এখন সময়:দুপুর ২:০৬- আজ: মঙ্গলবার-২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

এখন সময়:দুপুর ২:০৬- আজ: মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

রিজোয়ান মাহমুদ- এর গুচ্ছ কবিতা

যখন দুঃখ প্রস্তুত হতে থাকে 

 

দুঃখের একটি মেয়ে

অনেক দূরের

নন্দনকানন কাটা পাহাড়ের গায়ে

যখনই ছেঁড়া মেঘের জিহবা ঘামে

যখন ধরার চেষ্টা করি

আমার বাবার মানা যেন কখনোই কোন দুঃখ

হাত দিয়ে না ছুঁই।

 

বাবা অসুখের সময় দু’হাতে চেপে

ঝরঝর করে কাঁদতেন

আমার মা কাছে বসে দেখতেন,

আমি দূর থেকে গ্রীষ্মকালে কালোমেঘ

দেখতাম – যেন শরবিদ্ধ মানুষ বুকছিদ্র

জলের ফোয়ারা চোখের সাঁতার

একেকটা লবণের গোলা।

 

বাবা না বুঝে মতন অল্প জল

মুখে নিয়ে লবণের স্বাদ পাই।

একদিন সকাল বেলায় বাবা মেসওয়াক করছেন

এদিক – ওদিক ধীর পায়ে হাঁটছেন,

আমি ক্ষীণস্বরে বলি,

বাবা, তোমার দুঃখের লবণাক্ত জল ক্ষার এবং ধার জিহবার তল পর্যন্ত পৌঁছালে

তুমি – বাবাকে চিনতে সহজ উত্তম

বাবাকে দুঃখের সাথে মেলাতে ভীষণ কষ্ট একদিন মা কাঁদলে সরল বুঝতে পারি

দুঃখ – আমার অশিক্ষিত ‘মা

বাবা ভারী বোঝা টানতে টানতে ক্লান্ত।

 

 

শূন্য কবিতা

 

অতদূরের মেঘাদি তুমি আর কতদূর যাবে

যারা গেল আগে তাদের দেখতে পাবে।

ভেবো না, তুমিই শুধু যাচ্ছ একলা ও একা

পেছনে রয়েছি আমরাও একদিন হবে দেখা।

আসাটা উৎসবে আঁকা

 

যাওয়াটা আজ কেন একা শূন্য – ফাঁকা।

 

পাঠকের শেষ পৃষ্ঠা

 

বই ভিন্ন মাদকতা

পৃষ্ঠার পরের পৃষ্ঠা

 

শরীর – মনকে নিয়ে যায় তপোবনে

বারংবার হারিয়ে ফেলি গল্পের উঠোন

অরণ্য রক্তাক্ত করে আবারও খুঁজে পাই

চরিত্রের চূর্ণ ঘাট –

 

 

 

 

 

তখন আরম্ভ নিজেকে খোঁজার, কিম্বা তুমি,

পাঠ একটি ঘূর্ণন চক্র

হঠাৎ দেখি, একদম শেষের পাতায়

তুমি আছ

যেন দুষ্টচক্রের হাতে তোমার শ্লীলতাহানি

আমি তড়িঘড়ি বইয়ের পৃষ্ঠা বন্ধ করি

তোমার-ই জন্য ডার্ক লজেন্স খুঁজতে যাই

ভাবি, মুড সুইং হলে ভারী বিষণœতা কমে যাবে

এসব ব্যর্থতা লেখক বোঝে না

শুধু অসুস্থ করতে জানে।

 

বুকে বাঁচে বুকে মরে 

 

একটা নরম ঘোর লাগা হেনাফুল

কী কথা সেদিন বলে গেল

খুব গোপনে সে নিজেকেই দেখে যাবে

একদিন – গভীর যাপনে ‘

আমাকে মুগ্ধতা দেবে হেনাফুল

আমাকে ঝাপটা মারে হেনাফুল

এ ফুলটি পৃথিবীর কোথাও ফোটে না

মৃত্তিকা রক্তাক্ত না হলে ফুলের ভ্রুণ

কখনো বাঁচে না

আমাতে আচ্ছন্ন থাকে সে সর্বদা

তার বুকে গড়ানো মহাকালের মায়া

আমি তার অনুভবের মধ্যে বাঁচি!

সে জানে দারুণ, আমি বিরামবিহীন

অনিঃশেষ চিহ্ন খুঁজি

যেন মনে হয় পু-্রবর্ধন সম্মুখে

দুপেয়ে মানুষ তাকে দেখতে পায় না

রাতের আঁধারে নৈঃশব্দ্য যখন দুঃখে ভরা

মোমবাতির বাতাস একটানা শ্বাসরুদ্ধকর…

তখন ঘুমাতে পারে না অদেখা মনোফুল

বুকে বাঁচে – বুকেই মরে সে।

 

বাউলের রক্তজবা হাত

 

চেনা পথটা হারিয়ে ফেলি

দুরের পথটা মায়া মায়া

সব পথ লড়াইয়ে একা

তবু কেন বলি, তোমারে অপয়া!

ভরা দিনে কেন নামে শূন্য পথ

মায়াবাদ চড়চড়িয়ে করুণ হাঁটে

পা – নেই এখন রুহের মিতার

জীবন ফকির নামে রুক্ষ ঘাটে।

আহ্লাদী মেঘেরা দূরে সরে যায়

ধূপগুড়ির আদরে ভরে জল

শিশুদের মন কলসের নেশা

মৃদঙ্গের তাল এগোয়নি খলবল।

মেদবহুল মেঘেরা দৌড়ে খুব

নদীঘাটে বাউলের রক্তজবা হাত

কালিদহ হবে পার অসৎ সময়ে

ভিনঘাটে উঠবে কি সোনালী প্রভাত!

আন্দরকিল্লা প্রকাশনার ২৮ বছর আগামীর পথ ধরে অনাদিকাল

রূপক বরন বড়ুয়া আমি মাসিক ‘আন্দরকিল্লা’ কাগজের নিয়মিত পাঠক। প্রতিবারের মতো হাতে নিলাম এবারের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে ঢাকা জুলাই ২০২৫ সংখ্যা, হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতেই

জলে জঙ্গলে (পর্ব-২)

মাসুদ আনোয়ার   ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী বোর্ডের রেজাল্ট আউট হলো। আমি কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী। ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠলাম। যে কোনোদিন কুমিল্লা বোর্ডও ফল প্রকাশ

স্বপ্নে গড়া অবয়ব

সৈয়দ মনজুর কবির   মনটা যখনই কেমন অজনা বিষণ্নতায় ছেয়ে যায় তখনই কেয়া জানালার ধারে এই চেয়ারটাতে এসে বসে। আজ অবশ্য অন্য একটা কারণ আছে

অন্তহীন সুড়ঙ্গ

সুজন বড়ুয়া   কবর থেকে বেরিয়ে মহিম অশরীরী রূপ নিল। সঙ্গে সঙ্গে গত কয়দিনের সব ঘটনা একে একে মনে পড়ে গেল তার। ফার্স্ট সেমিস্টারের পর

রাত যখন খান খান হয়ে যায়…

মনি হায়দার   চোখ মেলে তাকায় সোাহেল হাসান। প্রথম দৃষ্টিতে সবকিছু অচেনা লাগে। কোথায় এলাম আমি? উঠে বসতেই মনে পড়ে গতরাতে অনেক ঝক্কি আর ঝামেলার