এখন সময়:দুপুর ১:২১- আজ: বৃহস্পতিবার-৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:দুপুর ১:২১- আজ: বৃহস্পতিবার
৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

শুভ বাংলা নববর্ষ, বিদায় সন্জীদা খাতুন

হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যের শিকড় বাংলা নববর্ষ। বাংলা সন বা বাংলা বর্ষের প্রথম মাসের নাম বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বাঙালির নববর্ষ উৎসব। নববর্ষ বাঙালি তো বটেই, সকল দেশ ও জাতির নিজ নিজ নববর্ষের প্রথম দিনটি আনন্দ উৎসবের দিন। শুধু আনন্দ উৎসবই নয়, সকল মানুষের জন্য কল্যাণ কামনারও দিন। একে অন্যকে বলি শুভ নববর্ষ।
বাংলা নববর্ষ এখন আমাদের প্রধান জাতীয় উৎসব। বাংলাদেশে যে এতটা প্রাণের আবেগে এবং গভীর ভালোবাসায় এ উৎসব উদযাপিত হয় তার কারণ পাকিস্তান আমলে পূর্ব বাংলায় বাঙালিকে এ উৎসব পালন করতে দেয়া হয়নি। বলা হয়েছে এটা পাকিস্তানি আদর্শের পরিপন্থী। প্রকারান্তরে এ বক্তব্য ছিলো বাঙালি সংস্কৃতির ওপর এক চরম আঘাত। বাঙালি তার সংস্কৃতির ওপর এ আঘাত সহ্য করেনি। তারা এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। পূর্ব বাংলায় বাঙালি ফুঁসে উঠেছে। এভাবেই পূর্ব বাংলার বাঙালি জাতীয়তাবাদ এবং জাতিসত্তা গঠনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়ে বাংলা নববর্ষ এবং তার উদযাপনের আয়োজন।
খুবই আশ্চর্যজনক ও পরিতাপের বিষয় হলো, ধর্মান্ধ বিপথগামী পশ্চাৎপদ ও কপুমন্ডুকতাচ্ছন্ন একটি চক্র বাংলা নববর্ষ উদযাপন ও উৎসবকে ইসলামবিরুদ্ধ ও বিধর্মীদের পৌত্তলিকতা অর্চনার সমতুল্য বলে ঢালাও অপব্যাখ্যা দিয়ে আসছে। অথচ এই অন্ধ কুচক্রী ধর্মান্ধ গোষ্ঠীটি বাংলা নববর্ষ ও বঙ্গাব্দের উৎস ও উদ্ভবের ইতিহাসকে অস্বীকার করে এবং যুক্তি ও প্রমাণের দালিলিক তথ্য ও সত্যকে হিমঘরে আবদ্ধ করে রাখে। তবে ঐতিহাসিক ও পণ্ডিতগণ অভিন্ন মতামত দিয়েছেন মুগল সম্রাট আকবর চান্দ্র হিজরি সনের সঙ্গে ভারতবর্ষের সৌর সনের সমন্বয় সাধন করে ১৫৫৬ সাল বা ৯৯২ হিজরীতে বাংলা সন চালু করেন। আধুনিক গবেষকদের অনেকেই মনে করেন মহামতি আকবর সর্ব ভারতীয় যে ইলাহী সন প্রবর্তন করতে চেয়েছিল তার ভিত্তিতেই বাংলায় আকবরের কোন প্রতিনিধি বা মুসলমান বা নবাব বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। এ জন্যই একে ‘সন’ বা ‘সাল’ বলে উল্লেখ করা হয়। ‘সন’ শব্দটি আরবি আর ‘সাল’ শব্দটি ফারসি। তবে বাংলা সন ও সালকে বঙ্গাব্দও বলা হয়। বাংলা বর্ষের উৎসব ও উদ্ভবের ইতিহাস স্বাক্ষ্য দেয়, এই বর্ষপঞ্জী চিরায়ত ও আবহমান বাংলা ও বাঙালির, বিশেষ কোন ধর্ম বা গোত্রের নয়। তাই যারা বাংলা সন, সাল ও বঙ্গাবব্দকে বিধর্মীদের বলে ফতোয়া দেয় তাদের চেহারা ও মুখে তীব্র ঘৃণার চুনকালি পরিয়ে দিলেও কম দেয়া হবে। কারণ এরা বাংলা ও বাঙালি বিদ্বেষী ঘাতক কাঁটা এবং আলোবিনাশী মৌল আধার।

২৫ মার্চ চির বিদায় নিলেন বাঙালির সাংস্কৃতিক আন্দোলনের পুরোধা প্রাণ-প্রদীপ সন্জীদা খাতুন। রবীন্দ্র গবেষক, সঙ্গীতজ্ঞ, শিক্ষাবিদ ও মুক্তমনের আলোক শিখা সন্জিদা খাতুন নিজের ৯২ তম জন্মদিনের ১০ দিন আগে এবং বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ সাল বরণের ২০ দিন আগে আনন্দময় মর্তালোক ছেড়ে পরলোকে পাড়ি দিলেন ৯১ বছর বয়সে। তিনি অবিনশ্বর ও অবিনাশী—আমাদের চেতনার সৈকতে ভোরের নোঙ্গর।

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।