এখন সময়:সন্ধ্যা ৭:৫৮- আজ: সোমবার-৩রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

এখন সময়:সন্ধ্যা ৭:৫৮- আজ: সোমবার
৩রা নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ-১৮ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ-হেমন্তকাল

ইতিহাসের উল্টোযাত্রা কখনো হয়না

… আর মনে পড়ে জন্মলগ্নের শৃঙ্খলিত করজোড়ে নতজানু থাকার দুর্বিনীত দুঃসময়গুলো। আমরা বা পূর্বাপর পূর্বসুরীরা, যাদের ভাগ্য নিয়ন্তরা ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারার মতলবে বৃটিশ-রাজের দেশভাগের কুটজালে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে অবাস্তব ও অবৈজ্ঞানিক ‘পাকিস্তান’ নামক রাষ্ট্রটি জন্ম নিলেও তার গায়ে গাঁথা ছিলো একটি জন্মদাগ। তাই বাঙালির অকুণ্ঠ একতরফা রায়ে প্রতিষ্ঠিত সদ্য স্বাধীন দেশটিতে বাঙালিরা প্রথম শৃংখলজ্বাল, অনুভব করে যখন ভাষা-সংস্কৃতির উপর আঘাত আসে। তারপর অব্যাহত জাতিগত শোষণ, নিপীড়ন এবং হনন-দমন-দহনের অধ্যায়গুলো পেরিয়ে অতঃপর এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয় মহান মুক্তিযুদ্ধের সবচেয়ে বড় বিজয় হাজার বছরের বাঙালির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। তাই এই মুক্তিযুদ্ধই বাঙালি জাতি সত্তার অস্তিত্ব রক্ষার মূল শিকড়; তাকে কিছুতেই উপড়ে ফেলা যায়না।

স্বাধীনতা প্রাপ্তির অর্ধ শতাব্দীর বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন পরিপূর্ণ মুক্তি অর্জিত হয়নি বরং একে একে মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধ ও মূল স্তম্ভগুলো মুছে দেয়া হয়েছে। যখন যারাই ক্ষমতাসীন ছিল তারা ক্ষমতার তখ্ত রক্ষায় এই কাজগুলো করেছে। এর ফলে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শনিগ্রহের বলয় শুভ কল্যাণ, প্রগতিসহ সবকিছু গ্রাস করেছে। তারপরও মুক্তির আকাঙ্ক্ষা নিঃশেষ হয়ে যায়নি। স্বাধীনতার পর মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় গণতান্ত্রিক আন্দোলন, দ্রোহ, অভ্যুত্থান হয়েছে, বৈধ-অবৈধ পথে ক্ষমতার পালাবদল হয়েছে। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মুক্তি না হলেও দেখা গেছে ক্ষমতা বদল ও পট পরিবর্তনের বাঁকে বাঁকে ইতিহাসের উল্টোযাত্রার ঘটনাও ঘটেছে; এমনকি পরিকল্পিতভাবে ইতিহাসের ব্যবচ্ছেদ ও বিকৃত করা হয়েছে। তবে ইতিহাসের শিক্ষাই হলো ইতিহাসের উল্টোযাত্রা কখনো হয়না, এই যাত্রা সোজা ও সরল পথে। উল্টোযাত্রা সাময়িক। যারা এই উল্টোযাত্রার কুশীলব তারাই আবর্জনার ডাস্টবিনে নিক্ষিপ্ত হয়। এই অমোঘ ও নিখাদ সত্য মিথ্যা হবার নয়। একাত্তর ও মুক্তিযুদ্ধ একটি চির শাশ্বত সত্য ও ইতিহাসের অবিনশ্বর জ্যোতি।

আমরা চাই শৃঙ্খলিত মানুষের সার্বিক মুক্তি। ভুলতে চাই শৃঙ্খলিত করজোড়ের দুঃসহ স্মৃতিগুলো।

আহমদ রফিক: ভাষাসৈনিক থেকে সাহিত্য-গবেষণার আলোকবর্তিকা

শাহেদ কায়েস   আহমদ রফিক (জন্ম: ১২ সেপ্টেম্বর ১৯২৯-মৃত্যু: ২ অক্টোবর ২০২৫) বাংলা সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের ভুবনে আহমদ রফিক একটি উজ্জ্বল নাম। তিনি একাধারে

অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

আন্দরকিল্লা ডেক্স \ চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম এর ম্যানেজিং ট্রাস্টি অধ্যাপক ডা. রবিউল হোসেনের আত্মজীবনী ‘প্লেজার অ্যান্ড পেইন’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

ফেরা

সৈয়দা মাসুদা বনি   নিশ্ছিদ্র অন্ধকারের কথা শোনা থাকলেও আদতেই সেটা কেমন জানা ছিল না রিশানের। এটাই তাহলে মৃত্যুর পরের জগৎ, সে ভাবে। সে ভাবতে

ফিরে যাওয়া

বিচিত্রা সেন   রুবা.. রুবা খবরদার, না খেয়ে এক পাও বাইরে দিবি না। মুশকিল হয়ে যাবে কিন্তু! মায়ের হুমকিতে অগত্যা রুবাকে দাঁড়াতেই হয়। মা যে

চিরহরিৎ বৃক্ষের গল্প

সুজন বড়ুয়া   ছাদে উঠে দেখি শানবাঁধানো উঁচু আসনে একা বসে আছেন হরিৎবরণ ঘোষাল। একটু অবাক হলাম। এ সময় তার ছাদে বসে থাকার কথা নয়।