এখন সময়:সন্ধ্যা ৬:০০- আজ: শুক্রবার-৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:সন্ধ্যা ৬:০০- আজ: শুক্রবার
৭ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২২শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

আহমদ ছফা বনাম হুমায়ূন আহমেদ

মাত্র দেশ স্বাধীন হয়েছে। হুমায়ূন আহমেদ তখন আহমদ ছফার পিছন পিছন ঘুরতেন। লেখক হুমায়ূন আহমেদ-কে প্রতিষ্ঠার পিছনে যে আহমদ ছফার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, সে কথা মোটামুটি সবাই জানেন।

হুমায়ূন আহমেদ ছাত্র জীবনে আহমদ ছফাকে পীর মানতেন। বোধকরি, সারাজীবনই হয়তো তাঁকে পীর মেনেছিলেন। আহমদ ছফা প্রায় রাতেই, হুমায়ূন আহমেদদের নিয়ে হাটতে বের হতেন। আর নীলক্ষেত্রে মোড়ে মাঝে মাঝে চিৎকার দিয়ে বলতেন, ‘আমার বাংলাদেশ! আমার বাংলাদেশ!’

সে কারণে হুমায়ূন আহমেদ তাঁকে বলতেন ‘হন্টন পীর’।

এই ‘হন্টন পীর’ আহমদ ছফা একদিন হুমায়ূন আহমেদকে জোর করে বাংলা বাজার নিয়ে যান। প্রকাশকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন এবং প্রথম বই নন্দিত নরকে প্রকাশের বন্দোবস্ত করে দেন। এরপরের কাহিনি সকলের জানা। হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্যঙ্গনে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন এবং বাংলা একাডেমী থেকে সাহিত্য পুরষ্কারে ভূষিত হন।

 

এরপর হুমায়ূন আহমেদ পিএইডি সম্পন্ন করে দেশে ফিরলে, তাঁকে বাংলা একাডেমির প্যানেলভুক্ত করা হয়। আর এই প্যানেল থেকেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হত, এইবছর কে সাহিত্য পুরষ্কার পাচ্ছে! সেবছর হুমায়ূন আহমেদ পুরষ্কারের জন্য আহমদ ছফার নাম প্রস্তুাব করলেন। যথারীতি সে প্রস্তাব বাতিলও হল। কিন্তু এই ঘটনা আহমদ ছফা কিভাবে যেন জানতে পারলেন। এরপর আহমদ ছফা হুমায়ূন আহমদকে লোক মারফত খবর পাঠিয়ে, দেখা করতে বললেন।

হুমায়ূন আহমেদ দেখা করতে গেলেন। আহমদ ছফা বললেন, ‘হুমায়ূন আপনার কত্তোবড় সাহস, আপনি আমার নাম প্রস্তাব করেন। আপনি আর কক্ষনো আমার সামনে আসবেন না। আমি যেন আর কোন সময় আপনার এই মুখখানি না দেখি’। আর সম্ভবত সেটাই ছিল হুমায়ূন আহমেদ এবং তাঁর হন্টন পীর আহমদ ছফার শেষ দেখা।

 

ছফানামা (সংগৃহীত)

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।