এখন সময়:দুপুর ১২:১৬- আজ: মঙ্গলবার-২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

এখন সময়:দুপুর ১২:১৬- আজ: মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

‘একুশ মানে মাথা নত না করা’

পাকিস্তানিরা বাঙালিকে শুধু বহুমাত্রিক শোষণ ও নির্যাতন করে ক্ষান্ত হয়নি, তারা চাইছিল বাঙালির মুখের ভাষাও কেড়ে নিতে। দম্ভ করে জিন্নাহ ঘোষণা দিয়েছিল ‘উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা’। তার এই দম্ভ চূর্ণ বিচূর্ণ করে দিয়েছিল এ দেশের ভূমিপুত্ররা। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে রাজপথে মিছিল করেছে। হানাদার বাহিনী এতে হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ‘রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই’ মিছিলে গুলি করে। ভূলুণ্ঠিত হয় সালাম, জব্বার, রফিক, বরকত প্রমুখ। রক্তে রঞ্জিত ঢাকার রাজপথের এই দৃশ্য অবলোকন করে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী তাৎক্ষনিক রচনা করেন সেই বিখ্যাত কবিতা যা পরে বাংলাদেশের আইকনিক গানে রূপান্তরিত হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’। চট্টগ্রামে বসে কবি মাহবুব উল আলম চৌধুরীও রচনা করেন ‘আমি কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি।’ জান্তা সরকার এই কবিতা নিষিদ্ধ করে তাঁর ওপর হুলিয়া জরি করে। অধ্যাপক আবুল ফজল বলেছেন-‘একুশ মানে মাথা নত না করা’।
মোট কথা একুশ মানেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, দ্রোহ ও বিদ্রোহ। আজকে সর্বজনস্বীকৃত এই বায়ান্নের ভাষা আন্দোলনের মাঝেই অঙ্কুরোদগম হয়েছিল ৭১এর স্বাধীনতার বীজ।

১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়াারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল। এখন বিশ্বের সব দেশ দিবসটি উদযাপন করে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গৌরবের বিষয়।

কিন্তু একুশের যে মূল চেতনা সেটা থেকে বর্তমানে আমরা অনেক দূরে সরে যাচ্ছি। জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে এখনো বাঙলা প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা একমুখী করা হয়নি। ভাষা ও শিক্ষায় যে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে তাতে জাতি হিসেবে আমাদের সাংস্কৃতিক চেতনার ভীত দূর্বল হয়ে যাচ্ছে। আর নিরাপত্তার নামে নানা প্রটৌকল মানুষকে শহিদ মিনার বিমুখ করছে। যে একুশ বাঙলা ও বাঙালির চেতনার অগ্নিস্ফুলিঙ্গ ছিল সেটা এখন দিন দিন ম্রিয়মান হয়ে যাচ্ছে। আমাদের এখন ‘একুশের’ চেতনাকে ধারণ করে আগামীর পথে চলতে হবে। অন্যায়, অসত্য ও অসুন্দরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই ছিল একুশের লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুত হলে জাতি হিসেবে গর্ব করার মতো আমাদের আর কী থাকবে?

আন্দরকিল্লা প্রকাশনার ২৮ বছর আগামীর পথ ধরে অনাদিকাল

রূপক বরন বড়ুয়া আমি মাসিক ‘আন্দরকিল্লা’ কাগজের নিয়মিত পাঠক। প্রতিবারের মতো হাতে নিলাম এবারের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে ঢাকা জুলাই ২০২৫ সংখ্যা, হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতেই

জলে জঙ্গলে (পর্ব-২)

মাসুদ আনোয়ার   ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী বোর্ডের রেজাল্ট আউট হলো। আমি কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী। ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠলাম। যে কোনোদিন কুমিল্লা বোর্ডও ফল প্রকাশ

স্বপ্নে গড়া অবয়ব

সৈয়দ মনজুর কবির   মনটা যখনই কেমন অজনা বিষণ্নতায় ছেয়ে যায় তখনই কেয়া জানালার ধারে এই চেয়ারটাতে এসে বসে। আজ অবশ্য অন্য একটা কারণ আছে

অন্তহীন সুড়ঙ্গ

সুজন বড়ুয়া   কবর থেকে বেরিয়ে মহিম অশরীরী রূপ নিল। সঙ্গে সঙ্গে গত কয়দিনের সব ঘটনা একে একে মনে পড়ে গেল তার। ফার্স্ট সেমিস্টারের পর

রাত যখন খান খান হয়ে যায়…

মনি হায়দার   চোখ মেলে তাকায় সোাহেল হাসান। প্রথম দৃষ্টিতে সবকিছু অচেনা লাগে। কোথায় এলাম আমি? উঠে বসতেই মনে পড়ে গতরাতে অনেক ঝক্কি আর ঝামেলার