দরকিল্লা প্রকাশনার ২৮ বছর আগামীর পথ ধরে অনাদিকাল

রূপক বরন বড়ুয়া আমি মাসিক ‘আন্দরকিল্লা’ কাগজের নিয়মিত পাঠক। প্রতিবারের মতো হাতে নিলাম এবারের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে ঢাকা জুলাই ২০২৫ সংখ্যা, হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতেই

জলে জঙ্গলে (পর্ব-২)

মাসুদ আনোয়ার   ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী বোর্ডের রেজাল্ট আউট হলো। আমি কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী। ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠলাম। যে কোনোদিন কুমিল্লা বোর্ডও ফল প্রকাশ

স্বপ্নে গড়া অবয়ব

সৈয়দ মনজুর কবির   মনটা যখনই কেমন অজনা বিষণ্নতায় ছেয়ে যায় তখনই কেয়া জানালার ধারে এই চেয়ারটাতে এসে বসে। আজ অবশ্য অন্য একটা কারণ আছে

অন্তহীন সুড়ঙ্গ

সুজন বড়ুয়া   কবর থেকে বেরিয়ে মহিম অশরীরী রূপ নিল। সঙ্গে সঙ্গে গত কয়দিনের সব ঘটনা একে একে মনে পড়ে গেল তার। ফার্স্ট সেমিস্টারের পর

রাত যখন খান খান হয়ে যায়…

মনি হায়দার   চোখ মেলে তাকায় সোাহেল হাসান। প্রথম দৃষ্টিতে সবকিছু অচেনা লাগে। কোথায় এলাম আমি? উঠে বসতেই মনে পড়ে গতরাতে অনেক ঝক্কি আর ঝামেলার