যৌথ খামার
দুনিয়া কেবলই পোড়ে মস্তিষ্কের কোষে
শব্দের খনিজ, ধাতু আরও গলে যায়
ম্যাগাজিন ফেঁপে ওঠে ফাঁকা কার্তুজে
অন্ধতা অধিকতর মান্যতা পায়।
সব রাষ্ট্রের রঙ ঘন জলপাই
যেমন রক্তের রঙ রয়ে গেছে লাল
লাল ক্ষেতে কালো ধান মেঘ হয়ে নামে
পাখিদের ঠোঁটে বীজ-ধান্য ছড়াই ।
মানচিত্রে এর বেশি উর্বরতা নেই
যৌথ খামার হোক, যৌথ লড়াই।
মানুষের ভাষা
মানুষের ভাষা ধর্ষিত প্রতিদিন
আমাদের ভাষা ছিনতাই হয়ে যায়
ভাষা-আয়ুধই তো আসল জন্ম দাগ
ভাষার কবচকুণ্ডলই ভরসার।
বাজারে ছন্ন ফড়ে দালালের দল
কেনাকাটা করে একটি আধলা ফেলে
কিনেই চলেছে ব্রহ্ম তালুর ঘাম
হৃৎপিণ্ডও থাকবে না সম্বলে।
এই লেনদেন মোলায়েম হতে গেলে
বাজারের ভাষা একটাই হওয়া চাই
যেমন যেমন বলে দেবে চ্যাটবটে
অ্যালগোরিদম, পেটভরা এ-আই।
বিশ্ববাজারে এইটুকু কূটাভাস
মানুষের ভাষা পণ্য ও ক্রীতদাস।
উন্নয়নের মোট ভাগ শেষ এই
তবুও মানুষ জিতবেই জিতবেই
ভাষা শান দাও, উপড়াও সন্দেহ
সিলিকন ভাষা আদতে তো মৃতদেহ।
জিওনার্দো ব্রুনো
জিওনার্দো ব্রুনো রা তো
পুড়ছেন এখনও
যূপকাঠ ধ’রে।
মুখস্থ ইতিহাস আজও আখুটে ধর্মের কৃমি
বাছে যুক্তাক্ষরে।
যূথবদ্ধ স্যটেলাইটমালা
গাঢ়তম জ্ঞান বিক্রি করে।
মানুষের গল্প আজও মৃত অক্ষরে লেখা হয়;
ভুখা-পেট ইতিহাস গিলেছে সময়।
দ্য ওল্ড গিটারিস্ট
এই যে জরদ্গব কুঞ্চনের দাগ
শিথিল পেশির ক্লান্ত শিরাউপশিরা
সব মুছে যাবে
একবার হারানো গিটারখানা হাতে নিতে দাও
ফিরিয়ে আনবো লুকিয়ে রাখা সব অক্ষরেখা
পিট সিগারের সুরে গেয়ে উঠবো একা
এখনি, অন্ধ, বন্ধ করো না পাখা।




