এখন সময়:সকাল ১০:৩২- আজ: মঙ্গলবার-২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

এখন সময়:সকাল ১০:৩২- আজ: মঙ্গলবার
২৩শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-৮ই পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-শীতকাল

আইনাল  হক এর গুচ্ছ কবিতা

ব্যাগ ভর্তি সংকট নিয়ে ঘুরে বেড়াই

 

ধোঁয়া ওঠা কাপে চুমুকের ফাঁকে জীবন্ত হয় রাজনীতি

ওমুক স্বৈরাচার তমুক রাজাকার

আলোচনায় বাদ যায় না হাওয়া ভবন কিংবা আয়নাঘর;

স্লোগান, ঘেরাও, মিছিলের দামামায় বেসামাল দেশ

শত আছিয়ার সরব আলোচনা জমে ওঠে বেশ

হাসি উড়ার ফুরসতে একদা চা ঠান্ডা হয়ে আসে

যুক্তি পাল্টা যুক্তির পসরা সাজে সারা বাংলাদেশে

অথচ দিন শেষে পর্দার আড়ালে ঢেকে যায়

দুই টাকা পিচ কপিতে বজ্রপাতের খবর কৃষকের মাথায়।

 

 

 

 

 

 

সোনালী রোদ ও কুয়াশার দিন

 

ইদানিং সিগারেট হাতে তোমার সামনাসামনি দাঁড়াতে  ভীষণ ইচ্ছে করে, জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করে বহুমাত্রিক দুঃখের শিরোনাম হয়ে কি লাভ? পার্থিব মোহ কিভাবে আমাদের দু’জগতের বাসিন্দা করে দিল, দেখলে?

একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ হলে সৃষ্ট সংকট কতটা ভয়াবহ হয়

তার উজ্জ্বলতম উদাহরণ এই অমিমাংসিত ভালোবাসা।

আচ্ছা; তোমার মন খারাপের দিনে নিশ্চয় বৃষ্টিদের নিমন্ত্রণ করো! ঝালমুড়ির সাথে চলে বৃষ্টিবিলাস।

আহা! সেসব সোনালি রোদ, কুয়াশা দিন কতই না মধুর।

 

 

 

 

 

এক ডজন রূপালী জোছনা

 

বিশ্বাস করো; এক ডজন রূপালী জোছনা

বুক পকেটে পুরে বসন্তের বিকেলে চৌরাস্তায় মোড়ে দাঁড়িয়েছিলাম; দক্ষিণা হাওয়ায় হাতের সিগ্রেটে হৃদয় পুড়িয়েছি এক আকাশের অপেক্ষায়।

কথা ছিল ইজিচেয়ারে বসা যেনতেনএকটা গোধূলি পেলে

মুখোমুখি তাকিয়ে থাকবো, কথা ছিল ছেঁড়াফাটা একটা

বাজারের ব্যাগ পেলে বিপ্লবী স্লোগানে ভর্তি করবো।

হঠাৎ কোত্থেকে উড়াধুড়া এক আচলা রোদ এসে পুড়িয়ে গেল আমাদের স্যাটেলাইট চেতনা। এখন শূন্য হাতে তোমার সামনাসামনি দাঁড়াতে ভীষণ লজ্জা পাই।

 

 

 

 

 

 

দুঃখবোধের পালকিতে সৌখিন বিলাসিতা

 

একমগ ধোঁয়া ওঠা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে

ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকি পুরাতন ও রংচটা পৃথিবীর দরজায়

দুঃখবোধের পালকিতে আমাদের সৌখিন বিলাসিতা

এবং শুকনো পাতার নিচে চাপা পড়ে অব্যক্ত প্রেমালাপ।

সমুদ্রের গা ঘেঁষে বেড়ে ওঠা কালো পাহাড় চূড়ায়

শান্তির প্রতীক হয়ে ডানা মেলে ধূর্ত কবুতর

নির্লিপ্ত আলোর মুখ জুড়ে অমাবস্যার আনাগোনা

আমাদের বিরহী দিনগুলোর কথা ভুলতে দেয় না।

 

 

 

 

 

 

 

 

সংস্কৃতির ভাগ্যাকাশে ঘোর অমানিশা

 

চরম দুর্ভাগ্য কাঁধে গুটিসুটি মেরে বসে থাকে বনমোরগ

নতজানু ইতিহাস পালকের মতো খসে পড়তে থাকে বেওয়ারিশ শরীর থেকে।

কি নিদারুণ বাস্তবতা!

কি নিদারুণ বিভৎসতা!

সংস্কৃতির চোখের নিচের কালো দাগ পড়ে

ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের কথা সহজেই অনুমান করা যায়।

মুক্তচিন্তার মুখোমুখি দাঁড়ানো বালি ভর্তি ট্রাক

আমাদের দৈন দশার কথা স্মরণ করে দেয় বারবার।

আন্দরকিল্লা প্রকাশনার ২৮ বছর আগামীর পথ ধরে অনাদিকাল

রূপক বরন বড়ুয়া আমি মাসিক ‘আন্দরকিল্লা’ কাগজের নিয়মিত পাঠক। প্রতিবারের মতো হাতে নিলাম এবারের দৃষ্টিনন্দন প্রচ্ছদে ঢাকা জুলাই ২০২৫ সংখ্যা, হাতে নিয়ে নেড়ে চেড়ে দেখতেই

জলে জঙ্গলে (পর্ব-২)

মাসুদ আনোয়ার   ৬ ডিসেম্বর রাজশাহী বোর্ডের রেজাল্ট আউট হলো। আমি কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষার্থী। ভেতরে ভেতরে অস্থির হয়ে উঠলাম। যে কোনোদিন কুমিল্লা বোর্ডও ফল প্রকাশ

স্বপ্নে গড়া অবয়ব

সৈয়দ মনজুর কবির   মনটা যখনই কেমন অজনা বিষণ্নতায় ছেয়ে যায় তখনই কেয়া জানালার ধারে এই চেয়ারটাতে এসে বসে। আজ অবশ্য অন্য একটা কারণ আছে

অন্তহীন সুড়ঙ্গ

সুজন বড়ুয়া   কবর থেকে বেরিয়ে মহিম অশরীরী রূপ নিল। সঙ্গে সঙ্গে গত কয়দিনের সব ঘটনা একে একে মনে পড়ে গেল তার। ফার্স্ট সেমিস্টারের পর

রাত যখন খান খান হয়ে যায়…

মনি হায়দার   চোখ মেলে তাকায় সোাহেল হাসান। প্রথম দৃষ্টিতে সবকিছু অচেনা লাগে। কোথায় এলাম আমি? উঠে বসতেই মনে পড়ে গতরাতে অনেক ঝক্কি আর ঝামেলার