এখন সময়:দুপুর ১:৫৮- আজ: মঙ্গলবার-২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

এখন সময়:দুপুর ১:৫৮- আজ: মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

বিদ্যুৎ কুমার দাশ এর গুচ্ছ কবিতা

কাঁচা সোনার ফসল

 

ফসলের ঠাঁসা জমি-

লুকানো চাষার ডাল পালা।

এই শীতে ফল দেবে-

বরষার জলে ভরা মাঠ

 

ফসলের হাসি

ডুবে আছে অন্ধকার

আলোকের বানে

রোদেলা সবুজ মাঠ

হলুদ সোনালি খড়

 

সোনার সংসারে স্বামী-

চাঁদের নরম কবিতায় ওড়ে

শিমুল তুলোয় ভরা দোদুল যৌবন-

 

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ

কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে……..

 

 

 

 

 

অসাম্প্রদায়িক কবিতা

 

তোমার আত্মা-রক্ত কণিকা

সমতার সংবিধান।

আমার ধর্মে তোমার ধর্মে

সহমর্মিতার গান……

 

প্রাণ বাজি রেখে চিরদিন রবে

সুখে সহ—অবস্থান,

সবার উর্ধ্বে মানবতা আর

ভালোবাসা—সম্মান।

 

 

 

 

মাটি

 

হাওয়ায় হাঁটি

মৃত্তিকা কোথায়?

 

বহু শতাব্দী মাটিতে

পা—ও নেই মনে হয়।

 

বুকের ভেতর ছাই

শূন্য জীবনের ঠিকানায়

আমি আছি আমি নাই।

 

মৃত্যু এসেছে পায়ের তলায়

বাতাসে পালায়।

মানুষের রং শুধু পালটায়।

 

হাওয়ায় হাঁটি মৃত্তিকা কোথায়?

 

 

 

 

 

 

 

মহিষাসুর মদ্দির্নীর দিন

 

অনেক শতাব্দী তৃপ্তিহীন ঘুম-

পথ ভোলা  মৃত্যু চুম।

 

পার কর  এবার দয়াল এইদীন-

আর ঘুরে   দাঁড়াবো না কোনদিন

 

ভালোবাসা  সন্ত্রাসীর অন্তিম চূড়ায়

আমার শরীর পথ পান করে যায়

 

আমাকে আমার  দয়াল হে বাঁচাও না

স্বর্গ নরকের কোথায় মম ঠিকানা?

 

অনেক শতাব্দী তৃপ্তিহীন ঘুম-

এর ভেতরেই কত মৃত্যুর জীবন

এখন তো ধৈর্যহীন অস্থিরও মায়াহীন

এসেছে মহিষাসুর মদ্দির্নীর দিন।

 

 

 

 

 

 

 

জ্ঞান—শৈল সড়ক

 

একশদিন গুমরে কান্নার শব্দ

একশদিন ঘুমহীন রাত্রির গান

একশদিন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সৎ

আমার পিতা মাতাকে অনর্গল   গাল শুনানো

একশদিন ঈশ্বর এর সাথে মন

ভাঙা অর্ধ প্রাণের অবস্থানের টানাটানি

 

ক্ষমা কর রতনপুর, তোমার নরম মাটিতে

আমার জন্ম এখনো হৃদয়ে ভাসে—

তোমার মাটির ঘরের আদর মাখা

জীবনের স্বপ্ন এখনো মধ্য রাতে আসে

 

জ্ঞান—শৈল সড়ক তুমিঅস্থির

বহুমন ভাঙ্গাঁ জীবনের গল্প

জ্ঞান—শৈল সড়ক তুমি অন্যরকম

এক মুক্তিযুদ্ধের জয় গান—

 

সাড়ে তিন বৎসর এর যুদ্ধের ইতিহাসে

পৃথিবীতে প্রথম এই সড়ক নির্মান—

শুধু টাকায় নয় বঙ্গবন্ধুর সূর্যে্যর ভালোবাসায়।

 

আমি জন্মেছি মার খাওয়ার জন্য —

মারো রতনপুর, পিঠ দিলাম বুক দিলাম—

আমি এত পাক খেয়ে খেয়ে পরেও

কোনদিন দাঁড়াতে শিখিনি—

রতনপুর চল ভাসি হারগেজি খালের নৌকায়।

আন্দরকিল্লা প্রকাশনার ২৮ বছর আগামীর পথ ধরে অনাদিকাল

রূপক বরন বড়ুয়া আমি মাসিক ‘আন্দরকিল্লা’ কাগজের নিয়মিত পাঠক। প্রতিবারের মতো হাতে নিলাম এবারের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে ঢাকা জুলাই ২০২৫ সংখ্যা, হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতেই

জলে জঙ্গলে (পর্ব-২)

মাসুদ আনোয়ার   ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী বোর্ডের রেজাল্ট আউট হলো। আমি কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী। ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠলাম। যে কোনোদিন কুমিল্লা বোর্ডও ফল প্রকাশ

স্বপ্নে গড়া অবয়ব

সৈয়দ মনজুর কবির   মনটা যখনই কেমন অজনা বিষণ্নতায় ছেয়ে যায় তখনই কেয়া জানালার ধারে এই চেয়ারটাতে এসে বসে। আজ অবশ্য অন্য একটা কারণ আছে

অন্তহীন সুড়ঙ্গ

সুজন বড়ুয়া   কবর থেকে বেরিয়ে মহিম অশরীরী রূপ নিল। সঙ্গে সঙ্গে গত কয়দিনের সব ঘটনা একে একে মনে পড়ে গেল তার। ফার্স্ট সেমিস্টারের পর

রাত যখন খান খান হয়ে যায়…

মনি হায়দার   চোখ মেলে তাকায় সোাহেল হাসান। প্রথম দৃষ্টিতে সবকিছু অচেনা লাগে। কোথায় এলাম আমি? উঠে বসতেই মনে পড়ে গতরাতে অনেক ঝক্কি আর ঝামেলার