এখন সময়:সকাল ৯:০৪- আজ: মঙ্গলবার-২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

এখন সময়:সকাল ৯:০৪- আজ: মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

কাক—মা আর কোকিল—মা এর অদ্ভুত রসায়ন

বাবুল সিদ্দিক

কাক—মা জানত তার বাসায় কোকিলের ডিম। সে কোকিল—মা কে তার বাসা থেকে চুপিসাকে বেরিয়ে যেতে দেখেছে। বাসায় ফিরে সে গুনে দেখেছে, তার বাসায় ডিমের সংখ্যা বৃদ্ধি ঘটেছে। জানলেও সে কাউকে কিছু বললো না। ধৈর্য্য ধরে ডিমে তা দিল, বাচ্চা ফুটলে তাকে পোকাটা—মাকড়টা খাইয়ে বড় করে তুললো। সে জানত, এই অবোধ শিশুটি একদিন ভিন্ন স্বরে গেয়ে উঠবে গান, আলাদা করে নিবে নিজেকে। সবই জানত কাক—মা কিন্তু কাউকে কিছু বুঝতে দিল না।

 

সবই ভাবল, তার মত বোকা আর কেউ হয় না ! তাকে বার বার বোকা বানিয়ে যায় কোকিল—মা। দুনিয়ার কাছে বোকা হয়েও সে চুপ করেই থাকলো, নইলে  কি হতো কোকিল ছাগুলোর ?  জন্মই যে হতো না তাদের ! আর জন্ম না হলে কেই বা গাইত বসন্ত দিনের অমন বন—মাতানো, মন—মাতানো গান ? মা যে তাদের উড়নচন্ডী ! বাসা বানানোর ধৈর্য্য নাই, সারাক্ষন শুধু উড়ে—উড়ে, সুরে—সুরে, ঘুরে—ঘুরে বাড়াচ্ছে।

তাকে অবশ্য দোষ দেয় না কাক—মা। সবাই কি আর একই রকম হয় ?  সে নিজে কি অমন গাইতে পারবে কোন দিন ? যে পারে সে না হয় একটু কম সংসারী হলই ! তার সন্তানদের বড় করে দিতে কোন আপত্তি নেই কাক—মা এর। এক একজন এক এক ধারার বলেই না এতো রঙ, এতো রূপ, এতো সুর এই জগতটায় !

কোন এক বসন্তের দিনে বাসায় বসে দূরে কোন কুকিলের কুহু রব শুনে স্বরটা কেমন চেনা চেনা লাগলো কাক—মায়ের ! খুশিতে, তৃপ্তিতে চোখ বুজে আসে তার। মনে মনে কত যে আশীর্বাদ করে সে তাদের। আহা বাছারা ! বেঁচে থাকো। কাক—মাকে নাইবা মনে করলে, মধুর গানে ভুবন খানি ভরিয়ে রাখো।

দুনিয়ার সবাই তাকে বোকা ভাবলেও একজন কিন্তু ঠিকই চিনেছে তাকে। নইলে কেনই বা সে ডিম পাড়ার সময় হলেই বারবার সেই কাক—মায়ের বাসাতেই ফিরে ফিরে আসে। কাক—মা আর কোকিল—মা এর এ এক অদ্ভুত রসায়ন !

আন্দরকিল্লা প্রকাশনার ২৮ বছর আগামীর পথ ধরে অনাদিকাল

রূপক বরন বড়ুয়া আমি মাসিক ‘আন্দরকিল্লা’ কাগজের নিয়মিত পাঠক। প্রতিবারের মতো হাতে নিলাম এবারের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে ঢাকা জুলাই ২০২৫ সংখ্যা, হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতেই

জলে জঙ্গলে (পর্ব-২)

মাসুদ আনোয়ার   ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী বোর্ডের রেজাল্ট আউট হলো। আমি কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী। ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠলাম। যে কোনোদিন কুমিল্লা বোর্ডও ফল প্রকাশ

স্বপ্নে গড়া অবয়ব

সৈয়দ মনজুর কবির   মনটা যখনই কেমন অজনা বিষণ্নতায় ছেয়ে যায় তখনই কেয়া জানালার ধারে এই চেয়ারটাতে এসে বসে। আজ অবশ্য অন্য একটা কারণ আছে

অন্তহীন সুড়ঙ্গ

সুজন বড়ুয়া   কবর থেকে বেরিয়ে মহিম অশরীরী রূপ নিল। সঙ্গে সঙ্গে গত কয়দিনের সব ঘটনা একে একে মনে পড়ে গেল তার। ফার্স্ট সেমিস্টারের পর

রাত যখন খান খান হয়ে যায়…

মনি হায়দার   চোখ মেলে তাকায় সোাহেল হাসান। প্রথম দৃষ্টিতে সবকিছু অচেনা লাগে। কোথায় এলাম আমি? উঠে বসতেই মনে পড়ে গতরাতে অনেক ঝক্কি আর ঝামেলার