এখন সময়:দুপুর ১:০৫- আজ: রবিবার-২রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:দুপুর ১:০৫- আজ: রবিবার
২রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৭ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

স্মৃতির কথন ও  মহেশখালি

মুহাম্মদ ইসহাক

 

কবি এহসানুল হক কাজল ‘মোহগ্রস্থ’ কবিতায় লিখেছেন,

ঘুমে ও স্বপ্নে মানুষ নির্মোহ থাকে,

তাই জেগে থাকি অবিরাম চিত্ত বিকলতায়।

স্বপ্নের বিভ্রম ছেড়ে মোহের জালে জড়াই

যেন অতিকায় মাকড়সা কোনো। (পৃ.১২)

 

কবিতার প্রতিটি শব্দ ও বাক্য কবির চিন্তা -ভাবনার বহিঃপ্রকাশ। জীবনের ঘটে যাওয়া স্মৃতিকে মনের আবেগ ও আনন্দে ফুটে তুলেছে কবি। জন্ম যেমন সত্য, তেমনি মৃত্যুও অনিবার্য। মেধা ও প্রজ্ঞার সমন্বয়ে প্রতিভার স্ফূরণ ঘটে। সাহিত্যের কোন বিষয়ই তুচ্ছ নয়। কারণ সাহিত্যের প্রতিটি অংশই গুরুত্বপূর্ণ। মানব জীবনে নানা স্বপ্ন থাকে। মোহ বা কল্পনার আশায় মানুষ বেঁচে থাকে। চেষ্টা ও সাধনায় মানুষ নিজেকে পরিবর্তন করে। কবি মানব জাতিকে আশার স্বপ্ন দেখিয়েছেন। যেখানে থাকবে না কোন ভেদাভেদ। থাকবে না কোনো বর্ণ বিভেদ। বৈষম্যের কোন জায়গা থাকবে না।নব জীবনে মানুষ এগিয়ে যাবে।

 

 

কবি ‘স্মৃতির কথন-১’ কবিতায় লিখেছেন,

স্মৃতি তো ধাবমান অশ্ব, দূরগামী

শোনায় কাছের এবং দূরের নিনাদ।

সে হয় দ্বীপ কোনো, পরিত্যক্ত সুদূর,

সে কোন গোপন আলো ( ঈষৎ কাঁপা কাঁপা)

অতল দীঘির কি গহিনে স্থির নাকের নোলক। (পৃ.২৬)

কবি ছাত্র জীবন থেকে লেখালেখির সাথে জড়িত। চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। মেডিকেলে পড়াকালীনও কবিতা চর্চা করতেন। কবি বই পড়তে ভালোবাসেন। পাশাপাশি লেখালেখিও করেন। কঠিন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করলেও বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে তিনি অধ্যয়ন করেছেন। দীর্ঘদিন সরকারি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা করেছেন। সরকারি মেডিকেল কলেজে অধ্যাপনা শেষে অবসরে যান তিনি। তিনি অবসর জীবনে কবিতার বইয়ের প্রথম কাজটি করেন। এছাড়া একটা প্রাইভেট মেডিকেলের ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। বহুমাত্রিক কর্মে ব্যস্ত থাকা সত্ত্বেও সাহিত্য চর্চা অব্যাহত রেখেছেন।  ফলে কবির সৃজনশীলতার প্রকাশ ঘটে। স্মৃতির কথন কবি এহসানুল হক কাজলের প্রথম কাব্যগ্রন্থ। অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ এ বইটি প্রকাশিত হয়। এডুসেন্ট্রিক বইটি প্রকাশ করে। ছাত্র জীবন থেকে লেখালেখি করলেও কবির এটাই প্রথম বই।

 

কবি ‘তুচ্ছের কাব্য’ কবিতায় লিখেছেন,

কাকে বলো তুচ্ছ! মানি সবই বেজায় দামি,

সংসারে ভিখিরি তুচ্ছ, তুচ্ছ তুমি আমি!

ঋষির কাছে ধন তুচ্ছ, সাধনা মূল্যবান

তার চূড়ায় বসলে তবে, ঋষি ধনবান। (পৃ.৩৫)

 

জীবনের কোনো কিছুই তুচ্ছ নয়। কাউকে তুচ্ছ বা অবহেলা করা ঠিক নয়। স্রষ্টার রহস্যময় জীবনের প্রত্যেক সৃষ্টির কম বেশি গুরুত্ব রয়েছে। বাস্তব জীবনে অনেকেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে থাকে। আবার কোনো কিছুতেই অহংকার করতে নেই। কারণ অহংকারী ব্যক্তিকে স্বয়ং স্রষ্টাই পছন্দ করে না। জ্ঞানী-গুণীদের সম্মান করা উচিত। লেখালেখির সাথে জড়িত লেখকদের উপযুক্ত সম্মান জানানো দরকার। কারণ মৃত্যুর পরে তাদের কর্মই থেকে যায়।প্রত্যেক পেশার লোকজনকে প্রাপ্য অনুযায়ী কদর করা উচিত। অর্থ লোভে মত্ত হয়ে অন্ধ হয়ে যায়। ক্ষমতার মোহে অনেকে মানুষকে মানুষ মনে করে না।যা ঠিক নয়। কবির ভাষায় তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা মানে ছোট করা। যা বর্জন করা উচিত।

 

কবি ‘মুখোশ’ কবিতায় লিখেছেন,

কপাট খুলতেই দুরন্ত রাজপথ,

এভিন্যুর সারি সারি সোমত্ত বিপণী,

থরে থরে সাজানো মনোরম পণ্য

মাঝে তার মুখোশের বিচিত্র সমাহার। (পৃ.৫৮)

 

বই সমালোচনা বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ দিক। বই সমালোচনার মাধ্যমে নবীন ও প্রবীণ লেখকদের বই সম্পর্কে ধারণা ও জ্ঞান অর্জন করা যায়। নতুন লেখক ও পাঠক তৈরির জন্য বই সমালোচনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। জ্ঞানশীল দূরদর্শী চিন্তাবিদ অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, ‘স্মৃতির কথন: এহসানুল হকের কবিতা’ বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন। এ লেখা থেকে অনেক কিছু পাঠক জানতে পারবে। লেখক সলিমুল্লাহ খান লিখেছেন, “এহসানুল হক কাজল বৃত্তিতে চিকিৎসা ব্যবসায়ী। কিন্তু মেজাজে সাহিত্য -সাধক। তিনি অনেকদিন ধরিয়া কবিতা লিখিতেছেন। তবে যতদূর জানি ‘সাহিত্য -সাধক চরিতমালা’য় এখনও তাঁহার নাম ছাপা হয় নাই। এই প্রথম তিনি সাহস করিয়া একখণ্ড কবিতা সংগ্রহ প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করিতেছেন। আমি তাঁহার প্রয়াসে আশা  ও আনন্দ দুটোই প্রকাশ করবি” (পৃ.১১৯)। দুই পৃষ্ঠার এই লেখায় একজন লেখকের লেখা ও প্রতিভা সম্পর্কে জানা যাবে। সমাজের বা রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি হলেন চিকিৎসক। শত ব্যস্ততার মাঝেও কবি ও ডাক্তার  এহসানুল হক কাজল তাঁর লেখা -লেখি চলমান রেখেছেন। যা পাঠকদের জন্য অনুপ্রেরণা।

 

কবি ‘পথ’ কবিতায় লিখেছেন,

পথ পড়ে থাকে পথের উপরেই,

যারা ফিরে গেছে ব্যর্থ মনোরথে

নিশ্চিত কেউ আসবে ফিরে তার।

নিঃসঙ্গতা কভু পথের প্রত্যাশা নয়,

সহস্র পথিক মিলে রচেছে যে পথ

চলো তার জয়গান গাই আজ।(পৃ.৬৩)

 

কবির শব্দচয়ন অসাধারণ। সহজ,সরল ও প্রাঞ্জল ভাষায় তিনি কবিতা লিখেছেন। প্রতিটি কবিতার শিরোনামের তাৎপর্য রয়েছে। কবির কল্পনাশক্তি অসাধারণ। শব্দের গাঁথুনি দিয়ে ও মনের মাধুরি মিশিয়ে সাহিত্য ভাবনায় মুগ্ধতা ছড়িয়ে তুলেছেন তিনি। ব্যর্থতা বা আঘাতপ্রাপ্ত নাহলে জীবনের মর্ম বুঝা কঠিন। সফলতার চরম মাপকাঠি হল ব্যর্থ হওয়া। কবি তাঁর কবিতায় নানান ইঙ্গিতে প্রকাশ করেছেন।

 

কবি ‘বন্দি মানব’ কবিতায় লিখেছেন,

মানুষ মহাকালের শিকার বৈ তো নয়,

নাহয় জন্মালে কেন জন্মান্ধ হয়ে?

চোখ তো খুলল না তোমার, পাখাও গজাল না

কোথায় উড়লে তুমি তেপান্তরের মাঠে?

আঙিনা কি প্রান্তরে তোমার পদচ্ছাপ নেই,

জন্মান্ধ মানব। (পৃ.৫৬)

 

সমাজে প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু ঘটনা ঘটে থাকে। অন্যায়, খুন, ধর্ষণ,হত্যা,গুম ও ক্রসফায়ারের মতো ঘটনা দেখা যায়। কেউ নিরবে সহ্য করে।কেউ কেউ তা প্রতিবাদ করে। সভ্য সমাজে প্রত্যেক মানুষের আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার রয়েছে। বিচার পাবার অধিকার রয়েছে। অপরাধ করলে অপরাধীর বিচার করা দরকার। কিন্তু বিনা বিচারে কাউকে হত্যা করা উচিত না। এখানেই কবির প্রতিবাদের ভাষা সুস্পষ্ট পাওয়া যায়। কবি অন্যায় বা বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বের হয়ে আসার আহ্বান করেন। প্রতিটি মানুষের জীবন অমূল্য সম্পদ।

কবি ‘ক্রসফায়ার’ কবিতায় লিখেছেন,

লোকটার নামে মামলা ছিল অথবা নেই,

অথচ আদালতে গড়াবার আগেই

মৃত্যুদণ্ডের আদেশ। অলিখিত, অনুমিত, অযাচিত ;

বাসনা পূরণের নিষ্প্রদীপ মহড়া এক। (পৃ.৫২)

 

মা,মাতৃভূমি ও মাতৃভাষা কখনো ভোলা যায় না। মায়ের ভাষার মতো মধুর ভাষা আর নেই। ঠিক তেমনি জন্মস্থানও কবি ভুলতে পারেনি। কবি এহসানুল হক কাজল  মহেশখালির আঁধারঘোনা গ্রামে ১৯৬৩ সালে জন্মগ্রহণ করেন। নৈসর্গিক দ্বীপ মহেশখালিতে কবির জন্মস্থান। সমুদ্র ও পাহাড় বেষ্টিত দ্বীপে কবির জন্ম। আর স্মৃতির কথন বইয়ের ভূমিকা লিখেছেন অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান। জ্ঞানশীল দূরদর্শী চিন্তাবিদ অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খানের জন্মস্থান ছোট মহেশখালির সিপাহিরপাড়া গ্রামে। বইটির ওপর যিনি লিখেছেন তিনি হলেন মুহাম্মদ ইসহাক। লেখক মুহাম্মদ ইসহাক এর জন্মভিটাও বড় মহেশখালির ফকিরা কাটা গ্রামে। জন্মভূমির দায়বদ্ধতা থেকেও কবি লেখাটা লিখেছেন। আশা করছি, তিনজনের জন্মভিটা যেহেতু মহেশখালিতে সেহেতু তিনজনই জন্মস্থানকে ভালোবেসে কলম ধরেছেন। যা পাঠকদের জন্য অনুকরণীয় ও অনুসরণীয় হয়ে থাকবে।

কবি ‘জন্মভিটা’ কবিতায় লিখেছেন,

কি এনেছিস সাথে,?

একমুঠো মাটি নিয়ে আয়,

রুয়ে দেয় বুকের কন্দরে অথবা বিস্তৃত জমিনে,

জন্মের দাগ নিয়ে জন্মভিটা থাকুক প্রতীক হয়ে।(পৃ.১৪)

 

প্রবন্ধের শিরোনাম ‘স্মৃতির কথন ও মহেশখালি’ দেয়ার কারণ রয়েছে। প্রথমতঃ বইয়ের নাম স্মৃতির কথন ও দ্বিতীয়তঃ কবির নিজ জন্মস্থান আঁধারঘোনা গ্রামে তাঁর অনুজ ইমরানুল হক ইমুর স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত স্মরণসভায় এ অধমের উপস্থিত থাকার সৌভাগ্য হয়েছিল। দুই প্রেক্ষাপট মিলে লেখার শিরোনাম দেয়া হয়েছে। আঁধারঘোনায় প্রতিষ্ঠিত বদিউদ্দিন-মুজিব আনন্দধারা ফাউন্ডেশনের স্বপ্নদ্রষ্টা মরহুম ইমরানুল হক ইমুর স্মরণসভা ও ইমু স্মৃতি মেধাবৃত্তি অনুষ্ঠান মহেশখালিতে একটি ব্যতিক্রমধর্মী প্রোগ্রাম। উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রফেসর ডা: এহসানুল হক কাজল। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড. সলিমুল্লাহ খান। সত্যও ন্যায়ের পক্ষে কথা বলতে অধ্যাপক ড.সলিমুল্লাহ খান কোনো দ্বিধাবোধ করেন না। তাই তিনি তরুণ প্রজন্মের কাছে তথা সর্বসাধরনের কাছে অত্যন্ত প্রিয় মানুষ। অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, “একসময় সবুজে ঘেরা মহেশখালী আজ বিরান ভূমিতে পরিণত হয়েছে। শিল্পায়নের নামে এখানে গড়ে তোলা হয়েছে মাতারবাড়ি আল্ট্রাসুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্ট, যা পরিবেশ ও মানব জীবনের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অথচ উন্নত বিশ্বে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, আর আমাদের দেশে সেগুলোই নতুন করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। জন্মভূমির স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি মহেশখালীর অব্যবস্থাপনা, পরিবেশগত সংকট ও উন্নয়নবঞ্চিত অবস্থার বিষয়ে তীব্র হতাশা প্রকাশ করেন। মহেশখালীর যোগাযোগ ব্যবস্থা ভয়াবহ উল্লেখ করে ড. সলিমুল্লাহ খান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে একটি ফেরিঘাট স্থাপনের দাবি উঠলেও সিন্ডিকেটের কারণে তা বাস্তবায়িত হয়নি। একসময় কক্সবাজার-মহেশখালী নৌপথে চেয়ার ও ছাউনিযুক্ত লঞ্চ চলাচল করত, কিন্তু স্পিডবোট মালিকদের স্বার্থরক্ষায় সেই সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকি জেলা প্রশাসকও এই সিন্ডিকেটের সামনে অসহায়। তিনি আরও বলেন, নৌ উপদেষ্টার মতে, এই নৌপথে একসময় লঞ্চ চলাচল করত, মন্ত্রাণালয়ের নথিতে সেই বিষয়ে কোনো তথ্য নাই। অর্থাৎ, পরিকল্পিতভাবে তথ্য গোপন করে সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার করা হচ্ছে।”

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, “মহেশখালিতে পূর্বে কখনো আসা হয়নি। এবারই প্রথম আসা। আমার খুব ইচ্ছে ছিল, সলিমুল্লাহ স্যার কোন জায়গায় জন্মগ্রহণ করেছেন,তা দেখার। স্যারের জন্মস্থান থেকে এক টুকরো মাটি নিতে ইচ্ছে হচ্ছে। কারণ এমাটি সলিমুল্লাহ স্যারকে অসাধারণ মেধা ও গুণী লেখক বানিয়েছেন।” চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব মুহাম্মদ ইসহাক বলেন, “আঁধারঘোনা গ্রাম আর আঁধার রইল না। আজ ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। কারণ সলিমুল্লাহ স্যারের মতো লেখক আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন। আমার কাছে এটা অন্য রকম স্মৃতি। সলিমুল্লাহ স্যার কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন ঢাকায় বসবাস করলেও জন্মভূমি মহেশখালিকে বিন্দু পরিমাণ ভুলে যাননি। কয়লাভিত্তিক  বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সমালোচনা করে বিষণ্ন মহেশখালি লিখে অত্যন্ত দেশপ্রেম ও দুঃসাহসের পরিচয় দিয়েছেন।” অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ কবি রুহুল কাদের বাবুল। এ রকম মহৎ উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানায় ইমুর বড় ভাই খ্যাতিমান চিকিৎসক প্রফেসর ডা.এহসানুল হক কাজল ও জনাব বোরহানুল হক শিমুলকে। মহেশখালির আঁধারঘোনায় প্রতিষ্ঠিত বদিউদ্দিন-মুজিব আনন্দধারা ফাউন্ডেশনের স্বপ্নদ্রষ্টা মরহুম ইমরানুল হক ইমুর স্মরণসভা ও ইমু মেধাবৃত্তি অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন দেশবরেণ্য চিন্তাবিদ অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান। স্বাগত বক্তব্য দেন ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ও খ্যাতিমান চিকিৎসক অধ্যাপক ডা: এহসানুল হক কাজল। বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান  ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতিবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইসহাক। স্মৃতিচারণ করেন হোয়ানক কলেজের অধ্যক্ষ সরওয়ার কামাল, ইমুর ভাই জনাব বোরহানুল হক শিমুল, ইমুর ভাগিনা উচ্ছ্বাস মারজান হোসাইন, জনাব জাকের হোসাইন, কবি আব্দুল জব্বার।  অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন প্রবীণ কবি রুহুল কাদের বাবুল। মহেশখালির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের  ২২জন বৃত্তিপ্রাপ্ত  ছাত্র – ছাত্রীদের হাতে মেডেল ও সনদ প্রদান করে এ সংগঠন। এ ধরনের অনুষ্ঠান হতে শিক্ষার্থীরা উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা পাবে। আয়োজন কর্তৃপক্ষকে জানাই অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ। আঁধারঘোনা, মহেশখালি।

 

 

মুহাম্মদ ইসহাক, সহযোগী অধ্যাপক,  রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।