ড. আহমেদ মাওলা
শিল্পের অগ্রগতি মূলত প্রকরণ নির্ভর। অবশ্য প্রকরণের নতুনত্ব অনেকাংশে বিষয় ও চেতনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। বিশ্ব যুদ্ধোত্তরকালে মানবচেতনার সর্বতোমুখী রূপান্তরের পটভূমিতে উপন্যাসশিল্পের প্রকরণ-শৃঙ্খলার ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন সাধিত হয় তা খুব সরল রেখার ব্যাখ্যা করা যায় না। প্লট, চরিত্র, সংগঠন, দৃষ্টিকোণ, প্রতীকায়ন অথবা ব্যাখ্যাতীত অর্থ, দ্বন্দ্বময়, বিষয়বস্তু, জটিল জীবন সংকটই কেবল এক্ষেত্রে উপন্যাসের ফর্মকে বিচিত্র এবং বহুমুখি করেনি, জীবনাকাঙ্ক্ষি ও জীবন-বিশ্লেষণের নতুন রূপঅšে¦ষণা ঔপন্যাসিকদের আঙ্গিক উদ্ভাবনায় উৎসাহিত করেছে। ব্যক্তির অস্তিত্ব সংকট, আত্মসন্ধান, জাতিসত্তা সন্ধানের অব্যাহত প্রয়োজন এবং রাজনীতি সচেতনতা ঔপন্যাসিকদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, মিথ, কিংবদন্তির চরিত্র, সময়-সমাজ ইত্যাদির প্রতি মনোযোগী করেছে। জাতিগত আত্ম-পরিচয়ের প্রশ্নে সমাজ ও রাষ্ট্রে যৌথ ভূমিকা সত্ত্বেও শিল্পীর সমগ্রতাঅšে¦ষণী শিল্প-অভিপ্রায় অনিবার্য প্রকরণ সন্ধান করেছে। সমাজসত্তার মর্মমূলে উৎসারিত আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন ও যন্ত্রণাবোধ রূপায়ণে ঔপন্যাসিকরা মনোযোগী হয়েছেন মহাকাব্যিক রূপাঙ্গিকের প্রতি।
‘জীবনের পরিব্যপ্ত সময় এবং ব্যাপ্যমান সমাজের সামূহিক ঈড়ষষবপঃরাব অভিজ্ঞতা থেকে এপিক ফর্মের জন্ম হয়। এপিক একটি সমাজের উত্থানপর্বের আকাঙ্ক্ষিত পর্যায়ের শিল্প নির্মাণ। জীবন সংক্রান্ত আকাঙ্ক্ষার স্বরূপ, ব্যক্তিভেদে স্বতন্ত্র রূপ পরিগ্রহ করায় এর অভিযাত্রা প্রলম্বিত হয়েছে স্বাধীনতা-উত্তরকাল পর্যন্ত। আমাদের কথাসাহিত্যে এপিক ফর্মের উপন্যাস রচনায় যে প্রতিশ্রুতি হুমায়ুন কবিরের ‘নদী ও নারী’তে উৎসারিত হয়েছিল, শহীদুল¬াহ, কায়সারের (১৯২৬-১৯৭১) সংশপ্তক (১৯৬৫)-এ তার সিদ্ধি। গ্রাম ও নগরজীবনের সুবৃহৎ ক্যানভাসকে উপন্যাসের পটভূমি হিসেবে ব্যবহার করে সামন্ত সমাজের অবক্ষয় এবং মধ্যবিত্তশ্রেণির উত্থান প্রক্রিয়াকে সংশপ্তক -এ বিন্যস্ত করেছেন লেখক।’ (সৈয়দ আকরাম হোসেন, প্রসঙ্গঃ বাংলা কথাসাহিত্য, মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা ১৯৯৭, পৃঃ ১১৪)
প্রায় একই ইতিহাসবোধ ও সংগ্রামী জীবনচেতনার ক্রমধারায় আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭) রচনা করেন তাঁর স্পন্দিত শিল্প-অভিপ্রায় ‘চিলেকোঠার সেপাই’ (১৯৮৬)। বৃত্তাবদ্ধ সময়ের অন্ধকার, বিচূর্ণিত অস্তিত্ব ও জাতীয় মুক্তির প্রত্যাশিত আলোর সন্ধান, দ্বন্দ্বময় রাজনৈতিক বাস্তবতার স্বরূপ উন্মোচণ ‘চিলেকোঠার সেপাই’ স্বাধীনতা উত্তর অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস।
আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শিল্প ভাবনার প্রধান বিষয়,সমাজ-প্রগতির স্বরূপ সন্ধান। এক্ষেত্রে আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা, দ্বন্দ্বময় রাজনৈতিক চেতনার স্বরূপ, আন্দোলনের পটভূমিতে ব্যক্তির ভূমিকা ও অবদান, কতিপয় স্বার্থপর ব্যক্তির কাছে জাতির ক্রমমুক্তির প্রত্যাশা মার খেয়ে যাওয়ার বিবর্ণতা বিশ্লেষণ তাঁর শিল্প চেতনার প্রধান অন্বিষ্ট। তাঁর দুটি উপন্যাস ‘চিলেকোঠার সেপাই’(১৯৮৬) এবং ‘খোয়াবনামা’ (১৯৯৬) খুব মনোযোগের সঙ্গে পাঠ করলে এই বক্তব্যের সমর্থন পাওয়া যাবে।
‘চিলেকোঠার সেপাই’ এবং ‘খোয়াবনামা’ শৈলীর দিক থেকে মহাকাব্যিক উপন্যাস। রচনাকালের দিক থেকে ‘খোয়াবনামা’ পরের রচনা হলেও এর পটভূমি চল্লি¬শ দশকের বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক বাস্তবতা রয়েছে। ‘চিলেকোঠার সেপাই’ রচনাকালের দিক থেকে প্রথম হলেও এর পটভূমি ষাটের দশকের বাংলাদেশের গণ আন্দোলন। অর্থাৎ দুটি উপন্যাসেরই বিষয়-গণ মানুষের সংগ্রামী চেতনার স্বরূপ সন্ধান তথা ক্রমমুক্তির প্রত্যাশা। ব্যক্তি নয়, সময় ও সমাজ এক্ষেত্রে তাঁর উপন্যাসের মহাকাব্যিক ফর্মকে অনিবার্য করে তুলেছে। প্রবহমান সময়ের খণ্ডিত একটি সময়কে পটভূমি হিসেবে গ্রহণ করেলও ইতিহাসের ধারাবহিকতার সঙ্গে তিনি কাহিনীর ঘটনাংশকে যুক্ত করে দেন খুব দক্ষতার সাথে। তাঁর উপন্যাসের সৃষ্ট চরিত্রের চেতনার সঙ্গে ইতিহাসের সংযুক্তি খুব চমকপ্রদ এবং তাৎপর্যপূর্ণ। যেমন ‘খোয়াবনামা’ পুরো উপন্যাস জুড়ে যে ব্যক্তি প্রবলভাবে উপস্থিত, (এবং উপস্থিত নন) কাহিনী বয়ানে আর স্বপ্ন দেখা ও সাহস সঞ্চয়ে যার ভূমিকা কেন্দ্রীয় তিনি মুনসী বায়তুল¬াহ্ শাহ্। ফকির বিদ্রোহে তিনি ব্রিটিশদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন, তার বাস পাকুর গাছে-মানুষ তাই বিশ্বাস করে। তিনি মৃত কিন্তু জীবিত, অতীত কিন্তু বর্তমান। তার বিচরণের পথ অনুসন্ধানের মধ্যেই আমরা পাই তমিজের বাপকে। তমিজের বাপ, বাঘাড় মাঝির নাতি, চেরাগ আলী ফকিরের নাতজামাই, তার খোয়াবের মধ্যে আমরা দেখি বহু চরিত্র, বহু স্বপ্ন, বহু আকাঙ্ক্ষা, বর্তমান ও অতীতের মত জীবন্ত মানুষ, স্পষ্ট আবার কিছুটা অস্পষ্ট। তার ঘুম, জাগরণ, হাঁটা এবং শুয়ে থাকার মধ্যে একাকার হয়ে যায় অনেক মানুষ, বহু সময়ের তরঙ্গ, মাঝির নাতি, চাষার বাবা, গায়েনের নাতজামাই ইত্যাদি। অবহেলিত কোনঠাসা মানুষের প্রতিনিধি হয়ে উঠেন তমিজের বাপ। সমাজ ও রাষ্ট্রে শাসকশ্রেণির বদলে যাওয়ার সঙ্গে তাদের সংঘাত চলতে থাকে। ইতিহাসের ধাবমান অশ্বের সঙ্গে তমিজের বাপের স্বপ্ন ও সংঘাত এককার হয়ে যায়। ঔপন্যাসিকের কালজ্ঞান এক্ষেত্রে আমাদেরকে বিস্মিত করে শুধু তাই নয়, যুগ মানস সঞ্চরিত হওয়া সত্ত্বেও তার উপন্যাসে কোনো চরিত্র প্রধান হয়ে ওঠেনি, সময়ই চরিত্রে মর্যাদা পেয়েছে, যেন সময়ের প্রয়োজনে চরিত্র এসেছে, যুগ পরম্পরায় তাদের জীবনের ক্রাইসিস একই, সংগ্রামের রূপ শুধু পাল্টেছে। উপনিবেশের বিদায় এবং পাকিস্তান আন্দোলনের পেছনে যে নানা স্রোত ও চেতনা কাজ করেছে তার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বময় জটিল স্বরূপকে আমরা অবলোকন করি ‘খোয়াবনামা’ উপন্যাসে। পাকিস্তান আন্দোলনের সময় একদিকে তরুণ কর্মীরা জমিদারী উচ্ছেদের দাবির কথা বলে চাষাদের কাছে এসে তেভাগা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়। অন্যদিকে জমিদার নেতারা এসব প্রবণতাকে কমিউনিস্টদের কুপ্রভাব বলে উস্কানি দেয়, ‘তোমরা জমিদারের সম্পত্তি কেড়ে নেবে, বড় লোকদের মারবে, কম্যুনিস্টদের সঙ্গে তাহলে তোমাদের ফারক কী? ইসলামে কি কারও সম্পত্তি দখল করার হুকুম আছে? ধনী গরীব বড় কথা নয়, বাবা। পরহেজগার মানুষ আমির হলেও ভালো, গরীব হলেও ভালো। জোতদারদের উদ্বেগ ‘হামাগোর সর্বস্বন্তে কর্যা দিলো। আরে হামার বর্গা চাষা হামার জমির ধান লিয়া গেলে লিজের ঘরত, আবার শুনি ওই চাষা বলে হামারই পার্টির মানুষ। মানসে হাসে, ইগলান কী পার্টি করো গো?’
কাৎলাহার বিলের দখলদারিত্ব নিয়েছে শারাফত মণ্ডল। পাকিস্তান হলে এই বিল মাঝিদের কাছেই আসার কথা, এরকম প্রতিশ্রুতিই মাঝিরা পেয়েছিল। পাকিস্তান আন্দোলনের কর্মীদের কাছে। কিন্তু পেল কালাম মাঝি, সে বলে ‘বিল তো হামি ইজারা নিছি। দস্তরমত টাকা পয়সা খরচ কর্যা ইজারা নিছি এই মাস থ্যাকা। মণ্ডলের কবজা থ্যাকা বিল খালাস করতে হামার খরচ তো কম হয় নাই বাপু। হামাকে খাজনা না দিলে হামার লেরি ক্যাংক্যা কর্যা? মাঝিদের একথা বুঝতে সময় লাগে, তারা ভাবে আরে পাকিস্তানে জমিদারীই থাকিচ্ছেনা। কিসের জমিদার? তার আবার পত্তন দেওয়ার ক্ষমতা আছে নাকি? পাকিস্তান, আন্দোলন দানা বাধার পেছেনে যেমন গ্রামে শহরে মুসলমানদের মধ্যে নতুন শ্রেণির উদ্ভব খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল, তেমনি পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাও এই শ্রেণিসমূহের সংহত রূপ লাভ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত হয়ে নতুন অভিজাত পরিচয়ে উন্নীত হওয়ার পেছনে কার্যকর ভূমিকা রেখেছিল।
অভিজাত, জমিদার, নায়েব বা শিক্ষিত হিন্দুরা একদিকে যেমন বিকল্প সুযোগ থাকার কারণে দেশত্যাগ করেন, তেমনি এদের দেশত্যাগে উদ্যোগী ভূমিকাও নিতে দেখা যায় অনেক ধনী মুসলমানদের। উপন্যাসে আমরা এর শিল্পিত উপস্থাপন দেখি। হিন্দু জমিদারদের দেশত্যাগ এবং অন্যদিকে জমিদারী উচ্ছেদে লাভবান হয় শরাফত মণ্ডলরাই। ভূসম্পত্তি সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন ব্যবসা। তার পুতরা টাউনে স্থায়ী হয়ে যায়। বাঙালি মুসলিম শহরের মধ্যবিত্তের গোড়া পত্তন করে। অন্যদিকে জমি আর পানি সব কিছুর উপর অধিকার হারিয়ে তমিজেরাও ছিন্নমূল মানুষের নতুন গোষ্ঠীতে পরিণত হয়। এভাবে ‘খোয়াবনামা’ উপন্যাসে বর্তমান আর অতীত একাকার হয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে যায়। স্মৃতি আর চেতনার দ্বৈত বাস ও গণমানুষের সংগ্রাম মিলে উপন্যাসে সময়কে একটি শিল্প মাত্রায় স্থাপন করেছেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। ‘চিলেকোঠার সেপাই’ উপন্যাসের পটভূমি উনসত্তরে উন্মাতাল সমাজ রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহ। কিন্তু ঔপন্যাসিকের জীবন জিজ্ঞাসার সর্বমুখিতা উপন্যাসে বিধৃত চেতনাকে নির্দিষ্ট পরিসর থেকে মুক্তি দিয়েছে। সাম্রাজ্যবাদী শক্তির নব্য উপনিবেশ কবলিত পূর্ব বাংলার নাগরিক ও গ্রামীণ জীবনের বিস্তৃত করে ‘চিলেকোঠার সেপাই’ উপন্যাসকে এপিক চরিত্রফর্মে উন্নীত করেছে। উপন্যাসের ঘটনাপ্রবাহের মূল স্রোত দুইটি-
(এক) নগরজীবন যার জটিল ও দ্বন্দ্বময় চেতনা গড়ে উঠেছে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, উম্মূলিত জনস্রোত, শ্রমজীবী সাধারণ মানুষ এবং স্বৈরশাসনের অনুগ্রহ পুষ্ট দালাল মহাজনের সমবায়ে। ঘটনার এই ধারাবাহিক কেন্দ্রে স্থাপিত হয়েছে আত্মভূক চেতনালোক থেকে গণ আন্দোলনের দিকে ক্রম অগ্রসরমান ওসমান গণি, ভাসমান শ্রমিক, গণ-অভুত্থানের স্বতঃস্ফূর্ত সৈনিক খিজির এবং পাকিস্তানী শোসকশক্তি পদাঙ্ক অনসুারী রহমতুল¬াহ।
(দুই) সামন্তচেতনা ও বুর্জোয়া ভাবাদর্শের দ্বন্দ্বময় বৈশিষ্ট্যে গঠিত গ্রামজীবন-যেখানে ভূমিনির্ভর জোতদারের সঙ্গে বর্গাচাষী ও বিত্তহীন শ্রেণির অনিবার্য সংঘাতে পরিণত হয়। কাহিনীর এই স্রোতে দুই বিপরীত মেরুতে রয়েছে আনোয়ার, চেংট,ু করমালি, আলি বক্স এবং খরবার আলী।
সমাজের প্রথাগত অবরুদ্ধ বৃত্তাবদ্ধ কাঠামোর মধ্যে ষাটের দশকে যে যুগান্তকারী পরিবর্তনের বীজ অঙ্কুরিত হয়েছিল, মধ্যবিত্তের অস্তিত্ত্বরূপ ও জীবন জিজ্ঞাসার ক্ষেত্রে তার প্রতিক্রিয়া ছিল জটিল ও অন্তর্দ্বন্দ্বময়। উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানে বাংলাদেশের অপরিণত মধ্যবিত্ত জীবনের যে দ্বিধাদীর্ণ চাঞ্চল্য, প্রায় দুই দশকের কালিক দূরত্ব থেকে প্রত্যক্ষ করতে গিয়ে উপর্যুক্ত শিল্প সংকট সম্পর্কে সচেতন ছিলেন আখতাারুজ্জামান ইলিয়াস। ‘চিলেকোঠার সেপাই’ উপন্যাসে এপিক ফর্মের চিরায়ত রূপের মধ্যেই আধুনিক জীবনের জটিল সংকটকে রূপ দিয়েছেন তিনি।
ওসমানের ব্যক্তিকথায় বিধৃত কালের আত্মরতি, আত্মমৈথুন ও সিজিফ্রেনিয়া-আক্রান্ত মধ্যবিত্তজীবনের বৃত্ত ভাঙ্গার প্রক্রিয়া উপস্থাপন করেছেন তিনি। সর্বজ্ঞ ঔপন্যাসিকের অবলোকন ওসমানের দৃষ্টি কোণের সঙ্গে সমীকৃত হয়ে ‘চিলেকোঠার
সেপাই’ উপন্যাসের ঘটনাপ্রবাহ নির্মাণ করেছে এবং এই ঘটনাপ্রবাহ সমান্তরাল দুটি রেখায় বিন্যাস্ত হয়েছে। ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানকালীন উত্তাল রাজনৈতিক শহর ঢাকা এবং শ্রেণি সংঘাতদীর্ণ গ্রামীণ জনপদের আশ্রয়ে নির্মিত হয়েছে উপন্যাসের বহির্ঘটনাবৃত্ত। ওসমানের আত্মসন্ধান আত্মরক্ষরণ ও আত্মউজ্জীবনের আন্তঃপ্রবাহী চেতনাস্রোত গড়ে তুলেছে, ‘চিলেকোঠার সেপাই, উপন্যাসের মৌল জীবনার্থ।
সহায়ক গ্রন্থাবলিঃ
১. রফিক উল¬াহ খান, বাংলাদেশের উপন্যাসঃ বিষয় ও শিল্পরূপ, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, ১৯৯৭।
২. সৈয়দ আকরম হোসেন, প্রসঙ্গঃ বাংলা কথাসাহিত্য, মাওলা ব্রাদার্স, ঢাকা, ১৯৯৭।
৩. পাক্ষিক পত্রিকা, ‘শৈলী’ আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সংখ্যা, ১২ বর্ষ, ২২ সংখ্যা, ১ জানুয়ারী, ১৯৯৭, ঢাকা।
৪. ‘তৃণমূল’ ৪র্থ সংখ্যা, জানুয়ারী ১৯৯৮, সম্পাদকঃ আনু মুহাম্মদ, ঢাকা।
৫. পৃথীশ সাহা সম্পাদিত আখতারুজ্জামান ইলিয়াস সংখ্যা সাহিত্য ও সমাজভাবনা, কলকাতা ১৯৯৭।
ড. আহমেদ মাওলা, অধ্যাপক, বাংলা বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়