এখন সময়:সকাল ৯:০২- আজ: বৃহস্পতিবার-৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:সকাল ৯:০২- আজ: বৃহস্পতিবার
৬ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-২১শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল-এর গুচ্ছ কবিতা

হেমন্তের পাখি

 

দ্বৈত দেশ। ঋতু সংকট, কিছুটা হাহাকার

কিছুটা ছক্কা আর খানিকটা চার।

চার ঋতুর বৈচিত্র্যে- হেমন্ত নেই।

মিসিং, সে মন তো নেই।

স্বদেশে রেখে এসেছি- ষড়ঋতুর সৌন্দর্য ‘মুগ্ধ’ হেমন্ত

তুমি সেই মুগ্ধতা আমার! যে মন তো-

মানে না, অস্থির থাকে-

কোথা থেকে যেনো হেমন্তের পাখি ডাকে।

 

 

 

 

 

রূপকথা চুপকথা

 

মানববংশ ধ্বংসের আগে

তোমরা অমৃতের সন্তান, অন লাইনে তোমাদের জন্ম

অগ্নি বা বাতাস তোমাদের পিতা ।। মাতা!

 

তোমরা আরেক মানব জাতির মতো অথবা অধিক মহা মানব

কিন্তু মানুষ নও ।। মানবিক নও

 

বাতাসে-বিজ্ঞানে তোমাদের অদ্ভুত ভাবে জন্ম হলেও

তোমরা বাতাস-বিজ্ঞান বিরোধী!

পৃথিবী ও প্রকৃতি বিরোধী।

আয়নায় তোমাদের কোনো প্রতিবিম্ব নেই!

.

আমাদের কোন কাজলা দিদি নেই,

রূপকথার মতো সুন্দর করে বোন বেলা দিদি বলেছেন:

তোমরা সেন্ট মার্টিনে যেও না, চারিদিকে সমুদ্র

সামুদ্রিক হাঙর আছে, কুমির আছে!

তোমরা সুন্দর বনে যেও না, বন মানে ভয়ভূত গা ছমছম

আছে বাঘ; আছে সাপ, সরীসৃপ

বনে বনভোজনে যেও না।

 

 

 

 

 

বাংলা কবিতার আঁচল

 

তুমি ক্লাশরুম থেকে চক-ডাস্টারে বাংলা কবিতা মুছে

দিয়ে নিয়ে গেছে নির্জনতার কাছে,

ঘুড়ি বানিয়ে উড়িয়ে দিয়েছো

ছড়িয়ে দিয়েছো বঙ্গপো আঁচলে, ভারত মহাসাগরে

তুমি বাংলা কবিতাকে বানিয়েছো শঙ্খ ঘোষ।

 

কবিতার নান্দনিকতা এবং নগ্নতাকে বিবাহিত করেছো

ষড়ঋতুর সৌন্দর্যে।

অধ্যাপিকা, তোমার শিক্ষার্থীদের মতো আমিও শিখতে চাই সম্পর্ক,

পাঠ করতে চাই প্রাকৃতিক পাসপোর্ট।

 

বহু বহু বছর আগে অথবা তারুণ্যে

বাংলা কবিতার কৃষ্ণ নগর সম্মেলনে আমার নামের ভুল

আজ ফুল, আজ গন্ধে-সুগন্ধে

তুমি ভাষার সাথে বন্ধুত্ব করিয়ে দিয়েছো প্রতিবেশি ভাষার।

 

আজো খোলা জিপে বাংলা কবিতা,

আজো আমরা আমাদের জন্মদিনে এক হয়ে থাকি।

 

 

 

 

 

 

 

কুড়িয়ে পাওয়া কবিতা

 

কুড়িয়ে পাওয়া ঠোঙা

জন্ম হয়েছে দৈনিক প্রথম আলো থেকে।

 

বাদামখোরের হাত থেকে এখন টোকাইয়ের হাতে

তাদের দ্বিতীয় জন্ম বাতাস থেকে,

তারা কথা বলে গ্রাফিতি ভাষায়।

 

মানুষের ভাষা এই দেশে এবং বাতাসে নিষিদ্ধ।

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।