সাইয়িদ মাহমুদ তসলিম : ১০ থেকে ১৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে প্রথম বারের ফুল উৎসবের আয়োজন করে। অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে গত বছর ১৯৪ দশমিক ১৩ একর জায়গা উদ্ধার করে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসন। এই খাস জমি উদ্ধার করে সেখানে ডিসি ফ্লাওয়ার পার্ক গড়ে তোলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। এছাড়া সেখানে রোপণ করা হয়েছে নানা ধরনের ফলদ ও বনজ গাছ। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ফৌজদারহাট-বন্দর সংযোগ সড়কের একেবারে সন্নিকটের এই ডিসি পার্কে ১০ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে বাহারি এই ফুল উৎসবের। ব্যতিক্রমী এই উৎসব চলবে ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। পুরো পার্ক জুড়ে দেশি-বিদেশি শতাধিক প্রজাতির ফুলের সমারোহ। মাত্র অল্প কয়েকদিন আগেও যেখানে মাদকের আখড়া এবং অবৈধ দখলদারদের দখলে ছিল এই জায়গা, সেখানে মাত্র অল্প কয়েকদিনের মধ্যে জেলা প্রশাসনের প্রচেষ্টায় চোখ জুড়ানো–মন মাতানো ফুলের সমাহার! চোখ ধাঁধানো রঙ-বেরঙের ফুলে ফুলে সীতাকুন্ডের ফৌজদারহাট থেকে বন্দরের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত মেরিন ড্রাইভ সড়কের ডিসি পার্কে গড়ে উঠেছে দৃষ্টিনন্দন ফুলের বাগান। পার্কের বিশাল এলাকা জুড়ে ছাউনির ভেতরে টিউলিপ ফুল ফুটে আছে। লাল, হলুদ, গোলাপি ও সাদা রঙের টিউলিপের অপূর্ব সমাহার। নেদারল্যান্ড থেকে আনা টিউলিপের বীজ থেকে গাছে ফুল ফুটতে সময় লাগে ২৫ থেকে ৩০ দিন। জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পুরো এলাকা ফুল ও জলাশয়ের সমন্বয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক হিসেবে গড়ে তোলা হবে। এখন পর্যন্ত প্রায় ১২২ প্রজাতির ফুলের গাছ লাগানো হয়েছে এবং আরও লাগানো হবে।
হরেক রকম ফুলে সেজে উঠছে মেরিন ড্রাইভের ফৌজদারহাট- পোর্ট লিংক রোড। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন চট্টগ্রামবাসীর জন্য প্রথমবারের মত অনেক যতেœ ফুটিয়ে তুলেছে বর্ণিল সুন্দর টিউলিপে। আমি যখন পশ্চিমা দুনিয়ায় ওয়েস্ট ইয়র্ক থেকে দুরপাল্লার গাড়ী চালিয়ে টিউলিপ ফুলের চাডা নিয়ে যাচ্ছি। তখন শুনতে ফেলাম আমার প্রিয় শহরে চট্টগ্রামে টিউলিপের বিশাল আয়োজন। উল্লেখ্য বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত পাহাড়, সমুদ্রে এবং উপত্যকায় ঘেরা চট্টগ্রাম শহর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যে প্রাচ্যের রাণী হিসেবে বিখ্যাত। এখানে দেশের সর্ববৃহৎ বন্দর ছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এটি এশিয়ায় ৭ম এবং বিশ্বের ১০ম দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শহর। এই শহরে পরিবার আর বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে চলে আসুন মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন ডিসি পার্কে।




