এখন সময়:সকাল ৭:১৬- আজ: রবিবার-১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:সকাল ৭:১৬- আজ: রবিবার
১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

কারার ঐ লৌহ কপাট” প্রসঙ্গে (সম্পাদকীয়- নভেম্বর ২০২৩ সংখ্যা)

সম্প্রতি ভারতীয় একটি চলচ্চিত্রে কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানটি বিকৃত সুরে উপস্থাপন করায় বাংলাদেশ এবং ভারতের সচেতন বিদগ্ধজনেরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তাঁদের এই প্রতিবাদ যথার্থ এবং যারা এই গানের মূল সুর বাদ দিয়ে নিজস্ব সুর প্রতিস্থাপন করতে চেয়েছেন তারা অবশ্যই নিন্দার পাত্র। অবশেষে তীব্র প্রতিবাদের মুখে সংশ্লিষ্ট সিনেমার প্রযোজক প্রকাশ্য ক্ষমা চেয়েছেন।
এবার আসা যাক এ গানের প্রেক্ষাপটে। ১৯২১ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ “বাঙ্গালার কথা” নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা প্রকাশ করেন। এর সম্পাদক ছিলেন তিনি নিজেই। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন সংগ্রামে যখন দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ গ্রেপ্তার হন তখন পত্রিকাটির দায়িত্ব স্ত্রী বাসন্তী দেবীর হাতে তুলে দেন। পরবর্তীতে বাসন্তী দেবী সুকুমার রঞ্জন দাশের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামের নিকট পত্রিকাটিতে প্রকাশের জন্য একটি কবিতা চেয়ে পাঠান। তখন কবি ‘ভাঙ্গার গান’ শিরোনামে কবিতাটি লিখেন। যা সাপ্তাহিক বাঙ্গালার কথা’য় ১৯২২ সালের ২০ জানুয়ারি সংখ্যায় প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে কবি নজরুল এই কবিতাটিতে সুরারোপ করেন এবং কাব্যগীতি পর্যায়ের এই গানটিতে প্রথম কণ্ঠ দেন গিরীন চক্রবর্তী, গিরীন চক্রবর্তীর কণ্ঠে এই গানটি ১৯৫০ সালের জানুয়ারিতে এইচ এমভি (এন.৩১১৫২) রেকর্ড করে।
সামরিক মার্চ এর সুরে এবং ‘দাদরা’ তালে গানটি সুসংরক্ষিত। ঐ সময়ে ভারতে নির্মিত চট্টগ্রাম ‘অস্ত্রাগার লুণ্ঠন’ চলচ্চিত্রে গানটি ব্যবহার করেন। এরপর মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে নির্মিত ‘জীবন থেকে নেয়া’ চলচ্চিত্রে প্রয়াত চলচ্চিত্রকার খান আতাউর রহমান গানটি ব্যবহার করে।
কাজী নজরুল ইসলাম রচিত কবিতা বা গানটি আন্দরকিল্লা পাঠকদের জন্য সংযোজন করলামÑ
“কারার ঐ লৌহ কপাট/ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট,/রক্ত-জমাট/ শিকল পূজার পাষাণ-বেদী।/ ওরে ও তরুণ ঈশান!/ বাজা তোর প্রলয় বিষাণ!/ ধ্বংস নিশান/ উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি।/ গাজনের বাজনা বাজা!/ কে মালিক? কে সে রাজা?/কে দেয় সাজা/মুক্ত স্বাধীন সত্যকে রে?/ হা হা হা পায় যে হাসি,/ ভগবান পরবে ফাঁসি!/ সর্বনাশী/ শেখায় এ হীন তথ্য কে রে!/ ওরে ও পাগলা ভোলা!/ দে রে দে প্রলয় দোলা/ গারদগুলা/জোরসে ধরে হেচ্কা টানে!/মার হাঁক হায়দারী হাঁক,/ কাঁধে নে দুন্দুভি ঢাক/ ডাক ওরে ডাক,/ মৃত্যুকে ডাক জীবন পানে!/ নাচে ওই কালবোশাখী,/ কাটাবী কাল বসে কি?/ দে রে দেখি/ ভীম কারার ঐ ভিত্তি নাড়ি!/ লাথি মার, ভাঙ্গরে তালা!/ যত সব বন্দী শালায়/ আগুন-জ্বালা,/-জ্বালা, ফেল উপাড়ি।”
‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ গানের সুর ঘুমন্ত মানুষকে জাগিয়ে তোলে। অর্ধচেতনকে সচেতন করে। পরাধীন জাতিকে মুক্তির সংগ্রামে উদ্বুদ্ধ-উদ্দীপ্ত করে। এ গানের ভিন্ন কোন সুর হতেই পারে না। কবির পরিবারের কেউ হয়তো গানটি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেনÑকিন্তু সুর বিকৃত করতে বলেননি। আর কবি নজরুল বাংলাদেশের জাতীয় কবি। এখানে কবির নামে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান নজরুল ইনস্টিটিউট রয়েছে। নজরুল এর যে কোন ব্যাপারে তাঁর পরিবার একা সিদ্ধান্ত দিতে পারে না।
রবীন্দ্রনাথ-নজরুল বা লালন এদের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে যে কোন সিদ্ধান্তের আগে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বা সরকারি অনুমোদনের বিষয়টি জরুরী হয়ে পড়েছে। এখানে এখন রবীন্দ্রনাথ-নজরুল এবং লালন এর গান গুলোকে যার যার ইচ্ছে মতো সুরারোপ করে রঙ মেখে বাজারজাত করছে, যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এইসব বন্ধে জরুরী পদক্ষেপ নিতে হবে।

একজন রোমাঞ্চপ্রিয় মানুষ ও তাঁর তোলা কিছু দুর্লভ আলোকচিত্রের কথা

আলম খোরশেদ অনেকেই জানেন যে, প্রখ্যাত ফরাসি কল্পবিজ্ঞানলেখক জ্যুল ভের্ন এর কিংবদন্তিতুল্য গ্রন্থ ‘অ্যারাউন্ড দ্য ওয়ার্ল্ড ইন এইটি ডেইজ’ অবলম্বনে ১৯৫৬ সালে হলিউডে একই নামে

প্রগতির পথে, জীবনের গান, সকল অশুভ শক্তির হবে অবসান” এই আহবানে উদীচী চট্টগ্রাম জেলা সংসদের ৫৭ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

\ ভাস্কর ধর \ সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিহত করার আহ্বানের মধ্য দিয়ে এবং প্রগতির লড়াইকে দৃঢ় করার দৃপ্ত শপথের মধ্য দিয়ে উদীচীর ৫৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে। 

আমার বাবা কর্নেল তাহের

জয়া তাহের   আমাকে যখনই কেউ জিজ্ঞাসা করেন, কর্নেল তাহেরের মেয়ে হিসেবে আপনার অনুভূতি কি? আমার চোখের সামনে এক নিমেষেই ভেসে ওঠে ৪০ বছরের অসংখ্য

ছাগল-মাহাত্ম্য

ড. ইউসুফ ইকবাল ভূপৃষ্ঠের বঙ্গ-ভূভাগে দ্রুতবর্ধমান প্রাণিকুলের মধ্যে সর্বাগ্রে উল্লেখযোগ্য প্রাণিটির নাম ছাগল। আমাদের একচুয়াল ও ভার্চুয়াল প্রতিবেশ-বাস্তব ও মেটাফোরিক পরিমণ্ডলে এর প্রভাব অপরিসীম। ছাগলের

সৈয়দ মনজুর কবির-এর অনুগল্প

শুধুই কলিজার টুকরা পারে   সম্প্রতিক সৃষ্টি হওয়া চরম বিপরীতমুখী দুই পরিবারের মাঝে একটি টানা বেড়ার আড়াল। শুধু ওপাশের আম গাছটির ছড়ানো লম্বা ডালটি চলে